মার্কিন শুল্ক হুমকি, কানাডার অর্থনীতি রক্ষায় কে আসছে? – ইউ এস বাংলা নিউজ




মার্কিন শুল্ক হুমকি, কানাডার অর্থনীতি রক্ষায় কে আসছে?

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ২৩ জানুয়ারি, ২০২৫ | ১০:৪৩ 37 ভিউ
কানাডার পরবর্তী প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যন্তরীণ চ্যালেঞ্জ এবং মার্কিন শুল্ক হুমকির মুখে পড়তে হবে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে ফিরে আসার পর কানাডার $২.১ ট্রিলিয়ন অর্থনীতির জন্য এক নতুন ধাক্কা এসেছে। স্থবির প্রবৃদ্ধি, গৃহায়ন সংকটসহ অভ্যন্তরীণ সমস্যায় জর্জরিত কানাডা এখন তাদের প্রধান বাণিজ্য অংশীদার যুক্তরাষ্ট্র থেকে শুল্কের হুমকির মুখে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, গভীরভাবে অজনপ্রিয় প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোকে প্রতিস্থাপন করে যিনি দায়িত্ব নেবেন, তার জন্য এই পরিস্থিতি মোকাবিলা কঠিন হবে। অক্সফোর্ড ইকোনমিকসের কানাডা ইকোনমিকসের পরিচালক টনি স্টিলো আল জাজিরাকে বলেন, "ট্রুডোর উত্তরসূরি হওয়ার কাজ খুবই কঠিন কারণ শিগগিরই একটি দ্রুত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। নতুন নেতৃত্ব দিয়ে জনপ্রিয়তা পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করলেও তা যথেষ্ট নাও হতে

পারে।" মার্কিন শুল্ক হুমকি ট্রাম্প সোমবার তার অভিষেক বক্তৃতায় শুল্ক নিয়ে সরাসরি কিছু না বললেও কয়েক ঘণ্টা পরই ঘোষণা দেন যে, কানাডা ও মেক্সিকোর ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হতে পারে। ডালহাউসি ইউনিভার্সিটির অর্থনীতির অধ্যাপক লার্স ওলসবার্গ বলেন, "যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্কযুদ্ধ শুরু হলে কানাডার রপ্তানির কী হবে, সেটিই মূল উদ্বেগ।" কানাডার মোট রপ্তানির ৮০ শতাংশই যুক্তরাষ্ট্রে যায়, যা দেশের মোট জিডিপির ২০ শতাংশ। ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে এবং সম্ভাব্য মন্দা সৃষ্টি করতে পারে বলে সতর্ক করেছেন ক্যাপিটাল ইকোনমিকসের উত্তর আমেরিকা বিষয়ক উপ-প্রধান অর্থনীতিবিদ স্টিফেন ব্রাউন। তবে তিনি এটিকে কৌশলগত চাপ হিসেবে দেখছেন। অভ্যন্তরীণ চ্যালেঞ্জ ট্রাম্পের হুমকি ছাড়াও কানাডা অভ্যন্তরীণ সমস্যার মুখোমুখি।

গৃহায়ন সংকট, শিশু যত্ন এবং স্বাস্থ্যসেবার অবনতিতে জনগণের অসন্তোষ তীব্র। এছাড়া কার্বন কর নিয়ে বিতর্কও রয়েছে। ২০১৯ সালে চালু হওয়া এই করের পরিমাণ এখন $৮০ কানাডিয়ান ডলার প্রতি টন, যা ২০৩০ সালে $১৭০ কানাডিয়ান ডলারে পৌঁছাবে। বিরোধী কনজারভেটিভ পার্টির নেতা পিয়েরে পলিয়েভ এই কর বাতিলের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ইমিগ্রেশন নীতিতেও পরিবর্তন আনতে হয়েছে। ২০২৩ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে কানাডার জনসংখ্যা ৩.২ শতাংশ বেড়েছে। এর ফলে গৃহায়ন ও জনসেবা সংকট বেড়েছে। এরই মধ্যে জনমত ইমিগ্রেশন নিয়ে নেতিবাচক হয়ে উঠেছে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, আসন্ন সরকারকে স্থায়ী বিনিয়োগ ও উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর মতো দীর্ঘমেয়াদি সমস্যার সমাধান করতে হবে। চূড়ান্ত পর্যবেক্ষণ কানাডার অর্থনীতি বর্তমানে আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ চাপে জর্জরিত। ট্রুডোর উত্তরসূরিকে একদিকে

মার্কিন শুল্ক হুমকির মোকাবিলা করতে হবে, অন্যদিকে দেশের জনগণের ক্রমবর্ধমান অসন্তোষ মেটাতে হবে। সূত্র: আল জাজিরা

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
সিরিয়াকে ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার আহ্বান ট্রাম্পের আইএমএফের ১০০ কোটি ডলার ঋণ পেল পাকিস্তান ঈদুল আজহায় বাসের অগ্রিম টিকিট বিক্রি ১৬ মে শুরু কাকরাইল না ছাড়ার ঘোষণা জবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ভারতের হামলায় পাকিস্তানের ১৩ সেনা নিহত সহযোদ্ধার ওপর হামলা, ছেলেকে পুলিশে দিলেন বিএনপি নেতা ইমরান খানকে কারামুক্ত করতে ট্রাম্পের সাহায্য চান দুই পুত্র সিলেটে রেস্টুরেন্টে বসে আড্ডা নবীগঞ্জের ইউপি চেয়ারম্যানের, অতঃপর… কর্নেল সোফিয়াকে কটাক্ষ করে বিপাকে বিজেপি মন্ত্রী ‘আপনি রাতে ঘুমান কিভাবে?’ সৌদি যুবরাজকে ট্রাম্পের প্রশ্ন যুক্তরাষ্ট্র চায় সরাসরি আলোচনা, ক্ষুব্ধ ভারত, রাজি পাকিস্তান জুনে সাড়ে ৩ বিলিয়ন ডলার ঋণ পাচ্ছে বাংলাদেশ নার্সিং কলেজ শিক্ষার্থীদের শাহবাগ অবরোধ যমুনা অভিমুখী লংমার্চে টিয়ারগ্যাস-লাঠিচার্জ, আহত অর্ধশতাধিক ছাত্রদলের উত্তেজিত নেতাকর্মীদের সামনে ঢাবি ভিসি, ‘মার বেটা আমাকে, মার’ ‘ছোট থেকেই আমি খুব খেলতে চাইতাম’ সাউণ্ড গ্রেনেড ও টিয়ারগ্যাসে ছত্রভঙ্গ জবি শিক্ষার্থীদের লংমার্চ শেষবারের মতো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সাম্য চট্টগ্রামে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা, নিন্দা ও প্রতিবাদ মেয়র হিসেবে ইশরাকের শপথ দাবি, নগর ভবনে বিক্ষোভ