ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
পেঁয়াজের দাম দ্বিগুণ, ইউনুস সরকার নিখোঁজ
স্বর্ণের দামে বড় লাফ, রোববার থেকে কার্যকর
৪০ টাকার পেঁয়াজ ১৫০ টাকায় বিক্রি!
বৈশ্বিকভাবে নেতিবাচক পরিস্থিতিতে ব্যাংক খাত
বিশ্ববাজারে ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম, নতুন রেকর্ড রুপায়
১০ মণ ওজনের শাপলাপাতা মাছ, ১ লাখ ৩১ হাজারে বিক্রি
স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ, শুক্রবার থেকে কার্যকর
সঞ্চয়পত্রের সুদহার কমছে জানুয়ারি থেকে, উদ্বেগ মধ্যবিত্ত ও অবসরপ্রাপ্তদের
সরকার সঞ্চয়পত্রের সুদহার কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, নতুন হার আগামী জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে। এই সিদ্ধান্তে মধ্যবিত্ত ও নির্দিষ্ট আয়ের মানুষদের ওপর প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।
বর্তমানে সঞ্চয়পত্রের সর্বোচ্চ সুদহার ১১.৯৮ শতাংশ। নতুন প্রস্তাব অনুযায়ী এটি প্রায় ১০ শতাংশে নামিয়ে আনা হতে পারে। সরকারের ব্যাখ্যা, উচ্চ সুদের কারণে ঋণের বোঝা বাড়ছে, যা রাজস্ব ব্যবস্থাপনায় চাপ সৃষ্টি করছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরে সঞ্চয়পত্রে নিট ঘাটতি হয়েছে ছয় হাজার কোটি টাকারও বেশি। অর্থাৎ, মানুষ নতুন করে বিনিয়োগের চেয়ে পুরনো সঞ্চয়পত্র ভাঙাচ্ছে বেশি। বিশ্লেষকদের মতে, এই প্রবণতা সরকারের কাছে সতর্ক সংকেত হতে পারে।
বিআইবিএমের সাবেক মহাপরিচালক
ড. তৌফিক আহমেদ চৌধুরী বলেন, “সঞ্চয়পত্র বিক্রি কমছে, আবার সুদহারও কমানো হচ্ছে — এটা অর্থনীতির স্বাভাবিক যুক্তির বাইরে। এতে সাধারণ মানুষের আগ্রহ আরও কমে যেতে পারে।” অর্থনীতিবিদ ড. মুস্তাফা কে মুজেরী মনে করেন, “মধ্যবিত্ত ও অবসরপ্রাপ্তদের জন্য সঞ্চয়পত্র একটি নিরাপদ ভরসা। সুদহার কমে গেলে তাদের মাসিক আয় উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যেতে পারে, বিশেষ করে যারা অন্য কোনো আয়ের উৎস রাখেন না।” নতুন নিয়ম অনুযায়ী, কম পরিমাণ বিনিয়োগে তুলনামূলক বেশি সুদ এবং বড় অঙ্কের বিনিয়োগে অপেক্ষাকৃত কম সুদ দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। পাশাপাশি উৎসে করের হারও সামান্য বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা চলছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরকারের লক্ষ্য রাজস্ব ব্যয় নিয়ন্ত্রণ ও ঋণ খরচ কমানো হলেও, এর প্রভাব
পড়তে পারে সঞ্চয় প্রবণতা এবং আর্থিক নিরাপত্তা-ধারণার ওপর। অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা আবদুল হামিদ বলেন, “আমরা অনেকেই ভেবেছিলাম সঞ্চয়পত্রের সুদেই সংসার চালাবো। এখন যদি আয় কমে যায়, সেটা সামলানো কঠিন হবে।” অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন, সরকারের উচিত হবে একদিকে ঋণ খরচ নিয়ন্ত্রণের পদক্ষেপ নেওয়া, অন্যদিকে জনগণের সঞ্চয় ও আস্থার পরিবেশ বজায় রাখার দিকেও সমান মনোযোগ দেওয়া।
ড. তৌফিক আহমেদ চৌধুরী বলেন, “সঞ্চয়পত্র বিক্রি কমছে, আবার সুদহারও কমানো হচ্ছে — এটা অর্থনীতির স্বাভাবিক যুক্তির বাইরে। এতে সাধারণ মানুষের আগ্রহ আরও কমে যেতে পারে।” অর্থনীতিবিদ ড. মুস্তাফা কে মুজেরী মনে করেন, “মধ্যবিত্ত ও অবসরপ্রাপ্তদের জন্য সঞ্চয়পত্র একটি নিরাপদ ভরসা। সুদহার কমে গেলে তাদের মাসিক আয় উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যেতে পারে, বিশেষ করে যারা অন্য কোনো আয়ের উৎস রাখেন না।” নতুন নিয়ম অনুযায়ী, কম পরিমাণ বিনিয়োগে তুলনামূলক বেশি সুদ এবং বড় অঙ্কের বিনিয়োগে অপেক্ষাকৃত কম সুদ দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। পাশাপাশি উৎসে করের হারও সামান্য বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা চলছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরকারের লক্ষ্য রাজস্ব ব্যয় নিয়ন্ত্রণ ও ঋণ খরচ কমানো হলেও, এর প্রভাব
পড়তে পারে সঞ্চয় প্রবণতা এবং আর্থিক নিরাপত্তা-ধারণার ওপর। অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা আবদুল হামিদ বলেন, “আমরা অনেকেই ভেবেছিলাম সঞ্চয়পত্রের সুদেই সংসার চালাবো। এখন যদি আয় কমে যায়, সেটা সামলানো কঠিন হবে।” অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন, সরকারের উচিত হবে একদিকে ঋণ খরচ নিয়ন্ত্রণের পদক্ষেপ নেওয়া, অন্যদিকে জনগণের সঞ্চয় ও আস্থার পরিবেশ বজায় রাখার দিকেও সমান মনোযোগ দেওয়া।



