ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
শরীয়তপুরে ফসলি জমি কেটে মাছের ঘের তৈরির হিড়িক
কৃষি জমির প্রকৃতি পরিবর্তন করা যাবে না’এমন সরকারি নির্দেশ থাকলেও শরীয়তপুরে তিন ফসলি জমি কেটে অবাদে তৈরি হচ্ছে মাছের ঘের।
এতে আশঙ্কাজনক হারে কমছে ফসলি জমির পরিমাণ।মাঝেমধ্যে প্রশাসন ঢিলেঢালা অভিযান পরিচালনা করলেও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছেনা। কোন না কোনভাবে ম্যানেজ করে ফসলি জমি নষ্টের উৎসব চলছেই।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, ভেদরগঞ্জ উপজেলার চরভাগা, ডিএমখালি, মহিষার ও ছয়গাঁও ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় মাছ চাষের ঘের তৈরির ধুম পড়েছে।
নড়িয়া উপজেলার বিঝারি, নশাসন, ঘড়িষার, শরীয়তপুর সদরের দেওভোগ, কাগদি, গোসাইরহাট উপজেলার নাগেরপাড়া, কোদালপুর আলাওলপুর, ডামুড্যা উপজেলার ইসলামপুর, পূর্ব ডামুড্যা ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে মৎস্য ঘেরের চাষীরা। সাধারন কৃষকদের নানা প্রলভনের টোপে ফেলে ফসলী জমি কেটে
সাবার করছে তারা। অধিকাংশ কৃষি জমিতে এক্সাভেটর(ভেকু) মেশিন দিয়ে ৮ ফুট গভীর করে জমির চারদিকে বাঁধ দিয়ে পুকুর খননের এই মহোৎসব চলছে। মৎস্য ঘেরের ব্যবসায় জড়িয়েছেন জনপ্রতিনিধি, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ও স্থানীয় প্রভাবশালীরা। তাই সাধারন কৃষকগণ অনেক সময় অসহায় হয়েপড়েন তাদের প্রভাব প্রতিপত্তির কাছে। চোখের সামনে জমি কেটে ফেললেও কিছু বলার সাহস পায়না তারা। প্রশাসনের দিকে তাকিয়ে থাকে। বরিশাল, চাদপুঁর, মাদারিপুর, এমনকি রাজধানী ঢাকা থেকে এসে স্থানীয় কিছু ব্যক্তিদের সহযোগিতায় কৃষি জমিতে পুকুর খননের এই উৎসবে যোগ দিয়েছেন কেউ কেউ। ব্যক্তি মালিকানা জমির পাশাপাশি সরকারের ১নং খতিয়ানভূক্ত জমিও এদের হাত থেকে বাদ যায়না। স্থানীয় বাসিন্দা মোশাররফ হোসেন বলেন, এভাবে যদি ফসলি জমিগুলো
নষ্ট করে ফেলে তাহলে একদিন এ জাতীকে খেসারত দিতে হবে। চাল সংকটসহ বিভিন্ন খাদ্য সংকটে ভুগতে হবে আমাদের। প্রশাসন অভিযান করে গেলেও তার দুদিন পরেই আবার কিভাবে ঘেরের কাজ শুরু করে এমন প্রশ্ন করেন তিনি। নাম প্রকাশে না করার শর্তে এক ভেকু ব্যবসায়ী বলেন, আমরা অফিসে খাম"দিয়ে আসি তার পরেই কাজ করি। ইউএনও অফিস ও এসিল্যান্ড অফিস আলাদা আলাদা যোগাযোগ করতে হয়। আপনি বিকালে আসেন, দেখা কইরেন। এ বিষয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনিন্দ্য মন্ডল বলেন, ফসলি জমি কেটে মাছের ঘের করার কোন প্রকার অনুমতি নেই। যারা অবৈধভাবে মাটি কেটে মাছের ঘের করে ফসলি জমি বিনষ্ট করছে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছি। ইতোমধ্যে
আমরা সাজানপুরে একটি ভেকুর বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ব্যবস্থা নিয়েছি। বাকিদের বিরুদ্ধেও অভিযান অব্যাহত থাকবে।
সাবার করছে তারা। অধিকাংশ কৃষি জমিতে এক্সাভেটর(ভেকু) মেশিন দিয়ে ৮ ফুট গভীর করে জমির চারদিকে বাঁধ দিয়ে পুকুর খননের এই মহোৎসব চলছে। মৎস্য ঘেরের ব্যবসায় জড়িয়েছেন জনপ্রতিনিধি, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ও স্থানীয় প্রভাবশালীরা। তাই সাধারন কৃষকগণ অনেক সময় অসহায় হয়েপড়েন তাদের প্রভাব প্রতিপত্তির কাছে। চোখের সামনে জমি কেটে ফেললেও কিছু বলার সাহস পায়না তারা। প্রশাসনের দিকে তাকিয়ে থাকে। বরিশাল, চাদপুঁর, মাদারিপুর, এমনকি রাজধানী ঢাকা থেকে এসে স্থানীয় কিছু ব্যক্তিদের সহযোগিতায় কৃষি জমিতে পুকুর খননের এই উৎসবে যোগ দিয়েছেন কেউ কেউ। ব্যক্তি মালিকানা জমির পাশাপাশি সরকারের ১নং খতিয়ানভূক্ত জমিও এদের হাত থেকে বাদ যায়না। স্থানীয় বাসিন্দা মোশাররফ হোসেন বলেন, এভাবে যদি ফসলি জমিগুলো
নষ্ট করে ফেলে তাহলে একদিন এ জাতীকে খেসারত দিতে হবে। চাল সংকটসহ বিভিন্ন খাদ্য সংকটে ভুগতে হবে আমাদের। প্রশাসন অভিযান করে গেলেও তার দুদিন পরেই আবার কিভাবে ঘেরের কাজ শুরু করে এমন প্রশ্ন করেন তিনি। নাম প্রকাশে না করার শর্তে এক ভেকু ব্যবসায়ী বলেন, আমরা অফিসে খাম"দিয়ে আসি তার পরেই কাজ করি। ইউএনও অফিস ও এসিল্যান্ড অফিস আলাদা আলাদা যোগাযোগ করতে হয়। আপনি বিকালে আসেন, দেখা কইরেন। এ বিষয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনিন্দ্য মন্ডল বলেন, ফসলি জমি কেটে মাছের ঘের করার কোন প্রকার অনুমতি নেই। যারা অবৈধভাবে মাটি কেটে মাছের ঘের করে ফসলি জমি বিনষ্ট করছে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছি। ইতোমধ্যে
আমরা সাজানপুরে একটি ভেকুর বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ব্যবস্থা নিয়েছি। বাকিদের বিরুদ্ধেও অভিযান অব্যাহত থাকবে।