
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

ঈদগাহে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান: আওয়ামী লীগ-বিএনপি সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধসহ আহত ৫

সুনামগঞ্জে ফেসবুক পোস্ট নিয়ে সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধসহ আহত ৪০

ঘরে ঢুকে ধর্ষণের অভিযোগ, ইউএনও অফিসের গাড়িচালকসহ গ্রেপ্তার ৪

গণপিটুনিতে দুই ভাই নিহত, আহত মা-বাবা

প্রস্তুত সিলেট: ঈদে ১৫ লাখ পর্যটক সমাগমের প্রত্যাশা

ভারসাম্যপূর্ণ রাষ্ট্র গঠনে যাকাতভিত্তিক অর্থব্যবস্থার বিকল্প নেই

মুন্সীগঞ্জে ১০ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি
‘ধর্ষণচেষ্টা’ করায় মারপিটে বেয়াইয়ের মৃত্যু, বেয়াইনের আত্মসমর্পণ

যশোরে ‘ধর্ষণচেষ্টা করায়’ মারপিটের শিকার বেয়াই সিরাজুল ইসলাম কুটির মৃত্যু হয়েছে। শনিবার দুপুরে মারপিটের শিকার হয়ে রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। অভিযুক্ত বেয়াইন হাসি বেগম আত্মসমর্পণ করলে পুলিশ তাকে আটক করে।
বেয়াই সিরাজুল ইসলাম কুটি (৪৫) শহরের বারান্দীপাড়া কদমতলা এলাকার মৃত রবিউল ইসলামের ছেলে ও বেয়াইন হাসির মেজ মেয়ের শ্বশুর।
শনিবার দুপুরে যশোর সদর উপজেলার বাহাদুরপুর জেস গার্ডেন পার্ক এলাকায় এই মারপিটের ঘটনা ঘটেছে। তবে এ ঘটনা নিয়ে উভয়ের পরিবার ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য দিয়েছেন।
স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, শনিবার দুপুরে বেয়াই সিরাজুল সদর উপজেলার বাহাদুরপুর জেস গার্ডেন পার্ক এলাকায় বেয়াইন হাসি বেগমের বাড়িতে যান। এরপর হঠাৎ ওই বাড়ি থেকে
মারামারি ও কান্নাকাটির শব্দ পাওয়া যায়। পরে প্রতিবেশীরা ওই বাড়িতে গিয়ে দেখেন, একে অন্যকে লোহার পাইপ দিয়ে মারপিট করছে। এর মধ্যে সিরাজুলের এক চোখ ক্ষত-বিক্ষত দেখতে পান। এছাড়া হাসির শরীরের বিভিন্ন স্থানেও জখমের দাগ দেখা যায়। পরে স্থানীয়রা তাদের নিবৃত করেন এবং গুরুতর অবস্থায় সিরাজুলকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক নিজাম উদ্দিন উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার করেন। সিরাজুলকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে তার মৃত্যু হয়। এর আগে হাসি বেগম নিজেই পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। হাসপাতালে সিরাজুল ও তার স্বজনেরা অভিযোগ করেন, পূর্বশত্রুতার জের ধরে হাসি ও
তার মেয়ে মনিকা এবং হাসির আরেক জামাতা মনিরুল মিলে সিরাজুলকে শাবল দিয়ে মারপিট করেন। এছাড়া চোখেও গুরুতর জখম করেন। অন্যদিকে হাসি বেগম অভিযোগ করেন, সিরাজুল দীর্ঘদিন ধরে তাকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে ‘তাকে ধর্ষণচেষ্টা’ করেন। এ সময় তিনি আত্মরক্ষার চেষ্টা করায় তার হাত সিরাজুলের চোখে লাগে। এছাড়া তাকেও মারপিট করা হয়েছে বলে তিনি পাল্টা অভিযোগ করেন। যশোর হাসপাতালে চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার হিমাদ্রী শেখর সরকার জানিয়েছেন, আহতের দুটি চোখ আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে। যা এখানে সেবা দেওয়া সম্ভব না। তাই উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার করা হয়েছিল। এদিকে, সিরাজুলের মৃত্যুর পর রোববার এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় যশোর কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা হয়েছে।
মামলায় হাসি বেগমকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। যশোর কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল হাসনাত বলেন, মারামারির খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। সেখানে গিয়ে দেখতে পায়, সিরাজুল চোখে মারাত্মক আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকায় সিরাজুলের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় দায়েরকৃত মামলায় হাসি বেগমকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
মারামারি ও কান্নাকাটির শব্দ পাওয়া যায়। পরে প্রতিবেশীরা ওই বাড়িতে গিয়ে দেখেন, একে অন্যকে লোহার পাইপ দিয়ে মারপিট করছে। এর মধ্যে সিরাজুলের এক চোখ ক্ষত-বিক্ষত দেখতে পান। এছাড়া হাসির শরীরের বিভিন্ন স্থানেও জখমের দাগ দেখা যায়। পরে স্থানীয়রা তাদের নিবৃত করেন এবং গুরুতর অবস্থায় সিরাজুলকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক নিজাম উদ্দিন উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার করেন। সিরাজুলকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে তার মৃত্যু হয়। এর আগে হাসি বেগম নিজেই পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। হাসপাতালে সিরাজুল ও তার স্বজনেরা অভিযোগ করেন, পূর্বশত্রুতার জের ধরে হাসি ও
তার মেয়ে মনিকা এবং হাসির আরেক জামাতা মনিরুল মিলে সিরাজুলকে শাবল দিয়ে মারপিট করেন। এছাড়া চোখেও গুরুতর জখম করেন। অন্যদিকে হাসি বেগম অভিযোগ করেন, সিরাজুল দীর্ঘদিন ধরে তাকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে ‘তাকে ধর্ষণচেষ্টা’ করেন। এ সময় তিনি আত্মরক্ষার চেষ্টা করায় তার হাত সিরাজুলের চোখে লাগে। এছাড়া তাকেও মারপিট করা হয়েছে বলে তিনি পাল্টা অভিযোগ করেন। যশোর হাসপাতালে চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার হিমাদ্রী শেখর সরকার জানিয়েছেন, আহতের দুটি চোখ আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে। যা এখানে সেবা দেওয়া সম্ভব না। তাই উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার করা হয়েছিল। এদিকে, সিরাজুলের মৃত্যুর পর রোববার এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় যশোর কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা হয়েছে।
মামলায় হাসি বেগমকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। যশোর কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল হাসনাত বলেন, মারামারির খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। সেখানে গিয়ে দেখতে পায়, সিরাজুল চোখে মারাত্মক আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকায় সিরাজুলের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় দায়েরকৃত মামলায় হাসি বেগমকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।