সীমান্ত হত্যা বন্ধ ও পানির ন্যায্য হিস্যার দাবিতে মশাল মিছিল – ইউ এস বাংলা নিউজ




সীমান্ত হত্যা বন্ধ ও পানির ন্যায্য হিস্যার দাবিতে মশাল মিছিল

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ৯ অক্টোবর, ২০২৪ | ১০:১৬ 116 ভিউ
বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে হত্যা বন্ধ ও নদীর পানির ন্যায্য হিস্যার দাবিতে মশাল মিছিল করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা। বুধবার (৯ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় কলা ও মানবিকী অনুষদের সামনে থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে শহিদ মিনার সংলগ্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। এ সময় শিক্ষার্থীদের ‘সীমান্তে হত্যা কেন, জবাব চাই দিতে হবে’, ‘ভারতীয় আগ্রাসন, রুখে দেবে জনগণ’, ‘সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসন, রুখে দেবে জনগণ’, ‘নদীর পানি ট্রানজিট গ্যাস, জবাব দেবে বাংলাদেশ’, ‘ভারতীয় প্রকল্প, চলবে না চলবে না’- ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়। সংক্ষিপ্ত সমাবেশে উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম ইমন বলেন, বাংলাদেশের জন্ম থেকে এ পর্যন্ত সীমান্তে ভারত যত মানুষ হত্যা করেছে,

পৃথিবীর ইতিহাসে যুদ্ধ ছাড়া আর কোথাও এতো মানুষ হত্যার শিকার হয়নি। আমরা স্বাধীনতার পর থেকেই এর প্রতিবাদ জানিয়ে আসছি। যুগে যুগে এদেশে শাসক পালটেছে কিন্তু ভারতীয় শোষণ পালটায়নি। আমরা সরকারকে বলতে চাই, ভারতীয় আগ্রাসন বন্ধে উদ্যোগ না নিলে আমরা ভারতীয় হাইকমিশন ঘেরাও করব। সরকার ও রাজনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী সিফাত উল্লাহ বলেন, ভারত সবসময় বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের অধিকার নিয়ে সোচ্চার দেখায়। কিন্তু পরক্ষণেই আমরা দেখি সীমান্তে দুজনকে হত্যা করেছে, যারা হিন্দু ধর্মাবলম্বী। এর দ্বারা বোঝা যায়, ভারত শুধু রাজনৈতিক স্বার্থে সংখ্যালঘুদের অধিকারের কথা বলে। তারা এদেশের সংখ্যালঘুদের সঙ্গে নাই, তারা তাদের দেশের সংখ্যালঘুদের সঙ্গেও নাই। তারা শুধু দিল্লির স্বার্থেই এদেশের সংখ্যালঘুদের ব্যবহার করে। গণিত

বিভাগের শিক্ষার্থী আব্দুল হাই স্বপন বলেন, আমরা চাই সীমান্তে আর লাশ না পড়ুক। সীমান্তে যদি আর লাশ পড়ে তাহলে আমরা ভারতীয় হাইকমিশন ঘেরাও করব। উত্তরবঙ্গে প্রতিবছর যে বন্যা হয়, সেটা ভারতের সঙ্গে থাকা অভিন্ন নদীরগুলোর পানির নায্য হিস্যা না থাকায়। দুই দেশের মধ্যে থাকা ৫৪টি অভিন্ন নদীর পানির নায্য হিস্যা আমাদের বুঝিয়ে দিতে হবে। আর যেন সীমান্তে কোন হত্যা না হয়। অন্তর্বর্তী সরকার এর একটি স্থায়ী সমাধান করুক। দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী রিজন বলেন, আমরা কোনো আধিপত্যমূলক সম্পর্ক চাই না। আমরা চাই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। সীমান্তে যদি আর একটি লাশ পড়ে, আমরা চুপ করে বসে থাকব না। সরকার ও রাজনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী জিয়া উদ্দিন

আয়ান বলেন, ফ্যাস্টিস্ট সরকারের সময়ে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী ৭০০ বাংলাদেশেীকে সীমান্তে হত্যা করেছে। পৃথিবীর আর কোথাও এমন নজির নেই। নিরস্ত্র মানুষকে যেন আর সীমান্তে হত্যার শিকার না হতে হয়, আমরা তার সুষ্ঠু সমাধান চাই। সমাপনী বক্তব্যে মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী ইমরান শাহরিয়ার বলেন, ১৯৭১ সালের পরবর্তী সময় থেকে ভারতকে বন্ধুপ্রতীম রাষ্ট্র হিসেবে মনে করে আসছি। কিন্তু তারা এর বিনিময়ে সীমান্তে লাশ, বন্যা ও খরা উপহার দিয়েছে। ভারত সরকারকে বলতে চাই, আপনারা আন্তর্জাতিক নদী আইন লঙ্ঘন করছেন। সীমান্তে যদি আর একবার গুলি চলে আমরা বসে থাকব না। নদীর পানির নায্য হিস্যা বুঝিয়ে দিন। সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসন চালাবেন না। আমরা যে আপনাদের বন্ধু মনে

করছি, সে বন্ধুত্বের পরিচয় দিন।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় শুরু তাজিয়া মিছিল বিক্ষোভে উত্তাল তেলআবিব রাউজানে বোরকা পরে এসে যুবদল কর্মীকে গুলি করে হত্যা পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘাতে ভারতের ২৫০ সেনা নিহত অবশেষে গ্লোবাল সুপার লিগে দল পেলেন সাকিব চাঁদাবাজির মামলায় গাজীপুরের সাবেক বিএনপি নেতা স্বপন গ্রেফতার ব্রাজিলে আজ শুরু ব্রিকস সম্মেলন, থাকছেন না শি-পুতিন টেক্সাসে ভয়াবহ বন্যা: নিহত বেড়ে ৫১ পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘাতে তিন প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে লড়েছি : ভারতের উপ-সেনাপ্রধান ফিল্মি স্টাইলে স্পিডবোটে চড়ে গুলিবর্ষণ, আহত ১ তিনদিন পর বাংলাদেশীর লাশ ফেরত দিল বিএসএফ মহররম মাসে বিয়ে করা কি অশুভ? ভয়াবহ সংকটে ছয় বিশেষায়িত ব্যাংক অবশেষে গাজা যুদ্ধবিরতির আলোচনায় অংশ নিচ্ছে ইসরাইল প্রতিবেশী দেশকে সুবিধা দিতেই কি অগ্রিম আয়কর! রাজনৈতিক প্রচারকেন্দ্র ছিল নভোথিয়েটার লুটপাটে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে সাভারের ট্যানারি শিল্প আজ পবিত্র আশুরা মালয়েশিয়ায় জঙ্গি সংশ্লিষ্টতায় গ্রেফতার তিনজন কারাগারে অবশেষে গাজা যুদ্ধবিরতির আলোচনায় অংশ নিচ্ছে ইসরাইল