ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
শহিদ আলিফের পরিবারের জন্য কোটি টাকার তহবিল
জান্তাপ্রধানকে গ্রেফতারে পরোয়ানার আবেদন, স্বাগত জানাল বাংলাদেশ
বিচারে সরকারের উদ্যোগ নেই
শিশু বলাৎকারের জন্য কখনো ক্ষমা চায়নি ইসকন
স্বাধীন ও নির্ভরযোগ্য জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের জন্য সংস্কার প্রয়োজন
ইসকনের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ
লগি-বৈঠা দিয়ে জামায়াত নেতাদের পিটিয়ে হত্যা: ১৮ বছর পর হাসিনার নামে মামলা
ইউনিক আইডি কার্ড থেকে সরানো হলো শেখ মুজিবের ছবি
শিক্ষার্থীরা আশায় বসে আছেন। দীর্ঘ ছয় বছরেও ইউনিক আইডি কার্ডের দেখা নেই। সাধারণ কোনো কার্ডও পাননি তারা। মুখ থুবড়ে পড়া এই প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক এবং উপপ্রকল্প পরিচালককেও বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোতে (ব্যানবেইস) সংযুক্ত করে রাখা হয়েছে। তাদের দিয়ে কোনোরকমে প্রকল্পের কাজ শেষ করাই এখন উদ্দেশ্য। এদিকে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর ইউনিক আইডি কার্ডের ডিজাইনেও পরিবর্তন এসেছে। কার্ড থেকে সরানো হয়েছে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি। এস্টাবলিশমেন্ট অব ইন্টিগ্রেটেড এডুকেশন ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (আইইআইএমএস) প্রকল্পের আওতায় এ আইডি কার্ড শিক্ষার্থীদের দেওয়ার কাজ এখনো চলমান রয়েছে।
প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত সব শিক্ষার্থীর জন্য একটি ইউনিক আইডি তৈরি
এবং সমন্বিত শিক্ষাতথ্য ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি প্রণয়ন করতে ২০১৮ সালের জুলাই মাসে আইইআইএমএস প্রকল্প নেয় সরকার। মূল প্রকল্প ছিল ৩১৩ কোটি ৩১ লাখ টাকার। পরে ব্যয় বাড়িয়ে করা হয় ৩৫৩ কোটি ২১ লাখ ৪২ হাজার টাকা। এই প্রকল্পে সবচেয়ে বেশি ১৩১ কোটি ১৬ লাখ ৭৬ হাজার টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছিল কম্পিউটার সফটওয়্যার তৈরি ও রক্ষণাবেক্ষণ খাতে। প্রকল্পের বাস্তবায়নকাল বা মেয়াদ ছিল ২০১৮ সালের ১ জুলাই থেকে ২০২১ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত। এর মধ্যে অর্ধেক কাজও শেষ না হওয়ায় কয়েক দফা সময় বাড়িয়ে চলতি বছরের ৩০ জুন করা হয়। জুনের মাঝামাঝি খোঁজ নেওয়া হলে প্রকল্প অফিস থেকে জানানো হয়, ৩০ জুনের মধ্যেই শিক্ষার্থীদের
হাতে ইউনিক আইডি পৌঁছে যাবে। সেটিও হয়নি। এখন কবে নাগাদ এ প্রকল্পের কাজ শেষ হবে বা শিক্ষার্থীরা ইউনিক আইডি কার্ড পাবেন, তা নিয়ে কেউ আশার বাণীও শোনাতে পারছেন না। ব্যানবেইস সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ৯ জুলাই ব্যানবেইসের সভাকক্ষে আইইআইএমএস প্রকল্পের আওতায় ‘শিক্ষার্থী ইউআইডি কার্ডের ডিজাইন চূড়ান্তকরণ’ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ইউনিক আইডি কার্ডের ডিজাইন কী, তা জানতে চান। প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক মো. শামছুল আলম তাকে ডিজাইন দেখান। ডিজাইনটি ছিল এমন, সামনে শিক্ষার্থীর তথ্য এবং ব্যাকগ্রাউন্ডে বাংলাদেশের পতাকা। দীপু মনি সেই ডিজাইনে পরিবর্তন আনতে বলেন। তিনি নির্দেশ দেন, ইউনিক আইডি কার্ডের ব্যাকগ্রাউন্ডে বাংলাদেশের পতাকার ওপরে
হাস্যোজ্জ্বল শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি থাকতে হবে। সেভাবে ডিজাইন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে বলেন। এ ছাড়া কিছু সংশোধনী দেন। প্রকল্প পরিচালক ডিজাইনে পরিবর্তন এনে মন্ত্রণালয়ে পাঠালে সেটির অনুমোদন দেওয়া হয়। এরপর টেন্ডারের মাধ্যমে প্রকল্প অফিস থেকে সেটি সম্প্রতি ছাপানোর জন্য পাঠানো হয়। কিন্তু গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এই কার্ড নিয়ে ফের বিপাকে পড়ে প্রকল্প অফিস। পরবর্তী সময়ে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন হলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, কার্ডের এমন ডিজাইন থাকবে না। এরপর সেপ্টেম্বরের শুরুতে ইউনিক আইডি কার্ডের ডিজাইনে পরিবর্তন আনা হয়। ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সরিয়ে ফেলা হয়। এখন শিক্ষার্থীদের তথ্যের পেছনে
বাংলাদেশের পতাকাই শোভা পাবে। এ পরিবর্তনের ফলে ছাপানো কার্ডগুলোও বাদ দিতে হয়েছে। সূত্র জানিয়েছে, ১ কোটি ৬০ লাখের মধ্যে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ২৫ লাখ ৫ হাজার শিক্ষার্থীর ইউনিক আইডির প্রোফাইল তৈরি হয়েছে। আর ইউনিক আইডি তৈরি হয়েছে ৭৮ লাখ ৩৭ হাজার। এ ছাড়া জন্ম-মৃত্যু রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে ঝুলে রয়েছে ২৬ লাখ আইডি। অন্যদিকে ডিজাইন পরিবর্তন করার ফলে ৬০ লাখ আইডি কার্ড নষ্ট হয়েছে। এগুলো বাদ দিয়েছে প্রকল্প অফিস। নতুন করে এই সংখ্যক কার্ড ছাপাতে মন্ত্রণালয়ে বাজেট চাওয়া হয়েছে। প্রকল্পের কাজ পুরোপুরি কবে শেষ হবে এবং ইউনিক আইডি কার্ড শিক্ষার্থীরা কবে পাবে জানতে গত সোম ও মঙ্গলবার প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক মো. শামছুল আলমের
সঙ্গে দেখা করতে চাইলে তিনি ‘নামাজ’ ও কাজের ব্যস্ততা দেখিয়ে দেখা করেননি। মোবাইলে কল করা হলেও সাড়া দেননি। জানতে চাইলে ব্যানবেইসের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. মজিবুর রহমান বলেন, আমি এখানে নতুন এসেছি। যতটুকু জেনেছি, এ প্রকল্পের কাজ শেষ। এর বাইরে বেশিকিছু জানি না। খোঁজ নিয়ে জানতে হবে।
এবং সমন্বিত শিক্ষাতথ্য ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি প্রণয়ন করতে ২০১৮ সালের জুলাই মাসে আইইআইএমএস প্রকল্প নেয় সরকার। মূল প্রকল্প ছিল ৩১৩ কোটি ৩১ লাখ টাকার। পরে ব্যয় বাড়িয়ে করা হয় ৩৫৩ কোটি ২১ লাখ ৪২ হাজার টাকা। এই প্রকল্পে সবচেয়ে বেশি ১৩১ কোটি ১৬ লাখ ৭৬ হাজার টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছিল কম্পিউটার সফটওয়্যার তৈরি ও রক্ষণাবেক্ষণ খাতে। প্রকল্পের বাস্তবায়নকাল বা মেয়াদ ছিল ২০১৮ সালের ১ জুলাই থেকে ২০২১ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত। এর মধ্যে অর্ধেক কাজও শেষ না হওয়ায় কয়েক দফা সময় বাড়িয়ে চলতি বছরের ৩০ জুন করা হয়। জুনের মাঝামাঝি খোঁজ নেওয়া হলে প্রকল্প অফিস থেকে জানানো হয়, ৩০ জুনের মধ্যেই শিক্ষার্থীদের
হাতে ইউনিক আইডি পৌঁছে যাবে। সেটিও হয়নি। এখন কবে নাগাদ এ প্রকল্পের কাজ শেষ হবে বা শিক্ষার্থীরা ইউনিক আইডি কার্ড পাবেন, তা নিয়ে কেউ আশার বাণীও শোনাতে পারছেন না। ব্যানবেইস সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ৯ জুলাই ব্যানবেইসের সভাকক্ষে আইইআইএমএস প্রকল্পের আওতায় ‘শিক্ষার্থী ইউআইডি কার্ডের ডিজাইন চূড়ান্তকরণ’ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ইউনিক আইডি কার্ডের ডিজাইন কী, তা জানতে চান। প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক মো. শামছুল আলম তাকে ডিজাইন দেখান। ডিজাইনটি ছিল এমন, সামনে শিক্ষার্থীর তথ্য এবং ব্যাকগ্রাউন্ডে বাংলাদেশের পতাকা। দীপু মনি সেই ডিজাইনে পরিবর্তন আনতে বলেন। তিনি নির্দেশ দেন, ইউনিক আইডি কার্ডের ব্যাকগ্রাউন্ডে বাংলাদেশের পতাকার ওপরে
হাস্যোজ্জ্বল শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি থাকতে হবে। সেভাবে ডিজাইন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে বলেন। এ ছাড়া কিছু সংশোধনী দেন। প্রকল্প পরিচালক ডিজাইনে পরিবর্তন এনে মন্ত্রণালয়ে পাঠালে সেটির অনুমোদন দেওয়া হয়। এরপর টেন্ডারের মাধ্যমে প্রকল্প অফিস থেকে সেটি সম্প্রতি ছাপানোর জন্য পাঠানো হয়। কিন্তু গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এই কার্ড নিয়ে ফের বিপাকে পড়ে প্রকল্প অফিস। পরবর্তী সময়ে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন হলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, কার্ডের এমন ডিজাইন থাকবে না। এরপর সেপ্টেম্বরের শুরুতে ইউনিক আইডি কার্ডের ডিজাইনে পরিবর্তন আনা হয়। ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সরিয়ে ফেলা হয়। এখন শিক্ষার্থীদের তথ্যের পেছনে
বাংলাদেশের পতাকাই শোভা পাবে। এ পরিবর্তনের ফলে ছাপানো কার্ডগুলোও বাদ দিতে হয়েছে। সূত্র জানিয়েছে, ১ কোটি ৬০ লাখের মধ্যে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ২৫ লাখ ৫ হাজার শিক্ষার্থীর ইউনিক আইডির প্রোফাইল তৈরি হয়েছে। আর ইউনিক আইডি তৈরি হয়েছে ৭৮ লাখ ৩৭ হাজার। এ ছাড়া জন্ম-মৃত্যু রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে ঝুলে রয়েছে ২৬ লাখ আইডি। অন্যদিকে ডিজাইন পরিবর্তন করার ফলে ৬০ লাখ আইডি কার্ড নষ্ট হয়েছে। এগুলো বাদ দিয়েছে প্রকল্প অফিস। নতুন করে এই সংখ্যক কার্ড ছাপাতে মন্ত্রণালয়ে বাজেট চাওয়া হয়েছে। প্রকল্পের কাজ পুরোপুরি কবে শেষ হবে এবং ইউনিক আইডি কার্ড শিক্ষার্থীরা কবে পাবে জানতে গত সোম ও মঙ্গলবার প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক মো. শামছুল আলমের
সঙ্গে দেখা করতে চাইলে তিনি ‘নামাজ’ ও কাজের ব্যস্ততা দেখিয়ে দেখা করেননি। মোবাইলে কল করা হলেও সাড়া দেননি। জানতে চাইলে ব্যানবেইসের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. মজিবুর রহমান বলেন, আমি এখানে নতুন এসেছি। যতটুকু জেনেছি, এ প্রকল্পের কাজ শেষ। এর বাইরে বেশিকিছু জানি না। খোঁজ নিয়ে জানতে হবে।