যুক্তরাষ্ট্র থেকে ইউরোপ: ইউক্রেন যুদ্ধ সমাপ্তির ডাক বিশ্বনেতাদের – ইউ এস বাংলা নিউজ




যুক্তরাষ্ট্র থেকে ইউরোপ: ইউক্রেন যুদ্ধ সমাপ্তির ডাক বিশ্বনেতাদের

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ৪ মার্চ, ২০২৫ | ৪:৪০ 25 ভিউ
গত কয়েকদিনের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে একটি তীব্র বাক-বিতণ্ডা এবং ইউরোপীয় নেতাদের একটি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। যেখানে তারা কিয়েভের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। এ অবস্থায় ইউক্রেন জোর দিয়ে বলছে, মস্কো আবার আক্রমণ করলে তা প্রতিরোধের জন্য ইউরোপ এবং মার্কিন মিত্রদের কাছ থেকে শক্তিশালী প্রতিশ্রুতি না পেলে তাদের অস্ত্র ফেলে রাখা সম্ভব নয়। এখন ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণ বন্ধ করার জন্য বিভিন্ন পক্ষের অবস্থান কী, তা নিচে তুলে ধরা হলো- ইউক্রেন ইউক্রেনের অবস্থান স্পষ্ট। তারা অস্ত্র ছাড়তে পারবে না, যদি না তাদের মিত্ররা — ইউরোপ এবং যুক্তরাষ্ট্র — শক্তিশালী নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেয় যে, মস্কো আবার আক্রমণ করলে তারা সহায়তা করবে। রোববার

রাতে লন্ডনে অনুষ্ঠিত ‍শান্তি সম্মেলনে দেওয়া ভাষণে জেলেনস্কি বলছিলেন, ‘প্রধান বিষয় হলো— শান্তি প্রতিষ্ঠা বাস্তবে করতে হলে প্রকৃত নিরাপত্তা নিশ্চয়তা প্রয়োজন’। তিনি যুক্তরাজ্যে সহকর্মীদের সঙ্গে আলোচনার পর সাংবাদিকদের এও বলেন যে, ‘একটি যুদ্ধবিরতি যথেষ্ট নয়’। ইউক্রেনের আশা ছিল, যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে এক ধরনের নিশ্চয়তা পাওয়া যাবে, একটি খনিজ উত্তোলন চুক্তির বিনিময়ে। তবে ট্রাম্পের সঙ্গে বাক-বিতণ্ডার পর সেই আশাটা ভেঙে যায়। তবে কিয়েভ এখনো চুক্তি স্বাক্ষর করতে প্রস্তুত বলে উল্লেখ করেন জেলেনস্কি। ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে নিরাপত্তা নিশ্চয়তার আকার নিয়ে আলোচনা চলছে। তবে জেলেনস্কি বিদেশী শান্তিরক্ষীদের ইউক্রেনে পাঠানোর প্রস্তাব করেছেন। পাশাপাশি সাগর এবং আকাশ প্রতিরক্ষা সহায়তাও চেয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র এদিকে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে

যুদ্ধবিরতি চান। তবে তিনি কোনো নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দিতে অস্বীকার করেছেন এবং ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগ দেওয়াও সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করেছেন। একই সঙ্গে ট্রাম্প ইউক্রেনকে প্রদত্ত সহায়তার অর্থ ফেরত দেওয়ার জন্য চাপও দিয়েছেন। সম্প্রতি একটি খনিজ চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ সুবিধার জন্য ট্রাম্প একটি চুক্তি স্বাক্ষরের প্রস্তাব করেছিলেন। তবে জেলেনস্কির সঙ্গে বিতর্কের পর এটি মূলত আটকে গেছে। হোয়াইট হাউসে ওই বিতর্কের পর দেশটির শীর্ষ কর্মকর্তারা পরামর্শ দিয়েছেন, শান্তি চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য জেলেনস্কি হয়তো পদত্যাগ করতে পারেন। ইউরোপ এদিকে ইউরোপীয় নেতারা রোববার লন্ডনে একটি শীর্ষ সম্মেলনে কিয়েভের প্রতি সমর্থন জানিয়ে বলেছেন, তারা কিয়েভ এবং তাদের নিরাপত্তায় আরও অর্থ ব্যয় করবেন এবং ইউক্রেনের জন্য যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠা করতে যেকোনো মূল্যে একটি জোট

গঠন করবেন। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এবং ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কেইর স্টারমার বলেছেন, তারা ইউক্রেনে এক মাসের যুদ্ধবিরতি নিয়ে কাজ করছেন। যা বিমান, নৌ এবং স্থল-সব দিকের শক্তি অবকাঠামো কার্যকর হবে। স্টারমার ও ম্যাক্রোঁ বলেছেন, যুদ্ধবিরতি বজায় রাখার জন্য ইউরোপের অন্যান্য দেশগুলোর সঙ্গে মিলে ব্রিটিশ ও ফরাসি সেনা ইউক্রেনে পাঠানোর জন্য তারা প্রস্তুত। কয়েকজন নেতা তো ইউরোপকে পুনঃরায় অস্ত্র-সজ্জিত করার পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। তবে ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান আর্সুলা ফন লেয়েন সতর্ক করে বলেছেন, ইউরোপ মহাদেশকে ‘সবচেয়ে দুরবস্থার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে’। রাশিয়া এদিকে রাশিয়া দাবি করেছে, ইউক্রেনকে দোনেৎস্ক, লুহানস্ক, খেরসন এবং জাপোরিঝিয়া— এই চারটি অঞ্চল ছেড়ে দিতে হবে। রুশ বাহিনী এই অঞ্চলগুলো দখলে নেওয়ার দাবি

করেছে, যদিও তারা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নিতে পারেনি। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, এসব অঞ্চল এবং ২০১৪ সালে আক্রমণ করা ক্রিমিয়া সম্পর্কে রাশিয়া কোনো ধরনের আলোচনা করবে না। মস্কো কিয়েভ সরকারকে অবৈধ হিসেবে মনে করে এবং দাবি করে যে, ইউক্রেন কোনোদিন ন্যাটো সদস্যপদ লাভ করতে পারবে না। যা কিনা রাশিয়ার জন্য এক অস্তিত্বগত হুমকি। এছাড়াও রাশিয়া ইউক্রেনে ইউরোপীয় শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠানোরও বিরুদ্ধে। এখন পরবর্তী পদক্ষেপ কী? যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কেইর স্টারমার বলেছেন, ‘ব্রিটেন, ফ্রান্স এবং অন্যরা মিলে ইউক্রেনের সঙ্গে একটিমাত্র পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করবে যুদ্ধ থামানোর জন্য, যে পরিকল্পনা তারা পরে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠাবে। এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য সম্ভবত আগামী দিনে প্রকাশিত হবে এবং ইউক্রেন বিষয়ক একটি বিশেষ ইউরোপীয়

শীর্ষ সম্মেলন ৬ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে। এহেন পরিস্থিতির মাঝেই মস্কো এবং ওয়াশিংটন তাদের মধ্যে সম্পর্ক উন্নত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। গত মাসে ট্রাম্প রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ফোন করার পর ইউক্রেনে আক্রমণের শুরু থেকে দুই দেশের মধ্যে প্রথম উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত হয়। পরে ইস্তাম্বুলেও যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়ার কর্মকর্তাদের মধ্যে আরও আলোচনা হয়েছে এবং ট্রাম্প এবং পুতিনের মধ্যে একটি শীর্ষ বৈঠকের প্রস্তুতি চলছে। সূত্র: ফ্রান্স-প্রেস ও ডয়চে ভেলে

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
গুলশান লেকে প্যাডেলচালিত রিকশা ফেলে দিলেন অটোরিকশা চালকরা ‘রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন মানলে আরাকান আর্মির আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি জোরাল হবে’ পোপ ফ্রান্সিস আর নেই ৩৩ বছরে কতজনকে ক্ষমা করেছেন রাষ্ট্রপতি, জানতে চান হাইকোর্ট মাস্ক কি নর্টনের মতো নিজেকে যুক্তরাষ্ট্রের সম্রাট ঘোষণা করতে যাচ্ছেন? ২৩ সালে কর ফাঁকিতে দেশের রাজস্ব ক্ষতি ২ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা : সিপিডি পারভেজ হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৩ জনের ৭ দিনের রিমান্ড মেঘনা আলমের যাবতীয় ব্যাংক হিসাব তলব ট্রাম্পের ঘটনাবহুল ১০০ দিন, আলোচিত যত মন্তব্য কারাগারে পলকের সেলে বৃষ্টির পানি পড়ে, অভিযোগ আইনজীবীর ১০ হাজার পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতার ১ চায়ের দোকানে তালা দেওয়ার অভিযোগ জবি ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগের প্রেক্ষিতে এনসিপিতে বিশেষ কমিটি গঠন ‘পতিতাদের শ্রমিক ঘোষণার প্রস্তাব ইসলামের সঙ্গে যুদ্ধ ঘোষণার শামিল’ নারী সংস্কার কমিশন ও তাদের প্রস্তাবনা বাতিলের আহ্বান লেবাননে বিস্ফোরণে তিন সেনা নিহত মৃত্যুপুরী গাজায় মৃত্যুঞ্জয়ী কিশোরী গাজায় জীর্ণ তাঁবুতে শীর্ণ জীবন ভারতে দলিত তরুণকে অপহরণ, নির্যাতন ও যৌন হেনস্তার অভিযোগ বিশেষ সম্মাননা পেলেন বুবলী