
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

নারী কর্মীদের ছোট হাতা-স্বল্প দৈর্ঘ্যের পোশাক ও লেগিংস পরা যাবে না, বাংলাদেশ ব্যাংকে আদেশ জারি

একদিনের ব্যবধানে ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম

দুয়ার কেলেঙ্কারিতে বড় লোকসানে অগ্রণী ব্যাংক

হিসাবের পরিবর্তনে সরকারের ঋণ বাড়ল ৫৬ হাজার কোটি টাকা

এক সপ্তাহে ঢাকা স্টকের মূলধন বেড়েছে সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকা

শুল্কের দরকষাকষিতে যুক্ত হয়েছে শ্রমিক অধিকার

দাম বেড়েছে পেঁয়াজ মুরগি সবজির, কমেছে ডিম মরিচের
ভারতের কাছে যুক্তরাজ্যে শুল্কমুক্ত পোশাক রপ্তানির একচেটিয়া সুযোগ হারালো বাংলাদেশ

ভারত-যুক্তরাজ্য মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির (India-UK FTA) আওতায় ভারত এখন থেকে যুক্তরাজ্যে তৈরি পোশাক, হোম টেক্সটাইল, কার্পেট এবং হস্তশিল্প শুল্কমুক্ত রপ্তানির সুযোগ পেয়েছে।
এই চুক্তি ভারতের বস্ত্র ও তৈরি পোশাক শিল্পের জন্য একটি বড় সুযোগ সৃষ্টি করেছে, যা বিশ্ব বাণিজ্যে দেশটির অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করবে। তবে, এই সুযোগ বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি শিল্পের জন্য নতুন প্রতিযোগিতার চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে, যেহেতু বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রপ্তানিকারক দেশ।
এই চুক্তির আগে, ভারতের তৈরি পোশাক যুক্তরাজ্যে রপ্তানির ক্ষেত্রে গড়ে ৯.৬% থেকে ১২% শুল্ক প্রদান করতে হতো। বিশেষ করে, তৈরি পোশাক এবং টেক্সটাইল পণ্যের উপর যুক্তরাজ্যের সাধারণ শুল্ক হার প্রযোজ্য ছিল, যা পণ্যের ধরন অনুযায়ী ৮%
থেকে ১২% পর্যন্ত ছিল। উদাহরণস্বরূপ, নিটওয়্যারের উপর গড়ে ১০% এবং বোনা পোশাকের উপর ১২% শুল্ক আরোপিত হতো। এই শুল্ক বাণিজ্য ব্যয় বাড়িয়ে ভারতের পোশাকের প্রতিযোগিতামূলক দামকে প্রভাবিত করত। অন্যদিকে, বাংলাদেশ, যুক্তরাজ্যের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের GSP সুবিধার আওতায় এবং পরবর্তীতে DCTS এর মাধ্যমে শুল্কমুক্ত রপ্তানির সুবিধা পেয়ে আসছে। ফলে, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক যুক্তরাজ্যে প্রবেশের ক্ষেত্রে কোনো শুল্ক দিতে হতো না, যা বাংলাদেশকে বাজারে একটি শক্তিশালী অবস্থান দিয়েছে। ২০২৩ সালে বাংলাদেশ যুক্তরাজ্যে প্রায় ৪.৫ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পোশাক রপ্তানি করেছে, যা বিশ্ববাজারে তার দ্বিতীয় অবস্থানকে আরও সুসংহত করেছে। ভারতের জন্য নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিল যুক্তরাজ্য ভারত-যুক্তরাজ্য মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির ফলে ভারত এখন শুল্কমুক্ত বাজার
প্রবেশাধিকার পাওয়ায় তার পোশাক রপ্তানি বৃদ্ধির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। ২০২২ সালে ভারত বিশ্ববাজারে ১৮ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানি করে পঞ্চম স্থানে ছিল। এই নতুন সুবিধার মাধ্যমে ভারতের রপ্তানি ১০-১৫% বৃদ্ধি পেতে পারে বলে ভারতের বিনিয়োগ ব্যাংক আনন্দ রথি ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকিংয়ের পরিচালক ভারত বিড়লা মনে করেন। এটি ভারতের বস্ত্র ও পোশাক শিল্পের জন্য মধ্যমেয়াদি সময়ে একটি বড় সুযোগ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। যুক্তরাজ্যের বাজারে বাংলাদেশের নতুন প্রতিদ্বন্দ্বী ভারত বাংলাদেশের পোশাক শিল্প, যা দেশের মোট রপ্তানি আয়ের প্রায় ৮৪% অবদান রাখে, এই নতুন পরিস্থিতিতে ভারতের সঙ্গে তীব্র প্রতিযোগিতার মুখোমুখি হতে পারে। বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানির প্রধান গন্তব্য যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যেখানে এটি শুল্কমুক্ত সুবিধা পায়।
তবে, যুক্তরাজ্যে ভারতের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার বাংলাদেশের বাজার হিস্যাকে প্রভাবিত করতে পারে, বিশেষ করে নিটওয়্যার এবং বোনা পোশাকের ক্ষেত্রে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশ ৩৯.৩৫ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানি করে ৮.৮৪% প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। কিন্তু ভারতের নতুন সুবিধা এই প্রবৃদ্ধির ধারাকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলতে পারে। রপ্তানি বিশেষজ্ঞদের মতামত ভারতের লালভাই গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান কুলীন লালভাই বলেন, “বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি ভারতের পোশাক শিল্পের জন্য একটি সুযোগ তৈরি করেছে। বৈশ্বিক ব্র্যান্ডগুলো এখন বাংলাদেশের বাইরে বিকল্প উৎস খুঁজছে।” এদিকে, বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানিকারকরা উৎপাদন বৃদ্ধি এবং বৈচিত্র্যময় বাজার খোঁজার মাধ্যমে এই প্রতিযোগিতা মোকাবিলার চেষ্টা করছে। ভারত-যুক্তরাজ্য মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি ভারতের পোশাক শিল্পের জন্য নতুন দিগন্ত উন্মোচন করলেও, বাংলাদেশের জন্য এটি একটি
নতুন প্রতিদ্বন্দ্বিতা সৃষ্টি করেছে। বাংলাদেশকে এখন উৎপাদন বৈচিত্র্য, অবকাঠামো উন্নয়ন এবং নতুন বাজার অনুসন্ধানের মাধ্যমে তার বিশ্ববাজারে দ্বিতীয় অবস্থান ধরে রাখতে হবে। অন্যদিকে, ভারত এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে বিশ্বের শীর্ষ পোশাক রপ্তানিকারক দেশগুলোর তালিকায় আরও উপরে উঠতে পারে।
থেকে ১২% পর্যন্ত ছিল। উদাহরণস্বরূপ, নিটওয়্যারের উপর গড়ে ১০% এবং বোনা পোশাকের উপর ১২% শুল্ক আরোপিত হতো। এই শুল্ক বাণিজ্য ব্যয় বাড়িয়ে ভারতের পোশাকের প্রতিযোগিতামূলক দামকে প্রভাবিত করত। অন্যদিকে, বাংলাদেশ, যুক্তরাজ্যের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের GSP সুবিধার আওতায় এবং পরবর্তীতে DCTS এর মাধ্যমে শুল্কমুক্ত রপ্তানির সুবিধা পেয়ে আসছে। ফলে, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক যুক্তরাজ্যে প্রবেশের ক্ষেত্রে কোনো শুল্ক দিতে হতো না, যা বাংলাদেশকে বাজারে একটি শক্তিশালী অবস্থান দিয়েছে। ২০২৩ সালে বাংলাদেশ যুক্তরাজ্যে প্রায় ৪.৫ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পোশাক রপ্তানি করেছে, যা বিশ্ববাজারে তার দ্বিতীয় অবস্থানকে আরও সুসংহত করেছে। ভারতের জন্য নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিল যুক্তরাজ্য ভারত-যুক্তরাজ্য মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির ফলে ভারত এখন শুল্কমুক্ত বাজার
প্রবেশাধিকার পাওয়ায় তার পোশাক রপ্তানি বৃদ্ধির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। ২০২২ সালে ভারত বিশ্ববাজারে ১৮ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানি করে পঞ্চম স্থানে ছিল। এই নতুন সুবিধার মাধ্যমে ভারতের রপ্তানি ১০-১৫% বৃদ্ধি পেতে পারে বলে ভারতের বিনিয়োগ ব্যাংক আনন্দ রথি ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকিংয়ের পরিচালক ভারত বিড়লা মনে করেন। এটি ভারতের বস্ত্র ও পোশাক শিল্পের জন্য মধ্যমেয়াদি সময়ে একটি বড় সুযোগ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। যুক্তরাজ্যের বাজারে বাংলাদেশের নতুন প্রতিদ্বন্দ্বী ভারত বাংলাদেশের পোশাক শিল্প, যা দেশের মোট রপ্তানি আয়ের প্রায় ৮৪% অবদান রাখে, এই নতুন পরিস্থিতিতে ভারতের সঙ্গে তীব্র প্রতিযোগিতার মুখোমুখি হতে পারে। বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানির প্রধান গন্তব্য যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যেখানে এটি শুল্কমুক্ত সুবিধা পায়।
তবে, যুক্তরাজ্যে ভারতের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার বাংলাদেশের বাজার হিস্যাকে প্রভাবিত করতে পারে, বিশেষ করে নিটওয়্যার এবং বোনা পোশাকের ক্ষেত্রে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশ ৩৯.৩৫ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানি করে ৮.৮৪% প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। কিন্তু ভারতের নতুন সুবিধা এই প্রবৃদ্ধির ধারাকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলতে পারে। রপ্তানি বিশেষজ্ঞদের মতামত ভারতের লালভাই গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান কুলীন লালভাই বলেন, “বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি ভারতের পোশাক শিল্পের জন্য একটি সুযোগ তৈরি করেছে। বৈশ্বিক ব্র্যান্ডগুলো এখন বাংলাদেশের বাইরে বিকল্প উৎস খুঁজছে।” এদিকে, বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানিকারকরা উৎপাদন বৃদ্ধি এবং বৈচিত্র্যময় বাজার খোঁজার মাধ্যমে এই প্রতিযোগিতা মোকাবিলার চেষ্টা করছে। ভারত-যুক্তরাজ্য মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি ভারতের পোশাক শিল্পের জন্য নতুন দিগন্ত উন্মোচন করলেও, বাংলাদেশের জন্য এটি একটি
নতুন প্রতিদ্বন্দ্বিতা সৃষ্টি করেছে। বাংলাদেশকে এখন উৎপাদন বৈচিত্র্য, অবকাঠামো উন্নয়ন এবং নতুন বাজার অনুসন্ধানের মাধ্যমে তার বিশ্ববাজারে দ্বিতীয় অবস্থান ধরে রাখতে হবে। অন্যদিকে, ভারত এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে বিশ্বের শীর্ষ পোশাক রপ্তানিকারক দেশগুলোর তালিকায় আরও উপরে উঠতে পারে।