মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণেই ইলিশের দাম আকাশছোঁয়া – ইউ এস বাংলা নিউজ




মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণেই ইলিশের দাম আকাশছোঁয়া

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ৬ অক্টোবর, ২০২৪ | ৬:৩২ 59 ভিউ
ইলিশের জন্য ব্র্যান্ডিং জেলা চাঁদপুর। মিঠা পানির মাছখ্যাত রুপালি ইলিশের একটি বড় অংশ চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনায়। আহরণ থেকে ভোক্তা পর্যন্ত পৌঁছতে ফড়িয়া/আড়তদার/মধ্যস্বত্বভোগীদের মাধ্যমে কয়েক দফা হাতবদল হয়। এটাই চাঁদপুরে ইলিশের দাম বেশি হওয়ার অন্যতম কারণ। ইলিশ গবেষক ড. আনিসুর রহমান বলেন, ইলিশ কমে যাওয়ার আরও কতগুলো কারণ হলো-চাঁদপুর বেল্টে নদী দূষণ, ডুবোচর, কারেন্টজাল দিয়ে প্রতিবন্ধকতা তৈরি, বালু উত্তোলনের পাশাপাশি গ্লোবাল ক্লাইমেট চেঞ্জ প্রভৃতি। বর্তমানে এখানে এক কেজি ইলিশের দাম ১৮শ থেকে ১৯শ টাকা। ৮০০ গ্রাম ইলিশ ১৫শ থেকে ১৬শ টাকা। আর আধা কেজি সাইজের ইলিশ ১ হাজার থেকে ১৩শ টাকা। ২০০ থেকে ২৫০ গ্রাম ওজনের জাটকা ৬শ থেকে ৭শ টাকা। কয়েক বছর ধরেই ইলিশের

দাম বাড়তি। এর নেপথ্যে অন্যতম প্রধান কারণ আহরণ থেকে বিপণন পর্যন্ত কয়েক দফা হাতবদল। ইলিশের বাজার এখন মূলত দাদন ব্যবসায়ী-আড়তদারদের হাতে জিম্মি। ইলিশের একেকটি ঘাট থেকেই মোবাইলের মাধ্যমে পুরো দেশের বাজার নিয়ন্ত্রণ করা হয়। প্রশাসন যদি সত্যিকার অর্থে ঘাট নিয়ন্ত্রণ ও জেলেদের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করে তাহলে বর্তমানে যে দামে ইলিশ বিক্রি হচ্ছে, তার অর্ধেক দামে ইলিশ বিক্রি করা সম্ভব। জাল ও ট্রলার সবই দাদন ব্যবসায়ীদের জিম্মায় থাকে। অনেক ক্ষেত্রে ট্রলারে দাদন ব্যবসায়ীদের প্রতিনিধি থাকেন। পানি থেকে ইলিশ উঠতেই দাদন ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রণে চলে যায়। এদিকে মা ইলিশ বা জাটকা রক্ষা মৌসুমে প্রকৃত জেলে নির্ণয় করে তাদের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা প্রয়োজন বলে জেলেরা

মনে করেন। জেলে তাফাজ্জল গাজীর বাড়ি চাঁদপুরের হরিণায়। তিনি জানান, তাদের ট্রলারে ৮ জেলে এবং একজন মাঝি রয়েছেন। ৯ দিন আগে ট্রলার নিয়ে হরিণাঘাট থেকে তারা নোয়াখালীর হাতিয়া ও সন্দ্বীপ এলাকায় ইলিশ ধরতে যান। এ সময় তারা ২০ হাজার টাকার চাল-ডাল, বরফসহ আনুষঙ্গিক জিনিসপত্র কেনেন। আর জ্বালানি (ডিজেল) কেনেন ৫০ হাজার টাকার। মোট ৭০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে তাদের। মাছ পেয়েছেন দেড় লাখ টাকার। এই টাকার লাভের অর্ধেক পাবেন ট্রলার মালিক। বাকি টাকা ১০ ভাগ হবে। ২ ভাগ ট্রলারের মাঝির, বাকি ৮ ভাগ ৮ জেলের। মূলত লাভের বড় একটি অংশ পেয়ে থাকেন ট্রলার মালিক। বহরিয়ার জেলে বারেক দর্জি জানান, নদী বা সমুদ্র থেকে

জেলেরা মাছ ধরে ঘাটে আনার পর মাছের নিয়ন্ত্রণ আর তাদের হাতে থাকে না। জেলে বা ট্রলার মালিক ইচ্ছা করলেও সরাসরি বেপারি বা ক্রেতার কাছে মাছ বিক্রি করতে পারেন না। মাছ সরাসরি চলে যায় মহাজনের কাছে। মহাজনের নিয়োজিত কর্মী প্রাথমিকভাবে একটি দাম নির্ধারণ করে ‘নিলাম’ ডাকেন। একের পর এক দাম হাঁকানোর পর যে কোনো একজন বেপারি সেই মাছ কিনে নেন। এরপর বিক্রি করেন আড়তে বা খুচরা বিক্রেতাদের কাছে। খুচরা বিক্রেতাদের হাত হয়ে যায় ক্রেতাদের হাতে। মহাজন থেকে শুরু করে ক্রেতা পর্যন্ত ৪ বার হাতবদল হয়-তাদের প্রত্যেকেই শতকরা ১০ থেকে ১৫ শতাংশ লাভ করে থাকেন। এভাবেই ঘাট থেকে শুরু করে খুচরা ক্রেতা

পর্যন্ত হাতবদলে ইলিশ মাছের দাম বেড়ে যায় কয়েকগুণ।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
আবারো ছাত্র-জনতাকে ব্যঙ্গ করে শাওনের ফেসবুক স্ট্যাটাস! ধানমন্ডির ৩২ নাম্বারের ইতিহাস কি আজকে শেষ? ভাঙ্গা হচ্ছে ধানমন্ডি ৩২ স্লোগান দিয়ে ভাঙ্গা হচ্ছে ধানমন্ডি ৩২ প্রস্তুত বোল্ড ডোজার আ.লীগের আমলে যা করছো, এখন আরও বেশি করমু: ছাত্রদল নেতার অডিও ফাঁস মোদিকে যেভাবে বোকা বানাচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প? প্রশাসনে আসছে বড় পরিবর্তন! ক্যাচ ধরেই কোটি টাকার বেশি পেলেন দর্শক রাষ্ট্রপতির ক্ষমা করার ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণের প্রস্তাব ৯৭ ধাপ এগিয়ে হেডের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছেন অভিষেক সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের ওপর হামলা, আহত কয়েকজন হেফাজতে যুবদল নেতা তৌহিদুল ইসলামের মৃত্যু, ৩১ জনের বিরুদ্ধে মামলা দেশকে ৪ প্রদেশে ভাগ করার সুপারিশ অনির্বাচিত সরকার কখনই জনগণের সরকার না: ডা. তাহের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আম্পায়ারিং প্যানেলে সৈকত, নেই ভারতের কেউ খালেদা জিয়ার নাইকো মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ ‘আমরা গাজাকে আবার সুন্দর করে গড়ে তুলব’ ৯৭ ধাপ এগিয়ে হেডের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছেন অভিষেক জুটি বাঁধছেন পাকিস্তানের জনপ্রিয় দুই শিল্পী ‘অবৈধ অভিবাসীদের’ সতর্কবার্তা মার্কিন দূতাবাসের