
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

বাকৃবিতে ছিনতাইয়ের উপকরণসহ পাঁচ সন্দেহভাজন আটক

কুয়েট প্রশাসন ও ছাত্র রাজনীতিকে ‘লাল কার্ড’

একুশের প্রথম প্রহরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা

‘দেশে বিরাজনীতিকরণের চক্রান্তে লিপ্তরা কুয়েটকে অস্থিতিশীল করতে চাচ্ছে’

আওয়ামীপন্থি ১২ শিক্ষক বরখাস্ত

কুয়েটে হামলার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের মামলা

কুয়েট ক্যাম্পাস বন্ধ, ভিসি-প্রোভিসির পদত্যাগ দাবিতে অনড় শিক্ষার্থীরা
বেসরকারি কলেজ মালিকরা কেন অটোমেশন বাতিল চান

বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তি প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনতে দুই বছর আগে অটোমেশন পদ্ধতি চালু করে সরকার। ২০২২-২৩ সেশন থেকে এ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে শিক্ষার্থী ভর্তি করে আসছে বেসরকারি মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ। এতে দীর্ঘদিনের অনিয়মের অবসান হয়েছে। এ পদ্ধতির কারণে মেধাতালিকার ভিত্তিতে শিক্ষার্থীরা পছন্দের প্রতিষ্ঠান বেছে নিতে পারেন। তবে শুরু থেকে পদ্ধতিটির বিরোধিতা করে আসছেন কলেজ মালিকরা। তাদের ভাষ্য, ভর্তি প্রক্রিয়ায় অটোমেশন পদ্ধতি অনুসরণ করায় তারা ক্ষতিগ্রস্ত। অনেক আসনই ফাঁকা থেকে যাচ্ছে। অটোমেশনের নামে বেসরকারি মেডিকেল খাত ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র চলছে। ফলে আগামী সেশনে শিক্ষার্থী ভর্তিতে এ পদ্ধতি বাতিল করা দরকার। এ নিয়ে তারা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে। এদিকে
নিয়ন্ত্রক সংস্থা স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর এবং বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) জানিয়েছে, অটোমেশন পদ্ধতি বাতিল করা সম্ভব নয়। এ পদ্ধতি অনুসরণ করেই শিক্ষার্থী ভর্তি করতে হবে বেসরকারি মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষকে। এ নিয়ে আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ভর্তিতে অটোমেশন পদ্ধতি বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তিকৃত ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ও অভিভাবক। জানা গেছে, অটোমেশন পদ্ধতি বাতিল চেয়ে গত ১৯ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্য উপদেষ্টাকে চিঠি দেয় বেসরকারি মেডিকেল কলেজ মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনটির সভাপতি এম এ মুবিন খান ও সাধারণ সম্পাদক মো. মোয়াজ্জেম হোসেনের সই করা ওই চিঠিতে উল্লেখ
করা হয়, অটোমেশন একটি বৈষম্যমূলক পদ্ধতি। এটি বাতিল করতে হবে। বেসরকারি মেডিকেলের মতো ব্যয়বহুল শিক্ষায় যারা পড়তে ইচ্ছুক, তারা নিজের অর্থ ব্যয় করে পছন্দের কলেজে পড়তে চান। অটোমেশনের কারণে অর্থ থাকলেও পছন্দের কলেজে অনেকেই ভর্তি হতে পারছেন না। অটোমেশন পদ্ধতি বাতিল করে আগের ব্যবস্থায় ফিরে গেলে শিক্ষার্থী ও কলেজ কর্তৃপক্ষের সুবিধা হবে। সংশ্লিষ্টরা জানান, অটোমেশন পদ্ধতির ফলে এখন শুধু টাকা থাকলেই পছন্দের মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পাওয়া যায় না, থাকতে হয় যোগ্যতাও। সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির পরীক্ষা একই দিনে এবং একই মানে হয়ে থাকে। সেখানে মেধাক্রম অনুযায়ী প্রথমে সরকারি মেডিকেলে ভর্তি হন, এরপর তারা মেধাতালিকা অনুযায়ী নিজেদের পছন্দের বেসরকারি
মেডিকেলে ভর্তি হতে পারেন। বর্তমানে দেশে মেডিকেল কলেজ আছে ১১০টি। এর মধ্যে সরকারি ৩৭টি এবং ৬৭টি বেসরকারি। আর্মড ফোর্সের মেডিকেল কলেজ আছে একটি এবং আর্মি মেডিকেল কলেজ আছে পাঁচটি। সেনাবাহিনীর অধীনে ও তত্ত্বাবধানে এসব মেডিকেলে পৃথক ভর্তি পরীক্ষা হয়ে থাকে। কলেজ মালিকদের দাবি, অটোমেশনের কারণে চলতি বছরের শেষ ভাগেও অধিকাংশ বেসরকারি মেডিকেল কলেজে আসন শূন্য রয়েছে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ে ভর্তির তালিকা প্রেরণ করা হলেও অনেকেই ভর্তি হচ্ছেন না। এমনকি বেশকিছু কলেজে বিনা খরচে দরিদ্র ও মেধাবী কোটাতেও পছন্দমতো কলেজ না পাওয়ায় আসন পূরণ হচ্ছে না। ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ১ লাখ ২ হাজার ৩৬৯ শিক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ হন ৪৯
হাজার ৯২৩ জন। তাদের মধ্যে ৩৭টি সরকারি মেডিকেলে ৫ হাজার ৩৮০ আসন পূর্ণ হলেও ৬৭টি অনুমোদিত বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ৬ হাজার ২৯৫টি আসন পূরণ হয়নি। এখনো বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে ১ হাজার ২০০ আসন শূন্য রয়েছে। স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোর মধ্যে সামনের সারিতে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ভর্তির জন্য বরাবরই শিক্ষার্থীদের চাপ থাকে। অনেক সময় এমন জায়গা থেকে তদবির করা হতো, যা প্রতিষ্ঠানগুলোও উপেক্ষা করতে পারত না। আবার অনেক ক্ষেত্রে অতিরিক্ত টাকা দিয়েও অনেকে ভর্তি হতো। মেধা তালিকার সামনের দিকে থাকা অনেক শিক্ষার্থীকে আসন শেষ বলে ফিরিয়ে দিত কর্তৃপক্ষ এবং স্বজন কিংবা অর্থের বিনিময়ে অন্যদের ভর্তি
করত। অটোমেশনের কারণে এসব অনিয়ম বন্ধ হয়েছে। ফলে এ পদ্ধতিটি বাতিল বা পরিবর্তন করা উচিত হবে না বলে মনে করছেন তারা। এক মেডিকেল কলেজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, অটোমেশন পদ্ধতির কারণে বিদেশি শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশে চিকিৎসা শিক্ষা গ্রহণে আগ্রহ হারাচ্ছেন। অটোমেশন চালু করার আগে ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কাসহ বিভিন্ন দেশ থেকে পর্যাপ্ত শিক্ষার্থী পড়তে আসতেন। অটোমেশনের কারণে তারাও পছন্দের কলেজে ভর্তি হতে পারছেন না। ফলে বিদেশি শিক্ষার্থীরাও বাংলাদেশে মেডিকেলে ভর্তি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী, ২০২১-২২ এবং ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে দুই বছর বিদেশি শিক্ষার্থী ৪৫ শতাংশ ভর্তি হয়েছেন। কিন্তু ২০২৩-২৪ এবং ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে কাঙ্ক্ষিত শিক্ষার্থী পাওয়া যাচ্ছে না। বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ অ্যাসোসিয়েশনের
কোষাধ্যক্ষ হাবিবুল হক বলেন, একজন শিক্ষার্থী ঢাকায় বেড়ে উঠেছে, পড়াশোনা করেছে এবং ঢাকার যে কোনো একটি মেডিকেলে পড়তে তার সামর্থ্য আছে। তাকে তার পরিবার টাকা দিচ্ছে। তাকে দিয়ে দেওয়া হচ্ছে বরিশাল। এখন এই ঢাকার ছেলে কি বরিশাল গিয়ে অথবা অন্য কোনো জেলায় গিয়ে পড়বে? সে মেডিকেলে পড়ার জন্য বিদেশে চলে যাচ্ছে, নয়তো চিকিৎসা শিক্ষা রেখে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হচ্ছে। তিনি বলেন, অটোমেশন পদ্ধতিটি ভারত থেকে নেওয়া হয়েছে। পদ্ধতিটি প্রয়োগে আমরা উপযোগী কি না সে বিষয়টি বিবেচনা করা হয়নি। ভারতে অটোমেশন প্রয়োজন; কিন্তু আমাদের দেশে তো কয়েকটি আসনের বিপরীতে গড়ে মাত্র একজন আগ্রহী। এ পদ্ধতি অনুসরণের কারণে বেসরকারি মেডিকেল কলেজ মালিকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। আমরা এ পদ্ধতির বাতিল চাই। স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের চিকিৎসা শিক্ষা বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. মহিউদ্দিন মাতুব্বর বলেন, বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তি প্রক্রিয়ায় অটোমেশন বাতিল হবে না। এ বছরও অটোমেশনে ভর্তি প্রক্রিয়া চলবে। এ প্রক্রিয়ায় মেধাবীরা সুফল পাচ্ছেন। ভালো কলেজে একটি আসনও ফাঁকা থাকছে না। যাদের মান তুলনামূলকভাবে কম তারা ভর্তি প্রক্রিয়ার এ ভালো উদ্যোগ নিয়ে সমালোচনা করছেন। তিনি বলেন, মেডিকেল কলেজে ভর্তি ও তার গুণগত মান রক্ষায় বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলও (বিএমডিসি) একটি নীতিমালা প্রণয়ন করেছে। সেখানেও বলা হয়েছে, বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তি প্রক্রিয়ায় অটোমেশন পদ্ধতি অনুসরণ করা হবে। এ পদ্ধতি স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে। এখান থেকে সরে আসার কোনো সুযোগ নেই।
নিয়ন্ত্রক সংস্থা স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর এবং বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) জানিয়েছে, অটোমেশন পদ্ধতি বাতিল করা সম্ভব নয়। এ পদ্ধতি অনুসরণ করেই শিক্ষার্থী ভর্তি করতে হবে বেসরকারি মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষকে। এ নিয়ে আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ভর্তিতে অটোমেশন পদ্ধতি বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তিকৃত ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ও অভিভাবক। জানা গেছে, অটোমেশন পদ্ধতি বাতিল চেয়ে গত ১৯ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্য উপদেষ্টাকে চিঠি দেয় বেসরকারি মেডিকেল কলেজ মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনটির সভাপতি এম এ মুবিন খান ও সাধারণ সম্পাদক মো. মোয়াজ্জেম হোসেনের সই করা ওই চিঠিতে উল্লেখ
করা হয়, অটোমেশন একটি বৈষম্যমূলক পদ্ধতি। এটি বাতিল করতে হবে। বেসরকারি মেডিকেলের মতো ব্যয়বহুল শিক্ষায় যারা পড়তে ইচ্ছুক, তারা নিজের অর্থ ব্যয় করে পছন্দের কলেজে পড়তে চান। অটোমেশনের কারণে অর্থ থাকলেও পছন্দের কলেজে অনেকেই ভর্তি হতে পারছেন না। অটোমেশন পদ্ধতি বাতিল করে আগের ব্যবস্থায় ফিরে গেলে শিক্ষার্থী ও কলেজ কর্তৃপক্ষের সুবিধা হবে। সংশ্লিষ্টরা জানান, অটোমেশন পদ্ধতির ফলে এখন শুধু টাকা থাকলেই পছন্দের মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পাওয়া যায় না, থাকতে হয় যোগ্যতাও। সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির পরীক্ষা একই দিনে এবং একই মানে হয়ে থাকে। সেখানে মেধাক্রম অনুযায়ী প্রথমে সরকারি মেডিকেলে ভর্তি হন, এরপর তারা মেধাতালিকা অনুযায়ী নিজেদের পছন্দের বেসরকারি
মেডিকেলে ভর্তি হতে পারেন। বর্তমানে দেশে মেডিকেল কলেজ আছে ১১০টি। এর মধ্যে সরকারি ৩৭টি এবং ৬৭টি বেসরকারি। আর্মড ফোর্সের মেডিকেল কলেজ আছে একটি এবং আর্মি মেডিকেল কলেজ আছে পাঁচটি। সেনাবাহিনীর অধীনে ও তত্ত্বাবধানে এসব মেডিকেলে পৃথক ভর্তি পরীক্ষা হয়ে থাকে। কলেজ মালিকদের দাবি, অটোমেশনের কারণে চলতি বছরের শেষ ভাগেও অধিকাংশ বেসরকারি মেডিকেল কলেজে আসন শূন্য রয়েছে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ে ভর্তির তালিকা প্রেরণ করা হলেও অনেকেই ভর্তি হচ্ছেন না। এমনকি বেশকিছু কলেজে বিনা খরচে দরিদ্র ও মেধাবী কোটাতেও পছন্দমতো কলেজ না পাওয়ায় আসন পূরণ হচ্ছে না। ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ১ লাখ ২ হাজার ৩৬৯ শিক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ হন ৪৯
হাজার ৯২৩ জন। তাদের মধ্যে ৩৭টি সরকারি মেডিকেলে ৫ হাজার ৩৮০ আসন পূর্ণ হলেও ৬৭টি অনুমোদিত বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ৬ হাজার ২৯৫টি আসন পূরণ হয়নি। এখনো বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে ১ হাজার ২০০ আসন শূন্য রয়েছে। স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোর মধ্যে সামনের সারিতে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ভর্তির জন্য বরাবরই শিক্ষার্থীদের চাপ থাকে। অনেক সময় এমন জায়গা থেকে তদবির করা হতো, যা প্রতিষ্ঠানগুলোও উপেক্ষা করতে পারত না। আবার অনেক ক্ষেত্রে অতিরিক্ত টাকা দিয়েও অনেকে ভর্তি হতো। মেধা তালিকার সামনের দিকে থাকা অনেক শিক্ষার্থীকে আসন শেষ বলে ফিরিয়ে দিত কর্তৃপক্ষ এবং স্বজন কিংবা অর্থের বিনিময়ে অন্যদের ভর্তি
করত। অটোমেশনের কারণে এসব অনিয়ম বন্ধ হয়েছে। ফলে এ পদ্ধতিটি বাতিল বা পরিবর্তন করা উচিত হবে না বলে মনে করছেন তারা। এক মেডিকেল কলেজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, অটোমেশন পদ্ধতির কারণে বিদেশি শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশে চিকিৎসা শিক্ষা গ্রহণে আগ্রহ হারাচ্ছেন। অটোমেশন চালু করার আগে ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কাসহ বিভিন্ন দেশ থেকে পর্যাপ্ত শিক্ষার্থী পড়তে আসতেন। অটোমেশনের কারণে তারাও পছন্দের কলেজে ভর্তি হতে পারছেন না। ফলে বিদেশি শিক্ষার্থীরাও বাংলাদেশে মেডিকেলে ভর্তি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী, ২০২১-২২ এবং ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে দুই বছর বিদেশি শিক্ষার্থী ৪৫ শতাংশ ভর্তি হয়েছেন। কিন্তু ২০২৩-২৪ এবং ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে কাঙ্ক্ষিত শিক্ষার্থী পাওয়া যাচ্ছে না। বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ অ্যাসোসিয়েশনের
কোষাধ্যক্ষ হাবিবুল হক বলেন, একজন শিক্ষার্থী ঢাকায় বেড়ে উঠেছে, পড়াশোনা করেছে এবং ঢাকার যে কোনো একটি মেডিকেলে পড়তে তার সামর্থ্য আছে। তাকে তার পরিবার টাকা দিচ্ছে। তাকে দিয়ে দেওয়া হচ্ছে বরিশাল। এখন এই ঢাকার ছেলে কি বরিশাল গিয়ে অথবা অন্য কোনো জেলায় গিয়ে পড়বে? সে মেডিকেলে পড়ার জন্য বিদেশে চলে যাচ্ছে, নয়তো চিকিৎসা শিক্ষা রেখে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হচ্ছে। তিনি বলেন, অটোমেশন পদ্ধতিটি ভারত থেকে নেওয়া হয়েছে। পদ্ধতিটি প্রয়োগে আমরা উপযোগী কি না সে বিষয়টি বিবেচনা করা হয়নি। ভারতে অটোমেশন প্রয়োজন; কিন্তু আমাদের দেশে তো কয়েকটি আসনের বিপরীতে গড়ে মাত্র একজন আগ্রহী। এ পদ্ধতি অনুসরণের কারণে বেসরকারি মেডিকেল কলেজ মালিকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। আমরা এ পদ্ধতির বাতিল চাই। স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের চিকিৎসা শিক্ষা বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. মহিউদ্দিন মাতুব্বর বলেন, বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তি প্রক্রিয়ায় অটোমেশন বাতিল হবে না। এ বছরও অটোমেশনে ভর্তি প্রক্রিয়া চলবে। এ প্রক্রিয়ায় মেধাবীরা সুফল পাচ্ছেন। ভালো কলেজে একটি আসনও ফাঁকা থাকছে না। যাদের মান তুলনামূলকভাবে কম তারা ভর্তি প্রক্রিয়ার এ ভালো উদ্যোগ নিয়ে সমালোচনা করছেন। তিনি বলেন, মেডিকেল কলেজে ভর্তি ও তার গুণগত মান রক্ষায় বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলও (বিএমডিসি) একটি নীতিমালা প্রণয়ন করেছে। সেখানেও বলা হয়েছে, বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তি প্রক্রিয়ায় অটোমেশন পদ্ধতি অনুসরণ করা হবে। এ পদ্ধতি স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে। এখান থেকে সরে আসার কোনো সুযোগ নেই।