শিলাইদহ কুঠিবাড়িতে তিনদিনব্যাপী জাতীয় আয়োজনের উদ্বোধন নতুন বাংলাদেশে লালন ফকির ও হাসন রাজার অনুষ্ঠান জাতীয়ভাবে পালন করা উচিৎ ঃ মোস্তফা সরয়ার ফারুকী – ইউ এস বাংলা নিউজ




শিলাইদহ কুঠিবাড়িতে তিনদিনব্যাপী জাতীয় আয়োজনের উদ্বোধন নতুন বাংলাদেশে লালন ফকির ও হাসন রাজার অনুষ্ঠান জাতীয়ভাবে পালন করা উচিৎ ঃ মোস্তফা সরয়ার ফারুকী

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ৮ মে, ২০২৫ | ১০:১৯ 71 ভিউ
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেছেন, আমাদের দেশের নিজস্ব সংস্কৃতির প্রাথমিক অভিব্যক্তি হলো গান। আমাদের দেশের মানুষ যখন আনন্দ পান বা দুুঃখ পান কিংবা অনুভূতি জানাতে চান তাদের প্রাথমিক অভিব্যক্তি হয়ে উঠে গান। “আমি এইগুলোকে শুধু গান হিসেবে না দেখে কবিতা ও দর্শন হিসেবে দেখতে বলবো। তাহলেই আমরা বুঝতে পারবো আমাদের এ অঞ্চলের দর্শন ও ভাবের গভীরতা কতটুকু ছিল,” তিনি বলেন। বৃহস্পতিবার কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার শিলাইদহের কুঠিবাড়িতে বিশ^কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তিনদিনব্যাপী জাতীয় আয়োজনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। তিনি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন। কিন্তু ব্যস্ততার কারনে যেতে না পারায় তিনি অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান

অতিথির বক্তব্য দেন। উপদেষ্টা বলেন, এই অঞ্চলের সবচেয়ে বড় দার্শনিক ও গানের মানুষ হলেন লালন ও সিরাজ (ফকির লালন সাঁই ও তার গুরু সিরজ সাঁই)। আমরা যেমন রবীন্দ্র জয়ন্তী পালন করছি,নজরুল জয়ন্তী পালন করছি তেমনি আমাদের হীনমন্যতা থেকে বেড়িয়ে এসে নতুন বাংলাদেশে লালন ফকির ও হাসন রাজার অনুষ্ঠান জাতীয়ভাবে পালন করা উচিৎ বলে আমি মনে করি। তিনি বলেন, জমিদারি সূত্রে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শিলাইদহে আসতেন। সেখানকার মানুষের সাথে তার আলাদা একটি দেয়া-দেয়া সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। সেটা ছিল জাগতিক ও ইন্টেলেকচুয়াল। রবীন্দ্রনাথের অনেক চিঠিপত্রে তিনি বলেছেন বাংলাদেশের প্রকৃতির টানের পাশাপাশি এদেশের একদল ভাবুক মানুষের সাথে তার যোগাযোগ ছিল। বিশেষ করে

গগন হরকরা। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মফিদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ইসলামী বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ফরহাদ সিদ্দিক, ভাষা বিজ্ঞানী অধ্যাপক মনসুর মুসা। বক্তব্য রাখেন কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক তৌফিকুর রহমান। উপাচার্য ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, রবীন্দ্রনাথ ও বাংলা সাহিত্য একে অপরে পরিপূরক। বাংলা সাহিত্যে তাঁর স্থান অনন্য, অসাধারন। বাংলা সাহিত্যের সব কটি ধারা তার লেখনীতে সমৃদ্ধ। বাংলা সাহিত্যে একমাত্র রবীন্দ্রনাথেরই একটি নিজস্ব অধ্যায় রয়েছে। যে অধ্যায় বাংলা সাহিত্যকে দিয়েছে এক মহান উচ্চতা। রবীন্দ্রনাথ বাংলার কবি, বাঙালির কবি। তারও অধিক তিনি ছিলেন বিশ্বচরাচরের কবি ; বিশ্বকবি। রবীন্দ্রনাথের সাহিত্য বাস্তবতা

ছিল মিলিত প্রাণের প্রেমের। এই মিলন সমগ্র সত্তার সাথে প্রতিটি সত্তার ; প্রাণীজগৎ, নিসর্গ, প্রকৃতিকে । শুধু তাই নয়, শিল্পের জগত, কল্পনার জগতের সঙ্গে যুক্ত হয়ে নিজের বিস্তার ঘটানো। রবীন্দ্রনাথকে বলা হয় ভার্সেটাইল জিনিয়াস। তিনি ছিলেন কবি, সঙ্গীতজ্ঞ, কথাসাহিত্যিক, নাট্যকার, চিত্রশিল্পী, প্রাবন্ধিক, দার্শনিক, শিক্ষাবিদ ও সমাজ-সংস্কারক। মূলত কবি হিসেবেই তাঁর প্রতিভা বিশ্বময় স্বীকৃত। ১৯১৩ সালে তাঁকে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। এশিয়ার বিদগ্ধ ও বরেণ্য ব্যক্তিদের মধ্যে তিনিই প্রথম এই পুরস্কার জয়ের গৌরব অর্জন করেন। আলোচনা শেষে মূল মঞ্চে রবীন্দ্র সংঙ্গীত,কবিতা আবৃত্তি, দলীয় নৃত্য ও রবীন্দ্রনাথের লেখা নাটক পরিবেশন করেন কুষ্টিয়া জেলা ছাড়াও জাতীয় পর্যায়ের রবীন্দ্র শিল্পীরা। এর আগে জেলা

শিল্পকলা একাডেমির শিল্পীদের কন্ঠে জাতীয় ও রবীন্দ্র সংগীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সুচনা করা হয়। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসন এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। এবারের আয়োজনে কুঠিবাড়ির মুল মঞ্চে প্রতিদিনই আলোচনা সভার পাশাপাশি রবীন্দ্র সংঙ্গীত, কবিতা আবৃত্তি,দলীয় নৃত্য ও রবীন্দ্রনাথের লেখা নাটক পরিবেশন করা হবে। সাথে কুঠিবাড়ী চত্ত্বরে বসেছে বিশাল গ্রামীণ মেলা। নানা রকম পসরা সাজিয়ে বসেছেন দোকানীরা। এদিকে তিনদিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানকে ঘিরে শিলাইদহ কুঠিবাড়ি আঙিনা হাজারো দর্শনার্থীদের পদচারনায় মুখর হয়ে উঠেছে। দর্শনাথীদের সুযোগ সুবিধা সৃষ্টির পাশাপাশি কুঠিবাড়িকে পুর্ণাঙ্গ পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার দাবি এই অঞ্চলের মানুষের। জমিদারী দেখাশোনার জন্য ১৮৯১ সালে প্রথম এই কুঠিবাড়িতে আসেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। নিরিবিলি পরিবেশ, জমিদারী আর

ব্যবসার কারনে বার বার কুষ্টিয়ার এই কুঠিবাড়িতে ফিরে আসতেন তিনি। নিভূত বাংলার প্রত্যন্ত অঞ্চল কুষ্টিয়ার শিলাইদহে কবীর জীবনের বেশকিছু মূল্যবান সময় কেটেছে। এখানে বসে রচিত গীতাঞ্জলী কাব্যই রবীন্দ্রনাথকে এনে দিয়েছে নোবেল পুরষ্কার আর বিশ্বকবির মর্যাদা। এছাড়াও তিনি এখানে বসেই আমাদের জাতীয় সঙ্গীতসহ অসংখ্য কালজয়ী সাহিত্য রচনা করেছেন। কুঠিবাড়িতে সংরক্ষণ আছে সেসব দিনের নানা স্মৃতি।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
ট্রাম্পের হুমকি পাত্তাই দিল না আফগানরা অবশেষে হাত মেলাল ভারত, তবে… রাত ১০টার পরও চলবে মেট্রোরেল ময়লার ভাগাড় থেকে ৫ বস্তা এনআইডি কার্ড উদ্ধার রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনে জাতিসংঘের সম্মেলন কি ভূরাজনীতিকে প্রভাবিত করবে? বঙ্গোপসাগরে ২ লঘুচাপ সৃষ্টির আভাস, ৫ দিনের পূর্বাভাসে যা জানা গেল পাকিস্তানের বিপক্ষে আবারও সহজ জয় ভারতের গণঅধিকার পরিষদ ও এনসিপি একীভূত হওয়ার ইতিবাচক আলোচনা হচ্ছে : রাশেদ খান ৩ দেশের স্বীকৃতিতে নাখোশ ইসরায়েল ফিলিস্তিনকে ৩ দেশের স্বীকৃতিতে কী লাভ? অর্থবছরের প্রথম ২ মাসে বড় ধরনের রাজস্ব ঘাটতি আমি গর্বিত, আমার সব নায়িকা আজ উদযাপনে শামিল: দেব ডেঙ্গুতে দেশে রেকর্ড মৃত্যু সাজাপ্রাপ্ত ৮ ছাত্রদল নেতা কারাগারে যেসব জেলায় রাতেই ঝড় হতে পারে ‘আ.লীগ ধরলেই ৫ হাজার টাকা পুরস্কার’ বিষয়ে যা জানাল ডিএমপি সংকটের দায় কাঁধে চাপাতেই কি প্রথমবার নারী প্রধানমন্ত্রী বেছে নিচ্ছে জাপান? ছয় মাসে ব্যাংকের চাকরি হারিয়েছেন ৯৭৮ জন বছরের শেষ সূর্যগ্রহণ আজ, বাংলাদেশ সময় কখন শুরু হঠাৎ জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন মোদি, বাড়ছে গুঞ্জন