নিম্নমানের ভুট্টা বীজে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে প্রায় দুই শতাধিক কৃষক নিম্নমানের ইউনাইটেড জেনিটিক্স লিমিটেডের এগ্রিকেয়ার ইউএস- ৩১৫৫ নামের ভুট্টা বীজ চাষ করে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন কৃষকরা। বিষয়টি নিয়ে ক্ষতিপূরণ চেয়ে উপজেলার নেকমরদ,রাতোর ও ধর্মগড় ইউনিয়নের ৫৮ জন কৃষকের গণস্বাক্ষর সংযুক্ত একটি লিখিত অভিযোগ দেন উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তার কাছে।
সামসুদ্দীন আহম্মদ, আব্দুল করিম ও শফিকুল ইসলামসহ কয়েকজন কৃষক জানান, উপজেলার নেকমরদ বাজার থেকে বীজ ডিলার মেসার্স সালাউদ্দিন ট্রেডার্স, মেসার্স আল রাজী এন্টারপ্রাইজ সহ উপজেলার কয়েকটি বীজ ভান্ডার থেকে বীজ কিনে কেউ ৮ বিঘা, কেউ ১০ বিঘা, কেউ ১২ বিঘা জমিতে ইউএস- ৩১৫৫ নামের ভুট্টা বীজ কিনে রোপন করেন। দশ থেকে ১৫ দিন পরেও
অধিকাংশ জায়গায় ভুট্টার বীজ গজায়নি। যেখানে ভালো মানের ভুট্টার বীজের অঙ্কুরোদগম হার ( ৯৫% থেকে ৯৮%) সেখানে এগ্রিকেয়ার ইউএস- ৩১৫৫ নামের ভুট্টা বীজের অঙ্কুরোদগম হার (৪০% থেকে ৫০%)। এতে আমাদের অনেক কৃষক সেই ফসল ভেঙে দিয়ে দ্বিগুণ খরচে নতুন ভুট্টার বীজ বপন করেছি। আবার কিছু কৃষক বাদ পড়া বীজতলায় নতুন বীজ রোপন করছেন। এতে ফলন ব্যহত হওয়ায় পাশাপাশি আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন তারা। তারা আরো বলেন, গত মৌসুমে এই কোম্পানির বীজ রোপন করে আমরা ভালো ফলন পেয়েছিলাম কিন্তু এবারও সেই বিশ্বাসে আবার ওই কোম্পানির বীজ রোপন করে এমন ক্ষতির মুখে পড়তে হবে ভাবতে পারিনি। রবি মৌসুমে ধানের চেয়ে বেশি লাভবান
হওয়ায় ভুট্টা চাষে ঝুঁকছেন চাষিরা। ফলে ভুট্টাবীজের চাহিদা বাড়ার সুযোগে নিম্নমানের বীজ বাজারজাত করছেন কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। যেখানে গত মৌসুমে ভালোমানের বীজ ৭'শ থেকে ৮'শ টাকায় বিক্রি হয়েছে। তবে চলতি মৌসুমে সেই বীজ কৃষকের কিনতে হচ্ছে ১৩'শ থেকে ১৪'শ টাকায়। সারা দেশে ভুট্টাবীজ বিপণনের কয়েকটি সিন্ডিকেট রয়েছে। তারা কৃষকদের কাছ থেকে সাধারণ ভুট্টা কিনে পরে প্যাকেট করে বীজ ভুট্টা নামে বাজারজাত করে। উচ্চফলনশীল ভুট্টার বীজ উৎপাদন ও সংরক্ষণ সম্পর্কে কৃষকদের অজ্ঞতার সুযোগে এসব সিন্ডিকেট ব্যবসা করছে তারা। অনেক সময় তারা মেয়াদোত্তীর্ণ ও পোকাধরা বীজ গ্রামাঞ্চলের কৃষকদের হাতে গছিয়ে দেয়। বীজ ডিলাররা বলছেন, কৃষকদের অভিযোগের বিষয়টি সত্য। আমরা নিজেরাও সরজমিনে গিয়ে
দেখেছি। আমরা বিগত কয়েক বছর ধরে ইউনাইটেড জেনিটিক্স লিমিটেডের এগ্রিকেয়ারের ইউএস- ৩১৫৫ নামের ভুট্টা বীজ বাজারজাত করছি। কখনো এমন সমস্যা হয়নি। তবে এবার কেনো এমন হলো আমরা নিজেরাও বুঝতে পারছি না। এবিষয়ে আমরা কোম্পানির সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করছি। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম জানান, কয়েকজন কৃষক ইউএনওর অভিযোগ দিয়েছেন। ইউএনও অভিযোগটি আমাকে ফরোয়ার্ড করেছে। বিষয়টি নিয়ে মাঠ পর্যায়ে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা তদন্ত করছেন।ইউনাইটেড জেনিটিক্স লিমিটেডের কাছে আমরা কৃষকের ক্ষতিপূরণ চেয়ে একটি মেইল পাঠিয়েছি।
অধিকাংশ জায়গায় ভুট্টার বীজ গজায়নি। যেখানে ভালো মানের ভুট্টার বীজের অঙ্কুরোদগম হার ( ৯৫% থেকে ৯৮%) সেখানে এগ্রিকেয়ার ইউএস- ৩১৫৫ নামের ভুট্টা বীজের অঙ্কুরোদগম হার (৪০% থেকে ৫০%)। এতে আমাদের অনেক কৃষক সেই ফসল ভেঙে দিয়ে দ্বিগুণ খরচে নতুন ভুট্টার বীজ বপন করেছি। আবার কিছু কৃষক বাদ পড়া বীজতলায় নতুন বীজ রোপন করছেন। এতে ফলন ব্যহত হওয়ায় পাশাপাশি আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন তারা। তারা আরো বলেন, গত মৌসুমে এই কোম্পানির বীজ রোপন করে আমরা ভালো ফলন পেয়েছিলাম কিন্তু এবারও সেই বিশ্বাসে আবার ওই কোম্পানির বীজ রোপন করে এমন ক্ষতির মুখে পড়তে হবে ভাবতে পারিনি। রবি মৌসুমে ধানের চেয়ে বেশি লাভবান
হওয়ায় ভুট্টা চাষে ঝুঁকছেন চাষিরা। ফলে ভুট্টাবীজের চাহিদা বাড়ার সুযোগে নিম্নমানের বীজ বাজারজাত করছেন কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। যেখানে গত মৌসুমে ভালোমানের বীজ ৭'শ থেকে ৮'শ টাকায় বিক্রি হয়েছে। তবে চলতি মৌসুমে সেই বীজ কৃষকের কিনতে হচ্ছে ১৩'শ থেকে ১৪'শ টাকায়। সারা দেশে ভুট্টাবীজ বিপণনের কয়েকটি সিন্ডিকেট রয়েছে। তারা কৃষকদের কাছ থেকে সাধারণ ভুট্টা কিনে পরে প্যাকেট করে বীজ ভুট্টা নামে বাজারজাত করে। উচ্চফলনশীল ভুট্টার বীজ উৎপাদন ও সংরক্ষণ সম্পর্কে কৃষকদের অজ্ঞতার সুযোগে এসব সিন্ডিকেট ব্যবসা করছে তারা। অনেক সময় তারা মেয়াদোত্তীর্ণ ও পোকাধরা বীজ গ্রামাঞ্চলের কৃষকদের হাতে গছিয়ে দেয়। বীজ ডিলাররা বলছেন, কৃষকদের অভিযোগের বিষয়টি সত্য। আমরা নিজেরাও সরজমিনে গিয়ে
দেখেছি। আমরা বিগত কয়েক বছর ধরে ইউনাইটেড জেনিটিক্স লিমিটেডের এগ্রিকেয়ারের ইউএস- ৩১৫৫ নামের ভুট্টা বীজ বাজারজাত করছি। কখনো এমন সমস্যা হয়নি। তবে এবার কেনো এমন হলো আমরা নিজেরাও বুঝতে পারছি না। এবিষয়ে আমরা কোম্পানির সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করছি। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম জানান, কয়েকজন কৃষক ইউএনওর অভিযোগ দিয়েছেন। ইউএনও অভিযোগটি আমাকে ফরোয়ার্ড করেছে। বিষয়টি নিয়ে মাঠ পর্যায়ে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা তদন্ত করছেন।ইউনাইটেড জেনিটিক্স লিমিটেডের কাছে আমরা কৃষকের ক্ষতিপূরণ চেয়ে একটি মেইল পাঠিয়েছি।