ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
নতুন হিজাব আইন চালু ইরানে, না মানলে মৃত্যুদণ্ড
গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতির পক্ষে ভোট দিল ১৫৮ দেশ
নিঃসঙ্গতা বেড়েছে জার্মানিতে
তুরস্কের মধ্যস্থতায় সোমালিয়া ও ইথিওপিয়ার উত্তেজনা নিরসনে চুক্তি
‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ মোদীর মন্ত্রিসভা দিল অনুমোদন
হাসিনার কোনও বক্তব্যকে সমর্থন করে না ভারত : বিক্রম মিশ্রি
ফারুকীর সিনেমা দেখলেন পাকিস্তানের হাইকমিশনার
বাংলাদেশে ভিন্ন দেশ, তাদের বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে পারি না: চিন্ময় দাস ইস্যুতে মমতা
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।তবে তিনি জোর দিয়ে বলেছেন যে,অন্য দেশের বিষয় হওয়ায় এই এটি নিয়ে তিনি মন্তব্য করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন না।বৃহস্পতিবার(২৮ নভেম্বর) পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভায় বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে এমন মন্তব্য করেছেন তিনি।
বিধানসভায় দেওয়া বক্তৃতায় মমতা বন্দোপাধ্যায় বাংলাদেশের বিষয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে বলেছেন, ‘‘এই সমস্যাটি কেন্দ্রীয় সরকারের সমাধানের বিষয় এবং তার রাজ্য সরকার কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত মেনে চলবে।’’
পশ্চিমবঙ্গের এই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ একটি ভিন্ন দেশ।ভারত সরকার এটা দেখবে।এটা আমাদের এখতিয়ারের মধ্যে পড়ে না।আমাদের এটি নিয়ে কথা বলা বা হস্তক্ষেপ করার কথা নয়।আমরা ভেতরে ভেতরে দুঃখ পেলেও কেন্দ্রের নির্ধারিত নীতি অনুসরণ
করি।’ বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে তিনি পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশের ইসকনের প্রতিনিধিদের সাথে কথা বলেছেন বলেও জানিয়েছেন।তবে ইসকনের নেতাদের সঙ্গে কী ধরনের আলোচনা হয়েছে, সেই বিষয়ে বিস্তারিত জানাননি তিনি। এদিকে, প্রতিবেশী বাংলাদেশে হিন্দুসহ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর কথিত ‘হামলা’ নিয়ে আলোচনা করতে বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। বৈঠকে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর গ্রেপ্তার, সংখ্যালঘুদের কথিত ‘নিরাপত্তাহীনতা’ এবং চট্টগ্রাম জেলায় একটি মন্দির ভাঙচুরের বিষয়ে তারা আলোচনা করেছেন।প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে এই বৈঠকের পর শুক্রবার (২৯ নভেম্বর)দেশটির সংসদের উভয় কক্ষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্কর ভাষণ দিবেন বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম। দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি বলেছে, লোকসভায় (সংসদে) বেশ কয়েকজন সাংসদ বাংলাদেশ
নিয়ে কথা বলেন। তারা জিজ্ঞেস করেন,বাংলাদেশে হিন্দু মন্দির ও প্রতীমা ভাঙচুরের ঘটনা বেড়েছে কি না।ভারত সরকার এই বিষয়টি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে উত্থাপন করেছে কি না। এসব প্রশ্নের জবাবে ভারতীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কীর্তি বর্ধন সিং সংসদকে বলেন, “বাংলাদেশে গত কয়েক মাসে হিন্দু মন্দির ও প্রতীমা ভাঙচুরের ঘটনার তথ্য শোনা গেছে।ভারতীয় সরকার এ ব্যাপারে নিজেদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছে।যার মধ্যে তাঁতিবাজারে পূজামণ্ডপে হামলা, সাতক্ষীরার কালী মন্দির থেকে দুর্গাপূজার সময় সোনার মুকুট চুরির ঘটনা রয়েছে। ভারত সরকার বাংলাদেশ সরকারকে হিন্দুসহ সব সংখ্যালঘুর প্রার্থনাস্থলের নিরাপত্তা নিশ্চিতের আহ্বান জানিয়েছে।এছাড়া ভারত বাংলাদেশকে বলেছে সংখ্যালঘুসহ দেশটির সব নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দায়িত্ব অন্তর্বর্তী সরকারের।” ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের পতনের
পর থেকেই ঢাকা-দিল্লি সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছে।সম্প্রতি বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেফতার নিয়ে দুই দেশের মধ্যে টানাপোড়েন নতুন মাত্রা যোগ করেছে।এরই মধ্যে ভারত সরকার এবং দেশটির বিরোধী দল কংগ্রেস উদ্বেগ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে।পাল্টা বিবৃতি দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। তথ্যসূত্র : এনডিটিভি, পিটিআই
করি।’ বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে তিনি পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশের ইসকনের প্রতিনিধিদের সাথে কথা বলেছেন বলেও জানিয়েছেন।তবে ইসকনের নেতাদের সঙ্গে কী ধরনের আলোচনা হয়েছে, সেই বিষয়ে বিস্তারিত জানাননি তিনি। এদিকে, প্রতিবেশী বাংলাদেশে হিন্দুসহ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর কথিত ‘হামলা’ নিয়ে আলোচনা করতে বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। বৈঠকে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর গ্রেপ্তার, সংখ্যালঘুদের কথিত ‘নিরাপত্তাহীনতা’ এবং চট্টগ্রাম জেলায় একটি মন্দির ভাঙচুরের বিষয়ে তারা আলোচনা করেছেন।প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে এই বৈঠকের পর শুক্রবার (২৯ নভেম্বর)দেশটির সংসদের উভয় কক্ষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্কর ভাষণ দিবেন বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম। দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি বলেছে, লোকসভায় (সংসদে) বেশ কয়েকজন সাংসদ বাংলাদেশ
নিয়ে কথা বলেন। তারা জিজ্ঞেস করেন,বাংলাদেশে হিন্দু মন্দির ও প্রতীমা ভাঙচুরের ঘটনা বেড়েছে কি না।ভারত সরকার এই বিষয়টি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে উত্থাপন করেছে কি না। এসব প্রশ্নের জবাবে ভারতীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কীর্তি বর্ধন সিং সংসদকে বলেন, “বাংলাদেশে গত কয়েক মাসে হিন্দু মন্দির ও প্রতীমা ভাঙচুরের ঘটনার তথ্য শোনা গেছে।ভারতীয় সরকার এ ব্যাপারে নিজেদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছে।যার মধ্যে তাঁতিবাজারে পূজামণ্ডপে হামলা, সাতক্ষীরার কালী মন্দির থেকে দুর্গাপূজার সময় সোনার মুকুট চুরির ঘটনা রয়েছে। ভারত সরকার বাংলাদেশ সরকারকে হিন্দুসহ সব সংখ্যালঘুর প্রার্থনাস্থলের নিরাপত্তা নিশ্চিতের আহ্বান জানিয়েছে।এছাড়া ভারত বাংলাদেশকে বলেছে সংখ্যালঘুসহ দেশটির সব নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দায়িত্ব অন্তর্বর্তী সরকারের।” ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের পতনের
পর থেকেই ঢাকা-দিল্লি সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছে।সম্প্রতি বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেফতার নিয়ে দুই দেশের মধ্যে টানাপোড়েন নতুন মাত্রা যোগ করেছে।এরই মধ্যে ভারত সরকার এবং দেশটির বিরোধী দল কংগ্রেস উদ্বেগ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে।পাল্টা বিবৃতি দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। তথ্যসূত্র : এনডিটিভি, পিটিআই