বাংলাদেশসহ ৫ দেশকে ‘হুমকি’ ভাবছে ভারত – ইউ এস বাংলা নিউজ




বাংলাদেশসহ ৫ দেশকে ‘হুমকি’ ভাবছে ভারত

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ | ৮:৩৯ 23 ভিউ
ভারতের নিরাপত্তা মহল পাঁচ প্রতিবেশী দেশকে সরাসরি হুমকি হিসেবে চিহ্নিত করেছে। ভুটান ও মিয়ানমার ছাড়া বাকি পাঁচ দেশ—বাংলাদেশ, পাকিস্তান, চীন, নেপাল ও শ্রীলঙ্কার সাম্প্রতিক পরিস্থিতিকে ভারত তার জাতীয় নিরাপত্তার জন্য উদ্বেগজনক মনে করছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। খবরে বলা হয়, কলকাতায় সেনাবাহিনীর ইস্টার্ন কমান্ড সদর দপ্তরে সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী ‘কম্বাইন্ড কমান্ডারস কনফারেন্স’। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এ দ্বিবার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। এবারের প্রতিপাদ্য—‘ইয়ার অব রিফর্মস : ট্রান্সফরমিং ফর দ্য ফিউচার।’ এখানে ভারতের শীর্ষ রাজনৈতিক ও সামরিক নেতৃত্ব একসঙ্গে বসে সামগ্রিক প্রতিরক্ষা কৌশল নির্ধারণ করছে। কেন বাংলাদেশকে হুমকি ভাবছে ভারত? ভারতের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো মনে করছে,

বাংলাদেশে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর উগ্রপন্থি তৎপরতা বেড়েছে। এ ছাড়া ভারতবিরোধী বক্তব্য ও কার্যকলাপও দৃশ্যমান হচ্ছে, যা ভারতের জন্য সরাসরি নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি করেছে। এক জ্যেষ্ঠ গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, বছরের পর বছর বাংলাদেশ থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশ হচ্ছে। এতে পশ্চিমবঙ্গ ও আসামের সীমান্তবর্তী জেলার জনসংখ্যার গঠন বদলে যাচ্ছে। এর প্রভাব ভারতের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার ওপর পড়ছে এবং সীমান্ত এলাকায় উত্তেজনা বাড়ছে। পাকিস্তান ও নেপাল নিয়েও উদ্বেগ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক শীর্ষ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, পাকিস্তান এখনো জঙ্গি অর্থায়নের মাধ্যমে ভারতের জন্য বড় হুমকি হয়ে আছে। অন্যদিকে নেপালে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা ভারতের সীমান্ত নিরাপত্তাকে প্রভাবিত করছে। নেপালে ভারতবিরোধী মনোভাবও বাড়ছে, যা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার পথে বাধা। সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ চীন ভারত

সবচেয়ে বেশি শঙ্কিত চীনকে ঘিরে। ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল ও দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের আক্রমণাত্মক ভূমিকাকে সরাসরি হুমকি হিসেবে দেখা হচ্ছে। লাদাখ, অরুণাচল ও সিকিম সীমান্তে দীর্ঘদিন ধরে চলা অচলাবস্থা নিয়ে ভারতের শীর্ষ সামরিক নেতৃত্ব বিস্তারিত আলোচনা করেছে। তাদের মতে, সীমান্তে চীনের উপস্থিতি ভারতের জন্য পরোক্ষ হলেও বড় ধরনের বিপদ ডেকে আনছে। সম্মেলনের মূল লক্ষ্য কী? নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের মতে, সম্মেলনের মূল লক্ষ্য হচ্ছে সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদার করা, পাকিস্তান ও চীনের সম্ভাব্য হামলা মোকাবিলায় প্রস্তুতি নেওয়া এবং একই সঙ্গে নেপাল, বাংলাদেশসহ অন্যান্য প্রতিবেশী দেশের উদীয়মান চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করা। শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তারা আরও জানিয়েছেন, এখন শুধু যুদ্ধের প্রস্তুতি নয়, বরং শান্তিকালীন সময়েও সমন্বিত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ওপর গুরুত্ব

দেওয়া হচ্ছে। ভবিষ্যতের সম্ভাব্য সংকট মোকাবিলায় কার্যকর কাঠামো, দক্ষতা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করাই হবে এ সম্মেলনের বড় অর্জন।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
বৃহস্পতিবার রাজধানীর যেসব এলাকার মার্কেট বন্ধ বিজিবির অভিযানে ৩০ হাজার মার্কিন ডলার উদ্ধার পাঠ্যবই ছাপার আগেই ৭শ টন কাগজ বাতিল অটোমেশন বাতিল চান বেসরকারি মেডিকেল কলেজ মালিকরা যুক্তরাষ্ট্রে গুলিতে ৩ পুলিশ সদস্য নিহত লিবিয়া থেকে দেশে ফিরছেন ১৭৬ বাংলাদেশি রাজধানীতে আজ কোথায় কী বাংলাদেশসহ ৫ দেশকে ‘হুমকি’ ভাবছে ভারত আগামী মন্ত্রীদের জন্য গাড়ি কেনার প্রস্তাব বাতিলের আহ্বান টিআইবির চট্টগ্রাম কাস্টমসে ঘুষকাণ্ডে নতুন মোড় বৃহস্পতিবার থেকে ৫ দাবিতে যুগপৎ আন্দোলনে ৭ দল অবশেষে চালু হচ্ছে আল-নাসিরিয়াহ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ২২ বছর ধরে আয়কর দেয় না হলি ফ্যামিলি কলেজ ও হাসপাতাল অবশেষে কমলো স্বর্ণের দাম ভূমধ্যসাগরে নিখোঁজ ৩৮ বাংলাদেশির সন্ধান মিলেছে দুদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে যুক্তরাজ্যে ট্রাম্প, ‘বিশেষ সম্পর্ক’ জোরদারের আশা দুবাইয়ে বিমানের যান্ত্রিক ত্রুটি, আটকা পড়েছেন ১৭৮ যাত্রী আর কোনো রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেবে না বাংলাদেশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের জন্য নতুন নির্দেশনা মাউশির সাবেক ডিসি সুলতানার জামিন স্থগিত চেয়ে আবেদন