ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
নেমে যাচ্ছে পানি, রেখে যাচ্ছে ধ্বংসস্তূপ
ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট-ধোবাউড়া ও ফুলপুরে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। বৃষ্টি না থাকায় অনেক অঞ্চলে পানি নামতে শুরু করেছে। তবে কিছু এলাকায় পানি আগের অবস্থায়ই আছে।
এসব এলাকার মানুষ খাবার ও সুপেয় পানির সংকটে রয়েছেন। জেলার তিন উপজেলার ২৩টি ইউনিয়নের ১০৫টির বেশি গ্রামে অন্তত দেড় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। দুর্ভোগে দিন কাটছে তাদের।
পুরো উপজেলায় অন্তত ১২৭ কিলোমিটার সড়ক পানিতে তলিয়ে গেলেও ৫০ কিলোমিটারের মতো বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে অন্তত ৫০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এলাকার রাস্তাঘাট বাড়িঘর ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। তলিয়ে গেছে ১১৭০০ হেক্টর আমন ধানের জমি, মৎস্য খাতে ক্ষতি প্রায় ৩৩ কোটি টাকা।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে যে পরিমাণ ত্রাণ বিতরণ করা
হচ্ছে, তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই অপর্যাপ্ত। ত্রাণের জন্য হাহাকার করছে তিন উপজেলার দুর্গত এলাকার পানিবন্দি মানুষজন। বাড়ি ঘরে পানি থাকায় বৃদ্ধ ও শিশুদের খাবার নিয়ে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন পরিবারের সদস্যরা। সব হারিয়ে নিঃস্ব পরিবারগুলো। ধোবাউড়া উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের ১৬৪ গ্রামে প্রায় ২ লাখ মানুষের বসবাস। এ উপজেলায় চলমান বন্যায় লক্ষাধিক মানুষ দুর্ভোগে পড়েছেন। ৫৮ হাজার মানুষ পানিবন্দি, জানিয়েছেন জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিশাত শারমিন বলেন, আজ গোয়াতলা ও ধোবাউড়া সদর এলাকায় পানি বাড়ছে। দক্ষিণ মাইজপাড়া, গামারীতলা ও ঘোষগাঁও ইউনিয়নে পানি কমতে শুরু করেছে। পোড়াকান্দুলিয়া ইউনিয়নে পানি স্থিতিশীল রয়েছে। সোমবার (৭ অক্টোবর ) দুপুরে ত্রাণ ও দুর্যোগ পুনর্বাসন কর্মকর্তা
মো. সানোয়ার হোসেন বলেন, উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোকে আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি বলেন, আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে এখন নারী-শিশুসহ দুই হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। তিন উপজেলায় ৬৩ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ৭ লাখ টাকা সহায়তা দেওয়া হয়েছে। দুর্গতদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম চলছে। এ ছাড়া রান্না করা খাবারও দেওয়া হচ্ছে বন্যা দুর্গতদের মাঝে। হালুয়াঘাটের প্রায় সব ইউনিয়ন প্লাবিত হয়ে পানি নামতে শুরু করেছে। হালুয়াঘাট উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের মধ্যে ভূবনকুড়া, জুবলী, কৈচাপুর, সদর, গাজীরভিটা ও পৌর এলাকার পানি কমতে শুরু করেছে। তবে নতুন করে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে ধারা, ধুরাইল, নড়াইল, সাখুয়াই, আমতৈল ও বিলডোরাসহ মোট ৬টি ইউনিয়নে। এতে
এই উপজেলায় বতর্মানে ১৮ হাজার পরিবার পানিবন্দি। এদিকে ফুলপুরে একটি ইউনিয়নে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত থাকলেও আরেকটি ইউনিয়নে প্লাবিত হয়েছে। উপজেলার ছনধরা, রামভদ্রপুর, সিংহেশ্বরও, ফুলপুর ইউনিয়নের অধিকাংশ ও অন্যান্য ইউনিয়নের ২৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এর মধ্যে নতুন করে প্লাবিত হয়েছে ১০টি গ্রাম। হালুয়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এরশাদুল আহমেদ বলেন, উজানে প্লাবিত হওয়া গ্রামের পানি নামতে শুরু করেছে। উপজেলার নড়াইল, কৈচাপুর, ধুরাইল এবং আমতৈল ইউনিয়ন দিয়ে পানি ফুলপুর হয়ে ব্রহ্মপুত্র নদে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে নতুন কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হলেও সার্বিক পরিস্থিতি ভালো।
হচ্ছে, তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই অপর্যাপ্ত। ত্রাণের জন্য হাহাকার করছে তিন উপজেলার দুর্গত এলাকার পানিবন্দি মানুষজন। বাড়ি ঘরে পানি থাকায় বৃদ্ধ ও শিশুদের খাবার নিয়ে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন পরিবারের সদস্যরা। সব হারিয়ে নিঃস্ব পরিবারগুলো। ধোবাউড়া উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের ১৬৪ গ্রামে প্রায় ২ লাখ মানুষের বসবাস। এ উপজেলায় চলমান বন্যায় লক্ষাধিক মানুষ দুর্ভোগে পড়েছেন। ৫৮ হাজার মানুষ পানিবন্দি, জানিয়েছেন জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিশাত শারমিন বলেন, আজ গোয়াতলা ও ধোবাউড়া সদর এলাকায় পানি বাড়ছে। দক্ষিণ মাইজপাড়া, গামারীতলা ও ঘোষগাঁও ইউনিয়নে পানি কমতে শুরু করেছে। পোড়াকান্দুলিয়া ইউনিয়নে পানি স্থিতিশীল রয়েছে। সোমবার (৭ অক্টোবর ) দুপুরে ত্রাণ ও দুর্যোগ পুনর্বাসন কর্মকর্তা
মো. সানোয়ার হোসেন বলেন, উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোকে আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি বলেন, আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে এখন নারী-শিশুসহ দুই হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। তিন উপজেলায় ৬৩ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ৭ লাখ টাকা সহায়তা দেওয়া হয়েছে। দুর্গতদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম চলছে। এ ছাড়া রান্না করা খাবারও দেওয়া হচ্ছে বন্যা দুর্গতদের মাঝে। হালুয়াঘাটের প্রায় সব ইউনিয়ন প্লাবিত হয়ে পানি নামতে শুরু করেছে। হালুয়াঘাট উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের মধ্যে ভূবনকুড়া, জুবলী, কৈচাপুর, সদর, গাজীরভিটা ও পৌর এলাকার পানি কমতে শুরু করেছে। তবে নতুন করে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে ধারা, ধুরাইল, নড়াইল, সাখুয়াই, আমতৈল ও বিলডোরাসহ মোট ৬টি ইউনিয়নে। এতে
এই উপজেলায় বতর্মানে ১৮ হাজার পরিবার পানিবন্দি। এদিকে ফুলপুরে একটি ইউনিয়নে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত থাকলেও আরেকটি ইউনিয়নে প্লাবিত হয়েছে। উপজেলার ছনধরা, রামভদ্রপুর, সিংহেশ্বরও, ফুলপুর ইউনিয়নের অধিকাংশ ও অন্যান্য ইউনিয়নের ২৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এর মধ্যে নতুন করে প্লাবিত হয়েছে ১০টি গ্রাম। হালুয়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এরশাদুল আহমেদ বলেন, উজানে প্লাবিত হওয়া গ্রামের পানি নামতে শুরু করেছে। উপজেলার নড়াইল, কৈচাপুর, ধুরাইল এবং আমতৈল ইউনিয়ন দিয়ে পানি ফুলপুর হয়ে ব্রহ্মপুত্র নদে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে নতুন কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হলেও সার্বিক পরিস্থিতি ভালো।