বাড়ির পাহারাদার থেকে আতা হয়ে ওঠে ডন – ইউ এস বাংলা নিউজ




বাড়ির পাহারাদার থেকে আতা হয়ে ওঠে ডন

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ২২ অক্টোবর, ২০২৪ | ৬:০৮ 55 ভিউ
কুষ্টিয়ার আলোচিত নাম আতাউর রহমান আতা। গত ১৫ বছর আগেও যে আতাকে ভেড়ামারার মানুষ ঠিকমত চিনতো না সেই আতার উত্থান কল্পকাহিনীকেও হার মানাবে। বাড়ির পাহারদার থেকে বিনা ভোটে উপজেলার চেয়ারম্যান বনে যান। তার ইশারায় পরিচালিত হতো দলের কার্যক্রম। হানিফের বাড়ি পাহারা দিতে এসে সদর উপজেলার নিয়ন্ত্রক হয়ে ওঠেন। আতার কথায় ওঠবস করতেন সরকারি কর্মকর্তা থেকে দলের নেতারা। যেন আতাকে খুশি করতে পারলেই তৃপ্তির ঢেকুর তুলতেন কিছু নেতা-কর্মি। এই আতা রাজনীতি যেমন নষ্ট করেছে তেমনি সামাজিক সম্প্রতি নষ্টের মূল হোতা হিসেবে মনে করেন এ জেলার মানুষ। বিএনপি-জামায়াতকে দমনের নামে মিথ্যা গায়েবি মামলা ছাড়াও বিরোধী নেতা-কর্মিদের ওপর চালায় নানা নির্যাতন। এক

সময় বাইসাইকেলে চড়া আতা ৫ আগষ্টের আগেও চড়তেন কোটি টাকা দামের গাড়ীতে। সম্পদ গড়েছিলেন শত শত কোটি টাকার। আতার জন্ম কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলায়। ভেড়ামারার বাহিরচর ইউনিয়নের ষোলদাগ গ্রামের মৃত আব্দুস সাত্তার প্রামানিকের ২ স্ত্রীর ঘরে জন্ম নেয় ৩ ছেলে ও ৩ মেয়ে। তাদেরই একজন হলেন আতাউর রহমান আতা। লেখাপড়া করেছেন গ্রামের স্কুলে। গন্ডি পেরিয়েছেন টেনেটুনে এসএসসি পর্যন্ত। অপ্রতিরোধ্য রাজনীতিক ও বিত্ত বৈভবের মালিক বনে যান তার চাচাতো ভাই আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফের ছত্রছায়ায় আওয়ামীলীগের রাজনীতি করে। আত্মীয়তার সূত্রে কুষ্টিয়া শহরে প্রবেশ। আতার বাবা আব্দুস সাত্তার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফের বাবা আফসার আলীর চাচাতো

ভাই। সেই সূত্রে হানিফ আর আতা চাচাতো ভাই। হানিফের পর আতা ছিলেন কুষ্টিয়ায় আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে দ্বিতীয় ব্যক্তি। দুই ভাই মিলে জেলার রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করতেন। সব সরকারি কাজ ছিল তাদের নিয়ন্ত্রনে। এভাবে আতা জিরো থেকে হিরো বনে গেছে। এ সময় একটি মটর সাইকেলে চড়লেও এখন তার কোটি টাকার দামি একাধিক গাড়ী আছে। স্ত্রী প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক হলেও স্বামীর টাকায় সেও কোটিপতি। ঢাকায় একাধিক ফ্লাছে ও বাড়ি আছে আতার। হানিফ দলের যুগ্ম সম্পাদক হওয়ায় আতা ছিল সবার কাছে আতঙ্কের। দলমত নির্বিশেষে সবাই আতাকে সামাল দিয়ে চলতেন। বিচার ও শালিস থেকে সবখানে আতার কথায় ছিল শেষ কথা। এমনকি সর্বশেষ সংসদ নির্বাচনের আগে হানিফের

ভোটের কথা বলেও কোটি কোটি টাকা চাঁদা নেওয়া হয়। দলের নেতারা বলেন, কুরবানীর আগে গরু ও ছাগলও আসত উপহার হিসেবে। দেশ ছাড়াও দেশের বাইরে আতার সম্পদ ও অর্থ আছে বলে শোনা যায়। এর মধ্যে মালয়েশিয়ায় আতার সেকেন্ড হোম আছে বলে মনে করেন দলের অনেকে। আতার ঘনিষ্ট পৌর কাউনিন্সর মীর রেজাউল ইসলাম বাবুসহ বেশ কয়েকজনও টাকার মালিক বনে গেছেন। তারাও আতার দাপট দেখিয়ে কাউকে মানুষ মনে করতেন না। যাকে-তাকে মারধর করতেন যখন তখন। আতা যখন বাড়িতে থাকতো দলীয় ক্যাডারর সব সময় পাহারা থাকতো। বাইরে বেরুলে গাড়ী আগে-পিছে বহর নিয়ে বেড়াতো গ্যাং স্টারেরমত। দলের পদ-পদবি ও টেন্ডারে কাজ পেতে আতার কাছে ধরনা

দিতে হতো সবাইকে। তার অত্যাচার ও নির্যাতনে দল ছেড়েছেন অনেকে। এমনকি ঠিকাদারি কাজও ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন বেশ কয়েকজন। অবৈধ বালু ঘাট, হাট-বাজার, বিল ও বাউড় নিয়ন্ত্রণ করতো আতা। সে এভাবে গত ১৬ বছরে শতশত কোটি টাকার মালিক হয়েছে। হাসিনা পালিয়ে যাবার পর আতা গা ঢাকা দিয়েছে। তার বাড়ি লুটপাট হয়ে গেছে। একই অবস্থা হানিফের বাড়িরও। আতার স্ত্রীর নামে অবৈধ সম্পদের অভিযোগে দুনীতি দমন কমিশন মামলা করেছে। আতার অবৈধ সম্পদ অর্জন নিয়ে অনুসন্ধান শেষ পর্যায়ে। যে কোন সময় মামলা হতে পারে বলে জানা গেছে। জেলা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আতা ২০১২ সালের আগ পর্যন্ত ভেড়ামারায়ই

ছিলেন। সেখানে ঠিকাদারীর পাশাপাশি রাজনীতি করতেন। তবে কোনও পদে ছিলেন না। হানিফ ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুষ্টিয়া-৩ আসন থেকে মনোনয়ন পাওয়ার আগে শহরের পিটিআই রোডে জমি কিনে বাড়ির কাজ শুরু করেন। আতাকে এ সময় মূলতঃ ওই বাড়ির কাজ-কর্ম দেখাশোনা করার দায়িত্ব দেওয়া হয়। জেলা আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা জানান, হানিফ সদর আসন থেকে নির্বাচিত হওয়ার পর আতাকে তার স্থানীয় প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব দেন। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে আতা শহরের রাজনীতি শুরু করে। শহর আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক মোমিনুর রহমান মোমিজ নারী ঘটিত ঘটনায় বহিষ্কার হওয়ার পর আতাকে হুট করেই ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক করা হয়। এরপর সর্বশেষ ২০১৯

সালের কাউন্সিলে ভারমুক্ত হয় সে। সেই কাউন্সিলের পর আর কাউন্সিল হয়নি। ২০১৯ সালের সর্বশেষ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় টিকিটও বাগিয়ে নেয় আতা। এরপর তার বিরুদ্ধে কেউ নির্বাচন করতে আর সাহস করেনি। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় সে সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হয়। শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এবং সদর আসনের সংসদ সদস্য হানিফের চাচাতো ভাই ও স্থানীয় প্রতিনিধি-এসব পরিচয় আতার জন্য স্থানীয় রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তারকে সহজ করে দেয়। দিন দিন বাড়তে থাকে তার প্রভাব, দলীয় নেতাকর্মীরাও আসতে থাকে তার কাছে। অল্প দিনেই শহর ও সদরের রাজনীতিতে তৈরি করে নিজস্ব বলয়। অভিযোগ আছে, পুরো জেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতিই হানিফ নিয়ন্ত্রণ করতেন আতার মাধ্যমে। এরপর অর্থ-বিত্তে-সম্পদে ফুলে ফেঁপে ওঠে আতাউর রহমান আতা। ২০২২ সালে আতার বিপুল অবৈধ সম্পদের ফিরিস্তি তুলে ধরে দুদকে একটি অভিযোগ জমা পড়ে। এতে বলা হয়, ১০ বছরের ব্যবধানে ভাই হানিফের প্রভাব আর আওয়ামী লীগের পদ-পদবি ব্যবহার করে বাড়ি-গাড়িসহ ১১০০ কোটি টাকার সম্পদের মালিক বনে যান আতা। এই অভিযোগ উঠার পর ২০২২ সালে দুদক আতার অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান শুরু করে। সেময় আতার চাচাতো ভাই আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফের কালো হাতের থাবায় অনুসন্ধান আর বেশীদুর এগুতে দেয়া হয়নি।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
যেভাবে কোলেস্টেরল কমাবেন ঐকমত্য না হওয়ায় সংসদের উচ্চকক্ষই বাদের চিন্তা সকল দায় ঢাকার ওপর চাপাতে চায় জাতিসংঘ ‘কোথায় থাকব, কে আশ্রয় দেবে জানি না’ সিরিজ জয়ে চোখ বাংলাদেশের চাকরি জীবনে একবার গুরুদণ্ড পেলে ওসি হতে পারবেন না পাহাড়ে ফলের নতুন ভান্ডার সত্যজিৎ রায়ের পূর্বপুরুষের বাড়ি ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ভারতের মোহাম্মদপুরের গ্যাং প্রধানসহ গ্রেপ্তার ৪২ সৌদিতে নারী যাত্রীদের জন্য বিশেষ সেবা আনছে উবার নিউইয়র্ক সিটির মেয়র পদে গত মাসে ডেমোক্রেটিক প্রাইমারিতে জয়ী হয়েছেন জোহরান মামদানি। এটি শহরটির অনেক মানুষের জন্য আনন্দের খবর হলেও কপালে উদ্বেগের ভাঁজ পড়েছে আবাসন ব্যাবসায়ীদের। তারা ক্ষতির ঝুঁকি দেখছেন। এরই মধ্যে এ নিয়ে মুখ খুলেছেন খাতসংশ্লিষ্ট অনেকে। তারা বলছেন, পরিবর্তনশীল এ সময়ে গ্রাহকরা ঝুঁকি নিতে চাচ্ছেন না; তারা দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। নিউইয়র্কে আবাসন ব্যবসার ব্রোকার জে বাত্রা জানান, তাঁর ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ম্যানহাটানে লাখ লাখ ডলারের সম্পত্তির দুই পৃথক ক্লায়েন্ট বাত্রাকে জানিয়েছেন, তারা নিউইয়র্কের রাজনৈতিক পরিস্থিতি আমলে নিয়ে সতর্কতার সঙ্গে লেনদেন করতে চান। বাত্রার উদ্ধৃতি দিয়ে গতকাল সোমবার সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, অনেক ধনী ও বিলাসবহুল ক্রেতা একটু বেশি সতর্ক হয়ে উঠেছেন। মামদানি যত বেশি জনপ্রিয়তা অর্জন করছেন, ততই তাদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে। অনেককে বলতে শোনা যাচ্ছে– ‘হায়, শহরটি কোথায় যাচ্ছে!’ ৩৩ বছর বয়সী গণতান্ত্রিক সমাজতান্ত্রিক মামদানি গত জুনের শেষ দিকে নিউইয়র্কের মেয়র প্রাইমারিতে জয়লাভ করেন। এর পর থেকে বেশ কয়েকজন পেশাদার আবাসন ব্যবসায়ী সিএনএনকে জানান, উচ্চস্তরের ক্রেতারা তাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণ বন্ধ করতে শুরু করেছেন। মামদানির প্রস্তাবিত নীতিগুলোর সম্ভাব্য প্রভাব সম্পর্কে অনিশ্চিত। তারা আরও বলেন, মামদানির জয়ের ফলে তাঁর রাজনীতির সঙ্গে একমত না হওয়া নিউইয়র্কের কিছু ধনী বাসিন্দা শহর ত্যাগের পরিকল্পনা ত্বরান্বিত করেছেন। মামদানি ১০ লাখ ডলারের বেশি আয়কারী নিউইয়র্কের বাসিন্দাদের ওপর ২ শতাংশ হারে কর আরোপের প্রস্তাব করেছেন। তাঁর কাছে আবাসন প্রস্তাবের একটি তালিকাও আছে, যার মধ্যে রয়েছে– ভাড়া স্থির করার প্রতিশ্রুতি, ব্যাপক পাবলিক হাউজিং নির্মাণ ও সংস্কার এবং কঠোর তদারকি। মার্কিন গণমাধ্যমটি বলছে, মামদানি মেয়র হলেও তাঁর প্রস্তাবগুলো বাস্তবে পরিণত নাও হতে পারে। এর অনেক কারণ রয়েছে। তবুও তাঁর প্রাথমিক জয় বাত্রার কিছু ক্লায়েন্টকে আতঙ্কিত করে তুলেছে। কেউই আসলে তাদের কর বাড়ুক, এমনটা চান না। নিউইয়র্ক সিটি বিশ্বের অন্যতম বিলাসবহুল আবাসন বাজারের আবাসস্থল। এটি এমন একটি জায়গা, যেখানে ঝলমলে বিলাসবহুল টাওয়ারের লোকেরা শ্রমিক শ্রেণির বাসিন্দাদের পাশাপাশি বাস করেন। এ শ্রমজীবী শ্রেণির মানুষ ক্রমবর্ধমান ভাড়া ও জীবনযাত্রার ব্যয়ের সঙ্গে তাল মেলাতে লড়াই করছেন। শহরের আবাসন খাতের অবস্থা চরম। নিউইয়র্ক শহরের আপার ইস্ট সাইড এলাকার বাসিন্দাদের বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপ যাচাই করে সিএনএন জানাতে পেরেছে, ওই এলাকার বাসিন্দারা বেনামে মামদানির প্রাথমিক জয়ের পর শহর ছেড়ে যাওয়ার সম্ভাব্য পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেছেন। কিন্তু এখনও এসব গল্প কাল্পনিক। যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক ফল পছন্দ না হলে স্থানান্তরিত হওয়ার হুমকি দেওয়ার একটি দীর্ঘকালীন ঐতিহ্য রয়েছে। মামদানির আবাসন ও অর্থনৈতিক প্রস্তাবগুলো এমন এক সময়ে এসেছে, যখন নিউইয়র্কের ভাড়া ক্রমাগত বাড়ছে। রিয়েলেটর ডটকমের মতে, এ বছরের প্রথম প্রান্তিকে শহরে গড় চাওয়া ভাড়া ছিল ৩ হাজার ৩৯৭ ডলার, যা এক বছরের আগের তুলনায় ৫ দশমিক ৬ শতাংশ বেশি। এটা ২০২০ সালের শুরু থেকে ১৮ শতাংশ বেশি। বাত্রা জানান, কিছু ক্লায়েন্ট যারা ভাড়া আয়ের জন্য ছোট অ্যাপার্টমেন্ট ভবন কেনার পরিকল্পনা করছিলেন, তারা এখন প্রস্তাবিত ভাড়া স্থগিত করার কারণে পুনর্বিবেচনা করছেন। নিউইয়র্কের এ পরিস্থিতির সুবিধা পেতে পারে যুক্তরাষ্ট্রেরই ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্য। সেখানে আবাসন ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত অনেকে জানিয়েছেন, নিউইয়র্ক ছেড়ে আবারও ফ্লোরিডায় আসতে পারেন অনেকে। এমনটাই ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। মামদানির জয়ে নিউইয়র্কের আবাসন খাতে আতঙ্ক ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত নিতে বিভক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়ন একই অভিযোগে এনবিআরের আরও ৬ কর্মকর্তা বরখাস্ত শান্তির হ্যাটট্রিকে দুই ভেন্যুর ম্যাচে বাংলাদেশের দুর্দান্ত জয় জবিতে প্রশাসনিক ভবনে তালা দিলেন শিক্ষার্থীরা মালয়েশিয়ায় বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য সুখবর কেন ইমাম হুসাইনের জন্য প্রাণ দিয়েছিলেন হিন্দুরা? সরাসরি কাবার ওপর সূর্য, বিরল মহাজাগতিক ঘটনা গাড়ি থামিয়ে ঘুষের অভিযোগ, ওসিসহ ৬ পুলিশ সদস্য প্রত্যাহার