
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

গত জুলাইয়ে জনতার পাশে দাঁড়ানো সেনার এই জুলাইয়ে গোপালগঞ্জে জনতার ওপর বর্বরতা, নির্বিচার গুলি-হত্যা

এনসিপি’র ‘মুজিববাদ মূর্দাবাদ’ স্লোগানে গোপালগঞ্জে জনবিস্ফোরণ, বিক্ষোভে সেনার গুলি-নিহত ৪

আওয়ামী লীগের মিছিল থেকে ধরে নিয়ে বুট দিয়ে পিষে মারলো সেনাবাহিনী

জামায়াত-শিবির এনসিপি প্রতিরোধে গোপালগঞ্জে গৃহবধূ-বৃদ্ধা-কিশোরীরাও রাজপথে

এপিসিতে চড়ে গোপালগঞ্জে জনরোষ থেকে পালিয়ে বাঁচলেন এনসিপি নেতারা

গোপালগঞ্জে কারফিউ জারি

গোপালগঞ্জ রণক্ষেত্র, ১৪৪ ধারা জারি
জমে উঠেছে শিক্ষার্থীদের ন্যায্যমূল্যের দোকান

স্থানীয় বাজারের তুলনায় শাকসবজির দাম কম। কেজিপ্রতি ১০-৩০ টাকা কমে কিনতে পারছেন লোকজন। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে সাশ্রয়ী মূল্যে সবজি কিনতে সেখানে ভিড় করেন নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ।
কৃষক থেকে ভোক্তা পর্যায়ে ন্যায্যমূল্যে শাকসবজি পৌঁছে দেওয়ার এই কার্যক্রম শুরু করেছেন বাকেরগঞ্জ সরকারি কলেজের একদল শিক্ষার্থী।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) সকাল ৮টা থেকে কাঁচাবাজারের সামনে ন্যায্যমূল্যে শাকসবজি বিক্রির এ কার্যক্রম শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। এটি চলে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত। বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত এ ব্যবসা চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।
বাকেরগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড বাজারের প্রধান ফটকের বিপরীত পাশে বসানো হয়েছে এ সবজির দোকান। সাধারণ শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে রাস্তার পাশে বসে সবজির দোকানটি চালানো হচ্ছে। সাজিয়ে রাখা হয়েছে
বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি। পৌর এলাকার বাসিন্দারা বাজার করে ফেরার সময় বলেন, বাজার থেকে সব সবজির দাম এখানে কম। আন্দোলনের পর কয়েক দিন সিন্ডিকেট না থাকায় বাজার সহনীয় থাকলেও এখন আবার সবকিছুর দাম বেশি। শিক্ষার্থীরা এ কার্যক্রম চলমান রাখলে বাজারে জিনিসের দাম কমতে পারে। এদিন ১২ ধরনের সবজি বিক্রি করতে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের ন্যায্যমূল্যের দোকানে। স্থানীয় বাজার থেকে শিক্ষার্থীরা তাদের দোকানে কম দামে সবজি বিক্রি করেন। কাঁচামরিচ শিক্ষার্থীদের দোকানে ১৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও বাজারে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল। ঢেঁড়স ৪৫ টাকা বিক্রি করলেও বাজারে ৮০ থেকে ১০০ টাকা। শসা ৪০ টাকা কেজি বিক্রি হলেও বাজারে দাম ৭৫ থেকে ৮৫
টাকা। পটল ৫০ টাকা বিক্রি হলেও বাজারে ৮০ টাকা, লাউ প্রতিটি ৫০ টাকা বিক্রি হলেও বাজারে ৭০ থেকে ১০০ টাকা। পুঁইশাক ৩৫ টাকা আঁটি বিক্রি হলেও বাজারে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। পেঁপে ৩০ টাকা বিক্রি হলেও বাজারে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, করলা ৪৫ টাকা বিক্রি হলেও বাজারে ৭০ থেকে ৮০ টাকা, কাঁচাকলার হালি ৩০ টাকা বিক্রি করলেও বাজারে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ঝিঙে ৫০ টাকা বিক্রি করলেও বাজারে ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। উদ্যোক্তাদের একজন আরিফ হোসেন বলেন, প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকদের কাছ থেকে আমরা সংগ্রহ করায় কম দামে বিক্রি করতে পারছি। বাজারে আসা সবজি কৃষক থেকে বাজারে আসতে কয়েকটি হাতবদল
হওয়ায় দাম বেড়ে যায়। কৃষকদের কাছ থেকে সংগ্রহ করে পরিবহন খরচ যোগ করে বিক্রি করেও বাজারের চেয়ে ২০ থেকে ৩০ টাকা কমে সবকিছু বিক্রি করা যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বর্তমান সরকার আসার পর সিন্ডিকেট এ সরকারকে বিতর্কিত করার জন্য মূল্য বৃদ্ধি করে দিয়েছে। এতে মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে। এজন্য শিক্ষার্থীরা মিলে কৃষক ও ভোক্তার সুবিধা করে দিতে উদ্যোগ নিয়েছি। এতে কৃষকরাও ন্যায্যমূল্য পাবেন, ভোক্তারও কম দামে কিনতে পারবেন। যতদিন অস্থিতিশীল থাকবে বাজার, ততদিন আমাদের এ কার্যক্রম চলবে। শিক্ষার্থীদের এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে বাকেরগঞ্জের সাধারণ জনতা বলেন, বর্তমানে বাজারে উচ্চমূল্যে শাকসবজি বিক্রি করে সিন্ডিকেট ও মধ্যস্বত্বভোগীরা। এতদিন ফায়দা লুটছে এখন থেকে
আর পারবে না। শিক্ষার্থীদের ন্যায্যমূল্যে সবজি বিক্রির উদ্যোগটির ফলে এটি নিরসন হবে অনেকটা। এ ধরনের উদ্যোগ সারা দেশে ছড়িয়ে পড়লে বাজার সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা এ ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকবে।
বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি। পৌর এলাকার বাসিন্দারা বাজার করে ফেরার সময় বলেন, বাজার থেকে সব সবজির দাম এখানে কম। আন্দোলনের পর কয়েক দিন সিন্ডিকেট না থাকায় বাজার সহনীয় থাকলেও এখন আবার সবকিছুর দাম বেশি। শিক্ষার্থীরা এ কার্যক্রম চলমান রাখলে বাজারে জিনিসের দাম কমতে পারে। এদিন ১২ ধরনের সবজি বিক্রি করতে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের ন্যায্যমূল্যের দোকানে। স্থানীয় বাজার থেকে শিক্ষার্থীরা তাদের দোকানে কম দামে সবজি বিক্রি করেন। কাঁচামরিচ শিক্ষার্থীদের দোকানে ১৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও বাজারে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল। ঢেঁড়স ৪৫ টাকা বিক্রি করলেও বাজারে ৮০ থেকে ১০০ টাকা। শসা ৪০ টাকা কেজি বিক্রি হলেও বাজারে দাম ৭৫ থেকে ৮৫
টাকা। পটল ৫০ টাকা বিক্রি হলেও বাজারে ৮০ টাকা, লাউ প্রতিটি ৫০ টাকা বিক্রি হলেও বাজারে ৭০ থেকে ১০০ টাকা। পুঁইশাক ৩৫ টাকা আঁটি বিক্রি হলেও বাজারে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। পেঁপে ৩০ টাকা বিক্রি হলেও বাজারে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, করলা ৪৫ টাকা বিক্রি হলেও বাজারে ৭০ থেকে ৮০ টাকা, কাঁচাকলার হালি ৩০ টাকা বিক্রি করলেও বাজারে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ঝিঙে ৫০ টাকা বিক্রি করলেও বাজারে ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। উদ্যোক্তাদের একজন আরিফ হোসেন বলেন, প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকদের কাছ থেকে আমরা সংগ্রহ করায় কম দামে বিক্রি করতে পারছি। বাজারে আসা সবজি কৃষক থেকে বাজারে আসতে কয়েকটি হাতবদল
হওয়ায় দাম বেড়ে যায়। কৃষকদের কাছ থেকে সংগ্রহ করে পরিবহন খরচ যোগ করে বিক্রি করেও বাজারের চেয়ে ২০ থেকে ৩০ টাকা কমে সবকিছু বিক্রি করা যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বর্তমান সরকার আসার পর সিন্ডিকেট এ সরকারকে বিতর্কিত করার জন্য মূল্য বৃদ্ধি করে দিয়েছে। এতে মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে। এজন্য শিক্ষার্থীরা মিলে কৃষক ও ভোক্তার সুবিধা করে দিতে উদ্যোগ নিয়েছি। এতে কৃষকরাও ন্যায্যমূল্য পাবেন, ভোক্তারও কম দামে কিনতে পারবেন। যতদিন অস্থিতিশীল থাকবে বাজার, ততদিন আমাদের এ কার্যক্রম চলবে। শিক্ষার্থীদের এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে বাকেরগঞ্জের সাধারণ জনতা বলেন, বর্তমানে বাজারে উচ্চমূল্যে শাকসবজি বিক্রি করে সিন্ডিকেট ও মধ্যস্বত্বভোগীরা। এতদিন ফায়দা লুটছে এখন থেকে
আর পারবে না। শিক্ষার্থীদের ন্যায্যমূল্যে সবজি বিক্রির উদ্যোগটির ফলে এটি নিরসন হবে অনেকটা। এ ধরনের উদ্যোগ সারা দেশে ছড়িয়ে পড়লে বাজার সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা এ ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকবে।