ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
বাংলাদেশেও সব মার্কিন সহায়তা বন্ধ ঘোষণা
ঢাকায় আইএসআই প্রধান: দিল্লির হুঁশিয়ারি
সামাজিক নিরাপত্তা স্বাস্থ্য শিক্ষা কৃষি পরিবেশে বড় ধাক্কা
সাবেক দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান গ্রেপ্তার
ঢাবি উপাচার্যের দুঃখ প্রকাশ
ঢাবি ও সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ ‘অনাকাঙ্ক্ষিত ও দুঃখজনক’: উপ-উপাচার্য মামুন
আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ কী
ভারতকে ডোবাচ্ছে চীন,বাংলাদেশকে ডোবাবে ভারত!
বহুদিন থেকেই ভারতকে টেক্কা দিয়ে এশিয়ায় প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে চীন। এবার বেইজিংয়ের দৃষ্টি তিব্বতের নয়নাভিরাম নদী ইয়ালুং জাম্বো। যেটি চীনের শিয়াং নদী ভারত হয়ে বাংলাদেশের ওপর দিয়েও চলে এসেছে ব্রহ্মপুত্র নদীটি। এই নদী ঘিরেই নতুন রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব ছড়িয়ে পড়েছে চীন ভারতের মধ্যে।
চিরশত্রু দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে এই দ্বন্দ্বের প্রভাব পড়তে চলেছে বাংলাদেশেও। মূলত এই নদীতে বাঁধ দিয়ে জলবিদ্যুৎ উৎপাদন করবে চীন। আর দেশটির নতুন এই কর্মযজ্ঞে চোখে সর্ষেফুল দেখছে ভারত। কারণ শঙ্কা আছে যে এই বাঁধ অরুণাচল এবং আসামের ওপর ফেলবে নেতিবাচক প্রভাব। যদিও পাল্টা হিসেবে নতুন বাঁধ নির্মাণে উদ্যত ভারত।
এরই মধ্যে তিব্বতের ইয়ালুং জাম্বো নদীতে পৃথিবীর সবচেয়ে বড়
জলবিদ্যুৎ বাঁধ নির্মাণে অনুমোদন দিয়ে ফেলেছে চীন।বাঁধটি বছরে ৩০০ বিলিয়ন কিলোওয়াট ঘণ্টা বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা রাখবে বলে মনে করা হচ্ছে। চীনের যে কোনো পদক্ষেপে সজাগ দৃষ্টি দেশটি। ভারতের এরই মধ্যে উদ্বেগ জানিয়েছে দিল্লি। এমনকি এ নিয়ে শঙ্কিত পরিবেশ বিশেষজ্ঞরাও। তারা বলছেন, এই বাঁধ হলে ভারতীয় জলসীমার নিচু অঞ্চলে পানির প্রবাহ বৃদ্ধি পাবে। বেইজিংয়ের এই ঘোষণার পর এবার একই নদীতে বাঁধ দেয়ার পরিকল্পনা প্রকাশ করল ভারত। দেশের অরুনাচল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পেমা আপার মাল্টি পারপাস প্রজেক্ট বাস্তবায়নের কথা জানিয়েছেন। এই প্রকল্পে ব্যয় হবে আনুমানিক এক লাখ তেরো হাজার কোটি রুপি। কিন্তু চীন ভারতের পাল্টাপাল্টি বাঁধ নির্মাণের ফলে ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চল এবং বাংলাদেশের
লাখ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলেও শঙ্কা রয়েছে। ভারত সরকারের প্রস্তাবিত তের দশমিক দুই বিলিয়ন ডলারের সেই বাঁধ নির্মাণ হলে এটি প্রায় নয় বিলিয়ন ঘনমিটার পানি সংরক্ষণ করতে পারবে এবং এগারো হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে। হাজার হাজার মানুষকে তাদের বাসস্থান ছাড়তে হবে। সিয়াং নদীর উৎপত্তি তিব্বতে। সেখানে এই নদীটি ইয়ান জাম্বো নামে পরিচিত। চীন সম্প্রতি তিব্বতের মেয়েদের কাউন্টিতে বিশ্বের বৃহত্তম বাঁধ নির্মাণের অনুমোদন দিয়েছে। এই বাঁধ নির্মাণের ফলে ভারতের ভূখণ্ডে নদীর প্রবাহে বিঘ্ন ঘটতে পারে সম্ভাব্য এই ক্ষতির প্রভাব কিছুটা হ্রাস করার জন্যই ভারত সরকার শিয়াং নদীতে পাল্টা বাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনা করেছে। বিশেষজ্ঞদের সতর্কবার্তা, হিমালয় অঞ্চলের ভঙ্গুর পরিবেশ এবং ভূমিকম্পপ্রবণ ভূখণ্ডে
দুটি বিশাল বাঁধের উপস্থিতি বিপুল বিপর্যয় এবং ক্ষতির কারণ হতে পারে। এই প্রতিযোগিতা স্থানীয় আদিবাসী জনগোষ্ঠীর ওপর সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলবে। তারা বলছেন, চীন যখনই নদীর ওপর বাঁধ নির্মাণ করে তা নিকটবর্তী দেশের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করে। ভারত এই প্রতিযোগিতায় জড়িয়ে পরিস্থিতি আরো জটিল করছে। গবেষকদের মতে, পানি নিয়ে ভারত ও চীনের এই প্রতিযোগিতায় সবচেয়ে বড় ক্ষতি হবে বাংলাদেশের। ব্রহ্মপুত্র অববাহিকার মাত্র আট শতাংশ বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্ত হলেও এই নদীটি দেশের ৬৫ শতাংশেরও বেশি পানির জোগান দেয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চীন ও ভারতের মধ্যে পানি বণ্টন নিয়ে উত্তেজনা দক্ষিণ এশিয়ায় আরও অস্থিরতা সৃষ্টি করবে। বাংলাদেশকে এই আলোচনায় অন্তর্ভুক্ত করার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট নদী অববাহিকার
সব দেশের মধ্যে সমন্বিত আলোচনা প্রয়োজন।
জলবিদ্যুৎ বাঁধ নির্মাণে অনুমোদন দিয়ে ফেলেছে চীন।বাঁধটি বছরে ৩০০ বিলিয়ন কিলোওয়াট ঘণ্টা বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা রাখবে বলে মনে করা হচ্ছে। চীনের যে কোনো পদক্ষেপে সজাগ দৃষ্টি দেশটি। ভারতের এরই মধ্যে উদ্বেগ জানিয়েছে দিল্লি। এমনকি এ নিয়ে শঙ্কিত পরিবেশ বিশেষজ্ঞরাও। তারা বলছেন, এই বাঁধ হলে ভারতীয় জলসীমার নিচু অঞ্চলে পানির প্রবাহ বৃদ্ধি পাবে। বেইজিংয়ের এই ঘোষণার পর এবার একই নদীতে বাঁধ দেয়ার পরিকল্পনা প্রকাশ করল ভারত। দেশের অরুনাচল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পেমা আপার মাল্টি পারপাস প্রজেক্ট বাস্তবায়নের কথা জানিয়েছেন। এই প্রকল্পে ব্যয় হবে আনুমানিক এক লাখ তেরো হাজার কোটি রুপি। কিন্তু চীন ভারতের পাল্টাপাল্টি বাঁধ নির্মাণের ফলে ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চল এবং বাংলাদেশের
লাখ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলেও শঙ্কা রয়েছে। ভারত সরকারের প্রস্তাবিত তের দশমিক দুই বিলিয়ন ডলারের সেই বাঁধ নির্মাণ হলে এটি প্রায় নয় বিলিয়ন ঘনমিটার পানি সংরক্ষণ করতে পারবে এবং এগারো হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে। হাজার হাজার মানুষকে তাদের বাসস্থান ছাড়তে হবে। সিয়াং নদীর উৎপত্তি তিব্বতে। সেখানে এই নদীটি ইয়ান জাম্বো নামে পরিচিত। চীন সম্প্রতি তিব্বতের মেয়েদের কাউন্টিতে বিশ্বের বৃহত্তম বাঁধ নির্মাণের অনুমোদন দিয়েছে। এই বাঁধ নির্মাণের ফলে ভারতের ভূখণ্ডে নদীর প্রবাহে বিঘ্ন ঘটতে পারে সম্ভাব্য এই ক্ষতির প্রভাব কিছুটা হ্রাস করার জন্যই ভারত সরকার শিয়াং নদীতে পাল্টা বাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনা করেছে। বিশেষজ্ঞদের সতর্কবার্তা, হিমালয় অঞ্চলের ভঙ্গুর পরিবেশ এবং ভূমিকম্পপ্রবণ ভূখণ্ডে
দুটি বিশাল বাঁধের উপস্থিতি বিপুল বিপর্যয় এবং ক্ষতির কারণ হতে পারে। এই প্রতিযোগিতা স্থানীয় আদিবাসী জনগোষ্ঠীর ওপর সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলবে। তারা বলছেন, চীন যখনই নদীর ওপর বাঁধ নির্মাণ করে তা নিকটবর্তী দেশের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করে। ভারত এই প্রতিযোগিতায় জড়িয়ে পরিস্থিতি আরো জটিল করছে। গবেষকদের মতে, পানি নিয়ে ভারত ও চীনের এই প্রতিযোগিতায় সবচেয়ে বড় ক্ষতি হবে বাংলাদেশের। ব্রহ্মপুত্র অববাহিকার মাত্র আট শতাংশ বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্ত হলেও এই নদীটি দেশের ৬৫ শতাংশেরও বেশি পানির জোগান দেয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চীন ও ভারতের মধ্যে পানি বণ্টন নিয়ে উত্তেজনা দক্ষিণ এশিয়ায় আরও অস্থিরতা সৃষ্টি করবে। বাংলাদেশকে এই আলোচনায় অন্তর্ভুক্ত করার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট নদী অববাহিকার
সব দেশের মধ্যে সমন্বিত আলোচনা প্রয়োজন।