ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামে সবচেয়ে বেশি ‘ফলোয়ার’ যে ১০ ক্লাবের – ইউ এস বাংলা নিউজ




ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামে সবচেয়ে বেশি ‘ফলোয়ার’ যে ১০ ক্লাবের

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ১৮ জুন, ২০২৫ | ৫:০৯ 34 ভিউ
বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ফুটবল ক্লাব কোনটি? খুব সহজ উত্তর হলো যাদের সমর্থক বেশি। কিন্তু কোন ক্লাবের সমর্থক বেশি, সেটা হিসাব করার উপায় কী? সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের এ যুগে সেটা এখন আর তেমন কঠিন নয়। বিশ্বের ছোট-বড় সব ক্লাবই এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয়। সেখানে তাদের অনুসারী হিসাব করলেই বোঝা যায়, জনপ্রিয়তায় কোন ক্লাব এগিয়ে। গবেষণাপ্রতিষ্ঠান ফুটবল অবজারভেটরি ঠিক এ কাজটি করেছে তাদের সর্বশেষ প্রতিবেদনে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, মাঠের মতোই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও সবচেয়ে দাপুটে স্পেনের দুই ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সেলোনা। রিয়াল মাদ্রিদ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও সেরা। ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুক, এক্স, টিকটক ও ইউটিউব এই পাঁচ প্ল্যাটফর্ম মিলিয়ে গোটা বিশ্বে রিয়াল মাদ্রিদের অনুসারী ৪৭ কোটি ৩০ লাখ। সেই হিসাবে

রিয়ালকে ‘সোশ্যাল মিডিয়া কিং’ বলাই যায়। আবার বার্সেলোনাও একেবারেই কম যায় না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বার্সার অনুসারী ৪২ কোটি ৭৪ লাখ। ট্রফি হাতে রিয়াল মাদ্রিদ ফুটবল অবজারভেটরি কী? ফুটবল অবজারভেটরি হলো সুইজারল্যান্ডভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর স্পোর্টস স্টাডিজের (সিআইইএস) একটি স্বাধীন গবেষণা দল, যারা বিশেষভাবে ফুটবলের তথ্য-উপাত্ত নিয়ে কাজ করে থাকে। ২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে ফুটবল অবজারভেটরি খেলোয়াড়দের শ্রমবাজার এবং দলবদলের বাজার নিয়ে জনমিতি ও অর্থনৈতিক গবেষণার ক্ষেত্রে নির্ভরযোগ্য। পাশাপাশি তারা ক্লাব ও খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স বিশ্লেষণ এবং দলবদলের মূল্যের বৈজ্ঞানিক অনুমান নিয়েও কাজ করে। বিশ্বের ফুটবল সংস্থাগুলো, যেমন- ফিফা, উয়েফা, ইসিএ, সাফসহ বিশ্বের অনেক স্বনামধন্য ক্লাব ফুটবল অবজারভেটরির তথ্য উপাত্ত ব্যবহার করে কাজ করে। ফুটবল অবজারভেটরির প্রতিবেদনে যা

আছে (সর্বশেষ জুন ২০২৫)? জুন ২০২৫ পর্যন্ত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ক্লাবগুলোর একটা তালিকা করা হয়েছে ফুটবল অবজারভেটরির এই প্রতিবেদনে, যেখানে শীর্ষ ১০০টি ক্লাবের নাম উল্লেখ করা আছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বলতে ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুক, এক্স, টিকটক ও ইউটিউব যা বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় পাঁচ প্ল্যাটফর্মকে ধরা হয়েছে। এ প্ল্যাটফর্মগুলোয় মোট অনুসারীর হিসাবে রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সেলোনা যে সবচেয়ে এগিয়ে বাকি ক্লাবগুলোর সঙ্গেও স্প্যানিশ এই দুই ক্লাবের যোজন যোজন ব্যবধান। কারণ মেসি-রোনালদোর জাদু লা লিগায় তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন মেসি ও রোনালদো ফুটবল অবজারভেটরির প্রতিবেদনে বলা আছে, এই দুই ক্লাবের জনপ্রিয়তার পেছনে বড় অবদান লিওনেল মেসি ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর। ঐতিহাসিক একটা দ্বৈরথ তো ছিলই, এখনো আছে। তবে

একবিংশ শতাব্দীতে রোনালদো ও মেসি রিয়াল এবং বার্সেলোনাকে একেবারে বিশ্বজুড়ে পৌঁছে দিয়েছেন। তাঁদের ম্যাজিক শুধু স্পেনেই নয়, সারা বিশ্বে এই দুই ক্লাবের ফ্যানবেজ বাড়িয়েছে! তবুও আছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। সাম্প্রতিক সময়ে বড় সাফল্য না থাকলেও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের জনপ্রিয়তা কমেনি নিকট অতীতে বড় কোনো সাফল্য নেই ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের। কিন্তু তারপরও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জনপ্রিয়তায় এখনো তৃতীয় ইংল্যান্ডের ইতিহাসে অন্যতম সফল ক্লাব। ফুটবল অবজারভেটরি বলছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এখনো ইউনাইটেডের অনুসারী ২৩ কোটি ৩৬ লাখ। আরেকটা ব্যাপার, রিয়াল ও বার্সেলোনার ক্ষেত্রে যেমন সবচেয়ে বেশি অনুসারী ইনস্টাগ্রামে (রিয়ালের ১৭ কোটি ৫৮ লাখ, বার্সার ১৪ কোটি ১৬ লাখ), ইউনাইটেডের বেলায় সেটি নয়। ইউনাইটেডের সবচেয়ে বেশি অনুসারী ফেসবুকে ৮ কোটি ৫১

লাখ। এ বছর চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছে পিএসজি ফুটবল ঐতিহ্যে ম্যানচেস্টার সিটি ও পিএসজি ইউরোপের অন্য বড় অনেক ক্লাবের চেয়ে হয়তো পিছিয়ে। তবে সাম্প্রতিক সাফল্যে এই দুই ক্লাবেরই জনপ্রিয়তা বেড়েছে। এ বছর ইউরোপ সেরা হওয়া পিএসজি ও ২০২৩ সালে চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতা সিটি আছে যথাক্রমে ৪ ও ৫ নম্বরে। পিএসজিই কিছুটা এগিয়ে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাদের অনুসারী ১৯ কোটি ৯৪ লাখ। সিটির অনুসারী ১৭ কোটি ৯৫ লাখ। ইংলিশ ক্লাবগুলোর দাপট সেরা দশে পাঁচটি ইংলিশ ক্লাব ইউনাইটেড, সিটি ছাড়াও আছে লিভারপুল, চেলসি, আর্সেনাল। ক্লাবগুলোর ঐতিহ্য আর ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ‘ব্র্যান্ড ভ্যালু’ এ ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রেখেছে। ‘স্টার পাওয়ার’ মেসি-রোনালদো এখন আর ইউরোপে নেই। মেসি যুক্তরাষ্ট্রের ইন্টার মায়ামিতে, রোনালদো সৌদি আরবের

আল নাসরে। দুই ক্লাবের কোনোটিই বিশ্ব ফুটবলের পরাশক্তি নয়। তারপরও মেসি-রোনালদোর মতো মহাতারকা প্রভাব পড়েছে এই দুই ক্লাবে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেড়েছে তাদের অনুসারী। রোনালদোর অনুসারী এখন ১০০ কোটি: বিশ্বে তিনিই প্রথম রোনালদোর আল নাসর আছে তালিকার ১৬ নম্বরে, ক্লাবটির অনুসারী ৬ কোটি ২০ লাখ। মেসির মায়ামি ২৩ নম্বরে, ৩ কোটি ২৩ লাখ অনুসারী তাদের। তালিকার ৩১ নম্বরে নেইমারের সান্তোস, যাদের এখন অনুসারী ২ কোটি ৪৩ লাখ। নেইমার সান্তোসে ফেরায় ক্লাবটির অনুসারী অনেক বেড়েছে মজার ব্যাপার হলো, গত বছর জুন থেকে এখন পর্যন্ত এক বছরেই সান্তোসের অনুসারী বেড়েছে ১ কোটি ২ লাখ। এ সময়ে বিশ্বের আর কোনো ক্লাবের অনুসারী এত বাড়েনি। কারণ তো নিশ্চয়ই অনুমান

করতে পারছেন—নেইমারের সান্তোসে ফেরা। ‘স্টার পাওয়ার’ বোধ হয় একেই বলে!

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
বন্ধু বদল করলেন মোদি! ডেঙ্গুতে ৩ জনের মৃত্যু ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া কি একসঙ্গে হতে পারে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে লেবাননে হামলা ইসরাইলের, নিহত ২৪৫ ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে না যুক্তরাষ্ট্র ৩৩ বছর বয়সেই রাষ্ট্রদূত কে এই ড. নাজমুল? তফশিল ঘোষণা কবে, জানালেন সিইসি সাংবাদিক তুহিন হত্যার দায় স্বীকার স্বাধীনের বিয়ের প্রলোভনে তরুণীকে গণধর্ষণ, গ্রেফতার দুই শি-ট্রাম্প কূটনীতিতে ধাক্কা খেয়ে চাপে মোদি জিমে ঘাম ঝরাচ্ছেন ৭০ বছরের বৃদ্ধা, জানালেন ফিট থাকার রহস্য ঢাবির হলে প্রকাশ্য ও গুপ্ত রাজনীতি বন্ধ ঘোষণা কর্তৃপক্ষের নীরবতায় ক্ষুব্ধ তিস্তাপাড়বাসী, নদী গর্ভে শত শত বিঘা জমি অসুস্থ স্ত্রীকে কবর দেওয়ার চেষ্টা স্বামীর, ভিডিও ভাইরাল গাজীপুরে সাংবাদিক তুহিন হত্যায় গ্রেপ্তার ৪ সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে যেসব অঞ্চলে ফাইনালের আগে যুবাদের দুর্দান্ত জয় ডেঙ্গুতে টালমাটাল চট্টগ্রাম মধ্যরাতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে উত্তাল ঢাবি জুলাইয়ে আবারও বেড়েছে মূল্যস্ফীতি