ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
পতিত স্বৈরাচার সরকারের দোসর হিসেবে কাজ করার দায়ে ৩৭ জন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকের জাতীয় প্রেস ক্লাবের সদস্যপদ স্থগিত করা হয়েছে। সোমবার (১৮ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি হাসান হাফিজ এবং সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত এক নোটিশে এ বিষয়টি জানানো হয়। গত ২৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিত প্রেসক্লাবের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সদস্যপদ স্থগিত হওয়াদের মধ্যে রয়েছেন- নূরুল আমিন প্রভাষ, জায়েদুল আহসান পিন্টু, মোজাম্মেল বাবু, আশীষ সৈকত, ইকবাল সোবহান চৌধুরী, সোহেল হায়দার চৌধুরী, ফারজানা রূপা, অশোক চৌধুরী, আজমল হক হেলাল, আবুল খায়ের, মোহাম্মদ মঞ্জুরুল ইসলাম, প্রণব সাহা, নঈম নিজাম, খায়রুল আলম, আবেদ খান, সুভাষ চন্দ বাদল, জহিরুল ইসলাম মামুন (জ.ই মামুন), জাফর ওয়াজেদ, সাইফুল ইসলাম কল্লোল, পাভেল রহমান, আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়া, শাবান মাহমুদ, মুহম্মদ শফিকুর রহমান, আবুল কালাম আজাদ, শ্যামল সরকার, অজয় দাশগুপ্ত, আলমগীর হোসেন, রমাপ্রসাদ সরকার বাবু, সঞ্জয় সাহা পিয়াল, ফারাজী আজমল হোসেন, আনিসুর রহমান, এনামুল হক চৌধুরী, নাঈমুল ইসলাম খান, মো. আশরাফ আলী, মোল্লা জালাল, ইখতিয়ার উদ্দিন এবং আবু জাফর সূর্য। এদিকে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর এখন পর্যন্ত তিন দফায় মোট ১৬৭ জন সাংবাদিকের অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল করেছে তথ্য অধিদপ্তর (পিআইডি)। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সদস্যপদ স্থগিত হলো যাদের আরও ২৯ সাংবাদিকের অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল এ বিষয়ে সোমবার সন্ধ্যায় কপ-২৯ পরবর্তী প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব আজাদ মজুমদার বলেন, পিআইডি অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল হওয়ায় যেসব সাংবাদিক মনে করছেন তাদের প্রতি অবিচার হয়েছে, তারা আবেদন করতে পারেন। যাচাই-বাছাই করে তা দেখা হবে। গত ৭ নভেম্বর সবশেষ ১১৮ সাংবাদিকের অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল করা হয়। এর আগে, ২৯ অক্টোবর ২০ সাংবাদিকের ও ৩ নভেম্বর আরও ২৯ জনের কার্ড বাতিল করে পিআইডি।
গণভোট, দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ চালুর পরামর্শ
সংস্কার প্রস্তাবে দলগুলোর সমঝোতা স্বাক্ষর জরুরি
ইসি গঠনে ৭ নভেম্বরের মধ্যে নাম চেয়েছে সার্চ কমিটি
নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারে দলগুলোর মত নেবে কমিশন
বিদ্যমান আইনেই নির্বাচন কমিশনের হাত-পা বাঁধা
নির্বাচনের সময় পুরোপুরি ক্ষমতা চায় ইসি
নির্বাচনের সময় পুরোপুরি ক্ষমতা চায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচনের সময় ইসি কর্মকর্তারা যেন বাধাগ্রস্ত না হন এবং কেউ যেন হস্তক্ষেপ করতে না পারেন এ জন্য নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের কাছে এমন সুপারিশ করেছে করেছে ইসি।
বুধবার (২০ নভেম্বর) আগারগাঁয়ের নির্বাচন ভবনে সংস্কার কমিশনের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের সচিব শফিউল আজিমের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল মতবিনিময় করে এই প্রস্তাব দেয়।
ইসি সচিব শফিউল আজিম বলেন, একটা হাইপ্রোফাইল সংস্কার কমিশন এখানে কাজ করছে। এজন্য সম্মান বোধ করছি। আমাদের সহকর্মীরা আমরা সহায়তা দেওয়ার জন্য চেষ্টা করছি। কারণ এটা আমাদের অঙ্গীকার। সংবিধানেরও অঙ্গীকার হলো গণপ্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা। এটা নিশ্চিত করার জন্য সংবিধানই দায়িত্ব দিয়েছে নির্বাচন কমিশনকে। এটা মনে
রাখতে হবে এটা সংস্কার করা... এখানে অনেকগুলো ভালো জিনিস আছে। কিন্তু কোনও কোনও ক্ষেত্রে যে দুর্বলতা আছে— আমরা সেগুলো চিহ্নিত করার চেষ্টা করেছি। মাঠের অভিজ্ঞতা থেকে গণমাধ্যমসহ অংশীজনের কী অভিজ্ঞতা আছে, আমরা সেগুলো নিয়েও আলোচনা করেছি। হস্তক্ষেপ কোথা থেকে কিভাকে হয় এবং আইনগত কর্তৃত্বের বাইরে নির্বাচনকে কেউ হস্তক্ষেপ করে, এগুলো নিয়ে আমরা খোলামেলা আলোচনা করেছি। কোনও ধরনের রাখঢাক করিনি, যাতে সংস্কার কার্যক্রম ফলপ্রসূ হয়। আলটিমেটলি মানুষের আশা যেটি— অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং সর্বজন গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করার জন্য যা যা করা দরকার, সেসব সুপারিশ আমরা করেছি। আমরা আশা করি, কমিশন যদি সদয় হয়, আমরা আমাদের সুপারিশগুলো আরও কংক্রিট আকারে দিতে পারবো। সচিব
বলেন, সুনির্দিষ্টভাবে আমরা যেটা বলেছি, নির্বাচন কমিশন তো নির্বাচন একা করে না। সংবিধান অনুযায়ী, রাষ্ট্রের সব অর্গান নির্বাচন কমিশনের অধীনে কাজ করে এবং নির্বাচন কমিশনকে যে ক্ষমতা দেওয়া আছে সংবিধান ও আইনে— সেই ক্ষমতা যেন পুরোপুরি প্রয়োগ করা যায়, আইনের প্রয়োগ কিন্তু পুরোপুরি হয় না। আইনের প্রয়োগ করার ক্ষেত্রে যাতে নির্বাচন কমিশন, নির্বাচন কমিশনাররা, নির্বাচন কর্মকর্তারা কোনও ধরনের কোনও কর্তৃপক্ষের বাধাগ্রস্ত না হন, অন্য কেউ যাতে এখানে হস্তক্ষেপ করতে না পারে, আমাদের পক্ষ থেকে সেই সুপারিশ আছে। তিনি বলেন, সংবিধানে যে ক্ষমতা দেওয়া আছে, সেটা যাতে আরও সুনির্দিষ্ট করা যায় আইনের মাধ্যমে। আরেকটা হলো নির্বাচনি ব্যয় ও নির্বাচনি অপরাধের বিচার যাতে
আরও সুনির্দিষ্ট করা যায়, নির্বাচন পরবর্তী সময়ে অন্য কোথাও যাতে চলে যেতে না পারে, সেই সুযোগ যেন না থাকে। অর্থাৎ নির্বাচনের সময় কোনও কুকর্ম করে থাকলে পরবর্তী সময়েও যেন বিচার করা যায়, সেই ক্ষমতা যেন ইসির থাকবে, সেই সুপারিশও করেছি। এছাড়া আমাদের মিডিয়া যাতে নিরপেক্ষ আচরণ করে। নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার বিষয়ক কমিশন প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবের নেতৃত্ব কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমরা মতবিনিময় করেছি। ওনারা আগে নির্বাচন করেছেন, ভবিষ্যতেও করবেন। ওনারা অনেক অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। কী বিষয়ে আমাদের মনোযোগ দেওয়া দরকার এবং অগ্রাধিকার দেওয়া দরকার, সে মতামত নিয়েছি আমরা।খুব ভালো আলোচনা হয়েছে। ওনারা অনেকগুলো বিষয় আলোকপাত
করেছেন। সুস্পষ্ট বিষয়ে আমাদের তারা লিখিত দেবেন। আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে৷ তিনি বলেন, ওনারা আইন, কানুন, বিধি-বিধান যেগুলো আরও শক্তিশালী করা দরকার, কমিশনের কার্যকারিতা কিভাবে বাড়ানো যায়, সেগুলোর ব্যাপারে পরামর্শ ছিল। মাঠ প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীসহ যারাই নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করে, তারা যেন আরও সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারে, সেসব বিষয় নিয়ে আলোচন হয়েছে। কমিশন প্রধান বলেন, একটা বিষয় সুস্পষ্টভাবে এসেছে। সেটা হলো- আমাদের আইনকানুন বিধিবিধানের কিছু সীমাবদ্ধতা আছে, সেগুলো দূরীভূত করা দরকার। কিন্তু সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো প্রয়োগ। নির্বাচন কমিশনকে সংবিধান ও আদালতের মাধ্যমে অগাধ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। আপিল বিভাগের একটা রায়ে বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশনের অন্তর্নিহীত ক্ষমতা আছে। সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচনের খাতিরে
তারা বিধি বিধানের সঙ্গে সংযোজনও করতে পারে৷ অগাধ ক্ষমতা দেওয়া ছিল। তবে এটা প্রয়োগের সমস্যা ছিল। এটা দূর করতে হবে।
রাখতে হবে এটা সংস্কার করা... এখানে অনেকগুলো ভালো জিনিস আছে। কিন্তু কোনও কোনও ক্ষেত্রে যে দুর্বলতা আছে— আমরা সেগুলো চিহ্নিত করার চেষ্টা করেছি। মাঠের অভিজ্ঞতা থেকে গণমাধ্যমসহ অংশীজনের কী অভিজ্ঞতা আছে, আমরা সেগুলো নিয়েও আলোচনা করেছি। হস্তক্ষেপ কোথা থেকে কিভাকে হয় এবং আইনগত কর্তৃত্বের বাইরে নির্বাচনকে কেউ হস্তক্ষেপ করে, এগুলো নিয়ে আমরা খোলামেলা আলোচনা করেছি। কোনও ধরনের রাখঢাক করিনি, যাতে সংস্কার কার্যক্রম ফলপ্রসূ হয়। আলটিমেটলি মানুষের আশা যেটি— অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং সর্বজন গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করার জন্য যা যা করা দরকার, সেসব সুপারিশ আমরা করেছি। আমরা আশা করি, কমিশন যদি সদয় হয়, আমরা আমাদের সুপারিশগুলো আরও কংক্রিট আকারে দিতে পারবো। সচিব
বলেন, সুনির্দিষ্টভাবে আমরা যেটা বলেছি, নির্বাচন কমিশন তো নির্বাচন একা করে না। সংবিধান অনুযায়ী, রাষ্ট্রের সব অর্গান নির্বাচন কমিশনের অধীনে কাজ করে এবং নির্বাচন কমিশনকে যে ক্ষমতা দেওয়া আছে সংবিধান ও আইনে— সেই ক্ষমতা যেন পুরোপুরি প্রয়োগ করা যায়, আইনের প্রয়োগ কিন্তু পুরোপুরি হয় না। আইনের প্রয়োগ করার ক্ষেত্রে যাতে নির্বাচন কমিশন, নির্বাচন কমিশনাররা, নির্বাচন কর্মকর্তারা কোনও ধরনের কোনও কর্তৃপক্ষের বাধাগ্রস্ত না হন, অন্য কেউ যাতে এখানে হস্তক্ষেপ করতে না পারে, আমাদের পক্ষ থেকে সেই সুপারিশ আছে। তিনি বলেন, সংবিধানে যে ক্ষমতা দেওয়া আছে, সেটা যাতে আরও সুনির্দিষ্ট করা যায় আইনের মাধ্যমে। আরেকটা হলো নির্বাচনি ব্যয় ও নির্বাচনি অপরাধের বিচার যাতে
আরও সুনির্দিষ্ট করা যায়, নির্বাচন পরবর্তী সময়ে অন্য কোথাও যাতে চলে যেতে না পারে, সেই সুযোগ যেন না থাকে। অর্থাৎ নির্বাচনের সময় কোনও কুকর্ম করে থাকলে পরবর্তী সময়েও যেন বিচার করা যায়, সেই ক্ষমতা যেন ইসির থাকবে, সেই সুপারিশও করেছি। এছাড়া আমাদের মিডিয়া যাতে নিরপেক্ষ আচরণ করে। নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার বিষয়ক কমিশন প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবের নেতৃত্ব কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমরা মতবিনিময় করেছি। ওনারা আগে নির্বাচন করেছেন, ভবিষ্যতেও করবেন। ওনারা অনেক অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। কী বিষয়ে আমাদের মনোযোগ দেওয়া দরকার এবং অগ্রাধিকার দেওয়া দরকার, সে মতামত নিয়েছি আমরা।খুব ভালো আলোচনা হয়েছে। ওনারা অনেকগুলো বিষয় আলোকপাত
করেছেন। সুস্পষ্ট বিষয়ে আমাদের তারা লিখিত দেবেন। আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে৷ তিনি বলেন, ওনারা আইন, কানুন, বিধি-বিধান যেগুলো আরও শক্তিশালী করা দরকার, কমিশনের কার্যকারিতা কিভাবে বাড়ানো যায়, সেগুলোর ব্যাপারে পরামর্শ ছিল। মাঠ প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীসহ যারাই নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করে, তারা যেন আরও সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারে, সেসব বিষয় নিয়ে আলোচন হয়েছে। কমিশন প্রধান বলেন, একটা বিষয় সুস্পষ্টভাবে এসেছে। সেটা হলো- আমাদের আইনকানুন বিধিবিধানের কিছু সীমাবদ্ধতা আছে, সেগুলো দূরীভূত করা দরকার। কিন্তু সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো প্রয়োগ। নির্বাচন কমিশনকে সংবিধান ও আদালতের মাধ্যমে অগাধ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। আপিল বিভাগের একটা রায়ে বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশনের অন্তর্নিহীত ক্ষমতা আছে। সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচনের খাতিরে
তারা বিধি বিধানের সঙ্গে সংযোজনও করতে পারে৷ অগাধ ক্ষমতা দেওয়া ছিল। তবে এটা প্রয়োগের সমস্যা ছিল। এটা দূর করতে হবে।