
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

৫ ঘন্টাতেও নিয়ন্ত্রণে আসেনি আগুন, উল্টো বেড়েছে তীব্রতা: ইউনূস সরকারের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন

বাংলাদেশ পুলিশের পর এবার বাংলাদেশি সেনা সদস্যদের ফেরত পাঠাচ্ছে জাতিসংঘ

সীমাহীন চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ ব্যবসায়ী সমাজ: রোববার অর্ধদিবস বন্ধ থাকবে দেশের সব গাড়ির শোরুম

আবারও বাংলাদেশের বিপদে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিল ভারত

মিম্বারে বসেই ছিঁড়ে ফেললেন সেই খতিব

শনিবার বিদ্যুৎ থাকবে না যেসব এলাকায়

জুলাই সনদে স্বাক্ষর করবে না সিপিবি গণফোরামসহ পাঁচ দল
বিমানবন্দরে আগুন: ২৫০ কারখানার পণ্য ধ্বংসের শঙ্কা, আতঙ্কে গার্মেন্টস খাত

রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে শনিবার বিকেলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ২৫০টি পোশাক কারখানার রপ্তানিযোগ্য পণ্য পুড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বিমানবন্দরের ৮ নম্বর গেট সংলগ্ন আমদানি কার্গো এলাকায় দুপুর সাড়ে দুইটার দিকে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তের মধ্যেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে গোডাউনের বিভিন্ন অংশে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৩৭টি ইউনিট, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর সদস্যরা ৩৭টি ইউনিট নিয়ে একযোগে কাজ শুরু করে। দীর্ঘ কয়েক ঘণ্টার চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে সন্ধ্যার দিকে।
অগ্নিকাণ্ডের কারণে ধোঁয়ায় বিমানবন্দর এলাকা অন্ধকার হয়ে গেলে কিছু সময়ের জন্য উড়োজাহাজ ওঠানামা বন্ধ রাখতে হয়। পরে আগুন নিয়ন্ত্রণে এলে রাত ৯টার দিকে ফ্লাইট চলাচল স্বাভাবিক ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।
বিজিএমইএ সভাপতি
মাহমুদ হাসান খান জানিয়েছেন, সাধারণত প্রতিদিন দুই শতাধিক পোশাক কারখানা বিমানপথে রপ্তানি পণ্য পাঠায়। শনিবারের আগুনে প্রায় ২৫০ কারখানার প্রস্তুতকৃত পণ্য ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। তিনি বলেন, “এই ধরনের দুর্ঘটনা শুধু কারখানার ক্ষতি নয়, রপ্তানি খাতের ওপরও বড় ধরনের চাপ তৈরি করবে।” বিমানবন্দরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কার্গো ভিলেজে বিপুল পরিমাণ রপ্তানি পণ্য সংরক্ষিত ছিল। আগুনে ঠিক কত পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে, তা এখনো নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না। তবে অনেক ব্যবসায়ী ও কারখানা-মালিক ইতিমধ্যেই দাবি করছেন যে, কোটি কোটি টাকার পণ্য পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তদন্ত কর্মকর্তারা প্রাথমিকভাবে বৈদ্যুতিক ত্রুটি, গুদামের নিরাপত্তা ঘাটতি বা মানবসৃষ্ট ত্রুটিকে সম্ভাব্য কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।
তবে সাম্প্রতিক সময়ে একের পর এক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নাশকতার সন্দেহও উড়িয়ে দিচ্ছেন না কেউ। সম্প্রতি চট্টগ্রামের সিইপিজেড, নারায়ণগঞ্জ এবং রাজধানীর বিভিন্ন গার্মেন্টস কারখানায় একাধিক অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। এসব ঘটনার পর আবার বিমানবন্দরের মতো সংবেদনশীল স্থানে আগুন লাগায় উদ্বেগ আরও বেড়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি নিছক দুর্ঘটনা হলেও দেশের রপ্তানিমুখী শিল্পখাতের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় বড় ধরনের দুর্বলতা প্রকাশ পেয়েছে। একাধিক রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান জানাচ্ছেন, অর্ডার ডেলিভারিতে দেরি হলে বিদেশি ক্রেতারা ক্ষতিপূরণ দাবি করতে পারেন, যা অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ আগুনের কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে দীর্ঘ সময় লাগার কারণ ছিল গুদাম এলাকায় প্রচুর দাহ্য পদার্থের উপস্থিতি এবং বায়ু চলাচলের
সীমাবদ্ধতা। সরকারি পর্যায়ে এই ঘটনার পর নিরাপত্তা ও অগ্নি প্রতিরোধ ব্যবস্থাপনা জোরদারের উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। তবে শিল্প বিশ্লেষকদের মতে, এ ধরনের দুর্ঘটনা প্রতিরোধে কেবল সাময়িক ব্যবস্থা নয়, রপ্তানিমুখী অবকাঠামোর স্থায়ী সুরক্ষা পরিকল্পনা জরুরি হয়ে পড়েছে। শাহজালাল বিমানবন্দরের এই অগ্নিকাণ্ড শুধু একটি গুদামের ক্ষতি নয়—এটি দেশের অর্থনীতি, রপ্তানি এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য এক গুরুতর সতর্কবার্তা।
মাহমুদ হাসান খান জানিয়েছেন, সাধারণত প্রতিদিন দুই শতাধিক পোশাক কারখানা বিমানপথে রপ্তানি পণ্য পাঠায়। শনিবারের আগুনে প্রায় ২৫০ কারখানার প্রস্তুতকৃত পণ্য ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। তিনি বলেন, “এই ধরনের দুর্ঘটনা শুধু কারখানার ক্ষতি নয়, রপ্তানি খাতের ওপরও বড় ধরনের চাপ তৈরি করবে।” বিমানবন্দরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কার্গো ভিলেজে বিপুল পরিমাণ রপ্তানি পণ্য সংরক্ষিত ছিল। আগুনে ঠিক কত পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে, তা এখনো নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না। তবে অনেক ব্যবসায়ী ও কারখানা-মালিক ইতিমধ্যেই দাবি করছেন যে, কোটি কোটি টাকার পণ্য পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তদন্ত কর্মকর্তারা প্রাথমিকভাবে বৈদ্যুতিক ত্রুটি, গুদামের নিরাপত্তা ঘাটতি বা মানবসৃষ্ট ত্রুটিকে সম্ভাব্য কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।
তবে সাম্প্রতিক সময়ে একের পর এক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নাশকতার সন্দেহও উড়িয়ে দিচ্ছেন না কেউ। সম্প্রতি চট্টগ্রামের সিইপিজেড, নারায়ণগঞ্জ এবং রাজধানীর বিভিন্ন গার্মেন্টস কারখানায় একাধিক অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। এসব ঘটনার পর আবার বিমানবন্দরের মতো সংবেদনশীল স্থানে আগুন লাগায় উদ্বেগ আরও বেড়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি নিছক দুর্ঘটনা হলেও দেশের রপ্তানিমুখী শিল্পখাতের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় বড় ধরনের দুর্বলতা প্রকাশ পেয়েছে। একাধিক রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান জানাচ্ছেন, অর্ডার ডেলিভারিতে দেরি হলে বিদেশি ক্রেতারা ক্ষতিপূরণ দাবি করতে পারেন, যা অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ আগুনের কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে দীর্ঘ সময় লাগার কারণ ছিল গুদাম এলাকায় প্রচুর দাহ্য পদার্থের উপস্থিতি এবং বায়ু চলাচলের
সীমাবদ্ধতা। সরকারি পর্যায়ে এই ঘটনার পর নিরাপত্তা ও অগ্নি প্রতিরোধ ব্যবস্থাপনা জোরদারের উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। তবে শিল্প বিশ্লেষকদের মতে, এ ধরনের দুর্ঘটনা প্রতিরোধে কেবল সাময়িক ব্যবস্থা নয়, রপ্তানিমুখী অবকাঠামোর স্থায়ী সুরক্ষা পরিকল্পনা জরুরি হয়ে পড়েছে। শাহজালাল বিমানবন্দরের এই অগ্নিকাণ্ড শুধু একটি গুদামের ক্ষতি নয়—এটি দেশের অর্থনীতি, রপ্তানি এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য এক গুরুতর সতর্কবার্তা।