কোন নামাজে কোন সুরা তিলাওয়াত করা উত্তম – ইউ এস বাংলা নিউজ




কোন নামাজে কোন সুরা তিলাওয়াত করা উত্তম

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ১২ জানুয়ারি, ২০২৫ | ৬:৪২ 102 ভিউ
নামাজে পবিত্র কুরআন থেকে বড় এক আয়াত বা ছোট তিন আয়াত পরিমাণ তিলাওয়াত করা ফরজ। কুরআনের যেকোনো স্থান থেকে পড়লেই ফরজ আদায় হয়ে যাবে। তবে প্রতি রাকাতে সুরা ফাতিহা ও অন্য একটি সুরা মিলিয়ে পড়া ওয়াজিব। তবে নামাজের সুরা নির্বাচনের ক্ষেত্রে সাধারণত নবীজি (সা.) একটি নিয়ম অনুসরণ করতেন। সেই নিয়ম অনুযায়ী তিলাওয়াত করা সুন্নত। দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজে কিরাত পড়ার ক্ষেত্রে নবী (সা.)-এর সাধারণ অভ্যাস ছিল ফজর ও জোহরের নামাজে সুরা হুজুরাত (৪৯ নম্বর সুরা) থেকে সুরা বুরুজ (৮৫ নম্বর সুরা) পর্যন্ত সুরাগুলো থেকে তিলাওয়াত করা। আসর ও এশার নামাজে সুরা তারিক (৮৬ নম্বর সুরা) থেকে সুরা বায়্যিনাহ (৯৮

নম্বর সুরা) পর্যন্ত সুরাগুলো থেকে তিলাওয়াত করা। মাগরিবের নামাজে সুরা জিলজাল (৯৯ নম্বর সুরা) থেকে সুরা নাস (সর্বশেষ সুরা) পর্যন্ত সুরাগুলো থেকে তিলাওয়াত করা। এটি স্বাভাবিক সময়ের জন্য সুন্নত। সফরে থাকলে এটি অনুসরণ করার প্রয়োজন নেই। এ ছাড়া জুমার নামাজে নবী (সা.) প্রায় সময় সুরা আলা ও সুরা গাশিয়া বা সুরা জুমুআ ও সুরা মুনাফিকুন তিলাওয়াত করতেন। আবার প্রায় সময় জুমার দিন ফজরের নামাজে সুরা সাজদা ও সুরা দাহর তিলাওয়াত করতেন। ফজরের আগের দুই রাকাত সুন্নত নামাজে সুরা কাফিরুন ও সুরা ইখলাস তিলাওয়াত করতেন। বিতরের নামাজে প্রথম রাকাতে সুরা দুহা, দ্বিতীয় রাকাতে সুরা কাফিরুন ও তৃতীয় রাকাতে সুরা ইখলাস তিলাওয়াত করার

অভ্যাস ছিল। ফরজ নামাজে এক রাকাতে সুরা ফাতেহার পর একাধিক সুরা না পড়াই উত্তম। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, প্রত্যেক সুরার পর রুকু এবং সিজদা করে তার হক আদায় কর। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদিস ৩৭৩০) তবে এক রাকাতে একাধিক সুরা পড়াও জায়েয আছে। কোনো কোনো সাহাবি এবং তাবেয়ি থেকে ফরজ নামাজেও এক রাকাতে সুরা ফাতেহার পর একাধিক সুরা পড়ার কথা বর্ণিত আছে, যেমন আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, তিনি ফরজ নামাজের এক রাকাতে একত্রে দুটি সুরা পড়তেন। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদিস ৩৭১৪) আতা (রহ.) বলেন, ফরজ নামাজে এক রাকাতে দুটি সুরা বা দুই রাকাতে একটি সুরা

পড়লে অসুবিধা নেই। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদিস ৩৭১৫)

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
মুক্তির ৭ দিনের মাথায় পাইরেসি হওয়া সেই ‘তাণ্ডব’ এবার ওটিটিতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ২৫ উড়োজাহাজ কেনার প্রতিশ্রুতিতে শুল্ক সুবিধা বাগে আনার চেষ্টা ছাড়া পেলেন ২ জন, টেস্ট নিয়ে অভিযোগ থাকলে বার্ন ইনস্টিটিউটে যোগাযোগের আহ্বান স্থানীয় পর্যবেক্ষক সংস্থা হিসেবে নিবন্ধনের আবেদন আহ্বান ইসির ৬ মাস বয়সী যমজ শিশুসহ গৃহবধূকে গ্রেপ্তার করে ছবি পোস্ট পুলিশের ফেলে যাওয়া ব্যাগ পেয়ে কেঁদে ভাসছেন স্বজন রিমান্ডে নিয়ে প্রকৃত কুশীলবদের বের করে আনাটা গুরুত্বপূর্ণ: মাহিন সরকার টাকার বস্তা নিয়ে নেমেছে লিভারপুল জনঅসন্তোষ বাড়ছে মালয়েশিয়ায় ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়া নিয়ে বিভাজিত ইউরোপ থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়ার সংঘাত আরও দীর্ঘায়িত হওয়ার আশঙ্কা মার্কিনী শুল্কনীতিতে এ বছর কমবে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি বাক প্রতিবন্ধী গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টা ভাঙনের মুখে নোয়াখালীর প্লাবিত নিম্নাঞ্চলের ঘরবাড়ি ফেসবুকে প্রেম, বিয়ের পর জানা গেল ‘নববধূ’ পুরুষ! চট্টগ্রামসহ ৪ জেলায় ফের বন্যার শঙ্কা বাবার অবহেলা ও সৎমায়ের নির্যাতনে স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা গুলশানে সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদাবাজি, হাতেনাতে ৫ জন গ্রেপ্তার ডেঙ্গুতে আরও ৩ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৩৩১ ‘ব্যাংক খাত পুনর্গঠনে ৩৫ বিলিয়ন ডলার লাগবে’