শখ পূরণের টাকা নেই ১০০ কোটি ভারতীয়র – ইউ এস বাংলা নিউজ




শখ পূরণের টাকা নেই ১০০ কোটি ভারতীয়র

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ | ৭:৫৪ 31 ভিউ
ভারতের মোট জনসংখ্যা ১৪০ কোটিরও বেশি। অথচ কোনো ধরনের বিবেচনামূলক পণ্য বা সেবার পেছনে ব্যয় করার ক্ষমতা নেই বেশিরভাগ মানুষেরই। জীবনধারণের ন্যূনতম ব্যয়ের মধ্যেই তাদের জীবন সীমাবদ্ধ। ব্যক্তিগত শখ পূরণের টাকা নেই তাদের কাছে। বুধবার ব্লুম ভেঞ্চারসের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, দেশটির প্রায় ১০০ কোটি মানুষের হাতে তাদের নিজেদের কাজে ব্যয় করার মতো টাকা থাকে না। ব্লুম ভেঞ্চারসের প্রতিবেদন অনুসারে, ভারতের ভোক্তা শ্রেণি বা কার্যত উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীদের পণ্যের সম্ভাব্য বাজারের আকার মাত্র ১৩-১৪ কোটি, যা মেক্সিকোর মোট জনসংখ্যার সমান। দেশটিতে ৩০ কোটি মানুষ উদীয়মান বা সম্ভাব্য ভোক্তা হিসাবে বিবেচিত হলেও তারা খুব হিসাব করে খরচ করেন। অবশ্য ডিজিটাল পেমেন্টের

সুবিধার কারণে ধীরে ধীরে খরচের পরিমাণ বাড়াচ্ছেন তারা। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এশিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির ভোক্তা শ্রেণির পরিধি বাড়ছে না বরং এই সংকট গভীরতর হচ্ছে। অর্থাৎ, ভারতের ধনী লোকের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ছে না। তবে যারা ইতিমধ্যেই সম্পদশালী, তারা আরও ধনী হয়ে উঠছে। এর ফলে, দেশের ভোক্তা বাজারে বেশ কয়েকটি স্বতন্ত্র প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। বিশেষত, ‘প্রিমিয়ামাইজেশন’ বা উচ্চমূল্যের পণ্যের দিকে ব্র্যান্ডগুলোর মনোযোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এখানে, ব্র্যান্ডগুলো সাধারণ মানুষের বাজারের নজর না দিয়ে ধনীদের জন্য উন্নত ও ব্যয়বহুল পণ্য তৈরিতে জোর দিচ্ছে। এই বিষয়টি স্পষ্টভাবে প্রমাণিত হচ্ছে বিলাসবহুল আবাসন ও প্রিমিয়াম ফোনের বিক্রিতে ব্যাপক প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে। বিপরীতে কম দামের আবাসন বা ফোনগুলো

বিক্রি হওয়ার ক্ষেত্রে সংগ্রাম করছে। পাঁচ বছর আগে ভারতের আবাসন খাতের ৪০ শতাংশ বাজারই ছিল সাশ্রয়ী মূল্যের বাড়ি ক্রেতাদের দখলে, এখন তা কমে ১৮ শতাংশে নেমে এসেছে। ব্র্যান্ডেড পণ্যের বাজারের আকারও বেড়েছে। পাশাপাশি, ‘এক্সপেরিয়েন্স ইকোনমি’ বা ‘অভিজ্ঞতা অর্থনীতি’ তথা বিনোদন ও বিলাসব্যসনের প্রতি মানুষের আগ্রহ তীব্রভাবে বেড়েছে। প্রতিবেদনের অন্যতম লেখক সাজিথ পাই বিবিসিকে বলেছেন, যেসব প্রতিষ্ঠান এই পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পেরেছে তারা সফল হয়েছে। যারা শুধু সাধারণ মানুষের বাজারের দিকে মনোযোগ দিয়েছে বা যাদের পণ্যের তালিকায় প্রিমিয়াম পণ্য নেই, তারা বাজার হারিয়েছে। কোভিড পরবর্তী ভারতে ধনীরা আরও ধনী হয়েছে। আর দরিদ্ররা ক্রয়ক্ষমতা হারিয়েছে। প্রতিবেদনটি দীর্ঘদিনের এই ধারণাকে আরও সুসংহত

করেছে। প্রকৃতপক্ষে, এই প্রবণতা মহামারীর আগেই শুরুর হয়েছিল। ভারতে আয়বৈষম্য ক্রমেই বাড়ছে। বর্তমানে দেশের শীর্ষ ১০ শতাংশ জনগণের হাতে জাতীয় আয়ের ৫৭ দশমিক ৭ শতাংশ কেন্দ্রীভূত, যেখানে ১৯৯০ সালে এই হার ছিল ৩৪ শতাংশ। অন্যদিকে, দেশটির নিম্ন স্তরের ৫০ জনগণের আয়ের অংশ ২২ দশমিক ২ শতাংশ থেকে কমে ১৫ শতাংশে এ নেমে এসেছে। তবে সম্প্রতি ভোগ্যপণ্যের বাজারে স্থবিরতা কেবল ক্রয়ক্ষমতা হ্রাসের কারণে নয় বরং সাধারণ জনগণের আর্থিক সঞ্চয় উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাওয়া এবং ঋণের বোঝা ব্যাপকভাবে বেড়ে যাওয়ার ফলেও হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
ভারতে কমেছে বাংলাদেশি ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার, বাড়ছে যুক্তরাষ্ট্রে বিশেষ বিসিএসে ৫০০ ডেন্টাল সার্জন নিয়োগের দাবি, শাহবাগে মানববন্ধন সারা দেশে বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার ১৪৯২ সাবেক সেনাসদস্যদের বিক্ষোভ নিয়ে যা জানাল আইএসপিআর সকাল ৯টার মধ্যে ঢাকাসহ যেসব জেলায় ঝড়সহ বজ্রবৃষ্টির আভাস উপদেষ্টাকে নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট, বরখাস্ত হলেন প্রাথমিক শিক্ষক কুষ্টিয়ায় আওয়ামী লীগের ৩ নেতা কারাগারে যৌন হয়রানির অভিযোগে প্রধান শিক্ষকের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন-সড়ক অবরোধ এবারের বাজেট দায়িত্বজ্ঞানহীন নয়: পরিকল্পনা উপদেষ্টা ইউটিউবার জ্যোতিকে নিয়ে কেনো ভয় পাচ্ছে ভারত জুলাই থেকে ঢাকা-জাপানের ফ্লাইট বন্ধ হচ্ছে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে সোনা লুট, ঘটনায় জড়িত চার পুলিশ ডিবিতে জিজ্ঞাসাবাদে নুসরাত ফারিয়া রোগী দেখে ওষুধ দেবে এআই চিকিৎসক অশ্লীলতা ছড়ানোর দায়ে উপস্থাপিকা তমাকে লিগ্যাল নোটিশ মার্কিন কারাগার থেকে হত্যা মামলার আসামিসহ ১০ জনের পলায়ন স্থলবন্দরে ভারতের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টা যা বললেন বাংলাদেশের পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা, দুশ্চিন্তায় ভারতের ব্যবসায়ীরা এবার আলোচনায় কর্নেল কুরেশির যমজ বোন—ড. শায়না কালও বিক্ষোভের ডাক ইশরাক সমর্থকদের