ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
ট্রাম্পের নতুন শুল্কনীতির ধাক্কা: যুক্তরাষ্ট্রে উল্লেখযোগ্য হারে কমছে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি
যুক্তরাষ্ট্রে ট্রাম্প প্রশাসনের আরোপিত নতুন ‘রেসিপ্রোকাল ট্যারিফ’ কার্যকর হওয়ার পর বাংলাদেশি তৈরি পোশাকের (আরএমজি) রপ্তানিতে দৃশ্যমান ধস নেমেছে। আগস্ট থেকে অক্টোবর—এ তিন মাসে মার্কিনবাজারে বাংলাদেশের আরএমজি রপ্তানি কমেছে প্রায় ৩ শতাংশ।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সাম্প্রতিক তথ্য বলছে, চলতি অর্থবছরের (২০২৫–২৬) আগস্ট–অক্টোবর মেয়াদে রপ্তানি হয়েছে ১.৭৯ বিলিয়ন ডলার—যা আগের বছরের একই সময়ে ৫৩ মিলিয়ন ডলার কম।
বিজিএমইএর সহ-সভাপতি মো. শাহাবুদ্দিন চৌধুরী এই পতনের দায় স্পষ্টভাবে নতুন শুল্কের ওপর চাপাচ্ছেন।
তার ভাষায়, “২০ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক বাজারকে সংকুচিত করে ফেলেছে।”
তিনি সতর্ক করেন, যুক্তরাষ্ট্রে ভোক্তা চাহিদা দুর্বল হওয়ায় সামনের মাসগুলোতেও রপ্তানির ওপর চাপ বাড়তে পারে। মার্কিন বাজার পরিদর্শন শেষে তিনি জানান—বিক্রয়কেন্দ্রগুলোতে ক্রেতার উপস্থিতি কম, আর
বিক্রির গতি স্পষ্টভাবে মন্থর। তবে জুলাই–অক্টোবর মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের মোট রপ্তানি সামান্য বেড়ে ২.৫৯ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে—যা আগের বছরের তুলনায় ৫.১৪% বেশি। কিন্তু এই প্রবৃদ্ধি প্রকৃত অবস্থাকে আড়াল করছে, কারণ এটি মূলত জুলাইয়ের অস্বাভাবিক ১৯% রপ্তানি উল্লম্ফনের ফল। শিল্প সংশ্লিষ্টদের মতে, শুল্ক কার্যকর হওয়ার আগে ক্রেতাদের অগ্রিম অর্ডার দেওয়া—এই সাময়িক স্ফীতির প্রধান কারণ। শুল্ক-পরবর্তী বাস্তব প্রবণতা আগস্ট থেকেই দৃশ্যমান। বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন— “আগস্টের পরের তিন মাসের দুর্বল প্রবৃদ্ধি মার্কিন বাজারের অন্তর্নিহিত দুর্বলতা ও নীতিগত অনিশ্চয়তার প্রতিফলন।” তিনি সতর্ক করে দেন যে আগামী কয়েকটি প্রান্তিক বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে যাচ্ছে। বাংলাদেশি রপ্তানিকারকদের সামনে এখন তিনটি প্রধান চ্যালেঞ্জ স্পষ্ট বলে জানিয়েছেন
সংশ্লিষ্টরা। সেগুলো হলো- উচ্চশুল্কের বাজারে নতুনভাবে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা; চাহিদা সংকোচনের ঝুঁকি মোকাবিলা এবং বাজার বৈচিত্র্যকরণ ও মূল্য সংযোজন বাড়ানো। শিল্প বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন—শক্তিশালী বাণিজ্য কূটনীতি ও উচ্চমূল্য সংযোজন ছাড়া বাংলাদেশের জন্য পরিস্থিতি সামাল দেওয়া কঠিন হবে। ট্রাম্প প্রশাসন শুধু বাংলাদেশের পণ্যের ওপর নয়—চীন, ভারত, পাকিস্তান, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়াসহ শীর্ষ রপ্তানিকারক দেশগুলোর ওপরও একই ধরনের বা আরও বেশি হারে শুল্ক আরোপ করেছে। এ অবস্থায় বাংলাদেশের প্রত্যাশা ছিল—চীন ও ভারতে উচ্চশুল্ক আরোপের কারণে মার্কিন ক্রেতারা সরে এসে বাংলাদেশে আরও বেশি অর্ডার দেবে। কিন্তু বাস্তবে তার কোনো প্রমাণ এখনো পাওয়া যায়নি। পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে কারণ মার্কিন ওটিইএক্সএ (OTEXA) গত জুলাইয়ের পর আমদানি-সংক্রান্ত ডেটা প্রকাশ বন্ধ
রেখেছে—ফলে অন্য দেশগুলোর রপ্তানির প্রকৃত চিত্র অস্পষ্ট।
বিক্রির গতি স্পষ্টভাবে মন্থর। তবে জুলাই–অক্টোবর মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের মোট রপ্তানি সামান্য বেড়ে ২.৫৯ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে—যা আগের বছরের তুলনায় ৫.১৪% বেশি। কিন্তু এই প্রবৃদ্ধি প্রকৃত অবস্থাকে আড়াল করছে, কারণ এটি মূলত জুলাইয়ের অস্বাভাবিক ১৯% রপ্তানি উল্লম্ফনের ফল। শিল্প সংশ্লিষ্টদের মতে, শুল্ক কার্যকর হওয়ার আগে ক্রেতাদের অগ্রিম অর্ডার দেওয়া—এই সাময়িক স্ফীতির প্রধান কারণ। শুল্ক-পরবর্তী বাস্তব প্রবণতা আগস্ট থেকেই দৃশ্যমান। বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন— “আগস্টের পরের তিন মাসের দুর্বল প্রবৃদ্ধি মার্কিন বাজারের অন্তর্নিহিত দুর্বলতা ও নীতিগত অনিশ্চয়তার প্রতিফলন।” তিনি সতর্ক করে দেন যে আগামী কয়েকটি প্রান্তিক বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে যাচ্ছে। বাংলাদেশি রপ্তানিকারকদের সামনে এখন তিনটি প্রধান চ্যালেঞ্জ স্পষ্ট বলে জানিয়েছেন
সংশ্লিষ্টরা। সেগুলো হলো- উচ্চশুল্কের বাজারে নতুনভাবে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা; চাহিদা সংকোচনের ঝুঁকি মোকাবিলা এবং বাজার বৈচিত্র্যকরণ ও মূল্য সংযোজন বাড়ানো। শিল্প বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন—শক্তিশালী বাণিজ্য কূটনীতি ও উচ্চমূল্য সংযোজন ছাড়া বাংলাদেশের জন্য পরিস্থিতি সামাল দেওয়া কঠিন হবে। ট্রাম্প প্রশাসন শুধু বাংলাদেশের পণ্যের ওপর নয়—চীন, ভারত, পাকিস্তান, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়াসহ শীর্ষ রপ্তানিকারক দেশগুলোর ওপরও একই ধরনের বা আরও বেশি হারে শুল্ক আরোপ করেছে। এ অবস্থায় বাংলাদেশের প্রত্যাশা ছিল—চীন ও ভারতে উচ্চশুল্ক আরোপের কারণে মার্কিন ক্রেতারা সরে এসে বাংলাদেশে আরও বেশি অর্ডার দেবে। কিন্তু বাস্তবে তার কোনো প্রমাণ এখনো পাওয়া যায়নি। পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে কারণ মার্কিন ওটিইএক্সএ (OTEXA) গত জুলাইয়ের পর আমদানি-সংক্রান্ত ডেটা প্রকাশ বন্ধ
রেখেছে—ফলে অন্য দেশগুলোর রপ্তানির প্রকৃত চিত্র অস্পষ্ট।



