
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
সাইবার নিরাপত্তা আইন ২০২৩ রহিত করে অধ্যাদেশ জারি

বহুল আলোচিত ও সমালোচিত সাইবার নিরাপত্তা আইন ২০২৩ বাতিল করে অন্তর্বর্তী সরকার সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ জারি করেছে। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে আইন, বিচারক ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ বিভাগের সচিব হাফিজ আহমেদ চৌধুরী অধ্যাদেশে স্বাক্ষর করেন, যা আইন মন্ত্রণালয় গতকাল গেজেট আকারে প্রকাশ করেছে।
সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশে আগের আইনের ২১, ২৪, ২৫, ২৬, ২৭, ২৮, ২৯, ৩১ ও ৩৪—অর্থাৎ এ নয়টি ধারা বাদ দেয়া হয়েছে। অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, উল্লিখিত ধারাগুলোয় নিষ্পন্নাধীন কোনো মামলা বা অন্যান্য কার্যধারা ও তদন্ত বাতিল হবে এবং কোনো কার্যক্রম গ্রহণ করা যাবে না। এছাড়া এসব ধারায় আদালত বা ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক প্রদত্ত দণ্ড ও জরিমানা বাতিল হবে।
বাদ পড়া ধারাগুলোয় ছিল
মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় সংগীত বা জাতীয় পতাকা সম্পর্কে বিদ্বেষ, বিভ্রান্তি ও কুৎসামূলক প্রচারণার দণ্ড; পরিচয় প্রতারণা বা ছদ্মবেশ ধারণ; আক্রমণাত্মক, মিথ্যা বা ভীতি প্রদর্শন, তথ্য-উপাত্ত প্রেরণ, প্রকাশ; অনুমতি ব্যতীত পরিচিতি তথ্য সংগ্রহ, ব্যবহার ইত্যাদির দণ্ড; মানহানিকর তথ্য প্রকাশ, প্রচার ইত্যাদি। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সাইবার নিরাপত্তা আইনের বিভিন্ন বিতর্কিত ধারা এবং সেগুলোর অপব্যবহারের কারণে আইনটি বাতিলের দাবি ওঠে। অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় এসে আইনটি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর গত ১ ডিসেম্বর তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের ওয়েবসাইটে নতুন অধ্যাদেশের খসড়া প্রকাশ করে ৪ ডিসেম্বরের মধ্যে মতামত চাওয়া হয়। অন্তর্বর্তী সরকার প্রকাশিত প্রথম খসড়াতেও কিছু ধারা নিয়ে বিতর্ক
তৈরি হয়। সে অবস্থায় গত ২৪ ডিসেম্বর উপদেষ্টা পরিষদ তা অনুমোদন দেয়। সমালোচনার মুখে অন্তর্বর্তী সরকার সেখানে আবারো কিছু সংশোধনী আনে। সর্বশেষ ৬ মে উপদেষ্টা পরিষদ তা আবার অনুমোদন দেয়।
মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় সংগীত বা জাতীয় পতাকা সম্পর্কে বিদ্বেষ, বিভ্রান্তি ও কুৎসামূলক প্রচারণার দণ্ড; পরিচয় প্রতারণা বা ছদ্মবেশ ধারণ; আক্রমণাত্মক, মিথ্যা বা ভীতি প্রদর্শন, তথ্য-উপাত্ত প্রেরণ, প্রকাশ; অনুমতি ব্যতীত পরিচিতি তথ্য সংগ্রহ, ব্যবহার ইত্যাদির দণ্ড; মানহানিকর তথ্য প্রকাশ, প্রচার ইত্যাদি। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সাইবার নিরাপত্তা আইনের বিভিন্ন বিতর্কিত ধারা এবং সেগুলোর অপব্যবহারের কারণে আইনটি বাতিলের দাবি ওঠে। অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় এসে আইনটি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর গত ১ ডিসেম্বর তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের ওয়েবসাইটে নতুন অধ্যাদেশের খসড়া প্রকাশ করে ৪ ডিসেম্বরের মধ্যে মতামত চাওয়া হয়। অন্তর্বর্তী সরকার প্রকাশিত প্রথম খসড়াতেও কিছু ধারা নিয়ে বিতর্ক
তৈরি হয়। সে অবস্থায় গত ২৪ ডিসেম্বর উপদেষ্টা পরিষদ তা অনুমোদন দেয়। সমালোচনার মুখে অন্তর্বর্তী সরকার সেখানে আবারো কিছু সংশোধনী আনে। সর্বশেষ ৬ মে উপদেষ্টা পরিষদ তা আবার অনুমোদন দেয়।