ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
নয়া বন্দোবস্তঃ মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী পুরনো ষড়যন্ত্র
রাজধানীতে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও স্বতন্ত্র প্রার্থী শরীফ ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ, প্রধান উপদেষ্টার কঠোর নির্দেশ
“কারও মৃত্যুতে আলহামদুলিল্লাহ বলার শিক্ষা পাইনি, তবে উসমান হাদী একজন বাচাল ধর্মান্ধ জঙ্গী” — সিদ্দিকী নাজমুল আলম
জামায়াতের নেতাকর্মীরা চাঁদা না পেয়ে হিন্দু পল্লীতে ন্যাক্কারজনক হামলা চালায়
ফ্যাসিস্ট ইউনুসের প্রশাসনিক মব সন্ত্রাসের শিকার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা – কর্মীরা।
“কিছুদিন পরে মানুষ অনাহারে মারা যাবে, সরকারের কোন ব্যবস্থা নাই তো” — জনতার কথা
“আওয়ামী লীগ যোগ কইরা ইউনূস একবার সুষ্ঠু নির্বাচন দিক, তাহলে দেহা যাইবো কেডা পার হয়” — রিকশাচালক
খুলনায় জামায়াত প্রার্থী কৃষ্ণ নন্দীর ভারতীয় ভিসা আবেদন প্রত্যাখ্যান: নথিপত্রে অসংগতি ও সন্দেহের জেরে বিভ্রাট
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর খুলনা-১ সংসদীয় আসনের প্রার্থী কৃষ্ণ নন্দীর ভারতীয় ভিসা আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে খুলনাস্থ ভারতীয় সহকারী হাইকমিশন। ২০২৫ সালের জুলাই মাসে করা এই আবেদনে তথ্যের অসংগতি এবং নথিপত্র সন্দেহজনক হওয়ার কারণে তাকে ভিসা প্রদান করা হয়নি বলে ‘নর্থইস্ট নিউজ’-এর প্রাপ্ত নথিতে উঠে এসেছে।
জানা গেছে, কৃষ্ণ নন্দী গত ১৯ জুলাই, ২০২৫ তারিখে খুলনার ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনে ১২ মাসের 'মাল্টিপল এন্ট্রি' মেডিক্যাল ভিসার জন্য আবেদন করেছিলেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী, তিনি সড়কপথে ঘোজাডাঙ্গা সীমান্ত দিয়ে ১ আগস্ট, ২০২৫ তারিখে কলকাতায় প্রবেশ করতে চেয়েছিলেন। তবে হাইকমিশনের কর্মকর্তারা তার জমা দেওয়া নথিপত্র যাচাই-বাছাই করে সেগুলোকে "যথেষ্ট সন্দেহজনক" এবং অবিশ্বস্ত বলে মনে করেন, যার ফলে তার
আবেদনটি খারিজ হয়ে যায়। ভ্রমণ ইতিহাস ও অসংগতি সূত্রের খবর অনুযায়ী, কৃষ্ণ নন্দী এর আগে ২০১৩ সালের আগস্ট থেকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত অন্তত ২০ বার ভারত সফর করেছেন। তার পাসপোর্টে তুরস্ক এবং থাইল্যান্ড ভ্রমণের কথাও উল্লেখ রয়েছে। সর্বশেষ তিনি ২০২৩ সালের ১৮ জুন ভারতীয় ভিসা (নম্বর VL5794800) পেয়েছিলেন। তবে এবারের আবেদনে তার জন্মতারিখ নিয়ে বড় ধরনের বিভ্রান্তি দেখা গেছে। তার ফেসবুক প্রোফাইলে জন্ম তারিখ ৩০ ডিসেম্বর ১৯৭১ উল্লেখ থাকলেও, ভিসা আবেদনে তিনি জন্ম সাল হিসেবে ৩০ ডিসেম্বর ১৯৭৬ উল্লেখ করেছেন। খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার চুকনগরের বাসিন্দা কৃষ্ণ নন্দী মেসার্স নন্দী ট্রেডিং কর্পোরেশনের স্বত্বাধিকারী। স্থানীয় সূত্রের বরাতে জানা গেছে, সিমেন্ট ও অন্যান্য পণ্যের ব্যবসার পাশাপাশি
তিনি চড়া সুদে ঋণ প্রদানের (মহাজনী কারবার) সাথে যুক্ত। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি বিবাহিত এবং দুই পুত্র সন্তানের জনক। তার বর্তমান পাসপোর্টটি (নম্বর A13340533) ২০২৪ সালের ১৬ জানুয়ারি ইস্যু করা হয়েছে, যার মেয়াদ ২০২৯ সাল পর্যন্ত। এর আগে তিনি ২০১৯ সালে ইস্যু করা আরেকটি পাসপোর্ট ব্যবহার করতেন। সদ্য বাতিল হওয়া ভিসা আবেদনে নন্দী চিকিৎসার জন্য কলকাতার মুকুন্দপুরের ‘মনিপাল হাসপাতাল’-এর কথা উল্লেখ করেছিলেন। সেখানে থাকাকালীন ঠিকানা বা রেফারেন্স হিসেবে তিনি মুকুন্দপুরের বারোখোলা লেনের বাসিন্দা চিত্রা নন্দীর নাম ব্যবহার করেন। এর আগে ২০২৩ সালে টুরিস্ট ভিসায় যাওয়ার সময় তিনি উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙার পিন্টু চক্রবর্তী নামক এক ব্যক্তির বাড়িতে অবস্থান করেছিলেন বলে জানিয়েছিলেন। এছাড়া, ছবিসহ প্রমাণ
রয়েছে যে গতবার কলকাতা সফরের সময় তিনি নিউ টাউন এলাকায় এক ব্যক্তির আতিথেয়তা গ্রহণ করেছিলেন, যিনি আগে বাংলাদেশি নাগরিক ছিলেন এবং বর্তমানে ভারতীয় নাগরিকত্ব পেয়েছেন। জামায়াতে ইসলামীর মতো দলের একজন প্রার্থীর ঘন ঘন ভারত সফর এবং এবারের ভিসা আবেদনে তথ্যের গরমিল গোয়েন্দা ও কূটনৈতিক মহলে নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
আবেদনটি খারিজ হয়ে যায়। ভ্রমণ ইতিহাস ও অসংগতি সূত্রের খবর অনুযায়ী, কৃষ্ণ নন্দী এর আগে ২০১৩ সালের আগস্ট থেকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত অন্তত ২০ বার ভারত সফর করেছেন। তার পাসপোর্টে তুরস্ক এবং থাইল্যান্ড ভ্রমণের কথাও উল্লেখ রয়েছে। সর্বশেষ তিনি ২০২৩ সালের ১৮ জুন ভারতীয় ভিসা (নম্বর VL5794800) পেয়েছিলেন। তবে এবারের আবেদনে তার জন্মতারিখ নিয়ে বড় ধরনের বিভ্রান্তি দেখা গেছে। তার ফেসবুক প্রোফাইলে জন্ম তারিখ ৩০ ডিসেম্বর ১৯৭১ উল্লেখ থাকলেও, ভিসা আবেদনে তিনি জন্ম সাল হিসেবে ৩০ ডিসেম্বর ১৯৭৬ উল্লেখ করেছেন। খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার চুকনগরের বাসিন্দা কৃষ্ণ নন্দী মেসার্স নন্দী ট্রেডিং কর্পোরেশনের স্বত্বাধিকারী। স্থানীয় সূত্রের বরাতে জানা গেছে, সিমেন্ট ও অন্যান্য পণ্যের ব্যবসার পাশাপাশি
তিনি চড়া সুদে ঋণ প্রদানের (মহাজনী কারবার) সাথে যুক্ত। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি বিবাহিত এবং দুই পুত্র সন্তানের জনক। তার বর্তমান পাসপোর্টটি (নম্বর A13340533) ২০২৪ সালের ১৬ জানুয়ারি ইস্যু করা হয়েছে, যার মেয়াদ ২০২৯ সাল পর্যন্ত। এর আগে তিনি ২০১৯ সালে ইস্যু করা আরেকটি পাসপোর্ট ব্যবহার করতেন। সদ্য বাতিল হওয়া ভিসা আবেদনে নন্দী চিকিৎসার জন্য কলকাতার মুকুন্দপুরের ‘মনিপাল হাসপাতাল’-এর কথা উল্লেখ করেছিলেন। সেখানে থাকাকালীন ঠিকানা বা রেফারেন্স হিসেবে তিনি মুকুন্দপুরের বারোখোলা লেনের বাসিন্দা চিত্রা নন্দীর নাম ব্যবহার করেন। এর আগে ২০২৩ সালে টুরিস্ট ভিসায় যাওয়ার সময় তিনি উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙার পিন্টু চক্রবর্তী নামক এক ব্যক্তির বাড়িতে অবস্থান করেছিলেন বলে জানিয়েছিলেন। এছাড়া, ছবিসহ প্রমাণ
রয়েছে যে গতবার কলকাতা সফরের সময় তিনি নিউ টাউন এলাকায় এক ব্যক্তির আতিথেয়তা গ্রহণ করেছিলেন, যিনি আগে বাংলাদেশি নাগরিক ছিলেন এবং বর্তমানে ভারতীয় নাগরিকত্ব পেয়েছেন। জামায়াতে ইসলামীর মতো দলের একজন প্রার্থীর ঘন ঘন ভারত সফর এবং এবারের ভিসা আবেদনে তথ্যের গরমিল গোয়েন্দা ও কূটনৈতিক মহলে নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।



