ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
নাটোরে মহাশ্মশানে ডাকাতি, মন্দিরে লুটপাট, সেবায়েতকে হত্যা
ডাকাতি পরিকল্পনা এক মাস আগে
বিমানবন্দরে আটক বাধ্যতামূলক অবসরপ্রাপ্ত সচিব ইসমাইল
খণ্ডিত দেহাংশ এমপি আনারের, ডিএনএ মিলেছে মেয়ের সঙ্গে
ইলিয়াসের বিরুদ্ধে বিএনপির ঝাড়ু মিছিল
সাদপন্থীদের নিষিদ্ধ ঘোষণা দাবি, থানা ঘেরাও
উত্তরার লাভলীন রেস্টুরেন্টের আগুন নিয়ন্ত্রণে
বুড়িগঙ্গায় বন্ধ ‘ওয়াটার বাস’ চলাচল, দুর্ভোগ
টেন্ডার জটিলতার কারণে বন্ধ রয়েছে বুড়িগঙ্গায় পারাপারে নিয়োজিত ‘ওয়াটার বাস’ সার্ভিস। আগানগর টু ওয়াইজঘাট ও তেলঘাট টু শ্যামবাজার রুটে দুটি করে চারটি ওয়াটার বাস চলাচল করত। কিন্তু এক মাস ধরে বন্ধ রয়েছে এ সার্ভিস। ফলে এই রুট ব্যবহারকারী শিক্ষার্থী, নারী, শিশুসহ হাজারো যাত্রীর নদী পারাপারে ঝুঁকি বেড়েছে। ভয় আর আতঙ্ক নিয়ে বিকল্প হিসাবে খেয়া নৌকায় নদী পার হচ্ছেন তারা।
তবে শিগগিরই এ সার্ভিস চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন বিআইডব্লিউটিসির প্যাসেঞ্জার সার্ভিস ইউনিটের ডিজিএম তানভীর আহমেদ। তিনি বলেন, মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ইজারাদার সার্ভিসটি বন্ধ করে ওয়াটার বাসগুলো আমাদের জিম্মায় দিয়ে গেছেন। যার ফলে সার্ভিসটি হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায়। মাসখানেক হলো এটি
বন্ধ রয়েছে। এদিকে ৫ বছরের জন্য নতুন ইজারাদার নিয়োগ করা হয়েছে। অচিরেই সার্ভিসটি চালু করা হবে। জানা যায়, নৌ দুর্ঘটনারোধে ২০২০ সালের ৩ সেপ্টেম্বর বুড়িগঙ্গায় যাত্রী পারাপারে ওয়াটার বাস সার্ভিস চালু করে বিআইডব্লিউটিসি। বুধবার সকালে আগানগর ওয়াটার বাস ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, বেশ কয়েকজন যাত্রী নদী পারাপারের অপেক্ষায় জেটিতে দাঁড়িয়ে আছেন। সেখানে কথা হয়, মেয়েকে নিয়ে রাজধানীর বাংলাবাজারে বই-খাতা কিনতে যাওয়া গৃহিণী রাসিকা খানম শান্তার সঙ্গে। তিনি জানান, ছেলেমেয়েদের স্কুলের খাতা-কলম বেশি করে পাইকারি দামে বাংলাবাজার থেকে কিনে আনি। আজকে মেয়েকে নিয়ে সেই উদ্দেশ্যেই বের হয়েছিলাম, কিন্তু ঘাটে এসে দেখি ওয়াটার বাস বন্ধ। ছোট্ট মেয়েকে নিয়ে ডিঙ্গি নৌকায় নদী পার হতে
ভয় পাচ্ছি, তাই বাড়ি ফিরে যাচ্ছি। সেন্ট গ্রেগরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র তাহমিদ চৌধুরী বলেন, চালুর পর থেকে সব সময়ই ওয়াটার বাসে বুড়িগঙ্গা পার হতাম। ডিঙ্গি নৌকা থেকে ওয়াটার বাস নিরাপদ ও আরামদায়ক। আমি সাঁতার জানি না তাই নৌকা দিয়ে পারাপার হতে অনেক ভয় লাগে। হঠাৎ ওয়াটার বাস বন্ধ হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছি। বেসরকারি ব্যাংক কর্মকর্তা আবিদুর রহমান জানান, মাসখানেক ধরে সার্ভিসটি বন্ধ রয়েছে। শুনেছি নতুন করে টেন্ডার দেয়া হচ্ছে, তাই আপাতত বন্ধ আছে সার্ভিস। আমার প্রশ্ন টেন্ডার দিতে হলে কি সার্ভিস বন্ধ করে দিতে হয়। সার্ভিস চালু থাকবে, নতুন কেউ ইজারা পেলে তারা পুরোনোদের কাছ থেকে ওয়াটার বাস বুঝে নেবে।
তাহলেই তো হয়ে যায়। জনগণের ভোগান্তি হয় না। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত অর্থবছরে ওয়াটার বাস সার্ভিসের ইজারা নিয়েছিলেন মাঝি শ্রমিক লীগের নেতা মো. মিন্টু। সরকার পরিবর্তনের পর তিনি গা ঢাকা দেন। এর কিছুদিন পর তিনি মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই সার্ভিসটি বন্ধ করে ওয়াটার বাসগুলো বিআইডব্লিউটিসির কাছে হস্তান্তর করেন। তবে যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরও বন্ধ রয়েছে।
বন্ধ রয়েছে। এদিকে ৫ বছরের জন্য নতুন ইজারাদার নিয়োগ করা হয়েছে। অচিরেই সার্ভিসটি চালু করা হবে। জানা যায়, নৌ দুর্ঘটনারোধে ২০২০ সালের ৩ সেপ্টেম্বর বুড়িগঙ্গায় যাত্রী পারাপারে ওয়াটার বাস সার্ভিস চালু করে বিআইডব্লিউটিসি। বুধবার সকালে আগানগর ওয়াটার বাস ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, বেশ কয়েকজন যাত্রী নদী পারাপারের অপেক্ষায় জেটিতে দাঁড়িয়ে আছেন। সেখানে কথা হয়, মেয়েকে নিয়ে রাজধানীর বাংলাবাজারে বই-খাতা কিনতে যাওয়া গৃহিণী রাসিকা খানম শান্তার সঙ্গে। তিনি জানান, ছেলেমেয়েদের স্কুলের খাতা-কলম বেশি করে পাইকারি দামে বাংলাবাজার থেকে কিনে আনি। আজকে মেয়েকে নিয়ে সেই উদ্দেশ্যেই বের হয়েছিলাম, কিন্তু ঘাটে এসে দেখি ওয়াটার বাস বন্ধ। ছোট্ট মেয়েকে নিয়ে ডিঙ্গি নৌকায় নদী পার হতে
ভয় পাচ্ছি, তাই বাড়ি ফিরে যাচ্ছি। সেন্ট গ্রেগরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র তাহমিদ চৌধুরী বলেন, চালুর পর থেকে সব সময়ই ওয়াটার বাসে বুড়িগঙ্গা পার হতাম। ডিঙ্গি নৌকা থেকে ওয়াটার বাস নিরাপদ ও আরামদায়ক। আমি সাঁতার জানি না তাই নৌকা দিয়ে পারাপার হতে অনেক ভয় লাগে। হঠাৎ ওয়াটার বাস বন্ধ হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছি। বেসরকারি ব্যাংক কর্মকর্তা আবিদুর রহমান জানান, মাসখানেক ধরে সার্ভিসটি বন্ধ রয়েছে। শুনেছি নতুন করে টেন্ডার দেয়া হচ্ছে, তাই আপাতত বন্ধ আছে সার্ভিস। আমার প্রশ্ন টেন্ডার দিতে হলে কি সার্ভিস বন্ধ করে দিতে হয়। সার্ভিস চালু থাকবে, নতুন কেউ ইজারা পেলে তারা পুরোনোদের কাছ থেকে ওয়াটার বাস বুঝে নেবে।
তাহলেই তো হয়ে যায়। জনগণের ভোগান্তি হয় না। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত অর্থবছরে ওয়াটার বাস সার্ভিসের ইজারা নিয়েছিলেন মাঝি শ্রমিক লীগের নেতা মো. মিন্টু। সরকার পরিবর্তনের পর তিনি গা ঢাকা দেন। এর কিছুদিন পর তিনি মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই সার্ভিসটি বন্ধ করে ওয়াটার বাসগুলো বিআইডব্লিউটিসির কাছে হস্তান্তর করেন। তবে যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরও বন্ধ রয়েছে।