ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
আবারও বাংলাদেশি জেলে অপহৃত: সীমান্তের নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে বাংলাদেশ?
দুর্নীতি দমন বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ বাদ দিয়েই খসড়া অনুমোদন, টিআইবির উদ্বেগ
বিদ্যুৎ আমদানির বিল পরিশোধে সহজীকরণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ শিথিল
ভারতের সাথে আন্তঃদেশীয় রেলসেবা পুনরায় চালু করতে উদগ্রীব ‘দিল্লির দাসত্ব’ বিরোধী ইউনূস সরকার
রয়টার্সকে সাক্ষাৎকারে শেখ হাসিনা: নির্বাচনে আওয়ামী লীগ না থাকলে বিপুল সংখ্যক ভোটার নির্বাচন বর্জন করবেন
নির্বাচন থেকে দল নিষিদ্ধ হওয়ায় গণ-ভোটার বর্জনের হুঁশিয়ারি দিলেন বাংলাদেশের শেখ হাসিনা
ড. ইউনূসের ম্যাজিকেল আমলে বন্ধ হয়েছে ২৫৮টি তৈরি পোশাক কারখানা, কর্মহীন লাখো শ্রমিক
দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্টকে শেখ হাসিনার সাক্ষাৎকার || সরকার উৎখাত করতে গিয়ে নিহতের ঘটনায় ক্ষমা চাওয়ার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান
বাংলাদেশের সাংবিধানিক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে অবস্থানকালে ব্রিটিশ দৈনিক ‘দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট’-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সরকার উৎখাতে ষড়যন্ত্রকারীদের মৃত্যুর ঘটনায় ক্ষমা চাওয়ার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন। বাংলাদেশে ইউনূস সরকারের আদালতে মৃত্যুদণ্ডের দাবিকে তিনি ‘ভুয়া বিচার’ বলে উড়িয়ে দেন এবং অন্তর্বর্তী সরকারের কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ করেন।
গত বছরের জুলাই-আগস্টে নির্বাচিত আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাতের ষড়যন্ত্রে সংঘটিত সহিংসতা চলাকালে দাঙ্গা প্রতিরোধে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীর পদক্ষেপে মৃত্যুর অভিযোগে তথাকথিত আদালতে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের চলমান মামলায় মৃত্যুদণ্ডের দাবি তোলা হয়েছে।
অভিযুক্ত ব্যাক্তিদের অনুপস্থিতিতে চলা এই বিচার সম্পর্কে হাসিনা বলেন, “এটি একটি ভুয়া আদালত, যা আমার রাজনৈতিক বিরোধীপক্ষের নিয়ন্ত্রণাধীন ও অনির্বাচিত-অসাংবিধানিক সরকার দ্বারা পরিচালিত। এই দেশবিরোধী
চক্র আমাকে নির্মূল করার চেষ্টা করছে, তবে কোনো কিছুতেই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ পশ্চাৎপদ হবে না।” প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বিরুদ্ধে উত্থাপিথ অভিযোগগুলো প্রসঙ্গে জানান, নিরাপত্তা বাহিনীকে গুলিবর্ষণের নির্দেশ তিনি দেননি, রাষ্ট্রীয় আইনেই তারা জানেন কোন পরিস্থিতিতে কেমন পদক্ষেপ নিতে হয়। সাক্ষাৎকারে শেখ হাসিনা মৃত্যুর সংখ্যাকে অতিরঞ্জিত বলে উল্লেখ করেন এবং বলেন, “নেতা হিসেবে আমি চূড়ান্ত দায়িত্ব গ্রহণ করি, কিন্তু নিরাপত্তা বাহিনীকে জনতার ওপর গুলি চালানোর নির্দেশ দেওয়া বা এমন ইচ্ছা করার দাবি সম্পূর্ণ ভুল।” তাঁর সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে আন্দোলনের প্রথম মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠন করেছিল, যা পরে অন্তর্বর্তী সরকার বন্ধ করে দিয়েছে বলে তিনি স্মরণ করিয়ে দেন। ড. ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকারের
সমালোচনায় শেখ হাসিনা বলেন, ইউনূসের এই অবৈধ, অসাংবিধানিক সরকার আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ থেকে বেআইনিভাবে বঞ্চিত করেছে, যা গণতান্ত্রিক অধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগকে অনির্বাচিত অন্তর্বর্তী সরকার দ্বারা অন্যায়ভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।” এসময় তিনি জোর দিয়ে বলেন, গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারপ্রধানকে দেশের মানুষ ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষার সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনের জন্য বিচারের আওতায় আনা যায় না। সংবিধানই তাকে সেই দায়িত্ব অর্পণ করে। ১৫ বছরের শাসনকাল প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা জানান, সামরিক শাসনের পর তিনিই দেশে সংসদীয় গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছেন এবং কোটি কোটি মানুষকে দারিদ্র্য থেকে মুক্তি দিয়েছেন, দেশের উন্নতি-অগ্রযাত্রাকে অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছেন। তিনি উল্লেখ করেন, সবাই যেন মনে
করে, কীভাবে নব্বইয়ের-দশকে নিষ্ঠুর সামরিক শাসনের পর সংসদীয় গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করা হয়েছে এবং আওয়ামী লীগ সরকারের নেতৃত্বে দেশের কোটি কোটি মানুষ দারিদ্র্যের অভিশাপ থেকে মুক্তি পেয়েছে। তাদের জীবনমান উন্নত হয়েছে। তীব্র সংঘাত এবং রক্তপাতের মাধ্যমে সরকারবিরোধী ষড়যন্ত্র চলকালে গত বছরের ৫ই আগস্ট ভারতে চলে যেতে বাধ্য হওয়ার প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা জানান, তাঁর এবং পরিবার-স্বজনদের জীবনের নিরাপত্তার জন্য এ ছাড়া উপায় ছিল না। বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের প্রতিশ্রুতি দিয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা দৃঢ়কণ্ঠে জানান, তিনি নির্বাচনের মাধ্যমে দেশকে ঐক্যবদ্ধ করতে চান। যদিও আওয়ামী লীগের উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছে অসাংবিধানিক ইউনূস সরকার। আন্দোলনের হতাহতদের পরিবারগুলোর প্রতি গভীর সহানুভূতি জানিয়ে তিনি সুস্পষ্টভাবে জানিয়ে
দেন, এসব মৃত্যুর ঘটনায় তিনি দুঃখ প্রকাশ করবেন, কিন্তু রক্তপাতের দায় তাঁর ওপর বর্তায় না। মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এবং জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান শেখ হাসিনা সরকারের প্রতিক্রিয়াকে ‘বিরোধিতা ও বিক্ষোভের প্রতি সম্পূর্ণ অসহিষ্ণুতা’ বলে দাবি করে আসছে। শেখ হাসিনা এসব সমালোচনাকে অগ্রাহ্য করে দৃঢ়ভাবে জানান, তাঁর সরকারের প্রতিক্রিয়া ছিল জীবনহানি কমানোর ‘নিয়মতান্ত্রিক সৎ প্রচেষ্টা’, কেননা দেশের সাধারণ মানুষের জীবনরক্ষা এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদকে ক্ষতিসাধন থেকে বাঁচানোর জন্যই তিনি নির্বাচিত সরকারপ্রধানের দায়িত্বে ছিলেন, তিনি তাঁর করণীয় সম্পর্কে জানেন। সংবিধান এবং রাষ্ট্রীয় আইন তাঁকে সেই ক্ষমতা দিয়েছে।
চক্র আমাকে নির্মূল করার চেষ্টা করছে, তবে কোনো কিছুতেই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ পশ্চাৎপদ হবে না।” প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বিরুদ্ধে উত্থাপিথ অভিযোগগুলো প্রসঙ্গে জানান, নিরাপত্তা বাহিনীকে গুলিবর্ষণের নির্দেশ তিনি দেননি, রাষ্ট্রীয় আইনেই তারা জানেন কোন পরিস্থিতিতে কেমন পদক্ষেপ নিতে হয়। সাক্ষাৎকারে শেখ হাসিনা মৃত্যুর সংখ্যাকে অতিরঞ্জিত বলে উল্লেখ করেন এবং বলেন, “নেতা হিসেবে আমি চূড়ান্ত দায়িত্ব গ্রহণ করি, কিন্তু নিরাপত্তা বাহিনীকে জনতার ওপর গুলি চালানোর নির্দেশ দেওয়া বা এমন ইচ্ছা করার দাবি সম্পূর্ণ ভুল।” তাঁর সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে আন্দোলনের প্রথম মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠন করেছিল, যা পরে অন্তর্বর্তী সরকার বন্ধ করে দিয়েছে বলে তিনি স্মরণ করিয়ে দেন। ড. ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকারের
সমালোচনায় শেখ হাসিনা বলেন, ইউনূসের এই অবৈধ, অসাংবিধানিক সরকার আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ থেকে বেআইনিভাবে বঞ্চিত করেছে, যা গণতান্ত্রিক অধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগকে অনির্বাচিত অন্তর্বর্তী সরকার দ্বারা অন্যায়ভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।” এসময় তিনি জোর দিয়ে বলেন, গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারপ্রধানকে দেশের মানুষ ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষার সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনের জন্য বিচারের আওতায় আনা যায় না। সংবিধানই তাকে সেই দায়িত্ব অর্পণ করে। ১৫ বছরের শাসনকাল প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা জানান, সামরিক শাসনের পর তিনিই দেশে সংসদীয় গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছেন এবং কোটি কোটি মানুষকে দারিদ্র্য থেকে মুক্তি দিয়েছেন, দেশের উন্নতি-অগ্রযাত্রাকে অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছেন। তিনি উল্লেখ করেন, সবাই যেন মনে
করে, কীভাবে নব্বইয়ের-দশকে নিষ্ঠুর সামরিক শাসনের পর সংসদীয় গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করা হয়েছে এবং আওয়ামী লীগ সরকারের নেতৃত্বে দেশের কোটি কোটি মানুষ দারিদ্র্যের অভিশাপ থেকে মুক্তি পেয়েছে। তাদের জীবনমান উন্নত হয়েছে। তীব্র সংঘাত এবং রক্তপাতের মাধ্যমে সরকারবিরোধী ষড়যন্ত্র চলকালে গত বছরের ৫ই আগস্ট ভারতে চলে যেতে বাধ্য হওয়ার প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা জানান, তাঁর এবং পরিবার-স্বজনদের জীবনের নিরাপত্তার জন্য এ ছাড়া উপায় ছিল না। বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের প্রতিশ্রুতি দিয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা দৃঢ়কণ্ঠে জানান, তিনি নির্বাচনের মাধ্যমে দেশকে ঐক্যবদ্ধ করতে চান। যদিও আওয়ামী লীগের উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছে অসাংবিধানিক ইউনূস সরকার। আন্দোলনের হতাহতদের পরিবারগুলোর প্রতি গভীর সহানুভূতি জানিয়ে তিনি সুস্পষ্টভাবে জানিয়ে
দেন, এসব মৃত্যুর ঘটনায় তিনি দুঃখ প্রকাশ করবেন, কিন্তু রক্তপাতের দায় তাঁর ওপর বর্তায় না। মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এবং জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান শেখ হাসিনা সরকারের প্রতিক্রিয়াকে ‘বিরোধিতা ও বিক্ষোভের প্রতি সম্পূর্ণ অসহিষ্ণুতা’ বলে দাবি করে আসছে। শেখ হাসিনা এসব সমালোচনাকে অগ্রাহ্য করে দৃঢ়ভাবে জানান, তাঁর সরকারের প্রতিক্রিয়া ছিল জীবনহানি কমানোর ‘নিয়মতান্ত্রিক সৎ প্রচেষ্টা’, কেননা দেশের সাধারণ মানুষের জীবনরক্ষা এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদকে ক্ষতিসাধন থেকে বাঁচানোর জন্যই তিনি নির্বাচিত সরকারপ্রধানের দায়িত্বে ছিলেন, তিনি তাঁর করণীয় সম্পর্কে জানেন। সংবিধান এবং রাষ্ট্রীয় আইন তাঁকে সেই ক্ষমতা দিয়েছে।



