সর্বজনীন পেনশনে জনগণের আস্থা বাড়াতে হবে: অর্থ উপদেষ্টা – ইউ এস বাংলা নিউজ




সর্বজনীন পেনশনে জনগণের আস্থা বাড়াতে হবে: অর্থ উপদেষ্টা

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ | ৯:৪৪ 106 ভিউ
সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচিতে চালু হওয়া চারটি স্কিম বিদ্যমান নিয়মই চলমান থাকবে। তবে রাষ্ট্রায়ত্ত, স্বায়ত্তশাসিত, স্বশাসিত, বিধিবদ্ধ সংস্থা ও সরকারি চাকরিজীবীদের এর আওতায় আনার ক্ষেত্রে যৌক্তিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করে স্কিম চূড়ান্ত করতে হবে। সর্বিকভাবে আগামীতে এ কর্মসূচিতে গতি আনতে জনগণের আস্থা বাড়াতে হাতে নিতে হবে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম। আজ সোমবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি নিয়ে কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে এ কথা অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। বৈঠকে অর্থ সচিব ড. মো. খায়েরজ্জামান মজুমদার, জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান কবিরুল ইজদানী খান, সদস্য মো. গোলাম মোস্তফাসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। বৈঠকে পেনশন কর্তৃপক্ষের পক্ষ

থেকে বলা হয়, চলমান চার স্কিমের পাশাপাশি গত ১ জুলাই থেকে নতুন যুক্ত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ রাষ্ট্রায়ত্ত, স্বায়ত্তশাসিত, স্বশাসিত ও বিধিবদ্ধ সংস্থার চাকরিজীবীর জন্য প্রত্যয় স্কিম চালু করার সিদ্ধান্ত ছিল। তবে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এক মাসের বেশি সময় আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে এটি বাতিল করতে বাধ্য হয় বিগত সরকার। আগামী বছরের ১ জুলাই থেকে সব ধরনের সরকারি চাকরিতে নতুন যোগ দেওয়া কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এ কর্মসূচির আওতায় পেনশন দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হলেও পরে সেখান থেকে পিছিয়ে এসেছে সরকার। এ প্রসঙ্গে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আগামীতে এসব ক্ষেত্রে যৌক্তিক স্কিম হাতে নিতে হবে। যাতে পরবর্তীতে কোনো বিতর্কের সৃষ্টি না হয়। সার্বিকভাবে এ কর্মসূচিতে মানুষের

আস্থা বাড়াতে হবে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত বছরের ১৭ আগস্ট আনুষ্ঠানিকভাবে সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। সেদিন থেকেই বেসরকারি খাতের চাকরিজীবীদের জন্য ‘প্রগতি’, স্বকর্মে নিয়োজিত ব্যক্তিদের জন্য ‘সুরক্ষা’, প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য ‘প্রবাসী’ এবং নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠীর জন্য ‘সমতা’- এই চার স্কিম সবার জন্য উন্মুক্ত করা হয়। উদ্বোধনের পর পর ভালো সাড়া না পাওয়া গেলে পরবর্তী সরকারের নানা উদ্যোগে চার স্কিমে গ্রাহক সংখ্যা বাড়তে থাকে। গত মে ও জুন এ দুই মাসে দুই লাখের বেশি মানুষ এ কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত হন। তবে এর পরের দুই মাসেরও বেশি সময়ে নতুন গ্রাহক প্রায় ২১ হাজারে নামে। গতকাল সেমবার পর্যন্ত কর্মসূচির চার স্কিমে ৩ লাখ

৭৩ হাজার জন গ্রাহক প্রায় ১২৩ কোটি টাকা চাঁদা জমা দিয়েছেন। জানা গেছে, পুরোপুরি প্রস্তুতি না নিয়েই ভোটের আগে তড়িঘড়ি করে এ কর্মসূচি নেয় তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার। অন্তর্ভুক্তির চাঁদা ও পরবর্তী সময়ে পেনশন সুবিধা পাওয়া নিয়ে ধোঁয়াশা থাকায় নানা সমালোচনা হয়। বিশেষ করে পেনশন দেওয়ার ক্ষেত্রে মূল্যস্ফীতির হারকে যথাযথভাবে আমলে নেওয়া হয়নি। শুরুর সময়েই প্রস্তুতির ঘাটতির অভিযোগ তুলে এ কার্যক্রমের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন তুলেন অর্থনীতিবিদরা। এমনকি সরকার পরিবর্তন হলে এটি বন্ধ হয়ে যেতে পারে– এমন শঙ্কাও ছিল। তবে গতকাল বৈঠক শেষে ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, এ কর্মসূচি স্বাভাবিক নিয়মে চলমান থাকবে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
গাজা সীমান্তে ৪০ হাজার সেনা মোতায়েন করল মিসর মালয়েশিয়ায় শ্রমিক যাবে শূন্য অভিবাসন ব্যয়ে ফজর নামাজের সময় মসজিদে নারকীয় তাণ্ডব, নিহত ২৭ সৌদিগামী যাত্রীদের জন্য সুখবর ‘৫১ লাখ টাকার স্টেডিয়াম ১৪ কোটিতে করার অনুমোদন’, কী ব্যাখ্যা দিলেন সচিব দুপুরের মধ্যে ৭ জেলায় হতে পারে বজ্রবৃষ্টি ১৯ ভোটারে একজন প্রার্থী রাশিয়া শক্তিশালী, এটা মেনে নিতেই হবে : ট্রাম্প ফেব্রুয়ারির কত তারিখে রোজা শুরু হতে পারে রুশ ট্রেনে ইউক্রেনীয় বাহিনীর ভয়াবহ হামলা যুক্তরাজ্য থেকে আসবে ৩ কার্গো এলএনজি এআই ভিডিও দিয়ে অপপ্রচার, দাবি বিএফআইইউর প্রধানের কলিং ভিসায় সাড়ে ২৪ লাখের বেশি কর্মী নেবে মালয়েশিয়া এনবিআরের শীর্ষ ১৭ কর্মকর্তার সম্পদের হিসাব চেয়েছে দুদক আন্তর্জাতিক মানের নির্বাচন আয়োজনে ইসিকে ৪০ লাখ ইউরো দেবে ইইউ বিপিএলের ফিক্সিং নিয়ে যা বললেন তামিম ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে বিজ্ঞাপনে রেকর্ড ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ ৪১ হাজার শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশের ফল প্রকাশ, জানা যাবে যেভাবে সাভারে ছাত্র হত্যা মামলার আসামি এখন রাজাপুরের ইউএনও