মিয়ানমার সংঘর্ষ ৫ হাজারের বেশি বেসামরিক হত্যা করেছে জান্তা – ইউ এস বাংলা নিউজ




মিয়ানমার সংঘর্ষ ৫ হাজারের বেশি বেসামরিক হত্যা করেছে জান্তা

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ | ৮:৩৬ 76 ভিউ
মিয়ানমারে বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে দমাতে আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে ক্ষমতাসীন জান্তা। বাড়িয়েছে হত্যাযজ্ঞ। তিন বছর আগে সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে হাজার হাজার মানুষকে গ্রেফতারও করেছে তারা। ২০২১ সালে ক্ষমতা দখলের পর জান্তা বাহিনী দেশটির ৫ হাজার ৩৫০ জন বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করেছে। এখনো তারা গণগ্রেফতার, হত্যা ও নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে সমানতালে। বুধবার জাতিসংঘের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থা রয়টার্স। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমারের নির্বাচিত সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করে দেশটির সামরিক বাহিনী। এর প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে আসে লাখো জনতা। শুরু হয় রক্তাক্ত সহিংসতা। বিক্ষোভ ধীরে ধীরে রূপ নেয় সশস্ত্র বিদ্রোহে। আজও দেশটির বিভিন্ন প্রান্তে চলছে

তীব্র লড়াই। মঙ্গলবার জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার টুর্কের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অভ্যুত্থানের পর থেকে মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর হাতে ৫ হাজার ৩৫০ জন বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছেন। তদন্তকারীরা দেশটিতে প্রবেশের অনুমতি না পাওয়ায় দূর থেকেই শত শত ভুক্তভোগী ও প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষাৎকার নিয়ে প্রতিবেদনটি তৈরি করে। এতে বলা হয়েছে, নিহতদের মধ্যে ২ হাজার ৪১৪ জন মারা গেছেন ২০২৩-এর এপ্রিল থেকে ২০২৪ সালের জুনের মধ্যে, যা আগের প্রতিবেদনের সময়ের তুলনায় ৫০ শতাংশ বেশি। এই সময়ে বিমান ও কামান হামলায় শত শত মানুষ নিহত হয়েছেন। জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিসের মিয়ানমার টিমের প্রধান জেমস রোডেহেভার বলেছেন, মিয়ানমারে মানবাধিকার অতল গহ্বরে পতিত হচ্ছে। জেনেভায় সাংবাদিকদের সঙ্গে

আলাপকালে তিনি আরও বলেছেন, মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী আইনি ব্যবস্থাকে ব্যবহার করে গভীর সংকট তৈরি করেছে। তাদের দেশ শাসনের প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে প্রায় সব ধরনের ভিন্নমতকে অপরাধীকরণ করা হয়েছে। জাতিসংঘের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে দেশটিতে প্রায় ২৭ হাজার ৪০০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের সামরিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে রাখা হয়েছে বলে মনে করা হয়। জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিসের মুখপাত্র লিজ থ্রোসেল এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে ৮৮ শিশুসহ অন্তত ১ হাজার ৮৫৩ জন হেফাজতে থাকা অবস্থায় মারা গেছেন। এদের মধ্যে অনেকে অপমানজনক জিজ্ঞাসাবাদ, আটকে রাখা বা পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যসেবা না পাওয়ার পর মারা গেছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

জাতিসংঘের এই প্রতিবেদনের বিষয়ে এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি মিয়ানমার সামরিক বাহিনী। মিয়ানমারে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে পাঠানোর সুপারিশ করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার টুর্ক। ২০১৭ সালে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের ওপর নৃশংস দমন-পীড়নের জন্য দেশটির বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার মামলা চলছে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
অবসর ঘোষণার পরই বৃন্দাবনে হাজির কোহলি, নিলেন গুরুর আশির্বাদ গ্রেফতার মমতাজ, যা বললেন ইলিয়াস হোসেন ড্রোনের মাধ্যমে ওষুধ সরবরাহ করবে মালয়েশিয়া সরকার দুপুরের মধ্যে যেসব অঞ্চলে ঝড়সহ বজ্রবৃষ্টির আভাস ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য সফরের আগে মার্কিন জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস পিলখানা হত্যাকাণ্ডের মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার যুদ্ধবিরতির পরও ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে আতঙ্ক তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ কি শুরু হয়ে গেছে? বাবার ৪ বিয়ে দেখে বলিউড অভিনেত্রীর ৬ বার প্রেম বাজছে লানা ডেল রের গান, রোজার কাঁধে হাত রেখে বৃষ্টিতে তাহসান ১৭ মে থেকে শুরু হবে বাকি আইপিএল টেসলার রোবোট্যাক্সি ট্রেডমার্ক বাতিল করল যুক্তরাষ্ট্র ভিসি অপসারণের দাবিতে আমরণ অনশনে ববি শিক্ষার্থীরা এনবিআর ভেঙে হলো দুই বিভাগ শত বছর ধরে জেগে আছে সদরঘাট গাজা যুদ্ধ হয়ে উঠেছে ফিলিস্তিনিদের জাগরণের প্রতীক বাজেটে প্রাধান্য গরিবের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি অধ্যাদেশ জারি, এনবিআর ভেঙে হলো দুই বিভাগ রাজধানীর যে এলাকায় আত্মগোপনে ছিলেন মমতাজ যুক্তরাষ্ট্র-চীন সম্পর্ক খুবই ভালো: ট্রাম্প