বীর মুক্তিযোদ্ধা সখিনা বেগমের মৃত্যু: যিনি রাজাকার, দেশদ্রোহী, বেঈমানদের ছাড় দেননি – ইউ এস বাংলা নিউজ




বীর মুক্তিযোদ্ধা সখিনা বেগমের মৃত্যু: যিনি রাজাকার, দেশদ্রোহী, বেঈমানদের ছাড় দেননি

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ১৭ জুন, ২০২৫ | ১১:৩২ 44 ভিউ
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কিংবদন্তি বীর মুক্তিযোদ্ধা সখিনা বেগম মঙ্গলবার মৃত্যুবরণ করেছেন। তিনি ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাঁচজন রাজাকারকে কুপিয়ে হত্যার জন্য স্মরণীয় হয়ে আছেন, যা তাকে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মানুষের কাছে দেশপ্রেম ও সাহসের প্রতীক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। তার মৃত্যুর খবরে দেশজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সখিনা বেগমের বীরত্বগাথা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এক অনন্য অধ্যায়। ১৯৭১ সালে, দেশদ্রোহী রাজাকারদের বিরুদ্ধে তার নির্ভীক প্রতিরোধ তরুণ প্রজন্মের কাছে প্রেরণার উৎস। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকে তাকে “মুক্তিযুদ্ধের অকুতোভয় সৈনিক” হিসেবে আখ্যায়িত করে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। একজন এক্স ব্যবহারকারী লিখেছেন, “সখিনা বেগম মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মানুষের উত্তরসুরি, যারা রাজাকারদের কখনো ছাড় দেননি।” কিশোরগঞ্জের হাওর-অধ্যুষিত নিকলী উপজেলার গুরুই গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন

সখিনা বেগম। তার বাবার নাম সোনাফর মিয়া এবং মায়ের নাম দুঃখী বিবি। সখিনা নিঃসন্তান। মুক্তিযুদ্ধের আগেই মারা যান তার স্বামী কিতাব আলী। এই নারী মুক্তিযোদ্ধাকে শেষ বয়সে দেখাশোনা করতেন তার ভাগনি ফাইরুন্নেছা আক্তার। তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানান, বিকেলে আসরের নামাজ শেষে নিকলী উপজেলার গুরুই মাঠে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরে গুরুই এলাকার কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে। স্থানীয় কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক কয়েকটি বই থেকে জানা যায়, মুক্তিযুদ্ধে সখিনা বেগমের ভাগনে মতিউর রহমান সম্মুখযুদ্ধে অংশ নিয়ে হানাদার পাকিস্তানি সেনা ও রাজাকারদের হাতে শহিদ হন। ভাগনের অকালমৃত্যু সখিনাকে প্রতিশোধপরায়ণ করে তোলে। ওই সময় সখিনা বেগম গুরুই এলাকায় ‘বসু বাহিনীর’ নেতৃত্বাধীন মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্পে রাঁধুনির কাজ করতেন।

কাজের ফাঁকে রাজাকারদের গতিবিধির বিভিন্ন খবর সংগ্রহ করে মুক্তিযোদ্ধাদের জানাতেন। একপর্যায়ে তিনি পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে ধরা পড়েন। পরে কৌশলে সেখান থেকে পালিয়ে আসেন। আসার সময় সেখান থেকে তিনি একটি ধারালো দা নিয়ে আসেন। পরে সেই দা দিয়ে নিকলীর পাঁচ রাজাকারকে কুপিয়ে মারেন। সেই দা বর্তমানে ঢাকার মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে সংরক্ষিত আছে এবং নামফলকে সখিনা বেগমের নাম উল্লেখ আছে। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ সরকার ও মুক্তিযোদ্ধা সংগঠনগুলো গভীর শোক প্রকাশ করেছে। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, “সখিনা বেগমের সাহস ও ত্যাগ আমাদের জাতীয় মুক্তির সংগ্রামের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তার অবদান চিরস্মরণীয় থাকবে।”

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
সেনা মোতায়েন নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করলেন প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা শ্রীলংকার টি২০ দলে ভিশেন, নেই হাসারাঙ্গা ওসি মাইনুল আতংকে জাজিরার অপরাধীরা, পেয়েছেন শ্রেষ্ঠ ওসির পুরষ্কার ঈদে মিলাদুন্নবীর ছুটির তারিখ পরিবর্তন কিয়েভে হামলার পর রুশ রাষ্ট্রদূতকে তলব করছে যুক্তরাজ্য ও ইইউ নির্বাচন কমিশনকে বিজেপির ‘ললিপপ’ না হওয়ার আহ্বান মমতার যুক্তরাষ্ট্রে মিনিয়াপোলিসের স্কুলে গুলি, নিহত ২, আহত ২০ তুরস্কে ‘স্টিল ডোম’: একই দিনে ১৪টি নতুন স্থাপনার উদ্বোধন মার্কিন চাপের মুখে ভারত যে রণকৌশল নিয়েছিল বাজপেয়ী-বুশের আমলে পুতিন ও জেলেনস্কির মধ্যে দ্রুত বৈঠকের সম্ভাবনা নেই : ক্রেমলিন তিন নদীর বাঁধ খুলে দিয়েছে দিল্লি, বন্যা এড়াতে পাকিস্তানকে ভাসিয়ে দিল ভারত দোয়ারাবাজারে ১৭৩ বোতল বিদেশি মদসহ র‌্যাবের জালে মাদক কারবারি ফেঁসে যাচ্ছেন রাজউকের ‘অথরাইজড অফিসার’ ছয় এয়ারের কাছে পাওনা ২১২৬ কোটি টাকা কারা বেশি নারী বিদ্বেষী, ছবি বিকৃতির মাধ্যমে তা প্রমাণ হয়েছে ঢাকা–ইসলামাবাদের ঘনিষ্ঠতা: দক্ষিণ এশিয়ার নতুন সমীকরণ, উদ্বেগে নয়াদিল্লি কুশিয়ারার সাদা বালি হরিলুট যেভাবে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের হত্যা করা হচ্ছে কারাগারে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের হামলার প্রতিবাদ বুয়েটের শিক্ষার্থীদের যমুনায় যেতে বাধা দেওয়ায় আট পুলিশ সদস্য আহত