প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হয়েছে ২৮ টাকা বেশি দরে – ইউ এস বাংলা নিউজ




প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হয়েছে ২৮ টাকা বেশি দরে

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ৩ জানুয়ারি, ২০২৫ | ১০:২২ 10 ভিউ
নতুন বছরেও ভোজ্যতেলের বাজারে অস্থিরতা কাটছে না। সরকারের পক্ষ থেকে দফায় দফায় শুল্ক-কর কমালেও সুবিধা পাচ্ছে না ভোক্তা। বরং নীতি সহায়তা নিয়ে ব্যবসায়ীরা এখনো বাজারে বোতলজাত সয়াবিনের সরবরাহ বাড়াননি। রোজার আগে সরকারের পক্ষ থেকে আরেক দফা দাম বাড়াতে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে রেখেছে তারা। এছাড়া খুচরা পর্যায়ে নির্ধারিত দামের চেয়েও খোলা সয়াবিন তেল লিটারে ২৮ টাকা বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে। এতে বছরের প্রথম থেকেই পণ্যটি কিনতে ক্রেতার ভোগান্তি বেড়েছে। এদিকে গত বছরের শেষদিক থেকে অস্তির হয় ভোজ্যতেলের বাজার। নভেম্বরের শুরুতে বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম বেড়ে প্রতি লিটার ১৭৫ থেকে ১৮০ টাকা এবং খোলা সয়াবিন বিক্রি হয় ১৮৫ টাকায়। প্রথম দফায় ১৭ অক্টোবর

এবং দ্বিতীয় দফায় ১৯ নভেম্বর শুল্ক-কর কমিয়ে তা নামানো হয়েছে শুধু ৫ শতাংশে। এতে বাজারে সামান্য কমে ভোজ্যতেলের দাম। তবে নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে এসে বাজার থেকে উধাও হতে শুরু হয় ১ ও ২ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেল। ব্যবসায়ীদের দাবি অনুযায়ী, ৯ ডিসেম্বর লিটারে ৮ টাকা বাড়ানো হয়। খোলা সয়াবিন তেলের মূল্য নির্ধারণ করা হয় লিটারপ্রতি ১৫৭ এবং বোতলজাত ১৭৫ টাকা। তবুও সরবরাহ সংকট কাটেনি। এরপর ১৬ ডিসেম্বর ভোজ্যতেলের দাম সহনীয় রাখতে নতুন বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত আমদানিতে শুল্ক, রেগুলেটরি ডিউটি ও অগ্রিম আয়কর শতভাগ অব্যাহতি দিয়েছে সরকার। পাশাপাশি ভ্যাট ১৫ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়। এরপরও বাজারে বোতলজাত সয়াবিন তেলের

সংকট কাটেনি। বেলা ১১টায় রাজধানীর জিনজিরা কাঁচাবাজারের ৯টি মুদি দোকান ঘুরে বোতলজাত তেলের সরবরাহ স্বাভাবিক পাওয়া যায়নি। এই ৯টি দোকানের মধ্যে ৪টিতে এক লিটারের ৫-৭টি, দুই লিটারের ৬-১৩টি তেলের সরবরাহ দেখা গেছে। বাকি ৫টি দোকানে এক ও দুই লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেলের সরবরাহ পাওয়া যায়নি। পাশাপাশি দুপুর ১টায় নয়াবাজারের খুচরা মুদি দোকানে চাহিদার তুলনায় বোতলজাত সয়াবিনের সরবরাহে ঘাটতি দেখা গেছে। এছাড়া কাওরান বাজারেও একই অবস্থা। দুপুর ৩টার পর রামপুরা কাঁচাবাজারে ৫টি মুদি দোকান ঘুরেও হাতে গোনা কয়েকটি দুই ও এক লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেল পাওয়া গেছে। জিনজিরা কাঁচাবাজারের খুচরা ব্যবসায়ী সোহেল বলেন, কোম্পানিগুলো প্রতিদিন বোতলজাত তেলের সরবরাহ করছে না। কয়েকদিন পরপর

ডিলাররা দোকানে এলে দুই-এক কার্টন করে সরবরাহ করছে। তবে দিনে আমাদের চাহিদা ১০-১২ কার্টন। যে পরিমাণে তেল চাচ্ছি, সে পরিমাণে তেল পাচ্ছি না। তিনি জানান, সরবরাহ পেলে এক লিটারের বোতলজাত সয়াবিন ১৭২ টাকা দিয়ে কিনে ১৭৫ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। তিন লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেল ৫১৬ টাকায় কিনে ৫২৫ টাকায় বিক্রি করতে হয়। এছাড়া দুই লিটারের বোতলজাত তেল ৩৪৪ টাকায় কিনে ৩৫০ টাকায় বিক্রি করতে হয়। পাঁচ লিটার তেল ৮৩৫-৮৪০ টাকায় কিনে ৮৫০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। তবে খোলা সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে লিটারে ১৮২-১৮৫ টাকায়। কেনা পড়ছে ১৭৮ টাকা। তিনি জানান, কোম্পানিগুলো সরকারের পক্ষ থেকে দাম বাড়িয়ে নিলেও বাজারে সরবরাহ বাড়ায়নি। রোজার

আগে আরেক দফা দাম বাড়াতে এমন সংকট সৃষ্টি করা হয়েছে। এছাড়া সয়াবিন তেলের সংকট তৈরি শুরুর থেকে রাইস ব্রান তেলেও কৃত্রিম সংকট তৈরি করা হয়েছে। বর্তমানেও বাজারের মুদি দোকানে রাইস ব্রান তেল নেই। এক মাস আগেও রূপচাঁদা কোম্পানির পাঁচ লিটারের বোতলজাত রাইস ব্রান তেল বিক্রি করেছি ১ হাজার ৫০ টাকা। নয়াবাজারের মুদি ব্যবসায়ী তুহিন বলেন, কোম্পানিগুলোর কাছে তেল যে নেই, তা বলা যাবে না। তারা কৃত্রিম সংকট তৈরি করে রেখেছে। তারা রোজার আগে আরেক দফা দাম বাড়াবে। ডিলারদেরও একই কথা বলে দেওয়া হয়েছে। তাই ডিলাররা দোকানে আসছে না। যেদিন আসছে, সেদিনই তেল পাচ্ছি। তবে চাহিদা ১৫ কার্টন দিলে পাচ্ছি ২-৩ কার্টন।

এ কই বাজারে নিত্যপণ্য কিনতে আসা মো. সালেকিন বলেন, বাজারে এক মাস ধরেই বোতলজাত তেলের সংকট। কয়েক দোকান ঘুরে তেল পাওয়া যাচ্ছে। ভেবেছিলাম বছরের শুরুতে এসব সংকট দূর হবে। কিন্তু এমন কিছুই হয়নি। আমরা ক্রেতারা সবসময় প্রতারিত হচ্ছি। আর আমাদের যারা জিম্মি করছে, তারা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে। কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এসএম নাজের হোসাইন বলেন, বর্তমানে বিশ্ববাজারে সয়াবিন তেলের দাম কিছুটা বেড়েছে। তাই সরকারকে চাপে ফেলে কোম্পানিগুলো দাম বাড়িয়ে নিয়েছে। তবে এখন যে তেল তারা মিল থেকে সরবরাহ করছে, তা আগের কম দামে কেনা। এছাড়া সরকারের কাছে ব্যবসায়ীরা নীতি সহায়তাসহ সরকারিভাবে সয়াবিন তেলের মূল্য বাড়ালেও বাজারে

কৃত্রিম সংকট তৈরি করে রেখেছে। বিক্রিও করছে বেশি মূল্যে, যা অযৌক্তিক। দেখা যাচ্ছে, সরকার ব্যবসায়ীদের নীতি সহায়তা দিলেও ভোক্তার অধিকার রক্ষায় কেউ ভূমিকা রাখছে না।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
চীনে ছড়িয়ে পড়েছে নতুন ভাইরাস, বাড়ছে উদ্বেগ-শঙ্কা ছাপ্পান্ন ভাগ আসামিই নিচের স্তরের সদস্য গাজায় ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলি হামলায় নিহত আরও ৫৯ ফিলিস্তিনি সিরিয়ায় নতুন সূর্যোদয় দেখছেন এরদোয়ান হোয়াইট হাউজে পুরস্কার নেওয়ার অনুষ্ঠানে গেলেন না মেসি সরকারের ঋণ গ্রহণে বড় বিশৃঙ্খলা দুই সংস্থার প্রধান কাস্টমস ও ট্যাক্স ক্যাডারের হবেন রমজান ঘিরে ন্যায্যমূল্যে ডিম বিক্রির বার্তা সংবিধান বাতিল করে গণপরিষদ নির্বাচনের দাবি জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের ডেঙ্গুতে বছরের প্রথম মৃত্যু, হাসপাতালে ৫৬ বাইডেনপত্নীকে সবচেয়ে দামি উপহার দিয়েছেন মোদি ৩২ বছর গোসল করেননি ভারতের ‘ছোটুবাবা’ বর্ণিল জয়নুল উৎসব কানাডায় বাবা-মা নিয়ে স্থায়ী হওয়ার সুবিধা বন্ধ, বিপাকে বাংলাদেশিরা দোকানে ঢোকেন ৯ জন, সাত মিনিটে ১৫৯ ভরি স্বর্ণ চুরি শহীদ মিনারে গণঅধিকার পরিষদের ফারুককে মারধর মেসিকে রাষ্ট্রপতি পদক দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র বাধ্যতামূলক ছুটিতে ফার্স্ট সিকিউরিটির এমডি সৈয়দ ওয়াসেক, দায়িত্বে আবু রেজা ভ্যাট বাড়ালেও নিত্যপণ্যের দাম বাড়বে না ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ঢাবিতে জুতা নিক্ষেপ কর্মসূচি