চাঁদাবাজির অভিযোগ অস্বীকার করে যা বললেন আসামিরা – ইউ এস বাংলা নিউজ




চাঁদাবাজির অভিযোগ অস্বীকার করে যা বললেন আসামিরা

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ২৮ জুলাই, ২০২৫ | ৯:২৪ 32 ভিউ
রাজধানীর গুলশানে সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের বাসায় গিয়ে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে গ্রেপ্তার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন এবং গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের এক নেতার ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আদালতে আসামিরা বলেন, ‘আমরা কোনো চাঁদা চাইনি, পুলিশকে আমরাই কল দিয়েছিলাম।’ আজ রোববার (২৭ জুলাই) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমানের আদালতে বিচারিক কার্যক্রম শুরুর আগে এক আইনজীবীর প্রশ্নের জবাবে তারা এ কথা জানান। আসামিরা হলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঢাকা মহানগরের আহ্বায়ক ইব্রাহিম হোসেন মুন্না, সদস্য মো. সাকাদাউন সিয়াম ও সাদাব, গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদ। আজ রবিবার বিকেল ৪টা ১০ মিনিটের দিকে হায়েস গাড়িতে করে আসামিদের আদালতে হাজির

করে পুলিশ। পুলিশি প্রহরায় চতুর্থ তলার তিন নম্বর কোর্টে আসামিদের উঠিয়ে কাঠগড়ায় রাখা হয়। আদালতে উঠানোর সময় উৎসুক জনতা তাদের চাঁদাবাজ, চাঁদাবাজ বলে স্লোগান দেয়। কাঠগড়ায় থাকা অবস্থায় রাষ্ট্রপক্ষের এক আইনজীবী আসামিদের কাছে জানতে চান, তোমরা কেন চাঁদাবাজি করতে গেলে? তখন তারা বলেন, ‘আমরা কোনো চাঁদা চাইনি, পুলিশকে আমরাই কল দিয়েছিলাম। আমরা বাসার নিচে অবস্থান করছিলাম। পুলিশ ফোর্সসহ এসে আমাদের ধরে এনেছে।’ পরে বিচারক এজলাসে উঠার পর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার পরিদর্শক মোখলেসুর রহমান ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর শামসুদ্দোহা সুমন বলেন, তারা কোনো সাধারণ আসামি না। ৫ আগস্টের পর থেকে এ চক্র ধানমণ্ডি, গুলশান এলাকায় আওয়ামী লীগের

বাসা খুঁজে খুঁজে চাঁদাবাজি করে। চাঁদাবাজি করে তারা ফেসবুকেও উল্লাস করে। তারা তারেক রহমানের নামেও বিষোদগার করে। তারা যে বাসায় হানা দিয়েছে, সেটা আওয়ামী লীগের নেত্রীর বাসা। তিনি পালিয়ে আছেন। এর পরও তার বাসায় গিয়ে চাঁদার দাবি করে। শেখ হাসিনার পলায়নের পর এনসিপির নামে তারা চাঁদাবাজি করে। জুলাই আন্দোলনে যারা রক্ত দিয়েছে, আহত হয়েছে, তাদের রক্তের সঙ্গে তারা বেঈমানি করেছে। পরে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে কারা কারা জড়িত, আর কোথায় কোথায় তারা চাঁদাবাজি করেছে? সেটা জানা দরকার। সে জন্য তাদের ১০ দিনের রিমান্ড চাই। আসামিপক্ষের আইনজীবী বলেন, ‘আমি বেশি কিছু বলব না। শুধু একটা কথাই জানাতে চাই, তারা ওখানে যাওয়ার আগে

থানায় ফোন দিয়েছিল কি না? এ বিষয়টা আদালতকে দেখার অনুরোধ করছি। পরে বিচারক প্রত্যেকের ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।’

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
জুলাইয়ের ২৬ দিনে এক টাকাও রেমিট্যান্স আসেনি যে ৯ ব্যাংকে শর্তহীন যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া লালমনিরহাটে দুই ট্রেনের সংঘর্ষ ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধে ১২০ দেশকে পাশে পেয়েছিল ইরান খামেনিকে হত্যার হুমকি ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রীর ব্যাংককে পাঁচজনকে গুলি করে হামলাকারীর আত্মহত্যা ওয়েবসাইটে জাল নথি তুলে ৬৭ কোটির কর ফাঁকি ভয়ের দেয়ালে আটকে গেছে শৈশব চলতি সপ্তাহে ‘নির্বাচনের তারিখ’ রাজনীতিতে মিশ্র প্রতিক্রিয়া এনসিপিতে কোনো পদ নেই, তবুও পদত্যাগের ঘোষণা নিলা ইসরাফিলের নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও চীনে হুয়াওয়ের উত্থান সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন নির্ধারণে ২২ সদস্যের কমিশন গঠন দেশে বিরাজমান পরিস্থিতিতে রাজধানীর গুলশানে ছাত্র সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে একটি সংঘবদ্ধ দলের বিরুদ্ধে। গুলশানে সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের বাসায় চাঁদাবাজির ঘটনায় মামলায় পাঁচজনকে আদালতে পাঠিয়ে পুলিশ প্রতিবেদনে এ কথা বলেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঢাকা মহানগর শাখার আহ্বায়ক (বহিষ্কৃত) ইব্রাহীম হোসেন মুন্না, সদস্য মো. সাকাদাউন সিয়াম, সাদমান সাদাব, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের আহ্বায়ক সদস্য (বহিষ্কৃত) আব্দুর রাজ্জাক বিন সুলাইমান (রিয়াদ) ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বাড্ডা থানা শাখার সদস্য (বহিষ্কৃত) ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরকে আদালতে পাঠানো হয়। তাদের মধ্যে প্রথম চারজনের ১০ দিন করে রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় অপরজনকে আটক রাখার আবেদন করা হয় পৃথক আবেদনে। দুটি আবেদনেই তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, উল্লেখিত আসামিসহ তাঁদের একটি সংঘবদ্ধ দল দীর্ঘদিন ধরে গুলশান এলাকায় বিভিন্ন বাসায় গ্রেপ্তারের ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে চাঁদা আদায় করে আসছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে। তদন্ত কর্মকর্তা আবেদনে আরও উল্লেখ করেন, এই সংঘবদ্ধ দলের সদস্যরা দেশে বিরাজমান পরিস্থিতিতে ছাত্র সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদা আদায় করে। তারা আরও কিছু মানুষের কাছ থেকে চাঁদা নিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসব অভিযোগ তদন্ত করতে এবং এই সংঘবদ্ধ দলের সঙ্গে আর কারা জড়িত তা জানার জন্য চারজনকে রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেন তদন্ত কর্মকর্তা। তিনি আবেদনে লেখেন, মামলার এজাহারে দেখা যায়, গ্রেপ্তারকৃতরা ইতিমধ্যে মামলার বাদীর কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা নিয়েছেন। ওই টাকা উদ্ধারের জন্যও রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন। ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াদুর রহমান চারজনকে ৭ দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দেন। ‘গুলশানে সমন্বয়ক পরিচয়ে দীর্ঘদিন ধরে চাঁদাবাজি করছে একটি গ্রুপ’ চিত্রনায়ক জসীমের ছেলে কণ্ঠশিল্পী রাতুল আর নেই সারাদেশে ইসির ৭১ কর্মকর্তা বদলি ভারতের সবচেয়ে বড় আইটি কোম্পানির কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণা হামাসকে নির্মূল করে পূর্ণ বিজয় অর্জনে ইসরায়েল দৃঢ়প্রতিজ্ঞ: নেতানিয়াহু চাঁদাবাজির অভিযোগ অস্বীকার করে যা বললেন আসামিরা গ্রিসজুড়ে ভয়াবহ দাবানল