
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

যুক্তরাষ্ট্রকে কঠোর হুঁশিয়ারি দিল ইরান

গাজাবাসীদের প্রতি ইসরাইলকে ‘দয়া’ দেখানোর আহ্বান বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার

ব্রিটেন, কানাডা ও ফ্রান্সের বিরুদ্ধে হামাসের পক্ষ নেওয়ার অভিযোগ নেতানিয়াহুর

ভূমিকম্পে কাঁপল ইন্দোনেশিয়া

গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদ জানিয়ে চাকরি হারালেন মাইক্রোসফট কর্মী

চাল নিয়ে ঠাট্টা করে যেভাবে পদ হারালেন জাপানের কৃষিমন্ত্রী

ফিল্ড মার্শাল না করে তাকে ‘রাজা’ ঘোষণা করা উচিত ছিল: ইমরান খান
বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন: ইউরোপীয় সংগঠনগুলোর কাছে জরুরি পদক্ষেপের আহ্বান

ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র ও নিরাপত্তা নীতি বিষয়ক উচ্চ প্রতিনিধি কায়া কালাসের কাছে একটি খোলা চিঠিতে ইউরোপীয় বাংলাদেশ ফোরাম (ইইউ ও গ্রেট ব্রিটেন), সাউথ এশিয়া ডেমোক্রেটিক ফোরাম (বেলজিয়াম), ওয়ার্কিং গ্রুপ বাংলাদেশ (জার্মানি), এবং আর্থ সিভিলাইজেশন নেটওয়ার্ক (তুরস্ক) বাংলাদেশে চলমান মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। চিঠিতে দেশের অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে রাজনৈতিক সহিংসতা, হেফাজতে নির্যাতন, গণমাধ্যমের সেন্সরশিপ, এবং ধর্মীয় ও ঐতিহাসিক স্থানে হামলার ঘটনাগুলো তুলে ধরা হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, ২০২৪ সালের আগস্টে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পতনের পর থেকে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক মান এবং মানবাধিকার সুরক্ষা ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করছে
এবং ধর্মনিরপেক্ষ ও বহুত্ববাদী ঐতিহ্যকে দুর্বল করছে। সরকারের প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও, একটি ডানপন্থী ইসলামপন্থী আদর্শের দিকে দেশের পরিচয় পুনর্গঠনের প্রচেষ্টা চলছে। ধর্মনিরপেক্ষ কণ্ঠ ও সংখ্যালঘু অধিকারের উপর আক্রমণ: বিশিষ্ট লেখক ও মানবাধিকার কর্মী শাহরিয়ার কবিরকে মিথ্যা হত্যা মামলায় কারারুদ্ধ করা হয়েছে এবং তাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। ৫ আগস্ট ২০২৪ থেকে ৩৫৬টি সাংবাদিক নির্যাতন, কারাবাস ও নির্যাতনের ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে। ১৪০ জন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে, ২৮ জনের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ এবং ১৬৭ জনের প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন বাতিল করা হয়েছে। ধর্মীয় ও ঐতিহাসিক স্থানে হামলা: ১,৫০০টি ভাস্কর্য ও ম্যুরাল ধ্বংস করা হয়েছে, যা তালেবান ও আইএসআইএল-এর ধ্বংসাত্মক
কার্যকলাপের সঙ্গে তুলনীয়। জাতির পিতার বাসভবন ধ্বংস এবং বিরোধী নেতা ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বদের বাড়িতে হামলা করা হয়েছে। আইনি ভীতি ও দমননীতি: ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ এবং ৬৪ জন আওয়ামী লীগপন্থী আইনজীবীর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মানবাধিকার আইনজীবী রামেন রায়ের উপর হামলা হয়েছে। অপহরণ ও আটক: মেঘনা আলমকে সম্প্রচারের মাঝপথে অপহরণ করা হয় এবং পরে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের অধীনে আটক করা হয়। সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের রাজনীতিকরণ: ইউনেস্কো-তালিকাভুক্ত ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ ইভেন্টে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতীক ব্যবহার করা হয়েছে, যা এর ধর্মনিরপেক্ষ মূল্যবোধকে ক্ষুণ্ন করেছে। বিনা বিচারে হত্যাকাণ্ড ও জনতার হামলা: সেপ্টেম্বর ২০২৪ থেকে ফেব্রুয়ারি ২০২৫ পর্যন্ত আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হাতে ২১ জন নিহত
এবং জনতার হামলায় ১২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। ২৮ এপ্রিল সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের উপর নারায়ণগঞ্জ আদালত প্রাঙ্গণে হামলা এবং ৮ এপ্রিল সংসদ সদস্য ড. আব্দুল আজিজের উপর কারামুক্তির সময় হামলা হয়েছে। সাংস্কৃতিক কর্মীদের উপর হামলা: ৫ মে ভাস্কর রাশার উপর এবং ২৯ এপ্রিল অভিনেতা সিদ্দিকুর রহমান সিদ্দিকের উপর হামলা হয়। এছাড়া একাধিক শিল্পীকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর হামলা: হিন্দু, খ্রিস্টান ও আদিবাসী সম্প্রদায়ের উপর হামলা বৃদ্ধি পেয়েছে, যা ইসলামপন্থী চরমপন্থা ও রাজনৈতিক অস্থিরতার ফলাফল। জনতার শাসন: জামায়াতে ইসলামী, হেফাজতে ইসলাম এবং হিজবুত তাহরীরের মতো ইসলামপন্থী জঙ্গি গোষ্ঠীগুলো রাজনৈতিক শূন্যতার সুযোগ নিয়ে ক্ষমতা সম্প্রসারণ করছে। ১২ মে ২০২৫ সালে বাংলাদেশ
আওয়ামী লীগের সব ধরনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে, যা জনতার প্রভাবে শাসনের উদাহরণ। আন্তর্জাতিক পদক্ষেপের আহ্বান: চিঠিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে ছয়টি পদক্ষেপের আহ্বান জানানো হয়েছে: ১. রাজনৈতিক সহিংসতার নিন্দা জানানো। ২. পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু ও বিরোধী নেতাদের উপর হামলার স্বাধীন তদন্ত। ৩. গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া পুনরুদ্ধারে সমর্থন। ৪. গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা। ৫. রাজনৈতিক সহিংসতার শিকারদের জন্য মানবিক সহায়তা। ৬. বাংলাদেশ সরকারের উপর কূটনৈতিক চাপ প্রয়োগ। ইউরোপীয় সংগঠনগুলো সতর্ক করে বলেছে, বাংলাদেশ একটি বিপজ্জনক মোড়ে দাঁড়িয়ে আছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জরুরি হস্তক্ষেপ ছাড়া দেশটি আরও রক্তপাত ও অস্থিরতার দিকে ধাবিত হতে পারে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে বাংলাদেশের জনগণের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানানো হয়েছে। কায়া কালাসের কাছে লেখা চিঠিতে নিম্নলিখিত ব্যক্তিরা স্বাক্ষর করেছেন: ১. ক্রিস
ব্ল্যাকবার্ন, ইউরোপীয় বাংলাদেশ ফোরাম (ইইউ ও গ্রেট ব্রিটেন), যোগাযোগ পরিচালক (ইমেইল: chris.blackburn25@btopenworld.com) ২. পাওলো কাসাকা, সাউথ এশিয়া ডেমোক্রেটিক ফোরাম, ব্রাসেলস, নির্বাহী পরিচালক (ইমেইল: paulo@sadf.eu) ৩. ক্লাউস স্ট্রেম্পেল, ওয়ার্কিং গ্রুপ বাংলাদেশ, নিম্ন স্যাক্সনি, জার্মানি (ইমেইল: arbeitskreis-bangladesch@gmx.de) ৪. তারিক গুনারসেল, কবি, নাট্যকার ও আর্থ সিভিলাইজেশন নেটওয়ার্ক, তুরস্ক, প্রতিষ্ঠাতা সমন্বয়ক (ইমেইল: tgunersel@gmail.com)
এবং ধর্মনিরপেক্ষ ও বহুত্ববাদী ঐতিহ্যকে দুর্বল করছে। সরকারের প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও, একটি ডানপন্থী ইসলামপন্থী আদর্শের দিকে দেশের পরিচয় পুনর্গঠনের প্রচেষ্টা চলছে। ধর্মনিরপেক্ষ কণ্ঠ ও সংখ্যালঘু অধিকারের উপর আক্রমণ: বিশিষ্ট লেখক ও মানবাধিকার কর্মী শাহরিয়ার কবিরকে মিথ্যা হত্যা মামলায় কারারুদ্ধ করা হয়েছে এবং তাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। ৫ আগস্ট ২০২৪ থেকে ৩৫৬টি সাংবাদিক নির্যাতন, কারাবাস ও নির্যাতনের ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে। ১৪০ জন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে, ২৮ জনের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ এবং ১৬৭ জনের প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন বাতিল করা হয়েছে। ধর্মীয় ও ঐতিহাসিক স্থানে হামলা: ১,৫০০টি ভাস্কর্য ও ম্যুরাল ধ্বংস করা হয়েছে, যা তালেবান ও আইএসআইএল-এর ধ্বংসাত্মক
কার্যকলাপের সঙ্গে তুলনীয়। জাতির পিতার বাসভবন ধ্বংস এবং বিরোধী নেতা ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বদের বাড়িতে হামলা করা হয়েছে। আইনি ভীতি ও দমননীতি: ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ এবং ৬৪ জন আওয়ামী লীগপন্থী আইনজীবীর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মানবাধিকার আইনজীবী রামেন রায়ের উপর হামলা হয়েছে। অপহরণ ও আটক: মেঘনা আলমকে সম্প্রচারের মাঝপথে অপহরণ করা হয় এবং পরে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের অধীনে আটক করা হয়। সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের রাজনীতিকরণ: ইউনেস্কো-তালিকাভুক্ত ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ ইভেন্টে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতীক ব্যবহার করা হয়েছে, যা এর ধর্মনিরপেক্ষ মূল্যবোধকে ক্ষুণ্ন করেছে। বিনা বিচারে হত্যাকাণ্ড ও জনতার হামলা: সেপ্টেম্বর ২০২৪ থেকে ফেব্রুয়ারি ২০২৫ পর্যন্ত আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হাতে ২১ জন নিহত
এবং জনতার হামলায় ১২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। ২৮ এপ্রিল সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের উপর নারায়ণগঞ্জ আদালত প্রাঙ্গণে হামলা এবং ৮ এপ্রিল সংসদ সদস্য ড. আব্দুল আজিজের উপর কারামুক্তির সময় হামলা হয়েছে। সাংস্কৃতিক কর্মীদের উপর হামলা: ৫ মে ভাস্কর রাশার উপর এবং ২৯ এপ্রিল অভিনেতা সিদ্দিকুর রহমান সিদ্দিকের উপর হামলা হয়। এছাড়া একাধিক শিল্পীকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর হামলা: হিন্দু, খ্রিস্টান ও আদিবাসী সম্প্রদায়ের উপর হামলা বৃদ্ধি পেয়েছে, যা ইসলামপন্থী চরমপন্থা ও রাজনৈতিক অস্থিরতার ফলাফল। জনতার শাসন: জামায়াতে ইসলামী, হেফাজতে ইসলাম এবং হিজবুত তাহরীরের মতো ইসলামপন্থী জঙ্গি গোষ্ঠীগুলো রাজনৈতিক শূন্যতার সুযোগ নিয়ে ক্ষমতা সম্প্রসারণ করছে। ১২ মে ২০২৫ সালে বাংলাদেশ
আওয়ামী লীগের সব ধরনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে, যা জনতার প্রভাবে শাসনের উদাহরণ। আন্তর্জাতিক পদক্ষেপের আহ্বান: চিঠিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে ছয়টি পদক্ষেপের আহ্বান জানানো হয়েছে: ১. রাজনৈতিক সহিংসতার নিন্দা জানানো। ২. পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু ও বিরোধী নেতাদের উপর হামলার স্বাধীন তদন্ত। ৩. গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া পুনরুদ্ধারে সমর্থন। ৪. গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা। ৫. রাজনৈতিক সহিংসতার শিকারদের জন্য মানবিক সহায়তা। ৬. বাংলাদেশ সরকারের উপর কূটনৈতিক চাপ প্রয়োগ। ইউরোপীয় সংগঠনগুলো সতর্ক করে বলেছে, বাংলাদেশ একটি বিপজ্জনক মোড়ে দাঁড়িয়ে আছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জরুরি হস্তক্ষেপ ছাড়া দেশটি আরও রক্তপাত ও অস্থিরতার দিকে ধাবিত হতে পারে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে বাংলাদেশের জনগণের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানানো হয়েছে। কায়া কালাসের কাছে লেখা চিঠিতে নিম্নলিখিত ব্যক্তিরা স্বাক্ষর করেছেন: ১. ক্রিস
ব্ল্যাকবার্ন, ইউরোপীয় বাংলাদেশ ফোরাম (ইইউ ও গ্রেট ব্রিটেন), যোগাযোগ পরিচালক (ইমেইল: chris.blackburn25@btopenworld.com) ২. পাওলো কাসাকা, সাউথ এশিয়া ডেমোক্রেটিক ফোরাম, ব্রাসেলস, নির্বাহী পরিচালক (ইমেইল: paulo@sadf.eu) ৩. ক্লাউস স্ট্রেম্পেল, ওয়ার্কিং গ্রুপ বাংলাদেশ, নিম্ন স্যাক্সনি, জার্মানি (ইমেইল: arbeitskreis-bangladesch@gmx.de) ৪. তারিক গুনারসেল, কবি, নাট্যকার ও আর্থ সিভিলাইজেশন নেটওয়ার্ক, তুরস্ক, প্রতিষ্ঠাতা সমন্বয়ক (ইমেইল: tgunersel@gmail.com)