ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
ইউনূস শাসনামল: গুমের পরে লাশ হয়ে ফিরলেন আরও এক মুক্তিযোদ্ধা
ড. ইউনূসের সৌদি আরব সফর বাতিলের নেপথ্যে শেখ হাসিনার ছায়া?
তাহের: জামায়াতের প্রতি পূর্ণ আস্থা রয়েছে ড. ইউনূসের
ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দিলেন কার্নিশে ঝুলে থাকা গুলিবিদ্ধ সেই আমির
বুয়েটের শ্রীশান্তের জামিন নামঞ্জুর
পুলিশের ঊর্ধ্বতন ৬ কর্মকর্তাকে রদবদল
ইউনূস আমলে দেশে হত্যা-মামলার সংখ্যা বৃদ্ধি: এক দশকে সর্বোচ্চ গত ৯ মাসে
বাংলাদেশে গণতন্ত্র আজ অবরুদ্ধ
গণতন্ত্রে মত প্রকাশ, সমাবেশ এবং রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশ নেওয়ার অধিকার কোনো সরকারের দান নয়—এটি মানুষের মৌলিক অধিকার। কিন্তু আজকের বাংলাদেশে এই অধিকারগুলো ক্রমশ সংকুচিত হচ্ছে। নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার রাজনৈতিক মতবিরোধকে পরিণত করেছে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের এক গভীর সংকটে।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম দিকের পদক্ষেপগুলোই ছিল উদ্বেগজনক। তারা দেশের সবচেয়ে পুরনো ও বৃহত্তম রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত করে এবং সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় দলটির সব রাজনৈতিক কার্যক্রম কার্যত নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। অথচ আওয়ামী লীগ কোনো এলেবেলে দল নয়—এ দলই ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার নেতৃত্ব দিয়েছিল এবং পাঁচ দশক ধরে দেশের রাজনীতিকে নেতৃত্ব দিয়েছে। বাংলাদেশের প্রায় ৪০ শতাংশ
নাগরিক সরাসরি বা পরোক্ষভাবে আওয়ামী লীগের সমর্থক। তাদের রাজনৈতিক অধিকার কেড়ে নেওয়া মানে কোটি মানুষের কণ্ঠরোধ করা এবং গণতন্ত্রের ভিত্তি নষ্ট করা। গত ১৯শে অক্টোবর ছয়টি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা—হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস, সিভিকাস, ফোর্টিফাই রাইটস, রবার্ট এফ. কেনেডি হিউম্যান রাইটস এবং টেক গ্লোবাল ইনস্টিটিউট—বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আওয়ামী লীগের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার এবং নির্বিচার গ্রেপ্তার বন্ধের আহ্বান জানিয়েছিল। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে সে আহ্বান উপেক্ষা করা হয়। মাত্র দুই দিন পর, ২১শে অক্টোবর ঢাকায় শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া আওয়ামী লীগের ১৪১ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই গ্রেপ্তারগুলো সরকারের গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষার প্রতিশ্রুতিকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালও জানিয়েছে, আওয়ামী
লীগের নিবন্ধন স্থগিত ও সমর্থকদের ওপর দমননীতি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। বর্তমানে দেশে এক ভয় ও নীরবতার সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে। সাধারণ মানুষ পর্যন্ত এখন ভয় পায় সমাবেশে অংশ নিতে বা আওয়ামী লীগের প্রতি সহানুভূতি জানাতে। প্রতিদিন প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান চলছে—গ্রেপ্তার হচ্ছে ছাত্র, তরুণ ও সাধারণ মানুষ, যাদের অপরাধ কেবলই মতপ্রকাশ। মানবাধিকার সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, ইতোমধ্যে কয়েক লাখ মানুষ আটক হয়েছেন। বাংলাদেশ জাতিসংঘ ঘোষিত মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণাপত্র এবং নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকারবিষয়ক আন্তর্জাতিক চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী দেশ। এই দুটি দলিলেই শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ও সংগঠনের স্বাধীনতাকে যথাক্রমে অনুচ্ছেদ ২০ এবং অনুচ্ছেদ ২১ ও ২২-এ মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। এগুলো কোনো
ঐচ্ছিক নীতি নয়—রাষ্ট্রের জন্য বাধ্যতামূলক প্রতিশ্রুতি। কিন্তু ইউনূস প্রশাসনের পদক্ষেপ এসব প্রতিশ্রুতির প্রকাশ্য লঙ্ঘন এবং স্বাধীন বাংলাদেশের মৌলিক চেতনার পরিপন্থী। সরকার দাবি করছে, তাদের পদক্ষেপ “আইনসম্মত।” কিন্তু “আইনের শাসন” ও “আইনকে শাসনের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার”—এই দুইয়ের মধ্যে মৌলিক পার্থক্য আছে। সন্ত্রাসবিরোধী আইন ব্যবহার করে একটি রাজনৈতিক দলকে অপরাধী ঘোষণা করা মানে আইনের মাধ্যমে গণতন্ত্র ধ্বংস করা। বিরোধিতার সুযোগ ছাড়া কোনো গণতন্ত্র টিকে থাকতে পারে না। যখন নাগরিকদের সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়, রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ হয়, এবং মতের কারণে মানুষ কারাগারে যায়—তখন গণতন্ত্র শুকিয়ে যায়। বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করা যাবে না কোনো একটি দল বা মতকে নিঃশেষ করে দিয়ে। প্রকৃত স্থিতিশীলতা আসবে বহুমত,
সহনশীলতা ও সংলাপের ভিত্তিতে। অতএব, অবিলম্বে রাজনৈতিক স্বাধীনতা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা জরুরি—মানুষের শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ, সংগঠন ও প্রতিবাদের অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। এসব কারণে যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদের নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। পাশাপাশি, একটি অবাধ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের পথ সুগম করতে হবে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়—বিশেষ করে জাতিসংঘ, কমনওয়েলথ ও আঞ্চলিক অংশীদারদের—এই সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশের ওপর দায়িত্বপূর্ণ চাপ প্রয়োগ করতে হবে। শেষ পর্যন্ত, গণতন্ত্রের শক্তি শাসকের ক্ষমতায় নয়—শাসিতের স্বাধীনতায় নিহিত। ভিন্নমত প্রকাশের অধিকারই স্বাধীনতার প্রাণ। সেই অধিকার রুদ্ধ করা শুধু জনগণের প্রতি নয়, গণতন্ত্রের প্রতিও এক গভীর বিশ্বাসঘাতকতা।
নাগরিক সরাসরি বা পরোক্ষভাবে আওয়ামী লীগের সমর্থক। তাদের রাজনৈতিক অধিকার কেড়ে নেওয়া মানে কোটি মানুষের কণ্ঠরোধ করা এবং গণতন্ত্রের ভিত্তি নষ্ট করা। গত ১৯শে অক্টোবর ছয়টি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা—হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস, সিভিকাস, ফোর্টিফাই রাইটস, রবার্ট এফ. কেনেডি হিউম্যান রাইটস এবং টেক গ্লোবাল ইনস্টিটিউট—বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আওয়ামী লীগের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার এবং নির্বিচার গ্রেপ্তার বন্ধের আহ্বান জানিয়েছিল। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে সে আহ্বান উপেক্ষা করা হয়। মাত্র দুই দিন পর, ২১শে অক্টোবর ঢাকায় শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া আওয়ামী লীগের ১৪১ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই গ্রেপ্তারগুলো সরকারের গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষার প্রতিশ্রুতিকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালও জানিয়েছে, আওয়ামী
লীগের নিবন্ধন স্থগিত ও সমর্থকদের ওপর দমননীতি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। বর্তমানে দেশে এক ভয় ও নীরবতার সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে। সাধারণ মানুষ পর্যন্ত এখন ভয় পায় সমাবেশে অংশ নিতে বা আওয়ামী লীগের প্রতি সহানুভূতি জানাতে। প্রতিদিন প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান চলছে—গ্রেপ্তার হচ্ছে ছাত্র, তরুণ ও সাধারণ মানুষ, যাদের অপরাধ কেবলই মতপ্রকাশ। মানবাধিকার সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, ইতোমধ্যে কয়েক লাখ মানুষ আটক হয়েছেন। বাংলাদেশ জাতিসংঘ ঘোষিত মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণাপত্র এবং নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকারবিষয়ক আন্তর্জাতিক চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী দেশ। এই দুটি দলিলেই শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ও সংগঠনের স্বাধীনতাকে যথাক্রমে অনুচ্ছেদ ২০ এবং অনুচ্ছেদ ২১ ও ২২-এ মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। এগুলো কোনো
ঐচ্ছিক নীতি নয়—রাষ্ট্রের জন্য বাধ্যতামূলক প্রতিশ্রুতি। কিন্তু ইউনূস প্রশাসনের পদক্ষেপ এসব প্রতিশ্রুতির প্রকাশ্য লঙ্ঘন এবং স্বাধীন বাংলাদেশের মৌলিক চেতনার পরিপন্থী। সরকার দাবি করছে, তাদের পদক্ষেপ “আইনসম্মত।” কিন্তু “আইনের শাসন” ও “আইনকে শাসনের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার”—এই দুইয়ের মধ্যে মৌলিক পার্থক্য আছে। সন্ত্রাসবিরোধী আইন ব্যবহার করে একটি রাজনৈতিক দলকে অপরাধী ঘোষণা করা মানে আইনের মাধ্যমে গণতন্ত্র ধ্বংস করা। বিরোধিতার সুযোগ ছাড়া কোনো গণতন্ত্র টিকে থাকতে পারে না। যখন নাগরিকদের সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়, রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ হয়, এবং মতের কারণে মানুষ কারাগারে যায়—তখন গণতন্ত্র শুকিয়ে যায়। বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করা যাবে না কোনো একটি দল বা মতকে নিঃশেষ করে দিয়ে। প্রকৃত স্থিতিশীলতা আসবে বহুমত,
সহনশীলতা ও সংলাপের ভিত্তিতে। অতএব, অবিলম্বে রাজনৈতিক স্বাধীনতা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা জরুরি—মানুষের শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ, সংগঠন ও প্রতিবাদের অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। এসব কারণে যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদের নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। পাশাপাশি, একটি অবাধ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের পথ সুগম করতে হবে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়—বিশেষ করে জাতিসংঘ, কমনওয়েলথ ও আঞ্চলিক অংশীদারদের—এই সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশের ওপর দায়িত্বপূর্ণ চাপ প্রয়োগ করতে হবে। শেষ পর্যন্ত, গণতন্ত্রের শক্তি শাসকের ক্ষমতায় নয়—শাসিতের স্বাধীনতায় নিহিত। ভিন্নমত প্রকাশের অধিকারই স্বাধীনতার প্রাণ। সেই অধিকার রুদ্ধ করা শুধু জনগণের প্রতি নয়, গণতন্ত্রের প্রতিও এক গভীর বিশ্বাসঘাতকতা।



