
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

দেশে বিরাজমান পরিস্থিতিতে রাজধানীর গুলশানে ছাত্র সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে একটি সংঘবদ্ধ দলের বিরুদ্ধে। গুলশানে সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের বাসায় চাঁদাবাজির ঘটনায় মামলায় পাঁচজনকে আদালতে পাঠিয়ে পুলিশ প্রতিবেদনে এ কথা বলেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঢাকা মহানগর শাখার আহ্বায়ক (বহিষ্কৃত) ইব্রাহীম হোসেন মুন্না, সদস্য মো. সাকাদাউন সিয়াম, সাদমান সাদাব, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের আহ্বায়ক সদস্য (বহিষ্কৃত) আব্দুর রাজ্জাক বিন সুলাইমান (রিয়াদ) ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বাড্ডা থানা শাখার সদস্য (বহিষ্কৃত) ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরকে আদালতে পাঠানো হয়। তাদের মধ্যে প্রথম চারজনের ১০ দিন করে রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় অপরজনকে আটক রাখার আবেদন করা হয় পৃথক আবেদনে। দুটি আবেদনেই তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, উল্লেখিত আসামিসহ তাঁদের একটি সংঘবদ্ধ দল দীর্ঘদিন ধরে গুলশান এলাকায় বিভিন্ন বাসায় গ্রেপ্তারের ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে চাঁদা আদায় করে আসছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে। তদন্ত কর্মকর্তা আবেদনে আরও উল্লেখ করেন, এই সংঘবদ্ধ দলের সদস্যরা দেশে বিরাজমান পরিস্থিতিতে ছাত্র সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদা আদায় করে। তারা আরও কিছু মানুষের কাছ থেকে চাঁদা নিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসব অভিযোগ তদন্ত করতে এবং এই সংঘবদ্ধ দলের সঙ্গে আর কারা জড়িত তা জানার জন্য চারজনকে রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেন তদন্ত কর্মকর্তা। তিনি আবেদনে লেখেন, মামলার এজাহারে দেখা যায়, গ্রেপ্তারকৃতরা ইতিমধ্যে মামলার বাদীর কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা নিয়েছেন। ওই টাকা উদ্ধারের জন্যও রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন। ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াদুর রহমান চারজনকে ৭ দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দেন।

ভারতের সবচেয়ে বড় আইটি কোম্পানির কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণা

হামাসকে নির্মূল করে পূর্ণ বিজয় অর্জনে ইসরায়েল দৃঢ়প্রতিজ্ঞ: নেতানিয়াহু

গ্রিসজুড়ে ভয়াবহ দাবানল

ভারতীয় প্রভাবমুক্ত নির্বাচন চায় জাগপা

গাজায় প্যারাসুটের মাধ্যমে ২৫ টন খাদ্যপণ্য ফেলল আমিরাত ও জর্ডান

শতভাগ কার্যকর এইচআইভি ওষুধের অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র
তাইওয়ানে চীনপন্থী রাজনীতিবিদদের সরানোর প্রচেষ্টা ব্যর্থ, সবাই আসনে বহাল

তাইওয়ানে চীনঘেঁষা বলে অভিযুক্ত রাজনীতিবিদদের সরিয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যে অনুষ্ঠিত এক নজিরবিহীন গণভোটে সবাই তাঁদের আসন টিকিয়ে রাখতে সক্ষম হয়েছেন। শনিবার অনুষ্ঠিত এই ভোটে প্রাথমিক ফলাফল অনুযায়ী, কোন কুয়োমিনতাং (কেএমটি) সংসদ সদস্যকেই অপসারণ করা সম্ভব হয়নি।
এই উদ্যোগকে তাইওয়ানে ‘ডাবামিয়ান’ বা ‘মহা প্রত্যাহার’ হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়েছে। এটি মূলত একটি নাগরিক আন্দোলনের মাধ্যমে শুরু হয়, যার লক্ষ্য ছিল এমন রাজনীতিবিদদের অপসারণ করা যাঁরা চীনের প্রতি অতিমাত্রায় সহানুভূতিশীল বলে অভিযোগ ছিল।
২৪টি নির্বাচনী এলাকায়, যেগুলোর সবই কেএমটির দখলে, ভোটাররা হ্যাঁ বা না—এই দুই বিকল্পের মধ্যে একটি বেছে নেওয়ার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত জানান যে তাঁরা তাঁদের সাংসদকে সরাতে চান কি না। প্রতিটি এলাকায় সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটার ‘না’
ভোট দেওয়ায় কোনো সাংসদই অপসারিত হননি। এই ভোটের ফলাফল তাইওয়ানের রাজনৈতিক ভারসাম্যে বড় পরিবর্তন আনতে পারত, যেখানে ডেমোক্র্যাটিক প্রোগ্রেসিভ পার্টি (ডিপিপি) সরকার এবং কেএমটি ও তার মিত্রদের নিয়ন্ত্রিত সংসদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে অচলাবস্থা চলছিল। তবে এই ফলাফলে বিরোধী দল তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রাখতে পেরেছে। আগস্ট মাসে আরও সাতটি আসনে দ্বিতীয় ধাপের ‘প্রত্যাহার ভোট’ হওয়ার কথা রয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই উদ্যোগ ব্যর্থ হওয়ায় তাইওয়ানের রাজনৈতিক মেরুকরণ আরও গভীর হতে পারে এবং বিরোধীদলীয় রাজনীতিবিদরা জনগণের একটি বড় অংশের বিরোধিতা সত্ত্বেও নিজেদের ইচ্ছেমতো পদক্ষেপ নিতে আরও উৎসাহিত হতে পারেন। মহা প্রত্যাহার আন্দোলন তাইওয়ানে তীব্র মতবিরোধ তৈরি করেছে। ডিপিপি সমর্থিত ব্লুবার্ড আন্দোলনের কর্মীরা কেএমটি-র বিরুদ্ধে চীনের প্রভাব বিস্তারের
অভিযোগ এনেছে। তারা দাবি করেছে, কেএমটি সাংসদরা মূলত বেইজিংয়ের এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করছেন। এই প্রেক্ষাপটে, নাগরিক গোষ্ঠীগুলি ৩১ জন কেএমটি আইনপ্রণেতার বিরুদ্ধে স্বাক্ষর সংগ্রহ করে গণভোটের পর্যায়ে নিয়ে যায়। যদিও কেএমটি পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে কিছু ডিপিপি সদস্যের বিরুদ্ধেও একই ধরনের প্রচেষ্টা চালিয়েছিল, কিন্তু সেই প্রচেষ্টা গণভোট পর্যন্ত পৌঁছায়নি। ভোটার উপস্থিতি এই ভোটে সফলতা নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ছিল, কারণ প্রত্যাহার কার্যকর হতে হলে অন্তত নিবন্ধিত ভোটারের ২৫ শতাংশের অংশগ্রহণ এবং এর মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠের অনুমোদন প্রয়োজন। সামাজিক মাধ্যমে এবং সড়কে প্রচারণা চালিয়ে ‘প্রত্যাহারপন্থী’ গোষ্ঠীগুলি জনমত গঠনের চেষ্টা করে, অন্যদিকে কেএমটি ও তার মিত্ররা ভোটারদের ‘না’ ভোট দেওয়ার আহ্বান জানায়। কেএমটির দাবি, এই পুরো আন্দোলনের পেছনে ডিপিপির
ষড়যন্ত্র রয়েছে। প্রথমে ডিপিপি মহা প্রত্যাহার থেকে দূরত্ব বজায় রাখলেও পরে তারা আন্দোলনকে সমর্থন জানায়। প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম লাই বলেন, “জনগণের শক্তির সঙ্গে আমাদের একত্রিত হতে হবে,” এবং পার্টির কর্মকর্তাদের আন্দোলনকারীদের সহায়তা করার নির্দেশ দেন। এদিকে চীনও এই ঘটনাপ্রবাহে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে। তাদের তাইওয়ান অ্যাফেয়ার্স অফিস প্রেসিডেন্ট লাই-এর বিরুদ্ধে ‘গণতন্ত্রের নামে স্বৈরতন্ত্র’ চালানোর অভিযোগ এনেছে এবং বিরোধীদলকে দমন করতে সব উপায় ব্যবহারের কথা বলেছে। তাইওয়ানের এই অভূতপূর্ব রাজনৈতিক পরিস্থিতি ভবিষ্যতে দ্বীপের গণতন্ত্র ও চীন-সম্পর্ককে কীভাবে প্রভাবিত করবে, তা নিয়ে জোরালো আলোচনা চলছে।
ভোট দেওয়ায় কোনো সাংসদই অপসারিত হননি। এই ভোটের ফলাফল তাইওয়ানের রাজনৈতিক ভারসাম্যে বড় পরিবর্তন আনতে পারত, যেখানে ডেমোক্র্যাটিক প্রোগ্রেসিভ পার্টি (ডিপিপি) সরকার এবং কেএমটি ও তার মিত্রদের নিয়ন্ত্রিত সংসদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে অচলাবস্থা চলছিল। তবে এই ফলাফলে বিরোধী দল তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রাখতে পেরেছে। আগস্ট মাসে আরও সাতটি আসনে দ্বিতীয় ধাপের ‘প্রত্যাহার ভোট’ হওয়ার কথা রয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই উদ্যোগ ব্যর্থ হওয়ায় তাইওয়ানের রাজনৈতিক মেরুকরণ আরও গভীর হতে পারে এবং বিরোধীদলীয় রাজনীতিবিদরা জনগণের একটি বড় অংশের বিরোধিতা সত্ত্বেও নিজেদের ইচ্ছেমতো পদক্ষেপ নিতে আরও উৎসাহিত হতে পারেন। মহা প্রত্যাহার আন্দোলন তাইওয়ানে তীব্র মতবিরোধ তৈরি করেছে। ডিপিপি সমর্থিত ব্লুবার্ড আন্দোলনের কর্মীরা কেএমটি-র বিরুদ্ধে চীনের প্রভাব বিস্তারের
অভিযোগ এনেছে। তারা দাবি করেছে, কেএমটি সাংসদরা মূলত বেইজিংয়ের এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করছেন। এই প্রেক্ষাপটে, নাগরিক গোষ্ঠীগুলি ৩১ জন কেএমটি আইনপ্রণেতার বিরুদ্ধে স্বাক্ষর সংগ্রহ করে গণভোটের পর্যায়ে নিয়ে যায়। যদিও কেএমটি পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে কিছু ডিপিপি সদস্যের বিরুদ্ধেও একই ধরনের প্রচেষ্টা চালিয়েছিল, কিন্তু সেই প্রচেষ্টা গণভোট পর্যন্ত পৌঁছায়নি। ভোটার উপস্থিতি এই ভোটে সফলতা নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ছিল, কারণ প্রত্যাহার কার্যকর হতে হলে অন্তত নিবন্ধিত ভোটারের ২৫ শতাংশের অংশগ্রহণ এবং এর মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠের অনুমোদন প্রয়োজন। সামাজিক মাধ্যমে এবং সড়কে প্রচারণা চালিয়ে ‘প্রত্যাহারপন্থী’ গোষ্ঠীগুলি জনমত গঠনের চেষ্টা করে, অন্যদিকে কেএমটি ও তার মিত্ররা ভোটারদের ‘না’ ভোট দেওয়ার আহ্বান জানায়। কেএমটির দাবি, এই পুরো আন্দোলনের পেছনে ডিপিপির
ষড়যন্ত্র রয়েছে। প্রথমে ডিপিপি মহা প্রত্যাহার থেকে দূরত্ব বজায় রাখলেও পরে তারা আন্দোলনকে সমর্থন জানায়। প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম লাই বলেন, “জনগণের শক্তির সঙ্গে আমাদের একত্রিত হতে হবে,” এবং পার্টির কর্মকর্তাদের আন্দোলনকারীদের সহায়তা করার নির্দেশ দেন। এদিকে চীনও এই ঘটনাপ্রবাহে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে। তাদের তাইওয়ান অ্যাফেয়ার্স অফিস প্রেসিডেন্ট লাই-এর বিরুদ্ধে ‘গণতন্ত্রের নামে স্বৈরতন্ত্র’ চালানোর অভিযোগ এনেছে এবং বিরোধীদলকে দমন করতে সব উপায় ব্যবহারের কথা বলেছে। তাইওয়ানের এই অভূতপূর্ব রাজনৈতিক পরিস্থিতি ভবিষ্যতে দ্বীপের গণতন্ত্র ও চীন-সম্পর্ককে কীভাবে প্রভাবিত করবে, তা নিয়ে জোরালো আলোচনা চলছে।