রমজান ঘিরে ন্যায্যমূল্যে ডিম বিক্রির বার্তা – ইউ এস বাংলা নিউজ




রমজান ঘিরে ন্যায্যমূল্যে ডিম বিক্রির বার্তা

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ৫ জানুয়ারি, ২০২৫ | ১০:২৮ 7 ভিউ
দেশে ডিমের বাজারে নয়ছয় রোধ হচ্ছে না। সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যে দাম বাড়ে সকাল-বিকাল। নিম্ন আয়ের মানুষ হা-হুতাশ করলেও সিন্ডিকেট ভাঙতে পারছে না কেউ। এ পরিস্থিতিতে রমজান আসন্ন। এবারও রোজা সামনে রেখে রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে ডিমসহ নির্ধারিত খাদ্যপণ্য বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ) ও মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। Advertisement আগামী ১২ জানুয়ারি থেকে সরকারের বেঁধে দেওয়া দামের চেয়ে কম মূল্যে ডিম বিক্রি শুরু হবে। ভোক্তার আস্থা ফেরাতে ন্যায্যমূল্যে ডিম বিক্রির উদ্যোগ-কিছুটা হলেও স্বস্তি আনবে। এদিকে বিপিএ’র অভিযোগ, ডিমের বাজার সিন্ডিকেটের কবজায়। এটা ভাঙা যাচ্ছে না। চরম সংকটে ডিম আমদানি করেও লাভ হচ্ছে না। পার্শ^বর্তী ভারতে ডিমপ্রতি উৎপাদন খরচ হয়-বাংলাদেশি টাকায় ৫ টাকারও কম।

বাংলাদেশে বর্তমানে ১০ টাকা ৫০ পয়সা। কখনো আরও বেড়ে যায়। একই মুরগি, একই ডিম, একই খাবার-কিন্তু বাংলাদেশে উৎপাদন খরচ ভারতের চেয়ে দ্বিগুণেরও বেশি। এ নিয়ে কোনো পক্ষই আলোচনা করছে না। নির্ধারিত দামে ডিম বিক্রিও নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না সরকারের বিভিন্ন সংস্থা। এ প্রসঙ্গে বিপিএ’র সভাপতি মো. সুমন হাওলাদার বলেন, আমাদের সংগঠনের মাধ্যমে প্রান্তিক খামারিদের কাছ থেকে ডিম সংগ্রহ করে ন্যায্যমূল্যে ডিম বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছি। রোজা সামনে রেখে আগামী ১২ জানুয়ারি থেকে রাজধানীর ১০০ পয়েন্টে ডিমসহ কৃষিপণ্য বিক্রি শুরু হবে। শুরুতে ২০-২৫টি পয়েন্টে বিক্রি হবে। পর্যায়ক্রমে শতাধিক পয়েন্টে এ কার্যক্রম পরিচালনা হবে। ডিম কেনাবেচার সিন্ডিকেট এখনো আগের মতোই আছে। সিন্ডিকেট না ভাঙতে

পারলে হঠাৎ করেই ডিমের দাম বেড়ে যাবে। নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা কয়েক দিন তৎপরতা দেখালেও নিয়ন্ত্রণ থাকবে সিন্ডিকেটের হাতেই। সুমন হাওলাদার বলেন, দেশে প্রায় ১ লাখ ৬০ হাজার খামার ছিল, বর্তমানে ৬০-৭০ হাজারে নেমেছে। ডিমের উৎপাদন ছিল প্রতিদিন প্রায় সাড়ে ৪ কোটি। বর্তমানে কমেছে। এদিকে রাজধানীতে প্রতিদিন ডিমের চাহিদা থাকে ৮০ লাখ থেকে ১ কোটি। বর্তমানে রাজধানীতে ১ কোটির চেয়ে বেশি ডিম আসে। অর্থাৎ চাহিদার চেয়ে বেশি ডিম থাকলেও বাজার নিয়ন্ত্রণে নেই। সরকারি মূল্য সাড়ে ১০ টাকা থেকে ১২ টাকা ধরে বিক্রির নিয়ম থাকলেও রাজধানীসহ দেশের অধিকাংশ স্থানে এর চেয়ে বেশিতে বিক্রি হচ্ছে। সবই সিন্ডিকেটর কারবার। আমাদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১০০ পয়েন্টে ন্যায্যমূল্যে ডিম বিক্রি

করব। একই সঙ্গে বেশি দামে ডিম বিক্রির বিরুদ্ধে বাজারে অবস্থান করব-মাইকিংয়ের মাধ্যমে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সচেতন করে তুলব। এদিকে সরেজমিন রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ডিমের বাজারে এখনো অস্থিরতা বিরাজ করছে। সাধারণ ভোক্তা প্রতিটি ডিম সর্বনিম্ন ৭ থেকে ৮ টাকার মধ্যে কিনতে চান। মাছের বাজারে আগুন থাকায় সাধারণ মানুষ ডিমের ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু ডিমের দামও বেশি। ভোক্তাদের কথায়, ডিম এখন শুধু সিদ্ধ-ভাজায় আটকে নেই। শিল্পের পর্যায়ে পৌঁছেছে। অনেক ক্ষেত্রে স্বাদটা প্রায় একই থাকলেও বদলে গেছে তার রং-রূপ। পরিবেশনের নানা কৌশল। এতে করে ডিমের দাম নিয়ে চলছে নানা ধরনের ছয়-নয়। যে কোনো সময় দাম বেড়ে যায়। রামপুরা কাঁচাবাজারে কথা হয় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বাঁধনের সঙ্গে।

জানালেন, মাছ-মাংস এমনকি সবজি বাজারেও আগুন। ডিমের প্রতি ভরসা থাকলেও দাম কমছে না। কমানোর বার্তাও সরকার কিংবা সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো দিচ্ছে না। বেইলি রোডস্থ একটি শাড়ির শোরুমের বিক্রেতা জান্নাত পারভীন জানান, সকালের নাশতায় রুটির সঙ্গে ডিমের পোচ, দুপরে ভাতের পাতে কষানো ডিমের লাল লাল ঝোল, বিকালে বেরিয়ে টুক করে গরম গরম ডিমসিদ্ধ, রাতে মামলেট কিংবা তুলতুলে ওমলেট। সবখানেই এখন ডিমের জয়জয়কার। ক্ষোভ উগড়ে বললেন, কিছুদিন পর পর ডিম আমদানি করা হয়। ভারতের মুরগির ধরন-খাবার কি ভিন্ন হয়? নিশ্চয় না। ওখানে একেকটি ডিম বিক্রি হয় বাংলাদেশি ৫ টাকারও কম। বাংলাদেশে ১০-১২ টাকা কেন? হাতিরঝিলে বাদাম বিক্রেতা বাদল মিয়ার ভাষ্য, ডিম বিনা গতি নেই। ডিমের

দাম বাড়লেও ভোক্তাদের প্রতিরোধ করার ক্ষমতা নেই। বেশি দামেই কিনতে হয়। সেই সুযোগটা কাজে লাগায় সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা। জানা যায়, রোজার সময় ডিমের বাজার আরও বেশি নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়ে। নিত্যপণ্যের সঙ্গে যখন ডিমের দামও বেড়ে যায়-হাহাকার লেগে যায় ভোক্তাদের। সিন্ডিকেট হাতিয়ে নেয় কোটি কোটি টাকা। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গত বছরের নভেম্বর মাসে রাজধানীর ১৩টি স্থানে ডিম বিক্রির উদ্যোগ নেয়। কিন্তু চাহিদা অনুযায়ী ডিমের জোগান ছিল নামে মাত্র। তবে আগামী কিছুদিনের মধ্যে রাজধানীর অন্তত ২৫-৩০টি স্থানে ন্যায্যমূল্যে ডিমসহ নির্ধারিত খাদ্যদ্রব্য বিক্রি করবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। আসন্ন রমজাম মানে সরকারের বেঁধে দেওয়া মূল্যেই বাজারে ডিম বিক্রির সব ধরনের পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে বাজার সিন্ডিকেট

ভাঙতে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণের বার্তা দিয়েছে এ মন্ত্রণালয়। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ড. আবু নঈম মুহাম্মদ আবদুছ ছবুর বলেন, আমাদের স্যার (মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা) বাজারমূল্য নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্টদের কঠোর নির্দেশনা দিয়ে রেখেছেন। সাধারণ মানুষ যাতে সরকারের বেঁধে দেওয়া মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য ক্রয় করতে পারে, সে বিষয়ে আমরা তৎপর। একই সঙ্গে বিগত সরকারগুলো রোজা সামনে রেখে মাঠ পর্যায়ে ন্যায্যমূল্যে পণ্য বিক্রি করত, এবারও তা বাস্তবায়ন করা হবে। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকবার বৈঠক হয়েছে-আগামী সপ্তাহে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সমন্বয় মিটিং হবে। আমরা চাই, ভোক্তারা যাতে কম মূল্যে সরকারের বেঁধে দেওয়া দামে পণ্য কিনতে পারে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
আগে ডাকসুর গঠনতন্ত্র সংস্কার, পরে নির্বাচন চাপ প্রয়োগে বেনামি ঋণ ৩৮ হাজার কোটি টাকা ট্রুডোর পদত্যাগে কানাডাকে ফের ৫১তম রাজ্য বানানোর প্রস্তাব ট্রাম্পের ক্যানসার আক্রান্তদের দুর্ভোগ চরমে, কেমোর সিরিয়াল পেতে দীর্ঘ অপেক্ষা চকরিয়ায় বন্য হাতির আক্রমনে যুবকের মৃত্যু কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে আলোচনায় কারা? অবশেষে পদত্যাগের ঘোষণা জাস্টিন ট্রুডোর স্থানীয় নির্বাচনে দলীয় প্রতীক থাকছে না ১১৬ ডিসি-এসপির কর ফাঁকি অনুসন্ধান শুরু ইন্টারনেট সেবা বন্ধে অর্থনৈতিক ক্ষতিতে বিশ্বে শীর্ষে পাকিস্তান ‘পৌরসভাগুলোকে বিলুপ্ত করার প্রস্তাব দেওয়া হতে পারে’ মেট্রোরেলের সেবায় ভ্যাট অব্যাহতি চাঁদাবাজির অডিও ফাঁস, যুবদল নেতা বহিষ্কার তালেবানের পাশে দাঁড়িয়ে পাকিস্তানের সমালোচনা করল ভারত হঠাৎ মাঠে ঢুকে ক্রিকেটারের ওপর টাকার বৃষ্টি সমর্থকের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার সময়সূচি ঘোষণা দেশের ইতিহাসে সেরা ৫ সেনাপ্রধানের নাম এলে উনার নাম থাকবে: পার্থ চট্টগ্রাম আদালতের ১,৯১১ মামলার নথি গায়েব, থানায় জিডি ডেঙ্গুতে ২৪ ঘণ্টায় ২ জনের মৃত্যু শহিদ মিনারে হামলাকারীদের দ্রুত জামিনে জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের উদ্বেগ, নিরাপত্তা দাবি