ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনে নিরাপত্তাবেষ্টনী ভাঙার চেষ্টা হয়নি: জয়সওয়াল
৪০০ বছর পর চিঠি বিলি বন্ধ করছে ড্যানিশ পোস্ট অফিস
দক্ষিণ আফ্রিকায় বন্দুক হামলা, নিহত ১০
নজিরবিহীন অস্ত্র বিক্রি করেছে ইসরায়েল, শীর্ষ ক্রেতা কারা
দীর্ঘ নীরোগ জীবনের রহস্যভেদ
ইসরায়েলের প্রশ্রয়ে গাজায় সশস্ত্র গোষ্ঠীর দৌরাত্ম্য
বিশ্ব গণমাধ্যমে ওসমান হাদির মৃত্যু পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহ
মুসলিম একটি দেশে মৃত্যুদণ্ড ২৪৫, যাবজ্জীবন ৯৫৫
মাদক চোরাচালানের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে ইরাক। ২০২৩ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে মাদক সংক্রান্ত মামলায় ২৪৫ জন আন্তর্জাতিক মাদক চোরাচালানকারীকে মৃত্যুদণ্ড ও ৯৫৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে দেশটির বিশেষ আদালত। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে ইরাকের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। খবর শাফাক নিউজের।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশের বিভিন্ন প্রদেশে মাদকবিরোধী অভিযানে বড় ধরনের সাফল্য এসেছে। ২০২৫ সালের প্রথম তিন মাসেই মাদক সংশ্লিষ্ট অভিযোগে ৩ হাজার ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং ৯৭৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে।
এ সময়ে নিরাপত্তা বাহিনী দুই টনের বেশি মাদক জব্দ করেছে। শুধু বাগদাদের আল-রুসাফা কেন্দ্রীয় তদন্ত আদালতের আওতায় দেড় টনের বেশি মাদক জব্দ করা হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা
বলছেন, দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়া, উপসাগরীয় অঞ্চল ও ইউরোপকে সংযুক্তকারী গুরুত্বপূর্ণ চোরাচালান রুটের সংযোগস্থলে অবস্থিত ইরাক। ফলে এটি এখন মাদক পাচারের কেন্দ্র ও বাজারে পরিণত হয়েছে। বিশেষ করে সিনথেটিক ড্রাগ বা কৃত্রিম মাদকের বাজার দিন দিন বাড়ছে। জাতিসংঘের মাদক ও অপরাধ বিষয়ক দপ্তর সম্প্রতি জানিয়েছে, ইরাকসহ এ অঞ্চলে ক্যাপটাগন ও মেথঅ্যামফেটামিন জাতীয় মাদকের জব্দকৃত পরিমাণ দ্রুত বাড়ছে। ফলে মাদক নিয়ন্ত্রণে নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছে ইরাক সরকার। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এসব অপরাধ নিয়ন্ত্রণে তারা দেশের ভেতরে মাদক সিন্ডিকেট ভাঙার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সহযোগিতাও জোরদার করছে। সরকার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর অবস্থান সত্ত্বেও সিনথেটিক ড্রাগের সরবরাহ ও ব্যবহার ঠেকানো বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মাদকবিরোধী এ কঠোর অভিযানে
ইরাকের বিচার বিভাগ, পুলিশ এবং বিশেষ বাহিনী সমন্বিতভাবে কাজ করে যাচ্ছে। উল্লেখ্য, ইরাক একটি মুসলিম প্রধান দেশ। দেশটির জনসংখ্যার বিশাল অংশই মুসলমান, যাদের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ শিয়া মুসলিম এবং উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সুন্নি মুসলিম রয়েছেন। ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী মাদকদ্রব্য গ্রহণ, বিক্রি, উৎপাদন ও চোরাচালান—সবই হারাম (নিষিদ্ধ) হিসেবে বিবেচিত। তাই ইরাকের মতো মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশে মাদকের বিরুদ্ধে আইন কঠোর এবং এ বিষয়ে ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকেও কঠোর অবস্থান রয়েছে।
বলছেন, দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়া, উপসাগরীয় অঞ্চল ও ইউরোপকে সংযুক্তকারী গুরুত্বপূর্ণ চোরাচালান রুটের সংযোগস্থলে অবস্থিত ইরাক। ফলে এটি এখন মাদক পাচারের কেন্দ্র ও বাজারে পরিণত হয়েছে। বিশেষ করে সিনথেটিক ড্রাগ বা কৃত্রিম মাদকের বাজার দিন দিন বাড়ছে। জাতিসংঘের মাদক ও অপরাধ বিষয়ক দপ্তর সম্প্রতি জানিয়েছে, ইরাকসহ এ অঞ্চলে ক্যাপটাগন ও মেথঅ্যামফেটামিন জাতীয় মাদকের জব্দকৃত পরিমাণ দ্রুত বাড়ছে। ফলে মাদক নিয়ন্ত্রণে নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছে ইরাক সরকার। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এসব অপরাধ নিয়ন্ত্রণে তারা দেশের ভেতরে মাদক সিন্ডিকেট ভাঙার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সহযোগিতাও জোরদার করছে। সরকার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর অবস্থান সত্ত্বেও সিনথেটিক ড্রাগের সরবরাহ ও ব্যবহার ঠেকানো বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মাদকবিরোধী এ কঠোর অভিযানে
ইরাকের বিচার বিভাগ, পুলিশ এবং বিশেষ বাহিনী সমন্বিতভাবে কাজ করে যাচ্ছে। উল্লেখ্য, ইরাক একটি মুসলিম প্রধান দেশ। দেশটির জনসংখ্যার বিশাল অংশই মুসলমান, যাদের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ শিয়া মুসলিম এবং উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সুন্নি মুসলিম রয়েছেন। ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী মাদকদ্রব্য গ্রহণ, বিক্রি, উৎপাদন ও চোরাচালান—সবই হারাম (নিষিদ্ধ) হিসেবে বিবেচিত। তাই ইরাকের মতো মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশে মাদকের বিরুদ্ধে আইন কঠোর এবং এ বিষয়ে ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকেও কঠোর অবস্থান রয়েছে।



