মির্জা আজমের ৮০টি ব্যাংক হিসাবে ৯০৭ কোটি টাকা লেনদেন – ইউ এস বাংলা নিউজ




মির্জা আজমের ৮০টি ব্যাংক হিসাবে ৯০৭ কোটি টাকা লেনদেন

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ৫:০৬ 19 ভিউ
সাবেক বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম ও তার স্ত্রী দেয়ান আলেয়ার নামে ৮০টি ব্যাংক হিসাবে ৯০৭ কোটি ৬৬ লাখ টাকার অস্বাভাবিক লেনদেনের প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে সংস্থাটি। বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) দুদকের উপপরিচালক মো. সালাহউদ্দিন এবং সহকারী পরিচালক মো. ফেরদৌস রহমান পৃথক দুটি মামলার বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। জানা যায়, মির্জা আজমের নিজ নামে ও তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে বিভিন্ন ব্যাংকে পরিচালিত ২৪টি ব্যাংক হিসাবে চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত মোট ৩৯০ কোটি ৮১ লাখ ৬৯ হাজার ৩৭৯ টাকা জমা হওয়ার সন্দেহভাজন তথ্য পাওয়া যায়। যার মধ্যে ৩৮৯

কোটি ৭১ লাখ ৫৭ হাজার ৪৬৬ টাকা তুলে ফেলেছেন। সর্বশেষ স্থিতি ছিল এক কোটি ১০ লাখ ১১ হাজার ৯১৩ টাকা, যা ফ্রিজ অবস্থায় রয়েছে। এছাড়া আসামি মির্জা আজম তার নিজ নামে ও তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কোম্পানি অথবা প্রতিষ্ঠানের নামে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ১৩টি ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে ঋণ উত্তোলন করেছেন। ১৩টি ব্যাংক হিসাবে অক্টোবর পর্যন্ত তিনি ২৯৯ কোটি ২৮ লাখ ৭৯ হাজার ৪৮৫ টাকা উত্তোলন করেছেন এবং ৩০০ কোটি ৩৭ লাখ ৭৯ হাজার ৮৫৪ টাকা জমা দিয়েছেন বলে ‍দুদকের অনুসন্ধানে প্রমাণ পাওয়া গেছে। অন্যদিকে মির্জা আজম ও তার স্ত্রী দেওয়ান আলেয়ার নামে বিভিন্ন ব্যাংকে ২৩টি হিসাবের বিপরীতে এফডিআর হিসেবে ৭০ কোটি ৪০

লাখ ৪৯ হাজার ৭৬৫ টাকা পাওয়া গেছে। মির্জা আজম ও দেওয়ান আলেয়াসহ তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কোম্পানির নামীয় মোট ৬০টি ব্যাংক হিসাবে ৭২৫ কোটি ৭০ লাখ ৪২ হাজার ২৩২ টাকা লেনদেনের তথ্য পেয়েছে দুদক। যার মধ্যে ৭২৪ কোটি ৮৯ লাখ ৯৩ হাজার ৭১৬ টাকা উত্তোলন করার প্রমাণ মিলেছে। অন্যদিকে মির্জা আজমের প্রভাব খাটিয়ে নিজ ও তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে বিভিন্ন ব্যাংকের ২০টি হিসাবে অক্টোবর পর্যন্ত মোট ১৮১ কোটি ৯৫ লাখ ৬২ হাজার টাকা অস্বাভাবিক লেনদেনের তথ্য-প্রমাণ পাওয়া গেছে। সব মিলিয়ে মির্জা আজম ও দেওয়ান আলেয়াসহ সংশ্লিষ্টদের বিভিন্ন নামে মোট ৮০টি ব্যাংক হিসাবে ৯০৭ কোটি ৬৬ লাখ ৪ হাজার ২৩২ টাকার অস্বাভাবিক

লেনদেনের তথ্য-প্রমাণ পাওয়া গেছে। আর ওই লেনদেন অস্বাভাবিক বলে প্রমাণিত হয়েছে। অস্বাভাবিক লেনদেনের মাধ্যমে মির্জা আজম তার স্ত্রী দেওয়ান আলেয়াসহ অন্যান্যদের নামে বেনামে পরিচালিত ব্যাংক হিসাব পরিচালনার মাধ্যমে অবৈধ অর্থ হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তর আড়াল করার চেষ্টা করেছেন। ওই একই মামলায় সাবেক বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজমের বিরুদ্ধে ৩৯ কোটি ৭৬ লাখ ৬৭ হাজার টাকা, তাদের মেয়ে মির্জা অপির নামে ৩ কোটি ৯৯ লাখ ৮৩ হাজার টাকা এবং তার স্ত্রী দেওয়ান আলেয়ার বিরুদ্ধে ২৩ কোটি ৭৭ লাখ ৭১ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়। আসামিদের বিরুদ্ধে দুদক আইন ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২)

ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ধারা ও ৪ (৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয়।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
মালয়েশিয়ায় প্রতারিত ৮ বাংলাদেশিকে উদ্ধার দাবির মুখে সিদ্ধান্ত বদল এনবিআরের ভাঙা ঘরে শতকোটি টাকার সম্পদ কচ্ছপের পিঠে স্বপ্নের যাত্রা সাবেক ২ নির্বাহী প্রকৌশলীসহ ১৩ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা রাজশাহীতে বিএনপি নেতাদের দখল ও চাঁদাবাজি লাগাম টানা হচ্ছে ক্যাপাসিটি চার্জে আটকে আছে সীমানাসহ গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তুতি স্বপ্ন ভাঙছে অনেকের, ফিরতে হবে দেশে গাড়িতে গ্যাস ব্যবহারকারীদের জন্য সুখবর ১২ ডেপুটি জেলারকে বদলি সাংবাদিক শাকিল-ফারজানা রুপার জামিন স্থগিত যুক্তরাষ্ট্রে গির্জা-হাসপাতালেও গ্রেফতারের আতঙ্কে অভিবাসীরা মর্গে ঘুরে ঘুরে ছেলের লাশ খুঁজছেন বাবা এক ট্রেন থেকে লাফ দিলেও অন্য ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত ১২ বেক্সিমকো কারখানা খোলার দাবিতে শ্রমিকদের ভাঙচুর-আগুন ২২ জানুয়ারি পালটে যায় মেহজাবীনের জীবন খুলনার বাঘদের বশ মানিয়ে জয়ের হ্যাটট্রিক বরিশালের বাবা-মা চাননি আমি পৃথিবীতে আসি: অপু বিশ্বাস এক ট্রেন থেকে লাফ দিলেও অন্য ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত ১২