ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
‘শেখ হাসিনা আ.লীগকে কবর দিয়েছে’
জয়ের যে দাবিকে অপপ্রচার বললেন নিউ এজ সম্পাদক
পলাতক পুলিশ সদস্যদের বেতন বন্ধ, মামলাও হচ্ছে
ঢাকার সড়কে অটোরিকশা চালকরা, বন্ধ যান চলাচল
অক্টোবরে ৪৫২ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪৭৫ জন
জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন হওয়া উচিৎ: তোফায়েল
৫ দেশে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা
১২ বছরে ১২ হাজার কোটি টাকা চাঁদাবাজি হয়েছে শাজাহান খানের ছত্রছায়ায়
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ শ্রমিকের ছত্রছায়ায় গত ৪ বছরে ৬ হাজার কোটি টাকার বেশি চাঁদাবাজি হয়েছে। ‘সড়ক পরিবহণে সংগঠন পরিচালনা ব্যয়’ সংক্রান্ত নির্দেশিকা প্রণয়ন করে এই চাঁদাবাজিকে বৈধতাও দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগ আছে, সড়কে চাঁদাবাজিকে প্রাতিষ্ঠনিক রূপ দিয়েছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাজাহান খান। ফেডারেশনের অন্তর্ভুক্ত ২৪৯ শ্রমিক ইউনিয়নের মাধ্যমে চাঁদা তোলা হয়েছে। এর একটি বড় অংশ নিয়মিত গেছে শাজাহান খানের পকেটে। ফেডারেশনের শীর্ষ নেতা হওয়ার সুবাদে পরিবহণ মালিক সমিতির অপর প্রভাবশালী নেতাকে সঙ্গে নিয়ে সড়ক থেকে কোটি কোটি টাকা চাঁদাবাজি করেছেন। তার ছিল মাস্তান বাহিনী।
এ বাহিনীর কাছে বছরের পর বছর জিম্মি পরিবহণ মালিকরা। বিগত সময়ে বিএনপির নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক
সরকারের দাবিসহ অন্যান্য দাবিতে বৃহৎ পরিসরে আন্দোলনের ডাক দিলেই বন্ধ হয়ে গেছে সড়কের যান চলাচল। এর নেপথ্যেও ছিলেন এই শাজাহান খান। সড়কের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কঠোর শাস্তির বিধান রেখে সড়ক পরিবহণ আইন প্রণয়নের অন্যতম বাধাও ছিলেন তিনি। এদিকে নির্বাচনি হলফনামায় দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০০৮ সালে শাজাহান খানের বার্ষিক আয় ছিল ৬ লাখ ৮৫ হাজার টাকা। যা ২০২৪ সালে হয়েছে ২ কোটি ২১ লাখ টাকা। এ সময়ে তার আয় বেড়েছে প্রায় ৩২ গুণ। পরিবহণ শ্রমিক নেতা মোহাম্মদ হানিফ খোকন বলেন, সড়ক পরিবহণ আইনে রাস্তা থেকে চাঁদা উঠানোর কোনো বিধান নেই। এরপরও পরিবহণ খাতে বেপরোয়া চাঁদাবাজির নেতৃত্বে ছিলেন শাজাহান খান। বিভিন্ন টার্মিনাল,
উপজেলা পর্যায়ে চাঁদা তুলে পাঁচ ভাগের এক ভাগ বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ শ্রমিক ফেডারেশনের নামে গেছে। এই ফেডারেশনের সবকিছুই চলেছে শাজাহান খানের ইশারায়। ২০০৯ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত পরিবহণ সেক্টরে ১২ হাজার কোটি টাকা চাঁদাবাজি করেছে শাজাহান খানের লোকজন। তিনি আরও বলেন, শাজাহান খান ও সহযোগীরা ক্ষমতার অপব্যবহার করে পরিবহণে চাঁদাবাজির স্বর্গরাজ্য গড়ে তুলেছিলেন। চাঁদাবাজির আয়ে পরিবার, পরিজন, আত্মীয়স্বজনের নামে তারা বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থ ও সম্পদ করেছেন। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে আমাদের আবেদন, অনতিবিলম্বে তদন্ত করে এসব অবৈধ সম্পত্তি জব্দ করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়া হোক। সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পরপরই পরিবহণ খাতে অপ্রতিরোধ্য
হয়ে ওঠেন নেতা শাজাহান খান। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের আগ মুহূর্ত পর্যন্ত পরিবহণ খাতে একচ্ছত্র প্রভাব ছিল তার। ২০০৯ সাল থেকে সড়কে বিক্ষিপ্ত আকারে নানা অঙ্কের চাঁদা তোলা হতো। করোনাকালে সরকার লকডাউন ঘোষণা করলে গণপরিবহণ চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে ২০২০ সালের পহেলা জুন থেকে গণপরিবহণ চালুর সিদ্ধান্ত হয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর অবস্থানে ২০২০ সালের জুন, জুলাই ও আগস্ট এই ৩ মাস সড়কে চাঁদা তোলা বন্ধ ছিল। এ সময় চাঁদা তোলার নতুন ফন্দি আঁটা হয়। প্রণয়ন করা হয় সড়ক পরিবহণ সংগঠন পরিচালনা ব্যয় বা সার্ভিস চার্জসংক্রান্ত নির্দেশিকা। এ নির্দেশিকা প্রণয়নের সঙ্গে যুক্ত ছিল বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ মালিক সমিতি,
সড়ক পরিবহণ শ্রমিক ফেডারেশন, বাস ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন, ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান মালিক সমিতি।
সরকারের দাবিসহ অন্যান্য দাবিতে বৃহৎ পরিসরে আন্দোলনের ডাক দিলেই বন্ধ হয়ে গেছে সড়কের যান চলাচল। এর নেপথ্যেও ছিলেন এই শাজাহান খান। সড়কের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কঠোর শাস্তির বিধান রেখে সড়ক পরিবহণ আইন প্রণয়নের অন্যতম বাধাও ছিলেন তিনি। এদিকে নির্বাচনি হলফনামায় দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০০৮ সালে শাজাহান খানের বার্ষিক আয় ছিল ৬ লাখ ৮৫ হাজার টাকা। যা ২০২৪ সালে হয়েছে ২ কোটি ২১ লাখ টাকা। এ সময়ে তার আয় বেড়েছে প্রায় ৩২ গুণ। পরিবহণ শ্রমিক নেতা মোহাম্মদ হানিফ খোকন বলেন, সড়ক পরিবহণ আইনে রাস্তা থেকে চাঁদা উঠানোর কোনো বিধান নেই। এরপরও পরিবহণ খাতে বেপরোয়া চাঁদাবাজির নেতৃত্বে ছিলেন শাজাহান খান। বিভিন্ন টার্মিনাল,
উপজেলা পর্যায়ে চাঁদা তুলে পাঁচ ভাগের এক ভাগ বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ শ্রমিক ফেডারেশনের নামে গেছে। এই ফেডারেশনের সবকিছুই চলেছে শাজাহান খানের ইশারায়। ২০০৯ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত পরিবহণ সেক্টরে ১২ হাজার কোটি টাকা চাঁদাবাজি করেছে শাজাহান খানের লোকজন। তিনি আরও বলেন, শাজাহান খান ও সহযোগীরা ক্ষমতার অপব্যবহার করে পরিবহণে চাঁদাবাজির স্বর্গরাজ্য গড়ে তুলেছিলেন। চাঁদাবাজির আয়ে পরিবার, পরিজন, আত্মীয়স্বজনের নামে তারা বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থ ও সম্পদ করেছেন। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে আমাদের আবেদন, অনতিবিলম্বে তদন্ত করে এসব অবৈধ সম্পত্তি জব্দ করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়া হোক। সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পরপরই পরিবহণ খাতে অপ্রতিরোধ্য
হয়ে ওঠেন নেতা শাজাহান খান। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের আগ মুহূর্ত পর্যন্ত পরিবহণ খাতে একচ্ছত্র প্রভাব ছিল তার। ২০০৯ সাল থেকে সড়কে বিক্ষিপ্ত আকারে নানা অঙ্কের চাঁদা তোলা হতো। করোনাকালে সরকার লকডাউন ঘোষণা করলে গণপরিবহণ চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে ২০২০ সালের পহেলা জুন থেকে গণপরিবহণ চালুর সিদ্ধান্ত হয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর অবস্থানে ২০২০ সালের জুন, জুলাই ও আগস্ট এই ৩ মাস সড়কে চাঁদা তোলা বন্ধ ছিল। এ সময় চাঁদা তোলার নতুন ফন্দি আঁটা হয়। প্রণয়ন করা হয় সড়ক পরিবহণ সংগঠন পরিচালনা ব্যয় বা সার্ভিস চার্জসংক্রান্ত নির্দেশিকা। এ নির্দেশিকা প্রণয়নের সঙ্গে যুক্ত ছিল বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ মালিক সমিতি,
সড়ক পরিবহণ শ্রমিক ফেডারেশন, বাস ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন, ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান মালিক সমিতি।