ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স                            
                        আরও খবর
                                পর্দার আড়ালে দরকষাকষি: শর্ত নতুন সংবিধান প্রণয়ন
                                এমপিও শিক্ষকদের সর্বোচ্চ বেতন ১ লাখ ৫৬ হাজার, সর্বনিম্ন বেতন ৩০
                                ঢাবি শিক্ষার্থীদের ‘মেরে ঠ্যাং ভেঙে’ দেওয়ার হুমকি দিলেন শিবিরপন্থী ডাকসু সদস্য সর্বমিত্র চাকমা
                                চবি ক্যাম্পাস থেকে ছাত্রলীগ কর্মী সেজানকে তুলে নিয়ে কোপালো গুপ্ত শিবির সন্ত্রাসীরা
                                শিক্ষকদের এন্ট্রি পদ নবম গ্রেডসহ ৪-৬ স্তরের পদসোপান দাবি
                                শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জন্য মাউশির সতর্কবার্তা
                                রাবির দ্বাদশ সমাবর্তনের তারিখ ঘোষণা
সংকট কাটেনি ১৯ বছরেও
                             
                                               
                    
                         জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) দিবস আজ রোববার। প্রতিষ্ঠার ১৯ বছর পেরিয়ে ২০ বছরে পা দিল বিশ্ববিদ্যালয়টি। ২০০৫ সালের ১১ সেপ্টেম্বর অষ্টম জাতীয় সংসদের ১৮তম অধিবেশনে ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০০৫’ উত্থাপন করা হয়। ২০ অক্টোবর প্রজ্ঞাপন জারি করে জগন্নাথ কলেজকে পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণা করা হয়। এরপর থেকে ২০ অক্টোবরকে ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়।
প্রতিষ্ঠার ১৯ বছর পরও নানা সংকটে জর্জরিত বিশ্ববিদ্যালয়টি। প্রতিষ্ঠানটিতে বর্তমানে ৩৮টি বিভাগ ও দুটি ইনস্টিটিউটে শিক্ষার্থী আছেন ১৭ হাজারেরও বেশি। শিক্ষক রয়েছেন সাত শতাধিক। মাত্র সাড়ে সাত একরের বিশ্ববিদ্যালয়ে সবচেয়ে বড় সংকট আবাসন। নেই পর্যাপ্ত পরিবহন, ক্যান্টিন, ল্যাব, লাইব্রেরি ও মেডিকেল সুবিধা।
কলেজ থাকাকালীন পুরান ঢাকার বিভিন্ন পরিত্যক্ত বাড়িতে 
তৎকালীন শিক্ষার্থীরা যেসব ছাত্রাবাস তৈরি করেন, ১৯৮৫ সালের পর থেকে সেগুলো প্রভাবশালীদের দখলে চলে যেতে থাকে। বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণার পর শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে হল উদ্ধারে সরকার একাধিক কমিটি করলেও ১১টি হলের মধ্যে মাত্র দুটি উদ্ধার সম্ভব হয়। নতুন করে সেগুলো উদ্ধারের চেষ্টা করছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও শিক্ষার্থীরা। এদিকে ২০১৪ সালে জবির একমাত্র হল বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব ছাত্রী হলের নির্মাণকাজ শুরু হয়। লিয়াকত অ্যাভিনিউয়ের ওই হলে ২০২২ সালের মার্চে ৬২৪টি আসনের বিপরীতে ১২শ ছাত্রীর থাকার ব্যবস্থা হয়। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব অর্থায়নে কিছু বাস কেনার পর পরিবহন সংকট কিছুটা কমলেও পুরোপুরি কাটেনি। বেশিরভাগ শিক্ষার্থী মেস বা ভাড়া বাড়িতে থাকায় ঝুঁকি নিয়ে ক্যাম্পাসে যাতায়াত
করতে হচ্ছে। প্রতিনিয়ত নানা হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। প্রায় ১৮ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে আছে মাত্র একটি ক্যাফেটেরিয়া। সেখান থেকে নিম্নমানের খাবার কিনতে হচ্ছে উচ্চমূল্যে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে নেই ভর্তুকির ব্যবস্থাও। অন্যদিকে জবির দ্বিতীয় ফটকের সামনে একটি ক্যান্টিন তৈরির কথা বলা হলেও নকশাতেই আটকে আছে সে প্রকল্প। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে ১৮ হাজার শিক্ষার্থীর বিপরীতে আসন সংখ্যা মাত্র ৩৫০টি। তাই এক প্রকার গাদাগাদি করেই সেখানে বসতে হয় শিক্ষার্থীদের। এর বাইরে পড়াশোনার পর্যাপ্ত পরিবেশও নেই সেখানে। ভবনের ষষ্ঠ তলায় অবস্থিত লাইব্রেরিটিতে নেই পর্যাপ্ত আলো-বাতাসের ব্যবস্থা। উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা ও আধুনিক চিকিৎসা সরঞ্জামের কোনোটাই নেই একমাত্র মেডিকেল সেন্টারে। ২০০৫ সালে যাত্রালগ্নে ছিলেন দুজন চিকিৎসক। এখনো
তাই। দৈনিক দুই শতাধিক শিক্ষার্থী এখান থেকে চিকিৎসা নেন। কিন্তু লোকবল আর বরাদ্দের অভাবে তাদের যথাযথ সেবা দেওয়া সম্ভব হয় না। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, মেডিকেলে মাথাব্যথা, জ্বর ও পেট খারাপের ওষুধ ছাড়া কিছুই মেলে না। এ কারণে ব্যঙ্গ করে নাপা সেন্টারও ডাকেন অনেকে। ২০১৯ সালের ৯ অক্টোবর কেরানীগঞ্জের তেঘরিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাস স্থাপনে ভূমি অধিগ্রহণ ও উন্নয়নের জন্য প্রকল্প অনুমোদন করে একনেক। প্রায় ২০০ একর জমিতে ১ হাজার ৯২০ কোটি ৯৪ লাখ ৩৯ হাজার টাকার প্রকল্পটি ২০২০ সালের অক্টোবরের মধ্যে বাস্তবায়নের কথা ছিল। কিন্তু চারবার মেয়াদ বাড়িয়েও শেষ হয়নি প্রথম ধাপের কাজই। নতুন ক্যাম্পাসের কাজ দ্রুত শেষ করার মাধ্যমে আবাসনসহ অন্যান্য সংকট
সমাধানের দাবি শিক্ষার্থীদের। শিক্ষার্থী আরিফুল ইসলাম বলেন, অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যেসব সুযোগ-সুবিধা পান, তা থেকে বঞ্চিত আমরা। দ্রুত মৌলিক সমস্যাগুলোর সমাধান চাচ্ছি। জবি উপাচার্য ড. রেজাউল করিম বলেন, ১৯ বছরে অবকাঠামোগত তেমন কোনো উন্নয়ন না হওয়ায় পেছনে বিগত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের গাফিলতি দায়ী। এখন সব কাজ শুরু করেছি, কিছুটা সময়সাপেক্ষ। এরই মধ্যে সব পরিকল্পনা শেষ, শিগগিরই অবকাঠামোগত সমস্যাগুলো সমাধান করব। কিছু সমস্যা আমাদের সাধ্যের বাইরে, সেগুলো থেকে উত্তরণে বিকল্প পথও ভেবে রেখেছি। আশা করি, একে একে সব সমস্যার সমাধান হবে। উল্লেখ্য, ১৮৫৮ সালে প্রতিষ্ঠিত ব্রাহ্ম স্কুলের পরিবর্তিত রূপই আজকের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। ১৮৭২ সালে বালিয়াটির জমিদার কিশোরী লাল রায় তার পিতা জগন্নাথ রায় চৌধুরীর নামে
এর নামকরণ করেন।
                    
                                                          
                    
                    
                                    তৎকালীন শিক্ষার্থীরা যেসব ছাত্রাবাস তৈরি করেন, ১৯৮৫ সালের পর থেকে সেগুলো প্রভাবশালীদের দখলে চলে যেতে থাকে। বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণার পর শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে হল উদ্ধারে সরকার একাধিক কমিটি করলেও ১১টি হলের মধ্যে মাত্র দুটি উদ্ধার সম্ভব হয়। নতুন করে সেগুলো উদ্ধারের চেষ্টা করছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও শিক্ষার্থীরা। এদিকে ২০১৪ সালে জবির একমাত্র হল বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব ছাত্রী হলের নির্মাণকাজ শুরু হয়। লিয়াকত অ্যাভিনিউয়ের ওই হলে ২০২২ সালের মার্চে ৬২৪টি আসনের বিপরীতে ১২শ ছাত্রীর থাকার ব্যবস্থা হয়। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব অর্থায়নে কিছু বাস কেনার পর পরিবহন সংকট কিছুটা কমলেও পুরোপুরি কাটেনি। বেশিরভাগ শিক্ষার্থী মেস বা ভাড়া বাড়িতে থাকায় ঝুঁকি নিয়ে ক্যাম্পাসে যাতায়াত
করতে হচ্ছে। প্রতিনিয়ত নানা হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। প্রায় ১৮ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে আছে মাত্র একটি ক্যাফেটেরিয়া। সেখান থেকে নিম্নমানের খাবার কিনতে হচ্ছে উচ্চমূল্যে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে নেই ভর্তুকির ব্যবস্থাও। অন্যদিকে জবির দ্বিতীয় ফটকের সামনে একটি ক্যান্টিন তৈরির কথা বলা হলেও নকশাতেই আটকে আছে সে প্রকল্প। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে ১৮ হাজার শিক্ষার্থীর বিপরীতে আসন সংখ্যা মাত্র ৩৫০টি। তাই এক প্রকার গাদাগাদি করেই সেখানে বসতে হয় শিক্ষার্থীদের। এর বাইরে পড়াশোনার পর্যাপ্ত পরিবেশও নেই সেখানে। ভবনের ষষ্ঠ তলায় অবস্থিত লাইব্রেরিটিতে নেই পর্যাপ্ত আলো-বাতাসের ব্যবস্থা। উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা ও আধুনিক চিকিৎসা সরঞ্জামের কোনোটাই নেই একমাত্র মেডিকেল সেন্টারে। ২০০৫ সালে যাত্রালগ্নে ছিলেন দুজন চিকিৎসক। এখনো
তাই। দৈনিক দুই শতাধিক শিক্ষার্থী এখান থেকে চিকিৎসা নেন। কিন্তু লোকবল আর বরাদ্দের অভাবে তাদের যথাযথ সেবা দেওয়া সম্ভব হয় না। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, মেডিকেলে মাথাব্যথা, জ্বর ও পেট খারাপের ওষুধ ছাড়া কিছুই মেলে না। এ কারণে ব্যঙ্গ করে নাপা সেন্টারও ডাকেন অনেকে। ২০১৯ সালের ৯ অক্টোবর কেরানীগঞ্জের তেঘরিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাস স্থাপনে ভূমি অধিগ্রহণ ও উন্নয়নের জন্য প্রকল্প অনুমোদন করে একনেক। প্রায় ২০০ একর জমিতে ১ হাজার ৯২০ কোটি ৯৪ লাখ ৩৯ হাজার টাকার প্রকল্পটি ২০২০ সালের অক্টোবরের মধ্যে বাস্তবায়নের কথা ছিল। কিন্তু চারবার মেয়াদ বাড়িয়েও শেষ হয়নি প্রথম ধাপের কাজই। নতুন ক্যাম্পাসের কাজ দ্রুত শেষ করার মাধ্যমে আবাসনসহ অন্যান্য সংকট
সমাধানের দাবি শিক্ষার্থীদের। শিক্ষার্থী আরিফুল ইসলাম বলেন, অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যেসব সুযোগ-সুবিধা পান, তা থেকে বঞ্চিত আমরা। দ্রুত মৌলিক সমস্যাগুলোর সমাধান চাচ্ছি। জবি উপাচার্য ড. রেজাউল করিম বলেন, ১৯ বছরে অবকাঠামোগত তেমন কোনো উন্নয়ন না হওয়ায় পেছনে বিগত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের গাফিলতি দায়ী। এখন সব কাজ শুরু করেছি, কিছুটা সময়সাপেক্ষ। এরই মধ্যে সব পরিকল্পনা শেষ, শিগগিরই অবকাঠামোগত সমস্যাগুলো সমাধান করব। কিছু সমস্যা আমাদের সাধ্যের বাইরে, সেগুলো থেকে উত্তরণে বিকল্প পথও ভেবে রেখেছি। আশা করি, একে একে সব সমস্যার সমাধান হবে। উল্লেখ্য, ১৮৫৮ সালে প্রতিষ্ঠিত ব্রাহ্ম স্কুলের পরিবর্তিত রূপই আজকের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। ১৮৭২ সালে বালিয়াটির জমিদার কিশোরী লাল রায় তার পিতা জগন্নাথ রায় চৌধুরীর নামে
এর নামকরণ করেন।

             

