ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
চেয়ারম্যানসহ পিএসসির ১২ সদস্যের পদত্যাগ
সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিল চান টিআইবির ইফতেখারুজ্জামান
ভারত ছেড়ে কোথাও যাননি, দিল্লিতেই আছেন শেখ হাসিনা
গ্রেফতারের দুই দিন পরই কারামুক্ত সাবের হোসেন
ফ্যাসিস্টদের প্রতি বিন্দুমাত্র সহানুভূতি নয়: ঊর্মি ইস্যুতে আনসারী
‘নুন-মরিচ দিয়ে স্বাধীনতা চটকে আমরা বিচিত্র পদের ভর্তা খেতে পারব’
তিন সভায় অনুপস্থিত থেকেও পরিচালক পদে বহাল শেখ সোহেল-আ জ ম নাছিররা
রপ্তানির আড়ালে সালমানের হাজার কোটি টাকা পাচার, ১৭ মামলা
বেক্সিমকো গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমানের বিরুদ্ধে অর্থ পাচার আইনে ১৭টি মামলা করেছে সিআইডি (পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ)। এতে সালমান এফ রহমান ছাড়াও তার ছেলে, ভাই, ভাতিজাসহ প্রতিষ্ঠানের ২৪ জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। মামলায় রপ্তানির আড়ালে ৮৩ মিলিয়ন বা প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে। সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকেই অভিযুক্ত এই ১৭ প্রতিষ্ঠানের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা আত্মগোপনে আছেন বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। অন্যদিকে সালমানের দুই ছেলে ও বড় ভাই আগে থেকেই দেশের বাইরে অবস্থান করছেন।
সূত্র জানায়, ১ সেপ্টেম্বর বেক্সিমকো গ্রুপের প্রতিষ্ঠানগুলোর অর্থ পাচারের বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করে সিআইডি। এ তথ্য প্রকাশ্যে আসার পর থেকে এসব
প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা আত্মগোপনে চলে যান। সম্প্রতি সিআইডির অনুসন্ধান দল সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোয় গিয়ে কর্মস্থলে তাদের অনুপস্থিতির বিষয়টি জানতে পারে। এছাড়াও তাদের অনেকেই সালমান গ্রেফতারের পর থেকেই আত্মগোপনে আছেন বলেও সিআইডিকে জানানো হয়। তবে তারা দেশত্যাগ করেছেন কি না, তা এখন পর্যন্ত নিশ্চিত নয়। কাজেই বিষয়টিও সিআইডি খোঁজ নেবে বলে জানা গেছে। তাদের সন্ধান পাওয়া গেলে গ্রেফতার করা হতে পারে। কারণ, অর্থ পাচার আইনে দায়ের করা মামলার তদন্তের স্বার্থে তাদের গ্রেফতার ও জিজ্ঞাসাবাদের বিধান আছে। সেই বিধানবলেই তাদের ধরা হতে পারে। সিআইডি মনে করে, বেক্সিমকোর বড় অঙ্কের অর্থ পাচারে তাদের প্রত্যক্ষ ভূমিকা রয়েছে। অন্যদিকে সালমানের ভাই ও দুই ছেলেকে দেশে ফিরিয়ে আনার
প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ। রাজধানীর মতিঝিল থানায় করা মামলাগুলোর এজাহারে বলা হয়েছে, অ্যাডভেঞ্চার গার্মেন্টস ২৩ লাখ ২৮ হাজার ডলার, অ্যাপোলো অ্যাপারেলস ২ কোটি ৩০ লাখ ৩৫ হাজার ডলার, অটাম লুপ অ্যাপারেলস ২৮ লাখ ৩২ হাজার ডলার, বেক্সটেক্স গার্মেন্টস ১ কোটি ৯০ লাখ ৩০ হাজার ডলার, কসমোপলিটন অ্যাপারেলস ২৯ লাখ ৯৭ হাজার ডলার, অ্যাসেস ফ্যাশন ৩৮ লাখ ২২ হাজার ডলার, কাঁচপুর অ্যাপারেলস ১৯ লাখ ৬৪ হাজার ডলার, মিডওয়েস্ট গার্মেন্টস, পিয়ারলেস গার্মেন্টস ১৯ লাখ ৯৮ হাজার ডলার, প্লাটিনাম গার্মেন্টস ১৮ লাখ ৬ হাজার ডলার, স্কাইনেট অ্যাপারেলস ২৬ লাখ ৪৪ হাজার ডলার, স্প্রিংফুল অ্যাপারেলস ৪৬ লাখ ৮৭ হাজার ডলার, আরবান ফ্যাশনস ১
লাখ ২০ হাজার ডলার ও উইন্টার স্প্রিন্ট গার্মেন্টস লিমিটেড ২৩ লাখ ৯৬ হাজার ডলার, কোজি অ্যাপারেলস ১৯ লাখ ৬৪ হাজার ডলার, ইন্টারন্যাশনাল নিটওয়্যার অ্যান্ড অ্যাপারেলস ৪৫ লাখ ৪১ হাজার ডলার এবং পিংক মেকার গার্মেন্টসের ২৬ লাখ ৬৩ হাজার ডলারের বেশি অপ্রত্যাবাসিত অর্থ পাচার হয়েছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বর্তমানে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ঘটনায় দায়ের করা একটি হত্যা মামলায় গ্রেফতার আছেন। এছাড়া তার বিরুদ্ধে সিআইডির মামলা ছাড়াও বিভিন্ন এলাকায় একাধিক মামলা রয়েছে। সিআইডির মামলায় সালমান ছাড়াও তার ভাই বেক্সিমকোর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এ এস এফ রহমান (৭৯), ছেলে আহমেদ শায়ান ফজলুর রহমান ও আহমেদ শাহরিয়ার রহমানকে
অভিযুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া ১৭ প্রতিষ্ঠানের ২৪ কর্মকর্তার মধ্যে রয়েছেন বেক্সটেক্স গার্মেন্টস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সাইফুর রহমান, পরিচালক মাশকুরা খানম, কসমোপলিটন অ্যাপারেলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাজিয়া জামান, পরিচালক খাদিজা বিনতে আলম, কোজি অ্যাপারেলস লিমিটেড ও কাঁচপুর অ্যাপারেলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহফুজুর রহমান খান, পরিচালক সৈয়দ তানবীর এলাহী আফেন্দী, অ্যাসেস ফ্যাশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু নাঈম মাহমুদ সালেহীন, পরিচালক মো. মোস্তাফিজুর রহমান তানভীর, ইন্টারন্যাশনাল নিটওয়্যার অ্যান্ড অ্যাপারেলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহমদ জালাল খান মজলিস ও পরিচালক ইমরান খান মজলিস, মিডওয়েস্ট গার্মেন্টস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাইমিনুল ইসলাম, পরিচালক কোহিনুর আবেদিন, পিয়ারলেস গার্মেন্টস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ওয়াসিউর রহমান, পরিচালক রেজিয়া আক্তার, পিঙ্ক
মেকার গার্মেন্টস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রুম্মান মোহাম্মদ ফাহিম খান, পরিচালক কাজী উম্মে কুলসুম মৈত্রী, অ্যাডভেঞ্চার গার্মেন্টস লিমিটেডের শেয়ারহোল্ডার ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ারুল বাশার, শেয়ারহোল্ডার ও পরিচালক নাসরিন আহমেদ, অ্যাপোলো অ্যাপারেলস লিমিটেডের শেয়ারহোল্ডার ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ ফরিদুজ্জামান, শেয়ারহোল্ডার ও পরিচালক কামরুন নাহার নাসিমা, প্লাটিনাম গার্মেন্টস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আলিফ ইবনে জুলফিকার, পরিচালক নুসরাত হায়দার, আরবান ফ্যাশনস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হেলাল উদ্দিন ও পরিচালক শাহিদা রহমান। এদিকে বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, বেক্সিমকো গ্রুপের মালিকানাধীন ১৭টি প্রতিষ্ঠানে ২০২১ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময় মতিঝিল জনতা ব্যাংকের লোকাল শাখা থেকে ৯৩টি এলসি বা বিক্রয় চুক্তির মাধ্যমে পণ্য রপ্তানি করে নির্ধারিত
সময় পার হওয়ার পরও রপ্তানিমূল্যের প্রায় ৮৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দেশে না এনে বিদেশে পাচার করেছে। এছাড়াও সালমান ও তার স্বার্থসংশ্লিষ্ট কোম্পানি বেক্সিমকো গ্রুপের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে-বেনামে প্রায় ৩৩ হাজার ৪৭০ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে বিদেশে পাচার এবং অন্যান্য আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে পৃথক অনুসন্ধান পরিচালনা করছে সিআইডি। সিআইডির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশের বিদ্যমান আইন অনুযায়ী, পণ্য রপ্তানির পর রপ্তানিমূল্য ৪ মাসের মধ্যে ফেরত আনার বাধ্যবাধকতা আছে। এটা জানার পর রপ্তানিমূল্য দেশে না এনে সালমান এফ রহমান রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে এ অর্থ বিদেশে পাচার করেছেন। বিদেশে রপ্তানি হওয়া পণ্যের বেশির ভাগই বেক্সিমকো গ্রুপের মালিক সালমান এফ রহমানের ছেলে আহমেদ শায়ান ফজলুর রহমান এবং এ এস এফ রহমানের ছেলে আহমেদ শাহরিয়ার রহমানের যৌথ মালিকানাধীন আর আর গ্লোবাল ট্রেডিং এফজেডই-এর শারজাহ, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সৌদি আরবের ঠিকানায় রপ্তানি করা হয়েছে। সালমান এফ রহমান ও তার সহযোগীরা ব্যক্তিগত প্রভাব খাটিয়ে সংঘবদ্ধ অপরাধীচক্রের সহযোগিতায় বিদেশে অর্থ পাচার করেছেন। এছাড়া জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, যুক্তরাজ্য, তুরস্ক, শ্রীলংকাসহ বিভিন্ন দেশে পণ্য রপ্তানির মাধ্যমে রপ্তানিমূল্য দেশে না এনে আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে অর্থ পাচার করেছেন বলে এতে উল্লেখ করা হয়।
প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা আত্মগোপনে চলে যান। সম্প্রতি সিআইডির অনুসন্ধান দল সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোয় গিয়ে কর্মস্থলে তাদের অনুপস্থিতির বিষয়টি জানতে পারে। এছাড়াও তাদের অনেকেই সালমান গ্রেফতারের পর থেকেই আত্মগোপনে আছেন বলেও সিআইডিকে জানানো হয়। তবে তারা দেশত্যাগ করেছেন কি না, তা এখন পর্যন্ত নিশ্চিত নয়। কাজেই বিষয়টিও সিআইডি খোঁজ নেবে বলে জানা গেছে। তাদের সন্ধান পাওয়া গেলে গ্রেফতার করা হতে পারে। কারণ, অর্থ পাচার আইনে দায়ের করা মামলার তদন্তের স্বার্থে তাদের গ্রেফতার ও জিজ্ঞাসাবাদের বিধান আছে। সেই বিধানবলেই তাদের ধরা হতে পারে। সিআইডি মনে করে, বেক্সিমকোর বড় অঙ্কের অর্থ পাচারে তাদের প্রত্যক্ষ ভূমিকা রয়েছে। অন্যদিকে সালমানের ভাই ও দুই ছেলেকে দেশে ফিরিয়ে আনার
প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ। রাজধানীর মতিঝিল থানায় করা মামলাগুলোর এজাহারে বলা হয়েছে, অ্যাডভেঞ্চার গার্মেন্টস ২৩ লাখ ২৮ হাজার ডলার, অ্যাপোলো অ্যাপারেলস ২ কোটি ৩০ লাখ ৩৫ হাজার ডলার, অটাম লুপ অ্যাপারেলস ২৮ লাখ ৩২ হাজার ডলার, বেক্সটেক্স গার্মেন্টস ১ কোটি ৯০ লাখ ৩০ হাজার ডলার, কসমোপলিটন অ্যাপারেলস ২৯ লাখ ৯৭ হাজার ডলার, অ্যাসেস ফ্যাশন ৩৮ লাখ ২২ হাজার ডলার, কাঁচপুর অ্যাপারেলস ১৯ লাখ ৬৪ হাজার ডলার, মিডওয়েস্ট গার্মেন্টস, পিয়ারলেস গার্মেন্টস ১৯ লাখ ৯৮ হাজার ডলার, প্লাটিনাম গার্মেন্টস ১৮ লাখ ৬ হাজার ডলার, স্কাইনেট অ্যাপারেলস ২৬ লাখ ৪৪ হাজার ডলার, স্প্রিংফুল অ্যাপারেলস ৪৬ লাখ ৮৭ হাজার ডলার, আরবান ফ্যাশনস ১
লাখ ২০ হাজার ডলার ও উইন্টার স্প্রিন্ট গার্মেন্টস লিমিটেড ২৩ লাখ ৯৬ হাজার ডলার, কোজি অ্যাপারেলস ১৯ লাখ ৬৪ হাজার ডলার, ইন্টারন্যাশনাল নিটওয়্যার অ্যান্ড অ্যাপারেলস ৪৫ লাখ ৪১ হাজার ডলার এবং পিংক মেকার গার্মেন্টসের ২৬ লাখ ৬৩ হাজার ডলারের বেশি অপ্রত্যাবাসিত অর্থ পাচার হয়েছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বর্তমানে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ঘটনায় দায়ের করা একটি হত্যা মামলায় গ্রেফতার আছেন। এছাড়া তার বিরুদ্ধে সিআইডির মামলা ছাড়াও বিভিন্ন এলাকায় একাধিক মামলা রয়েছে। সিআইডির মামলায় সালমান ছাড়াও তার ভাই বেক্সিমকোর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এ এস এফ রহমান (৭৯), ছেলে আহমেদ শায়ান ফজলুর রহমান ও আহমেদ শাহরিয়ার রহমানকে
অভিযুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া ১৭ প্রতিষ্ঠানের ২৪ কর্মকর্তার মধ্যে রয়েছেন বেক্সটেক্স গার্মেন্টস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সাইফুর রহমান, পরিচালক মাশকুরা খানম, কসমোপলিটন অ্যাপারেলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাজিয়া জামান, পরিচালক খাদিজা বিনতে আলম, কোজি অ্যাপারেলস লিমিটেড ও কাঁচপুর অ্যাপারেলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহফুজুর রহমান খান, পরিচালক সৈয়দ তানবীর এলাহী আফেন্দী, অ্যাসেস ফ্যাশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু নাঈম মাহমুদ সালেহীন, পরিচালক মো. মোস্তাফিজুর রহমান তানভীর, ইন্টারন্যাশনাল নিটওয়্যার অ্যান্ড অ্যাপারেলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহমদ জালাল খান মজলিস ও পরিচালক ইমরান খান মজলিস, মিডওয়েস্ট গার্মেন্টস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাইমিনুল ইসলাম, পরিচালক কোহিনুর আবেদিন, পিয়ারলেস গার্মেন্টস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ওয়াসিউর রহমান, পরিচালক রেজিয়া আক্তার, পিঙ্ক
মেকার গার্মেন্টস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রুম্মান মোহাম্মদ ফাহিম খান, পরিচালক কাজী উম্মে কুলসুম মৈত্রী, অ্যাডভেঞ্চার গার্মেন্টস লিমিটেডের শেয়ারহোল্ডার ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ারুল বাশার, শেয়ারহোল্ডার ও পরিচালক নাসরিন আহমেদ, অ্যাপোলো অ্যাপারেলস লিমিটেডের শেয়ারহোল্ডার ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ ফরিদুজ্জামান, শেয়ারহোল্ডার ও পরিচালক কামরুন নাহার নাসিমা, প্লাটিনাম গার্মেন্টস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আলিফ ইবনে জুলফিকার, পরিচালক নুসরাত হায়দার, আরবান ফ্যাশনস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হেলাল উদ্দিন ও পরিচালক শাহিদা রহমান। এদিকে বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, বেক্সিমকো গ্রুপের মালিকানাধীন ১৭টি প্রতিষ্ঠানে ২০২১ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময় মতিঝিল জনতা ব্যাংকের লোকাল শাখা থেকে ৯৩টি এলসি বা বিক্রয় চুক্তির মাধ্যমে পণ্য রপ্তানি করে নির্ধারিত
সময় পার হওয়ার পরও রপ্তানিমূল্যের প্রায় ৮৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দেশে না এনে বিদেশে পাচার করেছে। এছাড়াও সালমান ও তার স্বার্থসংশ্লিষ্ট কোম্পানি বেক্সিমকো গ্রুপের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে-বেনামে প্রায় ৩৩ হাজার ৪৭০ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে বিদেশে পাচার এবং অন্যান্য আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে পৃথক অনুসন্ধান পরিচালনা করছে সিআইডি। সিআইডির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশের বিদ্যমান আইন অনুযায়ী, পণ্য রপ্তানির পর রপ্তানিমূল্য ৪ মাসের মধ্যে ফেরত আনার বাধ্যবাধকতা আছে। এটা জানার পর রপ্তানিমূল্য দেশে না এনে সালমান এফ রহমান রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে এ অর্থ বিদেশে পাচার করেছেন। বিদেশে রপ্তানি হওয়া পণ্যের বেশির ভাগই বেক্সিমকো গ্রুপের মালিক সালমান এফ রহমানের ছেলে আহমেদ শায়ান ফজলুর রহমান এবং এ এস এফ রহমানের ছেলে আহমেদ শাহরিয়ার রহমানের যৌথ মালিকানাধীন আর আর গ্লোবাল ট্রেডিং এফজেডই-এর শারজাহ, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সৌদি আরবের ঠিকানায় রপ্তানি করা হয়েছে। সালমান এফ রহমান ও তার সহযোগীরা ব্যক্তিগত প্রভাব খাটিয়ে সংঘবদ্ধ অপরাধীচক্রের সহযোগিতায় বিদেশে অর্থ পাচার করেছেন। এছাড়া জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, যুক্তরাজ্য, তুরস্ক, শ্রীলংকাসহ বিভিন্ন দেশে পণ্য রপ্তানির মাধ্যমে রপ্তানিমূল্য দেশে না এনে আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে অর্থ পাচার করেছেন বলে এতে উল্লেখ করা হয়।