
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

দুনিয়া কাঁপানো ভাইরাল ভিডিও নিয়ে মুখ খুললেন নির্মাতা

অস্ত্র হস্তান্তর শুরু পিকেকের, এরদোয়ানের সাফল্য

অবৈধ সমুদ্রপথে ইউরোপ প্রবেশে শীর্ষে বাংলাদেশ

লাইবেরিয়ার প্রেসিডেন্ট ‘ভালো ইংরেজি’ জানেন কীভাবে?

মুসলিম একটি দেশে মৃত্যুদণ্ড ২৪৫, যাবজ্জীবন ৯৫৫

রেস্তোরাঁ থেকে ইসরায়েলিদের তাড়িয়ে দিলেন ম্যানেজার

ভারত আসতে রাজি নয়, ২৪ জুলাই ঢাকায় এসিসি সভা হবে তো?
তালেবান নেতাদের বিরুদ্ধে আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানা: নারী-কিশোরী নিপীড়নের অভিযোগ

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) আফগানিস্তানে নারী ও কিশোরীদের উপর নিপীড়নের দায়ে তালেবানের শীর্ষ দুই নেতার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে।
হেগ-ভিত্তিক এই আদালত জানায়, তালেবানের সর্বোচ্চ নেতা হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা এবং প্রধান বিচারপতি আবদুল হাকিম হাক্কানিকে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ সংঘটনের “যথেষ্ট বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ” রয়েছে।
২০২১ সালে আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পর থেকে তালেবান সরকার নারীদের উপর একের পর এক কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে ১২ বছরের বেশি বয়সী মেয়েদের বিদ্যালয়ে যাওয়ার নিষেধাজ্ঞা, নারীদের কর্মসংস্থান নিষিদ্ধকরণ এবং একাকী ভ্রমণের ওপর বিধিনিষেধ।
আইসিসি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “তালেবান সরকার যদিও সাধারণ জনগণের উপর নানা বিধিনিষেধ আরোপ করেছে, তবে নারীদের শুধু তাদের লিঙ্গ পরিচয়ের কারণে মৌলিক অধিকার
ও স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে।” তালেবান প্রশাসন এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানাকে “একটি প্রকাশ্য বৈরিতা” ও “বিশ্বব্যাপী মুসলিমদের বিশ্বাসের প্রতি অবমাননা” বলে দাবি করেছে। জাতিসংঘ পূর্বেই তালেবানের নারীবিরোধী নীতিমালাকে “লিঙ্গভিত্তিক বর্ণবাদের মতো” উল্লেখ করেছে। তালেবানের দাবি, তারা আফগান সংস্কৃতি ও ইসলামি শরিয়াহ অনুযায়ী নারীদের অধিকার সম্মান করে। তবে বাস্তবে নারীদের শিক্ষা, কর্মসংস্থান ও স্বাধীন চলাফেরার অধিকাংশ সুযোগ-সুবিধা তাদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা ২০১৬ সাল থেকে তালেবানের সর্বোচ্চ নেতা। ২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের মিত্র বাহিনী আফগানিস্তান থেকে সরে যাওয়ার পর তিনি তথাকথিত ইসলামি আমিরাতের শীর্ষ পদে আসীন হন। অপরদিকে, আবদুল হাকিম হাক্কানি তালেবান প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা ওমরের ঘনিষ্ঠ ছিলেন এবং ২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে
তালেবানের আলোচনায় তিনি মুখ্য ভূমিকা পালন করেন। মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এই পরোয়ানাকে স্বাগত জানিয়েছে এবং আইসিসিকে আহ্বান জানিয়েছে যেন তারা তালেবানসহ ইসলামিক স্টেট (খোরাসান শাখা), সাবেক আফগান নিরাপত্তা বাহিনী ও মার্কিন বাহিনীর অধীন সংঘটিত অপরাধের ক্ষেত্রেও ন্যায়বিচারের প্রসার ঘটায়। আইসিসির প্রধান প্রসিকিউটর করিম খান জানুয়ারিতে এক বিবৃতিতে প্রথম এই দুই তালেবান নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগের ইঙ্গিত দেন, যেখানে বলা হয় তারা এমন নারীদেরকেও লক্ষ্যবস্তু করেছে, যারা তাদের লিঙ্গ পরিচয় বা অভিব্যক্তিকে তালেবান মতাদর্শ অনুযায়ী উপস্থাপন করেনি। তবে আইসিসির নিজস্ব কোনো পুলিশ বাহিনী নেই। ফলে পরোয়ানা কার্যকর করতে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর উপর নির্ভর করতে হয়। বিশ্ব এখন দেখছে, এই পরোয়ানাগুলোর বাস্তব প্রয়োগ কীভাবে হয় —
আর আফগান নারীদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের পথে এটি কতটা কার্যকর প্রমাণিত হয়।
ও স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে।” তালেবান প্রশাসন এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানাকে “একটি প্রকাশ্য বৈরিতা” ও “বিশ্বব্যাপী মুসলিমদের বিশ্বাসের প্রতি অবমাননা” বলে দাবি করেছে। জাতিসংঘ পূর্বেই তালেবানের নারীবিরোধী নীতিমালাকে “লিঙ্গভিত্তিক বর্ণবাদের মতো” উল্লেখ করেছে। তালেবানের দাবি, তারা আফগান সংস্কৃতি ও ইসলামি শরিয়াহ অনুযায়ী নারীদের অধিকার সম্মান করে। তবে বাস্তবে নারীদের শিক্ষা, কর্মসংস্থান ও স্বাধীন চলাফেরার অধিকাংশ সুযোগ-সুবিধা তাদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা ২০১৬ সাল থেকে তালেবানের সর্বোচ্চ নেতা। ২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের মিত্র বাহিনী আফগানিস্তান থেকে সরে যাওয়ার পর তিনি তথাকথিত ইসলামি আমিরাতের শীর্ষ পদে আসীন হন। অপরদিকে, আবদুল হাকিম হাক্কানি তালেবান প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা ওমরের ঘনিষ্ঠ ছিলেন এবং ২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে
তালেবানের আলোচনায় তিনি মুখ্য ভূমিকা পালন করেন। মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এই পরোয়ানাকে স্বাগত জানিয়েছে এবং আইসিসিকে আহ্বান জানিয়েছে যেন তারা তালেবানসহ ইসলামিক স্টেট (খোরাসান শাখা), সাবেক আফগান নিরাপত্তা বাহিনী ও মার্কিন বাহিনীর অধীন সংঘটিত অপরাধের ক্ষেত্রেও ন্যায়বিচারের প্রসার ঘটায়। আইসিসির প্রধান প্রসিকিউটর করিম খান জানুয়ারিতে এক বিবৃতিতে প্রথম এই দুই তালেবান নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগের ইঙ্গিত দেন, যেখানে বলা হয় তারা এমন নারীদেরকেও লক্ষ্যবস্তু করেছে, যারা তাদের লিঙ্গ পরিচয় বা অভিব্যক্তিকে তালেবান মতাদর্শ অনুযায়ী উপস্থাপন করেনি। তবে আইসিসির নিজস্ব কোনো পুলিশ বাহিনী নেই। ফলে পরোয়ানা কার্যকর করতে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর উপর নির্ভর করতে হয়। বিশ্ব এখন দেখছে, এই পরোয়ানাগুলোর বাস্তব প্রয়োগ কীভাবে হয় —
আর আফগান নারীদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের পথে এটি কতটা কার্যকর প্রমাণিত হয়।