ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
হিজবুল্লাহর পেজার বিস্ফোরণ, তদন্তে বেরুল ভারতীয় যুবকের নাম
গত মঙ্গলবার লেবাননে হিজবুল্লাহর তারবিহীন বিশেষ যোগাযোগ যন্ত্র পেজার বিস্ফোরণ এই মুহূর্তে মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে বড় খবর। রকেট কিংবা বিমান হামলা নয়, অভিনব উপায়ে কম আলোচিত পেজার যন্ত্র বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আলোচনার জন্ম দিয়েছে ইসরাইল।
লেবাননজুড়ে হাজার হাজার পেজার বিস্ফোরণের ঘটনার তদন্তে এবার এক ভারতীয়ের নাম উঠে এসেছে। যার কোম্পানি থেকে পেজারগুলো হিজবুল্লাহর কাছে সরবরাহ করা হয়। শনিবার এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নরওয়ের নাগরিক রিনসন জোসের বুলগেরিয়ান কোম্পানি থেকে পেজারগুলো হিজবুল্লাহর কাছে সরবরাহ করা হয়। ৩৭ বছর বয়সী রিনসন ভারতের কেরালার বাসিন্দা ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি নরওয়েতে গিয়ে নাগরিকত্ব পান।
এতে আরো বলা হয়, বুলগেরিয়ায় নোরটা গ্লোবাল নামে একটি
সংস্থা রয়েছে রিনসনের৷ অভিযোগ উঠেছে, যে পেজারগুলোতে বিস্ফোরণ ঘটেছে সেগুলো রিনসনের সংস্থাই লেবাননে সরবরাহ করেছিল৷ যদিও ওই পেজারগুলো হাঙ্গেরির একটি সংস্থা তৈরি করেছিল৷ আর নরটা গ্লোবাল নামে ওই সংস্থাটি হাঙ্গেরির বুদাপেস্টের একটি ঠিকানায় নথিভুক্ত করা রয়েছে৷ পেজারগুলোর তৈরির প্রযুক্তি ছিল তাইওয়ানের একটি সংস্থার৷ কিন্তু সন্দেহভাজন ওই পেজারগুলো কিনেছিল রিনসনের সংস্থা নরটা গ্লোবাল৷ এদিকে এর আগে মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হাঙ্গেরিভিত্তিক বিএসি কনসাল্টিং থেকে পেজার আমদানি করেছিল হিজবুল্লাহ। যা প্রকৃতপক্ষে মোসাদেরই বানানো একটি প্রতিষ্ঠান। তারা ইসরাইলি পরিচয় গোপন করে ছদ্মেবেশে এই প্রতিষ্ঠানের কাজে অর্থায়ন করতো। এ ধরনের প্রতিষ্ঠানকে বলা হয় ‘শেল কোম্পানি’। হাঙ্গেরির এই প্রতিষ্ঠানের তৈরিকৃত পেজার
ক্রয়ের জন্য তাইওয়ানে কোম্পানি গোল্ড অ্যাপোলোর সঙ্গে চুক্তি করেছিল হিজবুল্লাহ। আর সেই তাইওয়ানের পেজারই বিস্ফোরিত হয় লেবাননে। এবার এতে জড়িয়ে গেল ভারতীয় বংশোদ্ভূতের রিনসন হোসের নাম। এদিকে পেজার বিস্ফোরণের দুই দিন পরে বুলগেরিয়ার রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা সংস্থা (ডিএএনএস) জানিয়েছে, যে তারা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে পেজার প্রস্তুতকারক কোম্পানিটির ভূমিকা নিয়ে তদন্ত করবে, যেটির মালিক নরওয়ের নাগরিক জিয়ান রিনসন জোসে। এছাড়া গতকাল শুক্রবার ডিএএনএস জানায়, লেবাননে বিস্ফোরিত পেজারগুলো বুলগেরিয়া থেকে রপ্তানি বা প্রস্তুত করা হয়নি। এদিকে নরওয়ে পুলিশ জানায়, তারাও পেজার বিস্ফোরণের ঘটনায় প্রাথমিক তদন্ত শুরু করেছে।
সংস্থা রয়েছে রিনসনের৷ অভিযোগ উঠেছে, যে পেজারগুলোতে বিস্ফোরণ ঘটেছে সেগুলো রিনসনের সংস্থাই লেবাননে সরবরাহ করেছিল৷ যদিও ওই পেজারগুলো হাঙ্গেরির একটি সংস্থা তৈরি করেছিল৷ আর নরটা গ্লোবাল নামে ওই সংস্থাটি হাঙ্গেরির বুদাপেস্টের একটি ঠিকানায় নথিভুক্ত করা রয়েছে৷ পেজারগুলোর তৈরির প্রযুক্তি ছিল তাইওয়ানের একটি সংস্থার৷ কিন্তু সন্দেহভাজন ওই পেজারগুলো কিনেছিল রিনসনের সংস্থা নরটা গ্লোবাল৷ এদিকে এর আগে মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হাঙ্গেরিভিত্তিক বিএসি কনসাল্টিং থেকে পেজার আমদানি করেছিল হিজবুল্লাহ। যা প্রকৃতপক্ষে মোসাদেরই বানানো একটি প্রতিষ্ঠান। তারা ইসরাইলি পরিচয় গোপন করে ছদ্মেবেশে এই প্রতিষ্ঠানের কাজে অর্থায়ন করতো। এ ধরনের প্রতিষ্ঠানকে বলা হয় ‘শেল কোম্পানি’। হাঙ্গেরির এই প্রতিষ্ঠানের তৈরিকৃত পেজার
ক্রয়ের জন্য তাইওয়ানে কোম্পানি গোল্ড অ্যাপোলোর সঙ্গে চুক্তি করেছিল হিজবুল্লাহ। আর সেই তাইওয়ানের পেজারই বিস্ফোরিত হয় লেবাননে। এবার এতে জড়িয়ে গেল ভারতীয় বংশোদ্ভূতের রিনসন হোসের নাম। এদিকে পেজার বিস্ফোরণের দুই দিন পরে বুলগেরিয়ার রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা সংস্থা (ডিএএনএস) জানিয়েছে, যে তারা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে পেজার প্রস্তুতকারক কোম্পানিটির ভূমিকা নিয়ে তদন্ত করবে, যেটির মালিক নরওয়ের নাগরিক জিয়ান রিনসন জোসে। এছাড়া গতকাল শুক্রবার ডিএএনএস জানায়, লেবাননে বিস্ফোরিত পেজারগুলো বুলগেরিয়া থেকে রপ্তানি বা প্রস্তুত করা হয়নি। এদিকে নরওয়ে পুলিশ জানায়, তারাও পেজার বিস্ফোরণের ঘটনায় প্রাথমিক তদন্ত শুরু করেছে।