
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

২৩ সালে কর ফাঁকিতে দেশের রাজস্ব ক্ষতি ২ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা : সিপিডি

মেঘনা আলমের যাবতীয় ব্যাংক হিসাব তলব

বাংলাদেশ হয়ে সেভেন সিস্টার্সে যাওয়ার রেল প্রকল্প স্থগিত

বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন প্রকল্প বাতিল

নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রক্রিয়ায় পাশে থাকবে তুরস্ক

জন্মগত হৃদরোগে আক্রান্ত শিশুদের বিনামূল্যে চিকিৎসা দিচ্ছে কাতার-রেড ক্রিসেন্ট

বাংলাদেশ হয়ে সেভেন সিস্টার্সে যাওয়ার রেল প্রকল্প স্থগিত
প্রতিবছর দুর্যোগে ক্ষতি তিন হাজার কোটি ডলার

বন্যা, খরা, ঝড় ও তাপপ্রবাহে বাংলাদেশে প্রতিবছর গড়ে প্রায় ৩ বিলিয়ন বা তিন হাজার কোটি ডলার মূল্যের অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়। পাশাপাশি এসব দুর্যোগে প্রতিবছর ৬৩ লাখের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়। বুধবার প্রকাশিত পরিবেশবিষয়ক সংস্থা জার্মানওয়াচের ‘ক্লাইমেট রিস্ক ইনডেক্স-২০২৫’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। এতে দেখা যায়, গত তিন দশকে বিশ্বের দক্ষিণাঞ্চলীয় দেশগুলো চরম আবহাওয়া-সংশ্লিষ্ট ঘটনাগুলোর সবচেয়ে বেশি প্রভাব ভোগ করেছে।
প্রতিবেদন অনুসারে, ১৯৯৩ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী ৯ হাজার ৪০০টির বেশি চরম আবহাওয়া-সংক্রান্ত দুর্যোগে প্রায় ৮ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে; অর্থনৈতিক ক্ষতির পরিমাণ ৪ দশমিক ২ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। ১৯৯৩ সাল থেকে ডোমিনিকা, চীন ও হন্ডুরাস বন্যা, ঝড় ও
তাপপ্রবাহে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে, যেখানে বাংলাদেশের অবস্থান ৩১তম। প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২২ সালের মার্চ থেকে মে পর্যন্ত একটি তীব্র তাপপ্রবাহ পাকিস্তানের নবাবশাহ শহরে ৪৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় পৌঁছেছিল, যা ভয়াবহ বন্যার আগে ঘটেছিল। চরম তাপপ্রবাহ ভারত ও বাংলাদেশেও ছড়িয়ে পড়ে। ফলে তিন দেশে ৯০ জনের বেশি মানুষ মারা যান। জার্মানওয়াচের প্রতিবেদন অনুযায়ী, জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশ কার্যকর অভিযোজন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে দুর্যোগজনিত মৃত্যুহার উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। এটি বৈশ্বিকভাবে একটি উদাহরণ হয়ে উঠেছে। কার্যকর ঝুঁকি প্রতিরোধ ও অভিযোজনের ফলে বাংলাদেশে ঘূর্ণিঝড়জনিত মৃত্যুহার গত ৪০ বছরে ১০০ গুণের বেশি কমেছে। ১৯৭০ সালের ঘূর্ণিঝড়ে যেখানে ৫ লাখ মানুষ
প্রাণ হারিয়েছে, ২০০৭ সালে সে সংখ্যা কমে দাঁড়ায় ৪ হাজার ২৩৪-তে। জার্মানওয়াচের আন্তর্জাতিক জলবায়ু নীতির প্রধান লরা শেফার সতর্ক করে বলেন, জলবায়ু সংকট একটি বৈশ্বিক নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পরিণত হচ্ছে, যা বহুপাক্ষিক পদক্ষেপের মাধ্যমে মোকাবিলা করা প্রয়োজন। সংস্থাটির জলবায়ু অর্থায়ন ও বিনিয়োগ বিষয়ক জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা ডেভিড একস্টাইন বলেন, গত ৩০ বছরে ৪ দশমিক ২ ট্রিলিয়ন ডলারের ক্ষতি জার্মানির মোট জিডিপির সমান। জলবায়ু কর্মসূচিতে দেরি করলে আরও বড় অর্থনৈতিক ও মানবিক ক্ষতির মুখোমুখি হতে হবে। ব্রাজিলে আসন্ন জলবায়ু সম্মেলনে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর জন্য অতিরিক্ত অর্থায়নের অভাব নিয়ে আলোচনা হওয়া উচিত বলে মনে করেন জার্মানওয়াচের অভিযোজন ও ক্ষয়ক্ষতিবিষয়ক নীতি উপদেষ্টা লিনা আদিল। সংস্থাটির
অভিযোজন ও মানবাধিকারবিষয়ক জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা ভেরা কুনজেল বলেন, চরম আবহাওয়ার কারণে কিছু দেশে অর্থনৈতিক ক্ষতির পরিমাণ তাদের মোট জিডিপির চেয়েও বেশি। তিনি জলবায়ু ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা শক্তিশালী করা ও সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোকে সহায়তা দেওয়ার আহ্বান জানান, যাতে মানবিক ও অর্থনৈতিক ক্ষতি কমানো যায়।
তাপপ্রবাহে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে, যেখানে বাংলাদেশের অবস্থান ৩১তম। প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২২ সালের মার্চ থেকে মে পর্যন্ত একটি তীব্র তাপপ্রবাহ পাকিস্তানের নবাবশাহ শহরে ৪৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় পৌঁছেছিল, যা ভয়াবহ বন্যার আগে ঘটেছিল। চরম তাপপ্রবাহ ভারত ও বাংলাদেশেও ছড়িয়ে পড়ে। ফলে তিন দেশে ৯০ জনের বেশি মানুষ মারা যান। জার্মানওয়াচের প্রতিবেদন অনুযায়ী, জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশ কার্যকর অভিযোজন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে দুর্যোগজনিত মৃত্যুহার উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। এটি বৈশ্বিকভাবে একটি উদাহরণ হয়ে উঠেছে। কার্যকর ঝুঁকি প্রতিরোধ ও অভিযোজনের ফলে বাংলাদেশে ঘূর্ণিঝড়জনিত মৃত্যুহার গত ৪০ বছরে ১০০ গুণের বেশি কমেছে। ১৯৭০ সালের ঘূর্ণিঝড়ে যেখানে ৫ লাখ মানুষ
প্রাণ হারিয়েছে, ২০০৭ সালে সে সংখ্যা কমে দাঁড়ায় ৪ হাজার ২৩৪-তে। জার্মানওয়াচের আন্তর্জাতিক জলবায়ু নীতির প্রধান লরা শেফার সতর্ক করে বলেন, জলবায়ু সংকট একটি বৈশ্বিক নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পরিণত হচ্ছে, যা বহুপাক্ষিক পদক্ষেপের মাধ্যমে মোকাবিলা করা প্রয়োজন। সংস্থাটির জলবায়ু অর্থায়ন ও বিনিয়োগ বিষয়ক জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা ডেভিড একস্টাইন বলেন, গত ৩০ বছরে ৪ দশমিক ২ ট্রিলিয়ন ডলারের ক্ষতি জার্মানির মোট জিডিপির সমান। জলবায়ু কর্মসূচিতে দেরি করলে আরও বড় অর্থনৈতিক ও মানবিক ক্ষতির মুখোমুখি হতে হবে। ব্রাজিলে আসন্ন জলবায়ু সম্মেলনে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর জন্য অতিরিক্ত অর্থায়নের অভাব নিয়ে আলোচনা হওয়া উচিত বলে মনে করেন জার্মানওয়াচের অভিযোজন ও ক্ষয়ক্ষতিবিষয়ক নীতি উপদেষ্টা লিনা আদিল। সংস্থাটির
অভিযোজন ও মানবাধিকারবিষয়ক জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা ভেরা কুনজেল বলেন, চরম আবহাওয়ার কারণে কিছু দেশে অর্থনৈতিক ক্ষতির পরিমাণ তাদের মোট জিডিপির চেয়েও বেশি। তিনি জলবায়ু ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা শক্তিশালী করা ও সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোকে সহায়তা দেওয়ার আহ্বান জানান, যাতে মানবিক ও অর্থনৈতিক ক্ষতি কমানো যায়।