ধুনটে দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে বউমেলা – ইউ এস বাংলা নিউজ




ধুনটে দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে বউমেলা

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ১৪ অক্টোবর, ২০২৪ | ১২:০০ 91 ভিউ
বগুড়ার ধুনটে দুর্গাপূজার সমাপনী উপলক্ষ্যে এবারও বসেছিল শত বছরের প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী বউমেলা। দশমীর দিন বিকালে পৌর এলাকার সরকারপাড়ায় ইছামতি নদীর তীরে মেলার আয়োজন ছিল চোখে পড়ার মতো। মেলায় বিক্রেতাদের মধ্যে অধিকাংশই ছিলেন নারী। মেলায় পুরুষদের প্রবেশাধিকার না থাকায় মেলাটি বউমেলা হিসাবে পরিচিতি লাভ করে। শুধু সনাতন ধর্মাবলম্বীরাই নয়; অন্য ধর্মের মানুষদেরও মিলনমেলায় পরিণত হয়। পুরুষ না থাকায় নারীরা স্বাচ্ছন্দে কেনাকাটা করেন। নারী ও পুরুষ ব্যবসায়ীরা মেলায় হরেক রকম শিশুতোষ খেলনা, চুড়ি, দুল, ফিতা, আলতা, মাটির তৈজসপত্র, বাঁশের নানা সামগ্রী ও গৃহস্থালির জিনিসপত্র কেনাবেচা করেন। এসব ছাড়াও চিনি ও গুড়ের জিলাপি, হরেক রকমের মিষ্টিও বিক্রি হয়। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পরিচালনা কমিটি ও

আনসার সদস্যদের ব্যাপক প্রস্তুতি ছিল। মেলায় আসা সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার সোনামুখি গ্রামের বিলাসী রানী পোদ্দার ও মুক্তি রায়, মালা সাহা বলেন, এটা শুধু পূজা উপলক্ষ্যে হিন্দু সম্প্রদায়ের মেলা নয়। মেলাটি সার্বজনীন হয়ে উঠেছে। মেলায় নারীদের প্রসাধনী সামগ্রী ক্রয় করা খুব সহজ ও মনের মতো করে কেনাকাটা করা যায়। তাই প্রতি বছরের কেনাকাটায় তারা বউমেলায় আসেন। তারা চুড়ি, ফিতা, দুল, ক্লিপ ও বাচ্চাদের জন্য খেলনা কিনেছেন। ধুনটের চৌকিবাড়ির চিথুলিয়া গ্রামের অঞ্জলী রায় বলেন, প্রতি বছর মেলায় আসি ও কেনাকাটা করি। দেখা হয় অনেক বান্ধবীদের সঙ্গে। শেরপুর উপজেলা থেকে আসা দোকানি চন্দনা রানী বলেন, প্রতি বছরই মেলায় আসি। বিক্রি হয় অনেক। মেলার

পরিবেশ ভালো। আরেক দোকানি চর ধুনটের ফুলরানী জানান, শিশুদের খেলনাই বেশি বিক্রি হয়। এই মেলার জন্য অপেক্ষায় থাকি একটি বছর। ধুনট মাস্টারপাড়া নাজমা খাতুন জানান, বউমেলা সনাতন ধর্মাবলম্বীদের হলেও সেখানে তারাও প্রতি বছর কেনাকাটা করতে আসেন। সরকারপাড়া গ্রামের আইনজীবী উত্তম কুমার জানান, বড়মেলার ঐতিহ্য অনেক পুরোনো। শহরে থাকলেও পুজোয় বউমেলায় কেনাকাটা করার জন্য স্ত্রী, সন্তানরা পাগল হয়ে যায়। তাই ছুটে আসি পূজোয় গ্রামের বাড়িতে। আমার মতো অনেকেই যারা বাইরে থাকে তারাও বউমেলা উপভোগ করতে চলে আসেন গ্রামে। মেলা আয়োজক কমিটির সভাপতি নিতাই চন্দ্র দেব ও সাধারণ সম্পাদক লালন সরকার বলেন, দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে প্রায় একশ’ বছরের বেশি সময় ধরে একদিনের জন্য বসানো

হয় এই বউমেলা। সকালে মেলা শুরু হলেও সন্ধ্যায় প্রতীমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে এর সমাপ্তি ঘটে। ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুল আলম বলেন, দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে বসানো এ মেলায় আগে থেকেই যথেষ্ট নিরাপত্তার ব্যবস্থা ছিল।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
রিটার্ন জমা দিলে পাবেন যেসব ছাড় নেতানিয়াহুর ওপর খেপলেন ইসরায়েলের অর্থমন্ত্রী ৩২ নম্বর ভাঙার ঘটনাকে বীভৎস মববাজি বললেন রুমিন ফারহানা খোঁজ মিলল সেই ডিজিএমের, কোথায় ছিলেন তিনি সুখবর পাচ্ছেন প্রাথমিকের ৩০ হাজার প্রধান শিক্ষক সাইফ পাওয়ার টেকের অধ্যায় শেষ, চট্টগ্রাম বন্দরের দায়িত্বে নৌবাহিনী গাজীপুর মহানগর বিএনপির চার নেতা বহিষ্কার ‘পাগল তত্ত্ব’ ব্যবহার করে বিশ্বকে বদলে দেওয়ার চেষ্টা করছেন ট্রাম্প রকেট চালিত গ্রেনেড দিয়ে লোহিত সাগরে জাহাজে হামলা টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে প্রথম ইনিংসেই ডাবল সেঞ্চুরি? এমন কীর্তি ক্রিকেট ইতিহাসে হয়েছে মাত্র তিনবার। আর এখন সে তালিকার শীর্ষে উইয়ান মুল্ডার। দক্ষিণ আফ্রিকার এই অলরাউন্ডার বুলাওয়েতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে অধিনায়কত্বের অভিষেকে অপরাজিত ২৬৪ রানে দিন শেষ করেছেন—যা এ ধরনের ম্যাচে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস। এর আগে ১৯৬৮ সালে ভারতের বিপক্ষে ক্রাইস্টচার্চে ২৩৯ রান করেছিলেন নিউজিল্যান্ডের গ্রাহাম ডাউলিং। সেটাই এতদিন ছিল অধিনায়কত্বে অভিষেক টেস্টে সর্বোচ্চ ইনিংসের রেকর্ড। আরও আগে ২০০৫ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শিবনারায়ণ চন্দরপল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে করেছিলেন ২০৩*। ২৭ বছর বয়সী মুল্ডারের এই অধিনায়কত্ব আসলে অনেকটাই আকস্মিক। নিয়মিত অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা হ্যামস্ট্রিং চোটে জিম্বাবুয়ে সফরে যাননি। সহ-অধিনায়ক এইডেন মার্করাম ও অভিজ্ঞ পেসার কাগিসো রাবাদাকেও বিশ্রামে রাখা হয়। এর ফলে প্রথম টেস্টে নেতৃত্ব পান স্পিনার কেশব মহারাজ। কিন্তু ব্যাটিংয়ের সময় কুঁচকিতে চোট পেয়ে দ্বিতীয় টেস্ট থেকে ছিটকে যান তিনিও। তখনই দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয় মুল্ডারের কাঁধে। আর সেই সুযোগের সর্বোত্তম ব্যবহারই করেছেন তিনি। ৩৪টি চার ও ৩টি ছক্কার মাধ্যমে দুর্দান্ত ইনিংস গড়ে প্রথম দিন শেষ করেছেন ২৬৪* রানে। দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর দাঁড়ায় ৯০ ওভারে ৪ উইকেটে ৪৬৫। এটাই প্রথম নয়। সিরিজের প্রথম টেস্টেও দারুণ ব্যাটিং করেছিলেন মুল্ডার, করেছিলেন ১৪৭ রান। ফলে তার ফর্ম বলছে, তিনি শুধু স্ট্যান্ড-ইন অধিনায়ক নন, দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট ভবিষ্যতের অন্যতম বড় ভরসাও বটে। রেকর্ড বইয়ে নাম উঠলো যাদের অধিনায়কত্বের অভিষেকে ডাবল সেঞ্চুরি: উইয়ান মুল্ডার (দ.আফ্রিকা) – ২৬৪* বনাম জিম্বাবুয়ে, বুলাওয়ে ২০২৫ গ্রাহাম ডাউলিং (নিউজিল্যান্ড) – ২৩৯ বনাম ভারত, ১৯৬৮ শিবনারায়ণ চন্দরপল (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) – ২০৩* বনাম দ.আফ্রিকা, ২০০৫ এছাড়া, মুল্ডার হলেন দক্ষিণ আফ্রিকার ইতিহাসে অধিনায়কত্বের অভিষেকে সেঞ্চুরি করা দ্বিতীয় ক্রিকেটার—১৯৫৫ সালে জ্যাকি ম্যাকগ্লু প্রথম এই কীর্তি করেছিলেন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। বিভিন্ন নিয়মিত তারকার অনুপস্থিতিতে হঠাৎ নেতৃত্ব পাওয়া মুল্ডার ব্যাট হাতে যা করে দেখিয়েছেন, তা শুধু রেকর্ড নয়—একটি বার্তাও। হয়তো ভবিষ্যতের নিয়মিত অধিনায়ক হওয়ার দিকেও তাকিয়ে আছেন তিনি। আর এমন অভিষেকের পর দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট বিশ্বও নিশ্চয় তার নামটি একটু আলাদা করে মনে রাখবে। অভিষেকেই ইতিহাস, ডাবল সেঞ্চুরিতে প্রোটিয়া অলরাউন্ডারের বিশ্বরেকর্ড যেভাবে কোলেস্টেরল কমাবেন মার্কিন-ইসরায়েলি ত্রাণকেন্দ্রে খাবার নিতে এসে নিহত ৭৪৩ ফিলিস্তিনি আফগানদের ইরান ছাড়ার শেষ দিন আজ, কাল থেকে গ্রেপ্তার নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে সোমবার থেকে এনসিটি চালাবে ড্রাইডক রেস্ট হাউজে ‘নারীসহ’ ওসিকে আটকে ‘চাঁদাবাজির’ অভিযোগ সাজা মাথায় নিয়ে ঘুরছিলেন ধামাকার চেয়ারম্যান মোজতবা আলী ক্লাব বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে কে কার মুখোমুখি? টেক্সাসে বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫১, নিখোঁজ শিশুদের খুঁজছেন উদ্ধারকারীরা জাতীয় শোকের মাস উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের আগস্ট মাসব্যাপী কর্মসূচি