ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
পরিবারের বিরুদ্ধে আনা দুর্নীতির অভিযোগকে ‘ভিত্তিহীন’ বললেন জয়
জাহাজে সাত খুন: গ্রেপ্তার ইরফান ৭ দিনের রিমান্ডে
প্রকাশ্যে দুর্নীতি কমার সঙ্গে কমেছে কাজের গতিও
কৃষক ও মিলারের অনীহা, সরকারের ভান্ডার খাঁ খাঁ
খুলনা থেকে পৌনে চার ঘণ্টায় ঢাকায় জাহানাবাদ এক্সপ্রেস
আসামে ১৬ বাংলাদেশি গ্রেফতার
জলবায়ু প্রশমনে নতুন এনডিসিতে ভূমি, বন ও জলাভূমিকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা
শেখ হাসিনাকে দেশে এনে সবার সামনে বিচার করা হবে: ড. ইউনূস
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে পদচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে সবার সামনে বিচার করা হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সম্প্রতি ভারতীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেছেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ভারতে বসে যে রাজনৈতিক বক্তব্য দিচ্ছেন, তা একটি ‘অবন্ধুসুলভ আচরণ’। যতক্ষণ পর্যন্ত ঢাকা ভারতের কাছে শেখ হাসিনার প্রত্যার্পণের অনুরোধ না করছে, ততক্ষণ পর্যন্ত তাকে অবশ্যই চুপ থাকতে হবে।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘যদি বাংলাদেশ (সরকার) তাকে (শেখ হাসিনা) ফেরত না নেওয়া পর্যন্ত ভারত তাকে রাখতে চায়, তবে অবশ্যই তাকে চুপ থাকতে হবে’।
শেখ হাসিনা ভারতে অবস্থান করাতে কেউই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছে না
উল্লেখ করে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান বলেন, ‘ভারতে তার (শেখ হাসিনার) অবস্থানের কারণেই কেউই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছে না। কারণ তিনি ভারতে আছেন এবং মাঝেমধ্যেই কথা বলছেন, যা সমস্যাজনক। তিনি যদি চুপ থাকতেন, সেখানে নিজের জগতে ডুবে থাকতেন, তবে আমরা হয়তো ভুলে যেতাম, মানুষও হয়তো তাকে ভুলে যেত। কিন্তু ভারতে বসে তিনি কথা বলছেন—এটা কেউ পছন্দ করছে না। আমরা তাকে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করতে চাই’। গত ১৩ আগস্ট শেখ হাসিনা ভারতে বসে বক্তব্য দেন এবং দেশে যে সহিংসতা, হত্যা ও ভাঙচুর হয়েছে, তার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে বিচার দাবি করেন। বিষয়টিকে ইঙ্গিত করে ড. ইউনূস বলেন, ‘এটি না আমাদের জন্য ভালো,
আর না ভারতের জন্য ভালো। বিষয়টি নিয়ে অস্বস্তি আছে।’ শেখ হাসিনার কথা বলার বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ ভারতকে তার অবস্থান জানিয়েছে কি না, জানতে চাইলে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘মৌখিকভাবে এবং বেশ দৃঢ়ভাবে (ভারতকে) জানানো হয়েছে যে, তার চুপ থাকা উচিত।’ ড. ইউনূস বলেন, ‘সবাই এটা বোঝে। আমরা বেশ দৃঢ়ভাবে বলেছি যে, তার চুপ থাকা উচিত। এটি আমাদের সঙ্গে বন্ধুত্বহীন আচরণ। তাকে সেখানে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে এবং সেখান থেকে তিনি প্রচারণা চালাচ্ছেন। তিনি যে স্বাভাবিক নিয়মে সেখানে গেছেন, তা নয়। জনগণের অভ্যুত্থান ও জনরোষের মুখে তিনি পালিয়ে গেছেন।’ তিনি আরও বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার নৃশংসতার বিপরীতে বাংলাদেশের জনগণের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ
এবং শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনা প্রয়োজন ন্যায়বিচারের জন্যই। শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনা প্রসঙ্গে ড. ইউনূস আরও বলেন, ‘হ্যাঁ, অবশ্যই তাকে ফিরিয়ে আনতে হবে। তা না হলে বাংলাদেশের মানুষ শান্তিতে থাকবে না। তিনি যে ধরনের নৃশংসতা চালিয়েছেন, তাকে এখানে সবার সামনে বিচার করতে হবে।’ ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে ড. ইউনূস নয়াদিল্লির সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখার আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করেন। একই সঙ্গে জোর দিয়ে বলেন, কেবল শেখ হাসিনার নেতৃত্বই বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করে—নয়াদিল্লিকে এই ন্যারেটিভ বাদ দিতে হবে। তিনি বলেন, ‘আগামীর পথ হলো ভারতের এই ন্যারেটিভ থেকে বেরিয়ে আসা। ন্যারেটিভটি হলো—সবাই ইসলামপন্থী, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ইসলামপন্থী এবং বাকি
সবাই ইসলামপন্থী এবং এই দেশ আফগানিস্তানে পরিণত হবে। আর শেখ হাসিনার হাতে বাংলাদেশ নিরাপদ। ভারত এই আখ্যানে বিমোহিত। ভারতকে এই আখ্যান থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশও আরেকটি প্রতিবেশী—এটিও ভারতকে মনে রাখতে হবে।’ বাংলাদেশে হিন্দু সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার সাম্প্রতিক ঘটনা এবং ভারতের এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রসঙ্গে ড. ইউনূস বলেন, ‘সংখ্যালঘুদের বিষয়টিকে এত বড় আকারে চিত্রিত করার চেষ্টার বিষয়টি একটি অজুহাত মাত্র।’ সাক্ষাৎকারে ৮৪ বছর বয়সী নোবেল এই বিজয়ী ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যকার বর্তমান উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্কের উন্নতির জন্য একযোগে কাজ করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। ড. ইউনূস বলেন, ‘উভয় দেশকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে এবং এটি বর্তমানে একটি বন্ধুর
পথে আছে।’
উল্লেখ করে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান বলেন, ‘ভারতে তার (শেখ হাসিনার) অবস্থানের কারণেই কেউই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছে না। কারণ তিনি ভারতে আছেন এবং মাঝেমধ্যেই কথা বলছেন, যা সমস্যাজনক। তিনি যদি চুপ থাকতেন, সেখানে নিজের জগতে ডুবে থাকতেন, তবে আমরা হয়তো ভুলে যেতাম, মানুষও হয়তো তাকে ভুলে যেত। কিন্তু ভারতে বসে তিনি কথা বলছেন—এটা কেউ পছন্দ করছে না। আমরা তাকে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করতে চাই’। গত ১৩ আগস্ট শেখ হাসিনা ভারতে বসে বক্তব্য দেন এবং দেশে যে সহিংসতা, হত্যা ও ভাঙচুর হয়েছে, তার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে বিচার দাবি করেন। বিষয়টিকে ইঙ্গিত করে ড. ইউনূস বলেন, ‘এটি না আমাদের জন্য ভালো,
আর না ভারতের জন্য ভালো। বিষয়টি নিয়ে অস্বস্তি আছে।’ শেখ হাসিনার কথা বলার বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ ভারতকে তার অবস্থান জানিয়েছে কি না, জানতে চাইলে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘মৌখিকভাবে এবং বেশ দৃঢ়ভাবে (ভারতকে) জানানো হয়েছে যে, তার চুপ থাকা উচিত।’ ড. ইউনূস বলেন, ‘সবাই এটা বোঝে। আমরা বেশ দৃঢ়ভাবে বলেছি যে, তার চুপ থাকা উচিত। এটি আমাদের সঙ্গে বন্ধুত্বহীন আচরণ। তাকে সেখানে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে এবং সেখান থেকে তিনি প্রচারণা চালাচ্ছেন। তিনি যে স্বাভাবিক নিয়মে সেখানে গেছেন, তা নয়। জনগণের অভ্যুত্থান ও জনরোষের মুখে তিনি পালিয়ে গেছেন।’ তিনি আরও বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার নৃশংসতার বিপরীতে বাংলাদেশের জনগণের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ
এবং শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনা প্রয়োজন ন্যায়বিচারের জন্যই। শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনা প্রসঙ্গে ড. ইউনূস আরও বলেন, ‘হ্যাঁ, অবশ্যই তাকে ফিরিয়ে আনতে হবে। তা না হলে বাংলাদেশের মানুষ শান্তিতে থাকবে না। তিনি যে ধরনের নৃশংসতা চালিয়েছেন, তাকে এখানে সবার সামনে বিচার করতে হবে।’ ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে ড. ইউনূস নয়াদিল্লির সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখার আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করেন। একই সঙ্গে জোর দিয়ে বলেন, কেবল শেখ হাসিনার নেতৃত্বই বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করে—নয়াদিল্লিকে এই ন্যারেটিভ বাদ দিতে হবে। তিনি বলেন, ‘আগামীর পথ হলো ভারতের এই ন্যারেটিভ থেকে বেরিয়ে আসা। ন্যারেটিভটি হলো—সবাই ইসলামপন্থী, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ইসলামপন্থী এবং বাকি
সবাই ইসলামপন্থী এবং এই দেশ আফগানিস্তানে পরিণত হবে। আর শেখ হাসিনার হাতে বাংলাদেশ নিরাপদ। ভারত এই আখ্যানে বিমোহিত। ভারতকে এই আখ্যান থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশও আরেকটি প্রতিবেশী—এটিও ভারতকে মনে রাখতে হবে।’ বাংলাদেশে হিন্দু সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার সাম্প্রতিক ঘটনা এবং ভারতের এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রসঙ্গে ড. ইউনূস বলেন, ‘সংখ্যালঘুদের বিষয়টিকে এত বড় আকারে চিত্রিত করার চেষ্টার বিষয়টি একটি অজুহাত মাত্র।’ সাক্ষাৎকারে ৮৪ বছর বয়সী নোবেল এই বিজয়ী ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যকার বর্তমান উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্কের উন্নতির জন্য একযোগে কাজ করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। ড. ইউনূস বলেন, ‘উভয় দেশকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে এবং এটি বর্তমানে একটি বন্ধুর
পথে আছে।’