বাঘারপাড়ায় বিদ্যালয় ভবনে রডের বদলে বাঁশের চটা – ইউ এস বাংলা নিউজ




বাঘারপাড়ায় বিদ্যালয় ভবনে রডের বদলে বাঁশের চটা

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ১ মে, ২০২৫ | ৮:৩৫ 8 ভিউ
যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার খলশি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণে রডের বদলে বাঁশের চটা ব্যবহার করা হয়েছে। মঙ্গলবার অভিযান চালিয়ে প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক। এ সময় বাঁশের চটা জব্দ করা হয়েছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর-এলজিইডির বাস্তবায়নাধীন ৯৪ লাখ ৯১ হাজার টাকার প্রকল্পটির ঠিকাদার যশোরের বিশ্বজিৎ কনস্ট্রাকশন। প্রতিষ্ঠানটির মালিক বিশ্বজিৎ কুমার দাসের দাবি, তার লাইসেন্স ব্যবহার করে অন্য লোক দরপত্র দাখিল করেছিল। তার প্রতিষ্ঠানের নামে কার্যাদেশ দেওয়া হলেও কাজ করছে অন্য ঠিকাদার। তবে প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়নকারী ঠিকাদার ইকবাল হোসেন নয়ন দাবি করছেন, তিনি শামসুর রহমান নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে ৬ লাখ টাকায় প্রকল্পটি ক্রয় করেছেন। তাকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ফাঁসানো হচ্ছে। এ বিষয়ে

জানতে চাইলে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় যশোরের উপপরিচালক মো. সালাহউদ্দিন বুধবার বলেন, স্থানীয়দের কাছ থেকে খলশি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণে রড কম দিয়ে বাঁশের চটা ব্যবহারের অভিযোগ পাই। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দুদকের সহকারী পরিচালক মো. আল আমীনের নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি দল নির্মাণাধীন ওই ভবনে অভিযান চালায়। তারা একজন বিশেষজ্ঞকেও নিয়ে গিয়েছিলেন। তারা নির্মাণাধীন ভবনে রডের পরিবর্তে বাঁশের চটা ব্যবহারের প্রাথমিক সত্যতা পান। এছাড়া ভবন নির্মাণে আরও অনিয়ম ধরা পড়েছে। তিনি বলেন, দুদক টিম ও প্রকৌশল বিশেষজ্ঞ টিমের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন পাওয়ার পর দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ঠিকাদারি লাইসেন্স ভাড়া, ৬ লাখ টাকায় প্রকল্প বিক্রি: বিশ্বজিৎ কনস্ট্রাকশনের

মালিক বিশ্বজিৎ কুমার রায় বলেন, আমার লাইসেন্স ব্যবহার করে দরপত্র দাখিল করেছিল ইকবাল হোসেন নয়ন। তিনি কাজটি বাস্তবায়ন করছেন। একজনের লাইসেন্স ব্যবহার করে তো অন্যজন কাজ করে। অনিয়মের বিষয়ে তিনিই ভালো বলতে পারবেন। এ বিষয়ে ইকবাল হোসেন নয়ন বলেন, বিশ্বজিৎ দাদার লাইসেন্স ব্যবহার করে বাঘারপাড়ার শামসুর রহমান দরপত্র দাখিল করেন। কাজটি বিশ্বজিৎ কনস্ট্রাকশন পায়। এরপর শামসুর রহমান কাজটি ৬ লাখ টাকায় বিক্রি করে দেয়। আমি দুই কিস্তিতে টাকা পরিশোধ করেছি। পরবর্তীতে আরও ৩০ হাজার টাকা দাবি করে শামসুর রহমান। অতিরিক্ত টাকা দিতে রাজি ছিলাম না। তারপরও তিন কিস্তিতে ১২ হাজার টাকা দিয়েছি। তিনি আমার ওপর নাখোশ ছিলেন। কারণ তার ভাইয়ের কাছ

থেকে ইট সিমেন্ট কিনি নাই। ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। কাজে কোনো অনিয়ম হয়নি। আমার অনুপস্থিতিতে মিস্ত্রি জানালার কাজে বাঁশের চটা ব্যবহার করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু স্থানীয়দের বাধায় সেটি পারেনি। তবে অভিযুক্ত শামসুর রহমান বলেন, আমি কোনো কাজ নয়নের কাছে বিক্রি করিনি। তিনি সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা বলছেন। এ বিষয়ে বাঘারপাড়া উপজেলা প্রকৌশলী আবু সুফিয়ান এ প্রতিবেদকে প্রকল্পের প্রাথমিক তথ্য দিলেও অনিয়ম সম্পর্কে জানতে চাইলে মিটিংয়ে আছেন বলে ফোন রেখে দেন। পরবর্তীতে একাধিকবার তাকে ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
২০২৬ বিশ্বকাপের সময়সূচি এবং ভেন্যুর নাম প্রকাশ বিএনপি নাকি জামায়াত কোন দিকে ঝুঁকছে ইসলামপন্থি দলগুলো? ইসরাইলে নারকীয় দাবানলের সর্বশেষ খবর বিশ্বের মানবিক করিডোর কোথায় কোথায় আছে, কতটা কার্যকর? শ্রমিক দলের সমাবেশে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়েছেন তারেক রহমান ইউক্রেনে রুশ ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় হতাহত ১৭ ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘মেরে ফেলার জন্য তাদের ওপর গাড়ি উঠিয়ে দিয়েছি’ বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ জনসমুদ্র, বক্তব্য রাখছেন শীর্ষ নেতারা বাঘারপাড়ায় বিদ্যালয় ভবনে রডের বদলে বাঁশের চটা সস্তা শ্রমের তিন খাতই অর্থনীতির মেরুদণ্ড আজ মহান মে দিবস প্রস্তুতিতে পিছিয়ে নেই বিএনপির মিত্ররা এক ডলারে ফেরত আসে ২৫ ডলার গচ্চা যাচ্ছে ৫শ কোটি টাকা সংস্কারের অনেক সুপারিশ এখনই বাস্তবায়নযোগ্য নয় মধ্যরাতে জাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা সহপাঠীদের হাতে খুন হলো খুদে ক্রিকেটার রাহাত প্রতিনিয়ত যুদ্ধের হুমকি, প্রস্তুতি না রাখা আত্মঘাতী কাপ্তাই হ্রদে ৩ মাস মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা