সারা দেশে অপরাধের বিস্তার: বাড়ছে উদ্বেগ – ইউ এস বাংলা নিউজ




সারা দেশে অপরাধের বিস্তার: বাড়ছে উদ্বেগ

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ২৭ জানুয়ারি, ২০২৫ | ১০:০৫ 7 ভিউ
দেশজুড়ে চাঁদাবাজি, দখল, ছিনতাই, মবজাস্টিস, সাইবার অপরাধ, প্রতারণা এবং আত্মহত্যার মতো অপরাধ বৃদ্ধির কারণে জনজীবনে শঙ্কা বেড়েছে। অপরাধ নিয়ন্ত্রণে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী চেষ্টা চালিয়ে গেলেও তাদের সীমিত সামর্থ্যের কারণে অনেক ক্ষেত্রেই তারা অসহায় বোধ করছে। অপরাধ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সামান্য অপরাধের জন্যও মবজাস্টিস বা আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার প্রবণতা সমাজে অসহিষ্ণুতা বাড়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে। এছাড়াও, আইনের যথাযথ প্রয়োগ এবং দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের জবাবদিহিতার অভাব এই পরিস্থিতি তৈরিতে বড় ভূমিকা রাখছে। সাম্প্রতিক অপরাধের ঘটনা ১ জানুয়ারি দিবাগত রাত দেড়টার দিকে হাসিবুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি পরিবারসহ গাজীপুরের শ্রীপুরে নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন। বাসার সামনে গাড়ি দাঁড় করানোর পর স্থানীয় ৮-১০ জন কিশোর তাদের ওপর হামলা চালায়।

তাদের অসভ্য আচরণে বাধা দিতে গিয়ে হাসিবুল ও তার শ্যালক হানিফ গুরুতর আহত হন। পরে বাড়িতে ঢুকে প্রাণ রক্ষা করার চেষ্টা করলেও হাসিবুল শেষ পর্যন্ত প্রাণ হারান। ২২ জানুয়ারি ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল এলাকায় মোটরসাইকেল চুরির অভিযোগে রুবেল নামের এক যুবককে নির্মমভাবে প্রহারের ঘটনা ঘটে। তাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে পেটানোর একপর্যায়ে তার মৃত্যু হয়। কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্য রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের আধিপত্য বৃদ্ধি পেয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় প্রভাবশালীদের মদদে তারা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ছিনতাই, ডাকাতি ও সহিংস অপরাধের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। ঢাকায় সাম্প্রতিক ৪০ দিনে ছিনতাইয়ের শিকার হয়ে মামলা করেছেন অন্তত ৩৪ জন। ৫ আগস্ট

থেকে ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত ছিনতাইকারীর হামলায় সাতজন নিহত হন। এ সময় অনেক ব্যবসায়ী ও সাধারণ নাগরিকের ওপর হামলা চালিয়ে তাদের সম্পত্তি ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। বিশেষজ্ঞ মতামত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ড. তৌহিদুল হক বলেন, অপরাধে জড়িতদের বড় অংশই তরুণ বা কিশোর। সামাজিক অসহিষ্ণুতা, প্রতিশোধপ্রবণতা এবং আইনের প্রতি শ্রদ্ধার অভাবের কারণে এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোকে গণতান্ত্রিক উপায়ে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতি সাড়া দেওয়া উচিত। দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষের স্বচ্ছতা ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ অপরাধ কমানোর একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায় হতে পারে। অপরাধ কমাতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কার্যকর পদক্ষেপ, সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি এবং দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষের জবাবদিহি নিশ্চিত করা জরুরি। সরকারের

পাশাপাশি নাগরিকদেরও তাদের নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করতে হবে। সমাজে সহনশীলতা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এই সমস্যা সমাধান করা সম্ভব।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
আইএসকে সংগঠিত হওয়ার সুযোগ দিচ্ছে পাকিস্তান, দাবি তালেবানের রানিং স্টাফরা দাবিতে অনড়, ‘বন্ধ হচ্ছে’ ট্রেন চলাচল সিলেটের বিদায়ঘণ্টা বাজিয়ে প্লে-অফের দৌড়ে রাজশাহীর স্বস্তি বিশ্ব ইজতেমায় মুসল্লিদের যাতায়াতে ডিএমপির ১৩ নির্দেশনা তিনদিন বাদে শুরু ইজতেমা, মাঠ প্রস্তুতি শেষের দিকে ‘টাকা থাকলে দল নেবেন, না থাকলে নেবেন না’ সৈকতে ২৪ দিনে ভেসে এলো ৮৪ মৃত বিপন্ন কচ্ছপ স্ত্রী ও দুই সন্তানকে হত্যার পর মার্কিন যুবকের আত্মহত্যা ইমরান খানকে সরানোর ‘কারিগর’ ছিলেন ডোনাল্ড লু কঙ্গোর বৃহত্তম শহর নিয়ন্ত্রণে নিল এম২৩ বিদ্রোহীরা আট জিম্মি মারা গেছে, ইসরাইলকে জানাল হামাস হুমকির পর ট্রাম্পের শর্তে রাজি কলম্বিয়া পর্দার পেছনের ভিডিও ফাঁস, চাহাত ফতেহ আলীর আচরণে ক্ষুব্ধ মাথিরা জরুরি বৈঠকে সিদ্ধান্ত, ঢাবির অধীনে থাকছে না ৭ কলেজ চীনের ল্যাব থেকেই ছড়িয়েছে করোনা, দাবি সিআইএ’র পিএসসির অধীনে নিয়োগ পাওয়া ৩৫৩৪ জনের নিয়োগ স্থগিত ইবতেদায়ি মাদ্রাসা জাতীয়করণে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেশের প্রথম সবুজ ডিজিটাল ডেটা সেন্টার নির্মাণে সহায়তা দেবে এডিবি ছাগলকাণ্ডের মতিউরকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করবে দুদক সিরিয়ায় তিনদিনে ৩৫ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর