ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
শিক্ষার্থীদের নতুন দলের টার্গেট বিএনপি ভোট কাটা
সংস্কার ও দ্রুত নির্বাচনের পক্ষে বিএনপি: তারেক রহমান
জটিল সমীকরণে রাজনীতি, বাড়ছে অনৈক্য সংশয় সন্দেহ
১৫০০ টাকা মাইক ভাড়া দেয়া লাগত, তারা এখন ৭ হাজার টাকার পাঞ্জাবি পরে: নুর
নির্বাচনের কথা বললেই উন্নয়নের ব্যাঘাত ঘটে: নিলুফার মনি
ড. ইউনূসের উচিৎ পদত্যাগ করা: আসাদুজ্জামান খান
নতুন দল জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের যাত্রা শুরু
নতুন জোট গড়তে চান বামপন্থিরা
নতুন জোট গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে বামপন্থি দলগুলো। বুর্জোয়া রাজনৈতিক ধারার বাইরে বিকল্প শক্তি হিসেবে বাম প্রগতিশীলদের বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তোলাই এর লক্ষ্য। রাজনীতিতে সক্রিয় বামপন্থি জোট ও দলগুলো নিজেদের মধ্যে বৈঠক ও আলাপ-আলোচনা শুরু করেছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তারা ঐক্যবদ্ধভাবে অংশ নেবে বলে আশা করছেন জোট গঠনের উদ্যোক্তারা।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সরকারের পতন হওয়ায় পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে নিজেদের মধ্যে ঐক্য গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তা থেকেই বামপন্থিরা এমন উদ্যোগ নিয়েছেন। তারা মনে করছেন, অভ্যুত্থানে আওয়ামী ফ্যাসিবাদী শাসন ব্যবস্থার উচ্ছেদ হলেও ব্যবস্থার বদল হয়নি। রাষ্ট্র ব্যবস্থা বদলের সংগ্রাম এগিয়ে নিতে হলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী বাম প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দল, বিভিন্ন সংগঠন এবং ব্যক্তিদের নিয়ে বৃহত্তর
জোট গঠন করা প্রয়োজন। সূত্র জানায়, নতুন জোট গঠন প্রক্রিয়ায় শামিল হয়েছে বাম গণতান্ত্রিক জোট, ফ্যাসিবাদবিরোধী বাম মোর্চা, বাংলাদেশ জাসদ, গণফোরাম, জাতীয় গণফ্রন্ট, ঐক্য ন্যাপ এবং প্রগতিশীল আরও কয়েকটি রাজনৈতিক দল। এসব জোট ও দল নিজেদের মধ্যে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা করেছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি, দলিত ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর একাধিক সংগঠন এবং গণতান্ত্রিক সাংস্কৃতিক ঐক্যসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক গণসংগঠনের সঙ্গেও তাদের আলোচনা চলছে। অন্যদিকে, ৫ আগস্টের বেশ আগে থেকে বাম প্রগতিশীলদের নিয়ে ঐক্য গঠনের বিষয়ে তাগিদ দিয়ে আসছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী। ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন চলাকালে এ বিষয়ে উদ্যোগ নেন তিনি। তাঁর আমন্ত্রণে বামপন্থি জোট ও দলগুলোর কয়েক দফা বৈঠক
হয়েছে। বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলসহ (বাসদ) ছয়টি দল নিয়ে গঠিত বাম গণতান্ত্রিক জোট অন্য বামপন্থি জোট এবং দলের সঙ্গে যুগপৎ সংগ্রাম করে আসছিল। গণঅভ্যুত্থানের পর তাদের ঐক্যের উদ্যোগ আরও জোরদার হয়েছে। ৩ জানুয়ারি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সিপিবির ঢাকা সমাবেশ থেকেও বাম প্রগতিশীল শক্তির জোট ও দলগুলোকে একমঞ্চে নিয়ে আসার তাগিদ দেওয়া হয়। সিপিবির সমাবেশের ঘোষণা অনুযায়ী, ১০ জানুয়ারি থেকে বামপন্থি জোট ও দলগুলোর সঙ্গে বৃহত্তর ঐক্য তথা জোট গঠনের আলোচনা গতি পায়। ২১ জানুয়ারি বাম গণতান্ত্রিক জোটের সঙ্গে ফ্যাসিবাদবিরোধী বাম মোর্চার বৈঠক হয়। আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক আলোচনা হয়েছে অন্য দল ও গণসংগঠনের সঙ্গেও। চলতি মাসে বামপন্থি এই
দুই জোটের বাংলাদেশ জাসদ ও গণফোরামের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠক করার কথা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনায় জোট গঠন বিষয়ে ঐকমত্য হলেও নতুন জোটের নাম এখন ঠিক হয়নি। ‘নয়া যুক্তফ্রন্ট’ কিংবা ‘গণতান্ত্রিক যুক্তফ্রন্ট’ নামে জোটের যাত্রা শুরু করা যায়– এমন প্রস্তাব দিয়েছেন কোনো কোনো দলের নেতারা। তবে কেউ কেউ মনে করেন, ১৯৫৪ সালে যে ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে ‘যুক্তফ্রন্ট’ গঠিত হয়েছিল, তার সঙ্গে বর্তমান প্রেক্ষাপটের মিল নেই। জোটের নাম কী হবে, কিংবা কোন কাঠামোয় তা চলবে, সেটা সবার মতামত নিয়েই ঠিক করা হবে। সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, ‘আওয়ামী লীগ-বিএনপির দ্বিদলীয় মেরূকরণের বাইরে বাম গণতান্ত্রিক প্রগতিশীল বিকল্প
শক্তি গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তার কথা আমরা অনেক আগে থেকে বলে আসছি। স্বৈরশাসনের অবসানের পর সেই উদ্যোগটাই আরও জোরদার হয়েছে। আশা করছি, এ বিষয়ে শিগগির দেশবাসীর সামনে সুনির্দিষ্ট বক্তব্য ও কর্মসূচি নিয়ে হাজির হতে পারব।’ জোট গঠনের পর বামপন্থিরা ঐক্যবদ্ধভাবে আগামী নির্বাচনে অংশ নেবে বলে জানিয়ে প্রিন্স বলেন, বামপন্থিদের বৃহত্তর ঐক্যের জন্য এই সময়টাই জরুরি। কারণ তারা মনে করছেন, দুঃশাসন হটানোর পর এবার ব্যবস্থা বদল করতে হবে। আর সেটা একমাত্র পারবে বাম গণতান্ত্রিক শক্তি। বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশিদ ফিরোজ বলেন, শাসকশ্রেণির রাজনৈতিক দলগুলোর বিপরীতে বিকল্প একটি রাজনৈতিক জোট গঠনের প্রচেষ্টা চলছে। এ নিয়ে সব দল ও জোটের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠক করে সিদ্ধান্ত
চূড়ান্ত করা হবে। বাংলাদেশ জাসদের সাধারণ সম্পাদক শরীফ নুরুল আম্বিয়া বলেন, ‘আমরা মনে করছি, দেশে বিদ্যমান রাজনৈতিক সংকট উত্তরণে বাম প্রগতিশীলদের বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তোলা জরুরি। এই বিবেচনা থেকেই আমরা নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা অব্যাহত রেখেছি।’
জোট গঠন করা প্রয়োজন। সূত্র জানায়, নতুন জোট গঠন প্রক্রিয়ায় শামিল হয়েছে বাম গণতান্ত্রিক জোট, ফ্যাসিবাদবিরোধী বাম মোর্চা, বাংলাদেশ জাসদ, গণফোরাম, জাতীয় গণফ্রন্ট, ঐক্য ন্যাপ এবং প্রগতিশীল আরও কয়েকটি রাজনৈতিক দল। এসব জোট ও দল নিজেদের মধ্যে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা করেছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি, দলিত ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর একাধিক সংগঠন এবং গণতান্ত্রিক সাংস্কৃতিক ঐক্যসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক গণসংগঠনের সঙ্গেও তাদের আলোচনা চলছে। অন্যদিকে, ৫ আগস্টের বেশ আগে থেকে বাম প্রগতিশীলদের নিয়ে ঐক্য গঠনের বিষয়ে তাগিদ দিয়ে আসছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী। ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন চলাকালে এ বিষয়ে উদ্যোগ নেন তিনি। তাঁর আমন্ত্রণে বামপন্থি জোট ও দলগুলোর কয়েক দফা বৈঠক
হয়েছে। বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলসহ (বাসদ) ছয়টি দল নিয়ে গঠিত বাম গণতান্ত্রিক জোট অন্য বামপন্থি জোট এবং দলের সঙ্গে যুগপৎ সংগ্রাম করে আসছিল। গণঅভ্যুত্থানের পর তাদের ঐক্যের উদ্যোগ আরও জোরদার হয়েছে। ৩ জানুয়ারি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সিপিবির ঢাকা সমাবেশ থেকেও বাম প্রগতিশীল শক্তির জোট ও দলগুলোকে একমঞ্চে নিয়ে আসার তাগিদ দেওয়া হয়। সিপিবির সমাবেশের ঘোষণা অনুযায়ী, ১০ জানুয়ারি থেকে বামপন্থি জোট ও দলগুলোর সঙ্গে বৃহত্তর ঐক্য তথা জোট গঠনের আলোচনা গতি পায়। ২১ জানুয়ারি বাম গণতান্ত্রিক জোটের সঙ্গে ফ্যাসিবাদবিরোধী বাম মোর্চার বৈঠক হয়। আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক আলোচনা হয়েছে অন্য দল ও গণসংগঠনের সঙ্গেও। চলতি মাসে বামপন্থি এই
দুই জোটের বাংলাদেশ জাসদ ও গণফোরামের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠক করার কথা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনায় জোট গঠন বিষয়ে ঐকমত্য হলেও নতুন জোটের নাম এখন ঠিক হয়নি। ‘নয়া যুক্তফ্রন্ট’ কিংবা ‘গণতান্ত্রিক যুক্তফ্রন্ট’ নামে জোটের যাত্রা শুরু করা যায়– এমন প্রস্তাব দিয়েছেন কোনো কোনো দলের নেতারা। তবে কেউ কেউ মনে করেন, ১৯৫৪ সালে যে ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে ‘যুক্তফ্রন্ট’ গঠিত হয়েছিল, তার সঙ্গে বর্তমান প্রেক্ষাপটের মিল নেই। জোটের নাম কী হবে, কিংবা কোন কাঠামোয় তা চলবে, সেটা সবার মতামত নিয়েই ঠিক করা হবে। সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, ‘আওয়ামী লীগ-বিএনপির দ্বিদলীয় মেরূকরণের বাইরে বাম গণতান্ত্রিক প্রগতিশীল বিকল্প
শক্তি গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তার কথা আমরা অনেক আগে থেকে বলে আসছি। স্বৈরশাসনের অবসানের পর সেই উদ্যোগটাই আরও জোরদার হয়েছে। আশা করছি, এ বিষয়ে শিগগির দেশবাসীর সামনে সুনির্দিষ্ট বক্তব্য ও কর্মসূচি নিয়ে হাজির হতে পারব।’ জোট গঠনের পর বামপন্থিরা ঐক্যবদ্ধভাবে আগামী নির্বাচনে অংশ নেবে বলে জানিয়ে প্রিন্স বলেন, বামপন্থিদের বৃহত্তর ঐক্যের জন্য এই সময়টাই জরুরি। কারণ তারা মনে করছেন, দুঃশাসন হটানোর পর এবার ব্যবস্থা বদল করতে হবে। আর সেটা একমাত্র পারবে বাম গণতান্ত্রিক শক্তি। বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশিদ ফিরোজ বলেন, শাসকশ্রেণির রাজনৈতিক দলগুলোর বিপরীতে বিকল্প একটি রাজনৈতিক জোট গঠনের প্রচেষ্টা চলছে। এ নিয়ে সব দল ও জোটের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠক করে সিদ্ধান্ত
চূড়ান্ত করা হবে। বাংলাদেশ জাসদের সাধারণ সম্পাদক শরীফ নুরুল আম্বিয়া বলেন, ‘আমরা মনে করছি, দেশে বিদ্যমান রাজনৈতিক সংকট উত্তরণে বাম প্রগতিশীলদের বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তোলা জরুরি। এই বিবেচনা থেকেই আমরা নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা অব্যাহত রেখেছি।’